নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীতে মানুষের জীবন ক্ষনস্থায়ী। এই ক্ষনস্থায়ী জীবনে সবাই সুখী হতে চায়। দিন মজুর, রিক্সাচালক থেকে শুরু করে কোটি টাকার মালিক সবাই সুখী হতে চায়। তবে চাইলেই সবার জীবনে সুখ ধরা দেয় না। হয়তো সুখের সব উপকরণ তার করায়ত্ব কিন্তু সুখী নন তিনি। বিপরীত ও আছে সুখের উপকরণের অভাব থাকলেও দুঃখ কখনোই তাকে স্পর্শ করতে পারেনা। কবির ভাষায়, "সবাই তো সুখী হতে চায়...কেউ সুখী হয় কেউ হয়না"। বিজ্ঞজনদের মতে "সুখ আপেক্ষিক একটা বিষয়"। কে কিসে সুখী হবে তা নিয়ে নানান মত আছে, বিতর্ক আছে।
কবি বলেন, "সুখ তুমি কী বড় জানতে ইচ্ছা করে, সুখ তুমি কিশোরীর হাসি, নাকি মায়ের আদর অথবা প্রিয়তমার চুম্বন বড় জানতে ইচ্ছে করে"। তবে ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়। ক্ষুধার্থের কাছে পূর্নিমার চাঁদ যেন ঝলসানানো রুটি"। ক্ষুধা পেলে সুস্বাদু খাবার আমাকে সুখ দেয়, সুখ দেয় প্রিয় মানুষের চুম্বন। প্রিয় দেশের জয় আমাকে সুখ দেয় , সুখ দেয় পড়ন্ত বিকেলের রোদ।
সুখের অনুভবকে বিশ্লেষন করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা তাই ইন্দ্রিয়কে অনুসন্ধান করেছেন , মানবের মস্তিষ্ককে কেটে ছিড়ে দেখেছেন এবং আমাদের জানিয়েছেন - সুখের স্টিমুলাস বা উত্তেজক শরীরের বাহির থেকে পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে ভেতরে আসুক , অথবা ভিতরের কোন এক উৎস থেকে মস্তিষ্কে পৌঁছাক - সুখ আসলে শেষ পর্যন্ত কিছু জৈব রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি । কোন স্টিমুলাস বা উত্তেজকের প্রতি আমাদের মস্তিষ্কের রাসায়নিক ও স্নায়বিক প্রতিক্রিয়া যা আমাদের ভেতর সুখের অনুভব তৈরী করে । আবিষ্কৃত রাসায়নিক যৌগ " এন্ডরফিন্স" গুলোকেই এই সুখের মূল বলে বিভিন্ন গবেষনায় জানা যায় । এন্ডো মানে ভিতরের আর মরফিন মানে বেদনা নাশক । তার মানে সুখের রাসায়নিক শরীরের ভিতরের বেদনাকে কিংবা অসুখের অবস্থাকে পরিবর্তন করে সুখের অবস্থায় নিয়ে যায় । উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় বিরিয়ানী খাইলে, মায়ের ফু পাইলে , প্রিয়জন ফুল দিলে , পানে চুন দিলে ইত্যাদি ইত্যাদি - শরীরে এন্ডরফিন্স নিঃসৃত হয় ফলশ্রুতিতে আমরা সুখি হই । তবে এসব ডাক্তারী শাস্ত্রের কথা। আমরা সেই বিতর্কে না গিয়ে কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললেও যে সুখী হওয়া যেতে পারে তা নিয়ে আলোকপাত করি।
বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ব্রাজিলীয় লেখক পাওলো কোয়েলহো বাতলে দিয়েছেন সুখী হওয়ার তেমনি কয়েকটি উপায়। এ কথাসাহিত্যিক বলেছেন, প্রতিদিন এ উপায়গুলো মানলে সুখী হওয়া কঠিন কিছু নয়। দেখুনঃ
8 things to do every day that will make you happier
১। অন্যকে ধন্যবাদ দিনঃ
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে মুঠোফোন, ফেসবুক কিংবা ই-বার্তার মাধ্যমে কাউকে না কাউকে ধন্যবাদ দিন অথবা তার ভালো কাজের প্রশংসা করুন। গবেষণা বলছে, এতে করে আপনার দিনটি ভালো যেতে পারে।
২। টাকা পয়সা খরচ করুন প্রিয়জনদের জন্যঃ
আপনি যাদের ভালোবাসেন, স্নেহ করেন বা শ্রদ্ধা করেন তাদের জন্য আপনার সাধ্যমত খরচ করুন। হতে পারে সে আপনার বান্ধবী,প্রিয়তমা স্ত্রী, সন্তান কিংবা পিতা মাতা। প্রিয় জনদের জন্য কিছু করতে পারলে যে আত্ম তৃপ্তি পাওয়া যায় তা স্বর্গীয় সুখের সাথে তুলনীয়।
৩। প্রিয়জনকে অন্তত ৫ বার আলিঙ্গন করুনঃ
দিনে অন্তত ৫ বার আপনার প্রিয়জনদের আলিঙ্গন করু্ন্য। আলিঙ্গন বলতে এখানে যৌনতাকে বুঝানো হয়নি। এই আলিঙ্গন ভালোবাসার, স্নেহের ও আদরের।
৪। যা ভালো পারেন তা-ই করুনঃ
যে বিষয়টি আপনি ভালো পারেন, সেটিই প্রতিদিন চর্চা করতে থাকুন। দেখবেন এ যোগ্যতা অন্যদের থেকে আপনাকে আলাদা করে তুলছে। এতে করে আপনি সারা মাসই সুখী থাকবেন।
৫। দিনে অন্তত ৫টি ভালো কাজ করুনঃ
অন্যের জন্য দিনে অন্তত ছোট্ট হলেও পাঁচটি ভালো কাজ করুন। এতে করে আপনি অনাবিল শান্তি অনুভব করবেন। দিনে না হোক সপ্তাহে অন্তত ছোট্ট পাঁচটি পরোপকারমূলক কাজ করার চেষ্টা করুন। তবে মানসিকভাবে তৃপ্ত হতে হলে জেনেশুনে ও সচেতনভাবে এ কাজগুলো করতে হবে। কাজ করার পর এ নিয়ে ভাবলে চলবে না।
৬। সানন্দে বেরিয়ে পড়ুন কোথাওঃ
এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ প্রিয় সিনেমা দেখে মূলত এন্ডোরপিন লেভেলকে বাড়ানোর জন্য। এন্ডোরপিন হচ্ছে এক ধরনের হরমোন; যা মানুষের হতাশা, কষ্ট, দুঃখ ভুলিয়ে দিতে সাহায্য করে। এ কারণে যাপিত জীবনে হাঁপিয়ে উঠলে একটু ছুটি নিয়ে নিন। ক্যালেন্ডারে কিছু দিন রাখুন, যাতে প্রিয় সঙ্গী বা বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে কোথাও ক’টা দিন বা কয়েক সপ্তাহের জন্য বেড়িয়ে
আসা যায়।
৭। বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানঃ
মনোবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞানে অনেক গবেষণা রয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, সামাজিক সম্পর্ক মানুষকে সুখী হতে সাহায্য করে। বিচ্ছিন্ন হয়ে সুখী হওয়া কঠিন বৈকি। মানুষের সঙ্গে মেশার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে বন্ধু, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে। আপনার ভালো লাগা, মন্দ লাগা তাদের সঙ্গে শেয়ার করুন। ব্রিটিশ হাউসহোল্ড প্যানেল সার্ভেতে দেখেছি, সামাজিক সম্পর্ক বাড়লে মানসিক তৃপ্তিও বাড়ে।
৮। ঘুমানোর আগে ভালো ঘটনা লিখে রাখুনঃ
প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে অন্তত ১০ মিনিট কাগজ-কলম নিয়ে টেবিলে বসে পড়ুন। টুকে রাখুন দিনে ঘটে যাওয়া তিনটি ইতিবাচক ঘটনার কথা। ইতিবাচক ঘটনাগুলো কখন ঘটেছে, কেন ঘটেছে ইত্যাকার বিষয়ে লিখে রাখতে পারেন। এটি কম্পিউটার বা নিজের ব্লগেও লিখতে পারেন। কোথায় লিখলেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সেগুলো লিপিবদ্ধ করে রাখা। এ তিনটি ঘটনা দুনিয়া কাঁপানো হবে তা নয়, এটি হবে সাদাসিধা। ঘটনা হবে এমন— ভাই বা বোনের চাঁদের মতো ফুটফটে পুত্র বা কন্যাসন্তান হয়েছে কিংবা স্বামী অফিস থেকে ফেরার সময় প্রিয় আইসক্রিম এনেছে ইত্যাদি।
আশা করি উপরোক্ত উপায়গুলো অনুসরণ করতে পারলে সুখ পাখী আপনার কাছে ধরা দিলেও দিতে পারে। ভালো থাকুন সবাই, আর সুখী হোন এই ক্ষনস্থায়ী জীবনে সেই প্রত্যাশায়।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩১
কোবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আলম ভাই
বাকীগুলো অনুসরণ করার
চেষ্টা করুন, উপকৃত হবেন
আশা করি
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৭
ফারজানা শিরিন বলেছেন: আচ্ছা : )
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩২
কোবিদ বলেছেন:
ওকে
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭
নীল আকাশ আর তারা বলেছেন: ++++++++++++++
৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩
একজন আরমান বলেছেন:
ঠিক আছে।
৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম কার্যকরী .........।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩০
কোবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা'পু
শত ভাগ কার্যকরী বলেই
বিশেষজ্ঞরা রায় দিয়েছেন।
হা হা হা
আপনার জীবনেও কার্যকরী
তাতেই আমি খুশী
৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ভালো পোস্ট, ধন্যবাদ।
৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮
আখতার ০১৭৪৫ বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++
৮| ২৬ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪
েবনিটগ বলেছেন: +
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৬
এস.কে.ফয়সাল আলম বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
এর মধ্যে অনেক গুলো মেনে চলি।
বাকিগুলি মানতে হবে।
পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।