নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে জন নিজের রাজত্বে একা বসবাস করে সুখ অর্জন করতে পেরেছে তার মত শক্তিশালি দ্বিতীয়জন পৃথিবীতে আর কেউ নেই। মানুষ সামাজিক জীব। সে সমাজের সুখ-দুঃখে নিজেকে বিলিয়ে দিতে পছন্দ করে। কিন্তু এ সমাজ যখন কারো স্বাভাবিকতা ছিনিয়ে নেয় তখন সে একাকিত্বের প্রেমে পড়তে ভালোবাসে।
আমাদের এই সামাজিক রঙ্গশালার শেষ প্রান্তে থাকে ভালো খারাপের আস্তরন। মানুষ ভালো নিয়ম নীতি তৈরী করে ঠিকই কিন্তু তার চর্চ া করতে পারে না।
ফলস্বরুপ এই অপরিকল্পিত মঞ্ছে যারা ভালো কর্মের লালন করতে থাকে তারাই বেশি লাঞ্ছিত হয়। কারণ ভালো বলতেই তার সাথে যুক্ত থাকে নম্রতা, কোমল আচরণের অভিনয় শিষ্টাচারিতা। তাই বেলাগাম দুষ্টরা মধু খেয়ে যায়।
মাঝে ভালোদের জন্য রয়ে যায় শুধুই স্বান্তনা এবং সত্যের জয় গান।
ভালোর সঙ্গে যদি কঠোরতা না থাকে তবে ইনসাফ বিহীন সত্য মুখ থুবরে থাকে পুস্তকের পাতায় পাতায়। নর্তকীর সঙ্গে নাচতে হবে না তার পরনের কাপড়ে শালীণতা আনতে হবে।
পতিতার স্তন কামড়াতে গিয়ে জলাঞ্জলি দিয়েছে যে যুবক তার সততা তার মাঝে নতুন করে আলোড়ণ জাগাতে হবে সত্যের। তার হাত ধরেই ভাঙ্গতে হবে পতিতালয়। তার ঘাম ঝড়া অর্থ দিয়েই তৈরী হবে সেই পতিতাদের শুদ্ধ কর্মসংস্থান।
কবির ছেলেটির বড় সমস্যা হল তার বাবা তাকে অতি বেশি সত্যের জয়গানে প্রভাবিত করেছে। সে এত প্রভাবিত হয়েছে যে, আজ দুই-তিন বছর হল সে সমাজের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে পারছে না। পদে পদে লোকে তাকে বলদ বলে, এমনকি সত্যের ফাউন্ডার বাবাও এখন তাকে রক্ত চক্ষু দেখায়।
অথচ তার কর্মগুলো পুস্তকে বেশ গুরুত্বের সাথে পড়ানো হয় যদিও ওস্তাদ জ্বীরা নিজেরাইত সে সকল আদব মেনে চলতেন না। কারণ তারাও জানে সত্যের পথ এত সহজ নয়।
সত্যের পথে কোন নারীর বক্ষ ছোয়া যায় না, যে কোন নারীর উষ্ণ ছোয়া পাওয়া যায় না, কাউকে পরান ভরে ধোকা দেয়া যায় না।
আজ কবিরদের সত্যের কাছে পরাজিত সমাজ। তবুও সমাজের বিবেক সমাজ কবিরদের হেয় করছে কারণ তাদের কৈশল দুর্বল। তারা এত পাক যে, পঁচা আবর্জণার কাছে গিয়ে তা নিজ হাতে পরিস্কার করতে অপ্রস্তুত।
আমাদের শরীর পাক রাখতে হবে ঠিক কিন্তু ঘরের মাঝের নাপাকগুলোও নিজ হাতে পরিস্কার করতে হবে কবিরদের।
একাকিত্ব ইবাদত গ্রহণীয় নয় যদি না কোন মানুষ তার থেকে উপকৃত হয়। যত ভালো মানুষ-ই সে হোকনা কেন, তার দ্বারা কোন প্রতিক্রিয়াশীল কর্ম সম্পাদন না হলে সে একটা বোঝা ছাড়া আর কিছুই নয়।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৮
কবি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেছেন: মন্তব্য প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ প্রিয়!
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
যত ভালো মানুষ-ই সে হোকনা কেন তার দ্বারা কোন প্রতিক্রিয়াশীল কর্ম সম্পাদন না হলে সে একটা বোঝা
পয়েন্টটা একটু সমস্যা সৃষ্টি করছে।
ভালো মানুষ = প্রতিক্রিয়াশীল কর্ম = বোঝা
প্রতিক্রিয়াশীল কর্ম = ভালো বা খারাপ কাজ
ভালো মানুষ কি খারাপ কাজ করতে পারে? যেহেতু, সে ১০০% শুদ্ধ নয়, সেহেতু, একজন ভালো মানুষ খারাপ কাজ করতে পারে। সেই মোতাবেক প্রতিক্রিয়া ঘটাতে সে সক্ষম।
আরেকটু গভীরে যাই।
ভালো মানুষ 'ভালো' কাজ না করলে ভালো বলে সম্বন্ধিত হয় কিভাবে?!!!
ভালো কাজ কি প্রতিক্রিয়া ঘটায় না?
তাই,যুক্তিটি একটু গোলমেলে মনে হয়েছে।
আরেকটু ভেঙ্গে বললে ভালো হতো।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৭
কবি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেছেন: মন্তব্য প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ প্রিয়!
আসলে এখানে ভালো বিদ্যান যে অন্যায়ের বিরুদ্ধাচারণ করেনা আবার মন্দ কাজও করে না।
৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আসলে এখানে ভালো বিদ্যান যে অন্যায়ের বিরুদ্ধাচারণ করেনা আবার মন্দ কাজও করে না।
অন্যায়ের বিরুদ্ধাচারণ করার কি কোন স্তর নেই?
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৩
কুণ্ডপর্ণী সুনন্দ সম্মাদ্দার বলেছেন: যত ভালো মানুষ-ই সে হোকনা কেন তার দ্বারা কোন প্রতিক্রিয়াশীল কর্ম সম্পাদন না হলে সে একটা বোঝা