নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্যের পথে, সংস্কৃতির রথে

কবি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ

কবিতা এবং সাহিত্যের ছাত্র

কবি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সে দিনের বালিকা

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

সে দিনের বালিকা
আজি সাজিত বধু বেশে
শাড়ীর আচরে ঢাকা,
বাধন নেই তার কেশে।

খুকি ডাকের সারা দিয়ে
সেই সেদিনের মেয়ে
অবাক করেন প্রভু,
আজ নাকি তার বিয়ে।

দাদা ভাই ভালো লাগে
তোমার পানে ফিরে
খুকি ভেবে অবহেলায়
দারা তুই বলিস কিরে।

মাছুম চোখের চাহনি পারে
অশ্রুতে সে ভিজে
বুঝিনি হিয়ার উকিতে লুকানো
যৌবন আবেগের সাঝে।

কিশোরীর চোখ পাতে দেখেছিলাম
রাঙ্গিত আবেশ
আজ এই খুকির চোখে
প্রিয়েতে জাগবে ভিনদেশ।
কাঁদবে তুমি বলেছে
খুকির জ্যোতিষী মণ
শেষ পাড়ে খুকি ই জিতে
করল সবি হরণ।

আতুশ বাজির ধোয়াটে আভায়
পরী দেখিনি
নতুন সাজের খুকি আমার
লাগছে যেন হরিণী।

বুকের মাঝে জায়গা তাহার
বুঝিল আজি মণ
কুদরতের কারিশমা
হিয়ার পটতনে জাগিছে দহন।

ওগো উপরওয়ালা,
একি মায়াপোষ ইন্দ্রজাল
দুজনের বিচ্ছেদ দারে
এল অবলার খেয়াল।

কবিতার ভাষা বুঝিনি,
অঙ্কিত বালার বুকে জ্বালা
আহুতি পথের মাঝে মুই,
তাহার গলে পুস্প মালা।

আপনা বুকের আত্মীয়া সে
ধরিছে লুকিয়ে হাত
তোমার মুখে হাসি কই
ওগো পালওয়ান জাত।

খুকির হাতে জোর বেশী,
চল! পিছন দুয়ার পথে
কাঁদো কাঁদো কাজলা সিক্তি
পালাও আমার সাথে।

নীড় ছেড়ে ঝাপটে বুকে
মাফ কর সখা
তোমায় ছেড়ে পিরিতে বসে
সঠিক পথ দেখা।

বাপের মথায় অগ্নি শিখা
এখন কি আর করি
চল তোমার বন্ধু বাড়ি,
বলছে খুকি নামের বুড়ি।

আধা পাগল বন্ধু আমার
দুয়ার খুলে চেয়ে
কত সুখ পেয়েছে সে
মোদের মিলন দেখে।

ছোনের চাল,
গোল পাতার প্রাচি
আমার বাসর কুঠি
একজোড়া পুষ্পে
সাজ্জিত এক চকি
মাঝে আসন গ্রহিতা
মোর সোনা বউটি।

স্বল্প ক্ষণের একটি রাত
স্বর্গ থেকে পাওয়া
বুঝিনি বালিকার গোপনি
সাবেক চাওয়া পাওয়া।

বুদ্ধি একটু কম হলেও
রমণী আদর জানে
ভীরু কম্পিত কায়ার অতলে
ঝাপটে সবি যাচে।

তন্দ্রাকালের সুখ
বক্ষে মোর, বধূয়ার মাথা
চালের নোলক দু'য়েক ছিদ্র
উপছানো জোৎস্না!

পরের দিনের কিরণমালী
ময়ুর সেজে কোঠে
পুতুল সাজে পরীর মেয়ে
এই বুঝি উঠে।

তন্দ্রাতে চোখ ডুবু
মাছুম কল্মি লতা
নিশিতের আদর মনে
কুন্তল খোলা ফিতা।

পাষাণ আমি এত দিনে
একে চিনলাম না
বালিকার গোপনে ঢাকা
পরী দেখলাম না।
পিয়াস বুকে অচিনতলে
নেই কোন তৃষ্ণা
শিয়রে ললিতা ঘুমে
কেউ ডাকিস না।

বন্ধু আমার না বুঝে
এই শালা খোল
ওর চোখে ঘুম গেঁথে,
কি হয়েছে বল!
নিঃশব্দে খাট ছেরে
দার খুলে সংসয়
আমার মায়ের সাদা বুলে
বউমাটা মোর কই?

পালকি লয়ে ছোট চাচু
বাহির উঠান দখল
কুঁড়ে বাসরে রাত,
ছেড়ে সোনার মহল

আদুরে সখি আমার
লাজ-মরি, মার আঁচর
ইস! সারা রাত কষ্ট
বউটার এমন বাসর।

মন্দিরের দেবীর সনে
পুঁজে যেমনে ঠাকুর মশাই
পত্নী আমার তেমন সাঁজে
বাড়ির পথের রশায় ।

পুত্রের বউ দেখে
স্বয়ং বাবার চোখে খুশী
ঘরোয়া দাওয়াত আকাশ তুঙ্গ
এগাও-ওগাও মিশি ।

ঘরের লক্ষ্মী দুয়ারে রাখ
পালকীতে তনয়া,
শ্রবণে জানিয়ে দাও
বকুলের মা !

কপল চুমে কালো টিপে
নতুন সাঁজে বধুর বেশে
আসন তটে
উঠোন পটে
নোয়া ভাবির রশা
ভুলি কেমনে
সেই সে দিনের দশা ।

হৃদয়ের বাসরে দিবা সাজ পূর্ণিমা
জ্যোৎস্না বেশে দেবী নয়
আলেয়া রেশ প্রতিমা ।

মায়ের আসন দখল ছলে
রান্না ঘর, স্থিত ভামিনী
ধোঁয়ার আঁচ, জল জল চোখ
ঘাবরিয়ে মা, নেই তার শোক
রাধে বাপ কুঠের আদরিনি।

ঘর-দুয়ারে সাজন ছাপ
হিমায়ী তার নেই পাপ
ভোর বেলা
যায়না পাওয়া
মোর সঙ্গি কায়া
ফজরের ডাক, তন্দ্রা মুছে,
প্রভুর তরে নিত্য মায়া।

নামাজ শেষ, কুরআন রেশ
জান্নাতি গড় আবেশ ।
উঠান ঝেড়ে, বাশেঁর ছোপে
খোপ খুলে দানা হাতে
টি টি সূরের গান
কক-ককানি মুরগি রোল
থমকে যায় সব বান ।

গোয়ালের বলদ জোড়া
করুণ দৃষ্টে চেয়ে
এ বাড়ির ছোট মেয়ে
এই বুঝি আসে।
অদূর গাঁয়ের পায়রা দোলা
বনিতার মায়া জানে
ডানা ভেঙ্গে টিনের চালায়
বিহানি সূর রচে।

মেয়েলি স্বভাব কোমরের দোল
পেক পেক সূরানি ক্রন্দ রোল
বউয়ের রাখা পান্তা আমার
এ যেন হাসের খামার
মূখোর দাওয়াত নিত্য সাবার ।

এমনি ভাবে কেটে গেলো
কত দিনের আসর
আজ ও রাঙ্গিত সৃতির পাতে
প্রথম রাণীর বাসর।

বুঝবেনা তুমি হাকিম
আজ ও কত লক্ষ্মী মোর বউটি
বুড়ি হলেও ভালোবাসি
বুড়া হইনি দু জনার মনটি।

বুড়া আমি কই হইছি ?
বলে কানে কানে
সবার চোখে বুড়ি সেও
মানি বল কেমনে ?
আমি জানি আসলে সে
সেই সে দিনের মেয়ে।

দেখ পাখা হাতে
তোমার রাঙ্গা ভাবী
ভুরু কুঁচকে তাকার ভঙ্গীটা ছার
মাতাল হব রানি।

যাহ! তুমি না!
বেহায়া পনি রসিক
ভাইসাপ কি ভাবে,
ওরে পাগল প্রেমিক।

আজ তবে উঠি,
দেখে চল মিয়া ভাই
জোয়ানির বাহাদুরি ভাইসাপ,
দেখে চলেনা তাই।

অনেক গুণের কথা শুনছি
দেইখা রাইখেন তারে
বউয়ের সুখে সংসার পূর্ণ রুপে বাড়ে।

এই জীবনের আপন যে জন
সেইত এই বুড়া
ভাই নেই বোন নেই,
চলে গেছেন তারা।

বাকি দিনের আগাম পথে
থাকে যেন প্রিতি
হটাৎ যদি একা হই
লাগে সেই ভীতি।
দোয়া করি ভালো রবেন
চলবে সুখের ধারা
ভাইসাপের সংগ দিবেন
হয়ে সুখের পায়রা।

কাব্যগ্রন্থ: চৈতালী দারোয়ান

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫

আরিয়ান আরাফ বলেছেন: গুরুচন্ডালি দোষে দুষ্ট

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৪

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: একদিনে এত কবিতা লিখেন কিভাবে??

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৫

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: বিশাল কাব্য। সুন্দর

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.