নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(মধ্যরাতের অশ্বারোহী, ফয়েজ আহমদ)
ফয়েজ আহমেদ দেশের পুরোধা সাংবাদিক ও লেখক । ফয়েজ আহমেদ বাংলাদেশের প্রথম সারির সাংবাদিক, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তার ছদ্ম নাম ছিলো করিম শাহানী। ফয়েজ আহমেদ ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের ২ মে ব্রিটিশ ভারতের ঢাকা জেলার বিক্রমপুর পরগণার বাসাইলডোগ গ্রামে এক সামন্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামটি বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ জেলার অন্তর্ভূত। তাঁর পিতার নাম গোলাম মোস্তফা চৌধুরী এবং মাতা আরজুদা বানু। বাংলা ভাষার শিশুতোষ সাহিত্যিক খ্যাতিমান কবি ফয়েজ আহমেদের জন্মদিনে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
(ফয়েজ আহমদের পিতা গোলাম মোস্তফা চৌধুরী)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষভাগে পলায়নমুখী পশ্চাদগামী ব্রিটিশ সৈন্যরা যখন বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকায় ক্যাম্প স্থাপন করেছিল, তখন ঢাকা নগরীর বনানীস্থ একটি ক্যাম্পে তরুণ প্রকৌশলী তথা পাইলট হিসেবে শিক্ষানবিসের কাজ করেছিলেন। ১৯৪৭-এ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তিনি কম্যুনিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত মুক্ত চিন্তা ও অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল লেখকদের সংগঠন পাকিস্তান সাহিত্য সংসদের প্রথম সম্পাদক ছিলেন। জীবনের ছয় দশকের বেশীকাল ধরেও তিনি আমাদের অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক সংগ্রাম ও মুক্তবুদ্ধি আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। আজীবন তিনি সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে সোচ্চার ছিলেন। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সমাজতন্ত্রের আদর্শে তিনি ছিলেন অবিচল। ছড়া সাহিত্যেও তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
(১৯৭৩ সালে মওলানা ভাসানীর সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন বঙ্গবার্তা’র প্রধান সম্পাদক ফয়েজ আহ্মদ , টেপ রেকর্ডার ধরে আছেন বার্তা সম্পাদক কামাল লোহানী)
সাংবাদিক ফয়েজ আহ্মদের জীবন বিচিত্র অভিজ্ঞতায় পূর্ণ। ১৯৪৮ সাল থেকে সাংবাদিক জীবনের শুরু। ১৯৪৮ সাল থেকে ৩৫ বছর তিনি সাংবাদিকতা করেছেন। তিনি ইত্তেফাক, সংবাদ, আজাদ ও পরবর্তীতে পূর্বদেশে চীফ রিপোর্টার ছিলেন। তিনি সাপ্তাহিক ইনসাফ ও ইনসান পত্রিকায় রিপোর্টিং করেছেন। ১৯৫০ সালে 'হুল্লোড়' এবং ১৯৭১ সালে 'স্বরাজ' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। পিকিং রেডিওতে বাংলা ভাষার প্রোগ্রাম চালু করার জন্য ১৯৬৬ ও ’৬৭ এ দু বছর কাজ করেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধিকার আন্দোলনে এবং ১৯৭১-এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি পিকিং রেডিওতে বাংলা ভাষায় অনুষ্ঠান প্রবর্তন করেন।তিনি ১৯৬৬ সালে পিকিং রেডিওতে বাংলা ভাষার অনুষ্ঠান শুরু করার জন্যে তিনবছর মেয়াদে নিযুক্ত হন। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম আর নেতৃত্বের ফলে অল্প সময়েই পিকিং রেডিওতে (বর্তমানে রেডিও বেইজিং) বাংলা ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচার শুরু হয়। সে সময় চীনে সাংস্কৃতিক বিপ্লব শুরু হয়। এছাড়া তিনি ঢাকা রেডিওতে ১৯৫২-৫৪ সালে 'সবুজ মেলা' নামের ছোটদের বিভাগটি পরিচালনা করতেন।
বাংলাদেশে সংঘটিত মহান মুক্তিযুদ্ধেও তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানী সেনাবহিনী গণহত্যা শুরু করলে তিনি জাতীয় প্রেসক্লাব ভবনে আশ্রয় নেন। সেখানেই তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণের শিকার হন। রাত ১১টায় আশ্রয় নেয়ার পর ভোর রাতে ট্যাংক দিয়ে শত্রুবাহিনী প্রেসক্লাবে তাঁর আশ্রয় কক্ষে দোতলায় গোলাবর্ষণ করে । তিনি বাঁ ঊরুতে আঘাত পেয়ে মেঝেতে পড়ে থাকেন। ২৬ মার্চ ভোরে জ্ঞান ফিরে পান। পরে নিকটস্থ বাংলাদেশ সচিবালয়ে আশ্রয় নিনিয়ে জীবন বাঁচান। পরে ২৭ মার্চ সকাল প্রায় ১০টায় কারফিউ ওঠার পর তিনি চিকিৎসার জন্য বেরিয়ে যান। ঢাকা থেকে তিনি আগরতলা চলে যান। আগরতলায় চিকিৎসার পর তিনি কম্যুনিস্ট পার্টির সহযোগিতায় কলকাতায় যান। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে রাজনৈতিক ভাষ্যকার হিসেবে কাজ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বি.এস.এস.) প্রথম প্রধান সম্পাদক নিযুক্ত হন। তিনি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ফয়েজ আহ্মদ আশির দশকে গঠিত জাতীয় কবিতা উৎসবের প্রথম পাঁচ বছর আহ্বায়ক ছিলেন।
সাংবাদিকতা করার সময় থেকে তিনি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটেরও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। ৮০'র দশকে ফয়েজ আহমদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন বছর ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন বছর সিণ্ডিকেটের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি জাতীয় কবিতা উৎসবের প্রথম পাঁচ বছর আহ্বায়ক ছিলেন। বাংলাদেশের জনগণের সংগ্রামী ঐতিহ্যের প্রেক্ষাপটে ঐতিহাসিক কারণেই ১৯৮২-৮৩ সালে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জন্ম । ১৯৮২ সালে তিনি বাংলা একাডেমীর কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু এরশাদের সামরিক শাসনের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন।
স্বৈরাচারী এরশাদের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার পক্ষে বিরাট ভূমিকা রেখেছেন ফয়েজ আহমদ। ১৯৮৩ সালে হো মো এরশাদ ঘোষণা করলেন শহীদ মিনারে ফুল দেয়া ও আলপনা আঁকা ‘বেদাত কাজ’। প্রতিবাদে ফয়েজ আহমদের নেতৃত্বে গঠিত হলো সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। দীর্ঘদিন তিনি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। লেখক শিল্পী সাংবাদিক সংস্কৃতিসেবীদের সম্মিলিত পদক্ষেপের কারণে ক্ষমতায় থাকাকালীন এরশাদ কখনোই শহীদ মিনারে যেতে পারেন নি। জাতীয় প্রেস ক্লাবেও প্রবেশ করতে পারেন নি এরশাদ। এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার করার লক্ষ্যে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মধ্যে বৈঠক ও যুক্ত ঘোষণা সম্ভব হয়েছিল ফয়েজ আহমদের প্রচেষ্টায়। এর জন্য হুলিয়া জারি হয়েছিল ফয়েজ আহমদের নামে। তাঁকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন এরশাদ সরকার।
কবি হিসেবে নিজেকে জাহির করার জন্য এরশাদ রাষ্ট্রীয় খরচে কবি সম্মেলন ও বঙ্গভবনে কবিতা পাঠের আসর বসালেন। প্রগতিশীল কবিরা প্রত্যাখ্যান করেন এরশাদের কবি-সম্মেলন। ১৯৮৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে এরশাদের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে শামসুর রাহমানের নেতৃত্বে গঠিত হলো জাতীয় কবিতা পরিষদ। এরও প্রাণপুরুষ ছিলেন ফয়েজ আহমদ। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত টানা পাঁচ বছর জাতীয় কবিতা উৎসবের আহ্বায়ক ছিলেন ফয়েজ আহমদ। নেতৃত্বে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যেমন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সোচ্চার হয়েছিল তেমনি ১৯৮৮ সালের মহা প্লাবন, ১৯৯০ সালের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে সাধারণ মানুষের পাশে গিয়ে স্বতঃস্ফুর্তভাবে দাঁড়িয়েছিল। এরশাদের পতনের পর ১৯৯২ সালে জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন ফয়েজ আহমদ। গোলাম আজমের বিচারের দাবিতে ১৯৯২ সালের ২৬শে মার্চ যে গণ আদালত গঠিত হয়েছিল তার অন্যতম বিচারক ছিলেন ফয়েজ আহমদ। এর জন্য বিএনপি সরকার ফয়েজ আহমদের বিরুদ্ধেও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেছিল।
আধুনিক বাংলা ছড়ার নন্দিত সৃষ্টিজন কবি ফয়েজ আহমেদ। তাঁর ছড়ার জগত বৈচিত্রময়। দেশকাল, মুক্তিযুদ্ধ, দৈনন্দিন সমাজ ভাবনা, জনসংগ্রাম থেকে একেবারে শিশুতোষ ভাবনার বর্ণিল প্রকাশ তার ছড়ার উপজীব্য হয়েছে। ঝিলিমিলি, তা তা থৈ থৈ, ছোট ছেলে মামানের, জোনাকীসহ অসংখ্য ছড়াগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর এই 'মজার পড়া ১০০ ছড়া'য় প্রকাশিত ছড়াগুলি আমাদের শিশু-কিশোর পাঠকদের জন্য একটি বড় উপহার বলে মনে করতে পারি। তিনি প্রধানত শিশু-কিশোরদের জন্য ছড়া ও কবিতা লিখেছেন। তাঁর বইয়ের সংখ্যা প্রায় একশ।
গত বছর একুশের বই মেলায় প্রকাশিত হয়েছে প্রয়াত সাহিত্যিক-সাংবাদিক ফয়েজ আহমদের প্রবন্ধের বই ‘আমার সাম্প্রতিক লেখা প্রবন্ধ’। এখন পর্যন্ত এটাই তার শেষ প্রকাশিত বই। এ বইতেও ফয়েজ আহমদ তার লেখনির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ও মননের ছাপ রেখে গেছেন। এখানে তিনি ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি ও সাংবাদিকতা বিষয়ে তার মতামাত প্রকাশ করেছেন।
ফয়েজ আহমদের বইগুলোর মধ্যে 'মধ্যরাতের অশ্বারোহী' সবচেয়ে বিখ্যাত। ছড়ার বইয়ের মধ্যে-'হে কিশোর', 'কামরুল হাসানের চিত্রশালায়', 'গুচ্ছ ছড়া', 'রিমঝিম', 'বোঁ বোঁ কাট্টা', 'পুতলি' 'টুং', 'জোনাকী', 'জুড়ি নেই', 'ত্রিয়ং', 'তুলির সাথে লড়াই', 'টিউটিউ', 'একালের ছড়া', 'ছড়ায় ছড়ায় ২০০' 'পাখিসব করে রব' বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও তিনি চীনসহ বিভিন্ন দেশের পাঁচটি বই অনুবাদ করেছেন। এর মধ্যে হোচিমিনের জেলের কবিতা উল্লেখযোগ্য। ফায়েজ আহমেদ ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ঢাকার প্রাচীন ও সুবৃহৎ আর্ট গ্যালারী 'শিল্পাঙ্গণ'। তিনি প্রগতিশীল পাঠাগার 'সমাজতান্ত্রিক আর্কাইভ' এর প্রতিষ্ঠাতা।
স্বাধিকার আন্দোলন এবং একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও সক্রিয় অংশগ্রহণকারী, ‘মধ্যরাতের অশ্বারোহী’ নামে খ্যাত সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ সাহিত্য কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, শিশু একাডেমী সাহিত্য পুরস্কারসহ নানা পুরস্কারে ভূষিত হন। জীবনের শেষের দিকে দীর্ঘদিন হৃদরোগ ও চোখের গ্লুকোমায় ভুগছিলেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বরেণ্য ছড়াকার, দেশখ্যাত সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ৮৪ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত রোগে বারডেম হাসপাতালে মারা যান।
তাঁর শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী মৃতদেহ ঢেকে রাখা হয়েছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা দিয়ে। পাশে রাখা হয়েছিল মার্ক্স ও এঙ্গেল্স এর বই ও কমিউনিস্ট পার্টির মেনিফেস্টো। চিরকুমার ফয়েজ আহমদ ব্যক্তিগত সুখের কথা ভাবেন নি কখনো। সারাজীবন মানুষের জন্য গঠনমূলক কাজে ব্যস্ত থেকেছেন। সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করার জন্য চিরদিন সংগ্রাম করে গেছেন যিনি – মৃত্যুর পরেও মানুষেরই কাজে লাগিয়েছেন নিজের শরীর। চোখ দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন দু’জন মানুষের দৃষ্টি।
বাংলা ভাষার শিশুতোষ সাহিত্যিক খ্যাতিমান কবি ফয়েজ আহমেদের জন্মদিনে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
০২ রা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০
কোবিদ বলেছেন: পরিবেশ বন্ধু
আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে
দ্বায় শোধ করবোনা।
আপনি আমার প্রতিটি
পোস্টে মন্তব্য করেন সে
জন্য ধন্যবাদ
২| ০২ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২০
হিমাংশু বলেছেন: শ্রদ্ধাঞ্জলি......
০২ রা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২
কোবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
এই মহান গুণী সাংবাদিকের
জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা মে, ২০১৩ সকাল ১০:০৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: শ্রদ্ধাঞ্জলি তার আত্মায় উৎসর্গ
যেজন ছিল এ জগতে একদিন মুসাফির
রেখে গেল নিদর্শন
সত্য লিখে উচ্ছ বিদ্যারত্ন শীর ।