নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ সকালে (আনুমানিক ৯টার দিকে) সাভার বাসস্টাণ্ড সংলগ্ন নয়তলা রানা ভবনটি পেছনের দিক থেকে হঠাৎ ধসে পড়তে শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যে মূল খুঁটি ও সামনের দেয়ালের অংশবিশেষ ছাড়া পুরো কাঠামোটিই ভেঙে পড়ে। এ সময় আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় দোকানদার সুজন মিয়া বলেন, “আমি দোকানে বসেছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ পেয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখি ধুলার ঝড়ের মতো উঠল। আর চোখের পলকে বিল্ডিংটা ধসে পড়ল।”
পুরো ভবনটি এখন ধ্বংশস্তুতে পরিনত হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন, মেডিকেল টিম, ফায়ার ব্রিগেড,
সেনাবাহিনীকে উদ্ধাব কাজে অংশনিতে প্রধানমন্ত্রীর
নির্দেশ প্রদান করেছেন।
ইটিভির সাভার প্রতিনিধি নাজমুল এর ভাষ্যমতে ইতি মধ্যে ৫০টি মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহত অবস্থায় অর্ধশতাধিক মানুষকে ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। ধ্বংসস্তূপের ভেতরে অনেকেই আটকা পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ভবনটির প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার, প্রসাধন সামগ্রী ও কাপড়ের মাকের্ট এবং ব্র্যাক ব্যাংকের একটি শাখা ছিল। ভবনটির তৃতীয় তলার নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেড, চতুর্থ তলার প্যান্টম এ্যাপারেলস লিমিটেড, পঞ্চম তলার প্যান্টম ট্যাক লিমিটেড ও ষষ্ঠ তলার ঈথার টেক্সটাইল লিমিটেডে পাঁচ থেকে ছয় হাজার শ্রমিক কাজ করতেন বলে স্থানীয়রা জানান।এদিকে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় জড়ো হওয়ায় ঢাকা-আরিচা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছেন। এতে অংশ নিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীকে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় বিভিন্ন সূত্র।
গত মঙ্গলবার সকালে ঐ ভবনে ফাটল দেখা দেয়ার পরপরই ওই ভবনে থাকা চারটি গার্মেন্ট কারখানা ও ব্যাংক বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। তবে বুধবার সকালে শ্রমিকরা আবারো কারখানায় গিয়েছিলেন।
ভবনটির মালিক পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক মো. সোহেল রানাকে মঙ্গলবার ভবনের ফাটল সম্পর্কে অবগত করা হলে তিনি বলেছিলেন সামান্য একটু প্লাস্টার খুলে পড়েছে, এটা তেমন কিছু নয়।
দ্বায়িত্বহীনতার নিকৃষ্টতম উদাহরণ হয়ে রইলো। অর্ধশতাধিক মানুষ মরে প্রমান করলো এটা কতবড় ঝুকিপূর্ণ ছিলো।
২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫
চাঁন মিঞা সরদার বলেছেন:
গতকাল নাকি বিল্ডিং এ ফাটল দেখে এটিকে বন্ধ ঘোষনা করেছিলো প্রশাসন। তাহলে আজ কেন খুলে দেয়া হলো?
এর জন্য দায়ী ব্যাক্তিদের কঠিন সাজার জন্য তীব্র দাবী জানাচ্ছি।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪০
কোবিদ বলেছেন: ভবনটির মালিক পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক মো. সোহেল রানাকে মঙ্গলবার ভবনের ফাটল সম্পর্কে অবগত করা হলে তিনি বলেছিলেন সামান্য একটু প্লাস্টার খুলে পড়েছে, এটা তেমন কিছু নয়।
দ্বায়িত্বহীনতার নিকৃষ্টতম উদাহরণ হয়ে রইলো। অর্ধশতাধিক মানুষ মরে প্রমান করলো এটা কতবড় ঝুকিপূর্ণ ছিলো।
৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪২
স্পাইসিস্পাই001 বলেছেন: সত্যিই মানুষের জীবনের দাম অনেক সস্তা হয়ে যাচ্ছে দিন দিন .....
৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১
মৃদুল মিয়া বলেছেন: মানুষের জীবন সস্তা কথাটা ঠিক নয়, কথাটা হবে সাধারণ দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের জীবন সস্তা। যারা এদেশের উন্নয়নে নিজের জীবন বিপন্ন করে, রক্ত পানি করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখে। আর এদের ঘাম, রক্ত ঝরানো টাকায় এসি রুম এসি গাড়ি তে করে ঘুরে বেড়ায়। দিন দিন টাকার পাহাড় গড়ে। এত লাশ এত লাশ চারিদিকে তবুও কারও কোন হুশ হয় না। প্রকৃত অপরাধীদের বিচার হয় না। অন্যদিকে মরে কেবল সাধারণ মানুষ। আর কত লাশ চাই তোদের হে ক্ষমতাশালীরা, আর কত রক্ত হলে মিটবে তোদের পিপাসা।
৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৮
চলতি নিয়ম বলেছেন: এর জন্য দায়ী ব্যাক্তিদের কঠিন সাজার জন্য তীব্র দাবী জানাচ্ছি।
৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৯
বি হিউম্যান বলেছেন: বাংলাদেশের বেশিরভাগ ভবনই সঠিক অবকাঠামো অনুযায়ী করা হয়নাই এবং হচ্ছে না, ভবিষ্যতে যেন এমনটা না হয় এইটা যেমন গুরত্তপূর্ণ তারচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো বাংলাদেশে আধুনিক সরঞ্জামে সমৃদ্ধশীল একটি "RESCUE TEAM(উদ্ধারকারী দল)" থাকা দরকার, কারণ সামান্য আট(৮) তলা ভবনধ্বসের থেকে মানুষদের উদ্ধার করতে এতো বেগ পেতে হচ্ছে, তাহলে ভূমিকম্প বা বড় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে কি হবে??
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৪
তাওসিফ০০৭ বলেছেন: পৃথিবীতে সবচেয়ে সস্তা প্রান বাংলাদেশের মানুষের, হাজার হাজার মানুষ মরলেও কারো টনক নরবে না।