নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি আপনি একটি চেতন স্তরে উঠতে চান, তবে আপনাকে নিয়মানুগ শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। যেখান হতে মনকে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। তখন বিবেক সঞ্চালন ও মনের উচ্ছৃঙ্খল আবর্তনে কিছুমাত্র বিচলিত হবে না।
মনকে সংযত করতে অভ্যাস করুন এবং বিবেকের ব্যবহার নিশ্চিত করুন।
নতুবা আপনার পরিদৃষ্ট ঘটনাগুলি নির্ভরযোগ্যতায় সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না এবং মোটেই যথার্থ উপাদান ও তথ্য বলিয়া স্বীকৃত হবে না।
যে-সকল মানুষ মনের প্রকৃতি নিয়ে গভীরভাবে অনুশীলন করেছে, এবং বিবেক জাগ্রত করতে পেরেছে!
দেশ বা মত-নির্বিশেষে তাহাদের উপলব্ধি চিরদিন একই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে।
বস্তুতঃ মনের গভীরতম প্রদেশে যারা প্রবেশ করে এবং মনের ভূল সিদ্ধান্ত গুলো বিবেকের উপর ন্যস্ত করে তাদের উপলব্ধি কখনও ভিন্ন হয় না।
অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ তিন কাল জূড়ে যে ধর্ম ধর্ম বিদ্বেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তার সম্মিলিত সমাধান-
সর্ব-প্রথম নিজ ধর্মের উচ্চ শির পর্যন্ত জানতে হবে তারপর অন্যান্য ধর্মের জ্ঞান লয়ে বিবেকের কাঠগড়ায় এলেই সঠিক ধর্ম, সঠিক মানুষ, সঠিক পথ পাওয়া যায় ।
ধর্ম চিনতে তার প্রধান প্রধান ধর্মগ্রন্থ গুলো পড়তে হয়! আমাকে দেখে ইসলাম নয়, বা অন্য কোন ধর্মের মানুষ দেখে সে ধর্ম নয় ।
ধর্ম চিনতে হলে সেই ধর্মের মুলগ্রন্থ জানতে হবে।
মুক্তি পেতে চাইলে কর্মের ফাকে একটু অবসরে এগিয়ে নিয়ে যান ধর্মের জ্ঞান । তবেই আপনি স্ব-নির্ভর মানুষ হতে পারবেন ।
বাপ-দাদার পথে আর কত? জেনেও যে এই পথে ঘাবলা আছে !
অনুভূতি ও আবেগপ্রবণতা হতেই মানুষের মন ক্রিয়াশীল হয়।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়,
আলোর রশ্মি আমার চক্ষুতে প্রবেশ করে, এবং স্নায়ুদ্বারা মস্তিষ্কে নীত হয়, তথাপি আমি আলো দেখতে পাই না। তারপর মস্তিষ্ক ঐ আবেগকে মনে বহন করে নিয়ে যায়, কিন্তু তারপরেও আমি আলো দেখি না; মনে তার প্রতিক্রিয়া জন্মে, তখনই মনে আলোর অনুভূতি হয়। মনের প্রতক্রিয়াই অনুপ্রেরণা এবং তার ফলেই চক্ষু প্রত্যক্ষ দর্শন করে।
জন্মের পর বাপ-দাদার কাছ থেকে বোধগম্য হয়ে আমরা নিজস্ব ধর্মের পথে হেটে চলেছি যদিও অনেক সময় আমরা বোধ করি এ ধর্মে ভূল সুত্রের অবস্থান লক্ষনীয়।
কিন্তু কেন ?
কারণ ঐ আবেগপ্রবণতা যা শুধু আমাদের পরিবারের ও আত্মীয় স্বজনদের জন্য নির্দিষ্ট।
পূর্ণাঙ্গ মানুষ হতে হলে সঠিক পথে আবেগপ্রবণতার ব্যবহার চালাতে হবে! বিবেকের বিরুদ্ধ নয়।
বিবেক জাগাতে এবং মনকে বশীভূত করতে হলে তার অবচেতন স্তরের গভীরে প্রবেশ করতে হবে, যাহার একমাত্র মাধ্যম বিদ্যা আরো বিদ্যা অর্জন।
ধর্মীয় গ্রন্থগুলিতে যে-সকল চিন্তা ও সংস্কার পুঞ্জীভূত রয়েছে, সেগুলিকে সুবিন্যস্ত করতে হবে, সাজাতে হবে এবং সংযত করিতে হবে।
ইহাই প্রথম সোপান।
অবচেতন-মন বিবেক দারা সংযত করিতে পারিলেই চেতন-মনও বশীভূত হইবে।
মানুষ ও ফিরে পাবে সঠিক ধর্মের পথ ।
আর হ্যা যেহেতু সকল ধর্মই কল্যাণের বাণী পৌছিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে সৃষ্ট তাই নাস্তিকতা নই আস্তিকতাই সর্ব স্তরে কাম্য।
আসুন আজ হতে নিজ ধর্ম গ্রন্থ গুলো পড়ি আগামীতে অন্য ধর্ম সম্পর্কেও জানার চেষ্টা করি, সর্বশেষ দাড়িয়ে যায় বিবেকের কাঠগড়ায় ।
আমাদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে, আমরা সর্বদাই মুক্ত। আমরা সুখী বা আমরা অসুখী—এরূপ ভাবনা মাত্রই গুরুতর ভ্রম।
আমাদেরকে মুক্ত হবার জন্য সাধনা, উপাসনা ও চেষ্টা করতে হবে।
বিবেককে স্থির রাখতে হবে,
মনের আবেগ কোন কারণে যেন এখানে তরঙ্গ না দেয়,
কেবল ইচ্ছাশক্তি দ্বারা বিবেককে সম্পূর্ণরূপে সংযত করতে হবে।
জ্ঞানযোগীগণ মনের (মন বলতে সাধারণভাবে বোঝায় যে, বুদ্ধি এবং বিবেকবোধের এক সমষ্টিগত রূপ যা চিন্তা, অনুভূতি, আবেগ, ইচ্ছা এবং কল্পনার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়) কোনরূপ সাহায্য নেন না।
তিনি কেবল দার্শনিক বিচার, জ্ঞান ও নিজ ইচ্ছাশক্তি—এই সকল সাধনেই বিশ্বাসী।
ধর্ম মানে কি শুধুই প্রার্থনা, ‘আমাকে এই দাও, ঐ দাও’?
যারা ধর্মকে এমন মনে করে, তাদের সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে এবং তার ধর্ম সম্যন্ধে পরিপূর্ণ ধারণাটাই তো নাই।
মহান সৃষ্টি কর্তা আমাদের কি দেন নি?
খাওয়ার জন্য মুখ, দেখার জন্য চোখ, চলার জন্য পা ! আরো কত কি ?
এই সবের জন্য শোকর আদায়ে বদলে দাও আরো দাও !
এসব কি ?
আমরা জানি,
আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন ,
‘‘তোমরা আল্লার রহমত থেকে নিরাশ হয়োনা। নিশ্চয় আল্লাহ রহমত হতে একমাত্র কাফের সম্প্রদায়ই নিরাশ হয়।’’ (ইউসুফ: ৮৭)
রাসূলে কারীম সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘‘তোমাদের কেউ যেন আল্লাহর প্রতি ভালধারণা পোষণ ছাড়া মৃত্যুবরণ না করে।’’ (মুসলিম:৫১২৫)
ভালধারণা বলতে কি শুধুই দাও ?
আমি কুরআনের তর্জমা ও বিশ্লেষণ পড়ে যেটুকু জানতে পেরছি তাতে এখনও পাইনি এতটুকুকুন সংশয় !
তাই আজো আমি মুসলীম ।
বাপ-দাদার ধর্ম বুঝে নয়! কুরআন, হাদীস এবং রাসূলের মতাদর্শের নিখঁুত বিশ্লেষণে আমি মুগ্ধ ।
অতি ভক্তির প্ররোচনায় কিংবা শয়তানের সূরসূরীতে বিদয়াত পন্থীরাই যেন ইসলামকে বানিয়ে রেখেছে সনাতন ।
কিন্ত আমার কাছে ইসলাম সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নিখঁুত একটি ধর্ম ।
কোন মতাদর্শই ইসলামের উপর যেতে পারে না ।
ইসলাম হেটে চলে বিজ্ঞানের একধাপ সম্মুখে, তাই আজো আমি সেই ১৪০০ বছর আগেকার আধুনিক খেলাফতে বিশ্বাসী, যা কিনা গড়ে উঠেছিল মদীনার পথ থেকে এবং পরিপূর্ণ রুপ পেয়েছিল মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে।
©somewhere in net ltd.