নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিবছর সংযম ও আত্মশুদ্ধির মহান বারতা নিয়ে আমাদের মাঝে আসে পবিত্র মাহে রমজান। পৃথিবীর সব দেশেই আসে। সারা বছরের পাপ ও আত্মশুদ্ধির জন্য মহান আল্লাহর কাছে মাগফেরত কামনা করে ধর্মপ্রাণ মুসলমান। বিগত দিনের ভুলত্রুটি ও অন্যায়ের জন্য মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে।
কিন্তু আমাদের মাঝে আসা এই পবিত্র রমজান যেন হাজির হয় একটু ভিন্ন আঙ্গিকে। রমজান আসলেই যেন এদেশের বাজারে আগুন লাগে। অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে সে আগুন আয়ত্ত্বে রাখার চেষ্টা করা হয়। মজুদদার-মুনাফাখোর-তোলাবাজদেও গ্রেফতার কর, দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া রুখো’ এই সকল শ্লোগান ধ্বনিত হয় সর্বত্র। প্রতিবছর রমজানের আগে এই মহড়ার পূনরাবৃত্তি ঘটলেও কোন এক অদৃশ্য শক্তির কাছে পরাজিত হয় সব চেষ্টা ও কলা কৌশল। মজুদার, মুনাফাখোর-তোলাবাজরা অঘোষিত আর পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক নিজ নিজ দায়ত্ব পালনে থাকেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ফলে সাধারণ জনগন প্রতি রমজানেই পুড়তে থাকে এক অদৃশ্য অনলে। মহান আল্লাহর দরবারে তার এবাদত বন্দেগী দ্বারা তার পাপ মোচন করতে পারলেও বাজারের আগুনে সে ঝলসাতে থাকে প্রতিনিয়ত। এর থেকে তার কোন পরিত্রান নাই।
পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে মূল্যবৃদ্ধির জুয়া খেলা কেবলমাত্র আমাদের দেশেই সম্ভব। বিশ্বের আর সব মুসলিম দেশেই শুনেছি পবিত্র রমজান এলে জিনিষপত্রের মূল্য কমে, সকল জনগণের মাঝেই সংযম বাড়ে। এর উল্টো চিত্র দেখা যায় আমাদের দেশে। রমজান এলে আমাদের দেশে মানুষের মাঝে অসংযমতা বৃদ্ধি পায় আর সেই সুযোগে বৃদ্ধিপায় জিনিস পত্রের মূল্য।
অপর দিকে জনগণ এই মাসে বেহিসেবীর মত খরচ ও অপচয় করে ইফতারীতে। তারা ভুলে যান রমজান সংযমের মাস। সারাদিন অভুক্ত থেকে ইফতারী ও সেহরীতে বাহুল্য অতি আয়োজন ও অপচয় করার নাম সংযম বা রোজা নয়। প্রতিক্ষেত্রে সংযম প্রদর্শন করাই রমজানের আদর্শ। আসুন আমরা যার যার অবস্থান থেকে প্রকৃত সংযম প্রদর্শন করে প্রকৃত আত্মশুদ্ধি লাভে ব্রত হই।
২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
বোকামন বলেছেন:
প্রতিক্ষেত্রে সংযম প্রদর্শন করাই রমজানের আদর্শ।
[১+]
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: মাহে রমজানে বাস্তবে যা ঘটে তা নিয়ে আমার একটি গদ্য রয়েছে। পড়ার আহবান জানাই
হ্যাপি মাহে রমজান, ক্ষুধা ও খাদ্য বিলাস শুভ হোক
Click This Link