নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যই সুন্দর

আমি সত্য জানতে চাই

কোবিদ

আমি লেখালেখি করি

কোবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাভার ট্রাজেডিঃ এই মৃত্যু ( হত্যার!) দায়ভার কার?

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭



সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে, রানা প্লাজা নামের বহুতল ভবন ধসে দুর্ঘটনা স্থল থেকে এই পযন্ত ২০০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারীরা। মৃতদের বেশীর ভাগই নারী। তারা আশঙ্কা করছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পরে। এই ভবন ধসে আহত এক হাজারের বেশি।



স্থানীয়রা জানিয়েছেন এখনও ভবনটিতে বহু শ্রমিক আটকা পড়ে আছেন। আর নিঁখোজদের সন্ধানে বিধ্বস্ত ভবনটির আশপাশে ভীর করছেন স্বজনরা। মরদেহ ও আহতদের বের করে আনা হচ্ছে। ছুটে চলেছে এ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালের দিকে। বিদ্ধস্ত ভবনটির পরতে পরতে আহত-নিহত মানুষ। উদ্বেগ, উৎকন্ঠা আর ধ্বংস্তুপের নিচে মানুষের বাঁচার আকুতি। আহত মানুষের কান্না আর স্বজনহারাদের আহাজারিতে ভারি সাভারের জনস্রোত।



নয়তলা ভবনটি ভেঙ্গে পড়ার সাথে সাথেই শুরু হয় উদ্ধার তৎপরতা। ধ্বংস স্তুপের ভেতর থেকে একে একে উদ্ধার করা হয় আহত-নিহতদের দেহ। সকাল গড়িয়ে বিকাল তারপর রাতের অন্ধাকেরও শত মৃত্যুর মিছিল অবিরাম। থেমে নেই উদ্ধার কাজও। ভবন ধ্বসের পর প্রথমে স্থানীয়রা, তারপর দমকল বাহিনী শুরু করে উদ্ধার তৎপরতা। কিছুক্ষণের মধ্যেই যোগ দেয় সেনাবাহিনী, র‌্যাব পুলিশ, আনসার, রেডক্রিসেন্ট সহ অনেকেই।



মঙ্গলবারই পিলারে ফাটল দেখা দেওয়ায় খালি করা হয় ভবনটি। একটা পিলার ফাটলে তেমন কিছু হয় না এমন ঘোষণা দিয়ে বুধবার সকালে পোষাক শ্রমিকদের কাজে যোগদিতে বাধ্য করা হয়েছিলো বলে অভিযোগ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছিলেন রানা প্রাজার দেয়ালর ফাটল অস্বাভাবিক কিছু না। দেয়ালের প্লাস্টার খসে ও আর একটি ফিলারে সামান্য ফাটল দেখা গেছে। এ ঘটনায় কোন ধনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা নাই। কিন্তু বুধবার সকাল ৯ টায়, চোখের নিমিষেই, রানা প্লাজা নামের ৯ তলা ভবন পরিনত হলো ধ্বংস স্তুপে।



জানাগেছে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নির্মিত হয়েছে রানা প্লাজা। ঢাকা ও এর আশেপাশের ভবন নির্মাণ করতে হলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু রানা প্লাজা নির্মাণ করা হয়েছে শুধু সাভার পৌর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে।



ভবনের মালিকের আইন লঙ্ঘণ ও গার্মেণ্টস ফ্যাক্টরির মালিকদের অবহেলা ও খামখেয়ালীতে প্রাণ দিতে হয়েছে দুই শতাধিক মানুষ। অসাহায় করে দিয়েছে তাদের অসংখ্য পরিজনদের। নিরীহ ও দুঃখী এই মানুষের মৃত্যুর দায়ভার নিবে কে? প্রশ্ন আমাদের মতো কোটি বাঙ্গালীসহ বিশ্ববাসীর

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

মুর্তজা হাসান খালিদ বলেছেন: আমি আপনি আমরা সবাই দায়ী :( আমাদের শ্রমিকদের ঘামে ভেজা টাকা দিয়ে কোনো ভবন বা বন্দরের নাম পরিবর্তন হতে পারে .. শুধু হয়না আমাদের মৃত্যুকুপ থেকে উদ্ধারের সরঞ্জাম কেনা :( তাই দায়ী আমরা সবাই

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

এ সামাদ বলেছেন: আমি আপনি আমরা সবাই দায়ী আমাদের শ্রমিকদের ঘামে ভেজা টাকা দিয়ে কোনো ভবন বা বন্দরের নাম পরিবর্তন হতে পারে .. শুধু হয়না আমাদের মৃত্যুকুপ থেকে উদ্ধারের সরঞ্জাম কেনা তাই দায়ী আমরা সবাই।

দিনে ২ লাখ টাকা আপ্যায়ন খরচাও আমরা করতে পারি। তাই নয় কি?

এখন বলছে পিলার নাড়াইছে মৌলবাদী ও বিএনপি। হা হা হা।

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

নবীউল করিম বলেছেন: প্রশ্ন কর্তা কি সত্যি সত্যি জানতে চান “দায় কার”? যদি তাই চান তবে নিজের ভিতরে যে আর একটা মন আছে, তাকে জিজ্ঞেস করেন......... উত্তরের ফরদিটা অনেক লম্বা হয়ে যাবে, তাই প্রশ্নটা এভাবে করেন......... এই রকম পৌনঃপুনিক মর্মান্তিক ঘটনাগুলোর জন্য “ দায় কার না”।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.