![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসিতেছে সুদিন বড় বাঁধা রাজনীতি
আমি আশাবাদী একজন মানুষ ,যেকোন খারাপ কিছুর মধ্যেও আমি ভাল কিছু দেখতে পায়। যেমন কিছুদিন আগে একজন মুরুব্বির সাথে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করছিলাম, তিনি জানতে চাইলেন দেশের খবর কি? আমি বললাল ভাল , সামনে সুদিন। তিনি বললেন কিভাবে আমি তাকে ব্যাখ্যা করলাম শুরু করলাম এভাবে, 2006 সালে বিএনপি চাইছিলো কোন রকম নির্বাচন করে ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখতে কারণ তারা বুঝে গিয়েছিল বাংলাদেশের জনগণ কোন দিন সরকারি দলকে পছন্দ করে না নির্বাচণ হলে এবং জনগণ সঠিক ভাবে ভোট দিতে পারলে তারা সরকার পরিবতন করবেই তার প্রমাণ এদেশের জন্মদাতা শেখ মুজিব । তাই তাকে হত্য করার কথা এদশের মানুষ ভাবতে পারে না কিন্তু মানুষের লোকে মুখে শুনতাম বঙ্গবন্ধু ক্ষমতায় থাকতে তার অনেক চেলাবেলা খুব বেড়ে উঠেছিল আর এর ফলে তাকে জীবন দিতে হয়েছিল। তিনি চলে যাবার পর জিয়উর রহমান এলেন আওয়ামীগের উপর খড়গ চাপালেন দেশে থেকে আওয়ামীগ উঠে গেল। তাদের নাম কেউ নেয় না, এখানেও সমস্যা তার কিছু ভুল হতে থাকলো তিনিও শেখ মুজিবের কাছে থেকে শিক্ষা নিলেন না ,তার ফল জীবন দিয়ে শোধ করতে হলো, আসলো এরশাদ সাহেব তিনিও দাপটের শহিত চলতে লাগলেন আর আওয়ামীগের উপর খড়গ চাপালেন, ভাবলেন আমাকে সরায় কে ? কাজ তো করছি, কিন্তু তিনি জনগণের মতিগতি বুঝলেন না তাই তাকেও বিদায় নিতে হলো কিন্তু তিনি বঙ্গবন্ধু বা জিয়উর রহমান এর মত ভুল করলেন না তাই আজোও কচ্ছোপের মত দীঘদিন বেচে আছেন,এর পর এলো গণতন্ত্র জনগনের বামহাতের ক্ষমতা, এক সরকার গেল আর এক সরকার এলো, বিএনপি ভাবলো আমরা দুইবার কাজতো খারাপ কিছু করিনি তারপরও কেন জনগণ দ্বিতীয় বার ভোট দিচ্ছে না ? আর দরকার নেই এবার জোর করে দেখা যাক আর এই জোর তাদের এতদিন ক্ষমতা থেকে দূরে রেখেছে ।আওয়ামীলীগ 2013 সালে এসে বিএনপির 2006 সালের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করল আর সফলও হলো, বিএনপি অবাক হয়ে দেখলো জনগণ এখন কিছু বলছে না। কারণ সময় পরিবর্তন হয়েছে প্রজন্ম পরিবর্তন হয়েছে এখন জনগণ নেতাদের কাছে কিছু আশা করে না তারা নিজেরা তাদের চাহিদা পূরুনের চেষ্টা করে, কোন নেতার পাছায় তেল মাখানোর সময় তাদের নেই, বিএনপি ভেবেছিল বাংলাদেশে দুই দল একদল হারলে আর এক দল জিতবে তাই তারা তৃণমূলকে গুরুত্ব দেয় নি আর জন্ম থেকে তারা সিভিল সোসাইটি, চোখে কালো চশমা কালো কোট প্যান্ট ভাবই আলাদা ,জনগণ তাদের বাধ্য হয়ে ভোট দেয় তাই জনগণের কথা শোনার সময় তাদের নেই। অন্যদিকে আওয়ামীলীগ জনসাধারণের দল কর্মীদের গুরুত্ব দেয় তৃণমূলকে ভালবাসে আর সর্বোপরি তারা ভাব কম নেয় কিন্তু ফাউল কথা একটু বেশি বলে। এসব কিছু জনগণ দেখে দেখে বিরক্ত তারা ভাবে এ আসে ও যায় মাঝখানে আমার লাভ ? তাই তারা নিজেদের আখের নিয়ে ব্যস্ত আর এই সুযোগ আওয়ামীলীগ পুরোপুরি কাজে লাগিয়েচছ। আমার মনে হয় কোন ভাবেই তাদের কাছ থেকে বিএনপি ক্ষমতা নিতে পারবে না তারা জনগণকে আর ভূগোল বোঝাতে পারছে না।আরে জামায়াত তারা অনেক বড় মিশন নিয়ে বাংলাদেশে কাজ করছিলো, তারা জানতো 71 এ তারা যে ভুল করেছে তাহার ক্ষমা যারা মুক্তিযুদ্ধো দেখেছে তারা করবে না ,তাই তারা পুরানো প্রজন্মকে বাদ দিয়ে নতুন প্রজন্মকে টার্গেট করেছিলো, আর এর সুফল তারা পাচ্ছিলো তারা শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যপক বিনোয়োগ করেছিল কারণ তারা জনতো আজ যারা ছাত্র আগামীতে তাদের হাতেই দেশ ।তাদের কাজের বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো ছাত্রদল তারা শিবিরের মেধাবীদের খুন করতে থাকলো এখনো পর্যান্ত ছাত্রদলের হাতেই শিবির বেশি জীবন দিয়েছে, তাই নিজেদের জীবন বাঁচাতে তারা বিএনপির সাথে জোট করলো, তাদের ক্ষমতায় যাবার আশা ছিল না তাদের ইচ্ছা তারা আরো দশ পনের বছর তাদের কার্যোক্রম চালাবে ইতো মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে চাক্ষুষ শাক্ষিরা মারা যাবে আর যারা থাকবে তারা নতুন প্রজন্মকে বুঝাতে পারবে না , তারা মূলধারার রাজনেীতিতে শক্রিয় হয়ে ক্ষমতায় আসবে কিন্তু তাদের আশায় আজ গুড়ে বালি দিয়েছে আওয়ামীলীগ, তাদের থিঙ্কট্যাঙ্ক কাদের মোল্লাকে ঝুলিয়ে দিয়েছে, তার মত ঠান্ডা মাথার বৃদ্ধিমান লোক কোন দল পায়নি, এখন জামায়াত দিশেহারা, তারা চরম ভুল করেছে। যদি তারা যুদ্ধাপরাধীর বিচার মেনে নিত তাহলে মনে হয় সরকার এই বিচার করতো না আর যদিও করত জামায়াত আরো জনপ্র্রিয় ও কলঙ্কমুক্ত হতো আওয়ামীলীগ জাতীয় চার নেতাকে এক সাথে হারিয়েছে কই তারা কি বিলুপ্ত হয়েছে ? তাহলে জামায়াতের পাঁচ-ছয় জন নেতা কে হারালে কি এমন ক্ষতি হতো ?এখন তারা দৌড়ের উপর, আর যারা মারা যাচ্ছে তারা আত্মহত্যা করছে কারণ জেনেশুনে মরলে তাদের আর যায় হোক শহীদ বলা যায় না। আর বাংলাদেশের জন্য জামায়াত একটা বিষকাটা ,তারা যতই ভাল হোক কোন দিন ক্ষমতায় আসলে দেশের ভবিষ্যত অনিশ্চিত, কারণ বিশ্বে ইসলামের নামে আজ অপোপ্রচার চলছে সেখানে এ দেশে ইসলামী দল আসলে আমরা জাতীয় ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো, এখন এ দেশে ইসলাম যতটা মজবুত তখন ততটাই নাজুক হবে।এর মধ্যে আমি সুদিন দেখলাম কোথায় ? বলছি একজন ব্যাক্তি যতবড় নেশাখোর বা মাগিবাজ হোক না কেন, সে কখনোই তার সন্তানকে তা হতে বলবে না , ঠিক তেমনি আমাদের দেশের সকল নেতার সন্তানদের তারা রাজনীতির বাইরে রেখেছেন, তারা দেশরে বাইরে পড়ালেখা করছে ,আর ভবিষ্যতে দেশে আসবে বলে মনে হয় না। এখন বাবা মায়েরা সন্তানদের রাজনীতির বাইরে রাখেন, কোন ভাবেই তারা চান না তার সন্তান রাজনীতি করুক।গ্রাম থেকে একটা ছেলে শহরে পড়তে আশার আগে তার মা-বাবা মাথায় হাত রেখে প্রতিজ্ঞা করিয়ে নেয় ,আর যাই করো বাবা রাজনীতি করবা না ,কোন দলে যাবা না ,তার প্রমাণ আমি, সেদিন সেলুনে চুল কাটাচ্ছি আর সেই সেলুনের দাদার সাথে বলছি দাদা এখনকার ছেলে মেয়েরা কোন মন্ত্রী এমপির নাম জানে না কিন্তু খেলযারদের নাম জানে, সে বলল তাই নাকি ? এমন সময় ক্লাস সেভেনে পড়া একটি ছেলে চুল কাটাতে আসলো আমি বললাম আমাদের শিক্ষামন্ত্রীর নাম জানো? সে বলল না, অন্য মন্ত্রীর নাম বাদ দিলাম, তার পর বললাম আমাদের ক্রিকেট টিমের অধিনায়ক কে? সে বলল মাশরাফি, তারা রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনার সব প্লেয়ারের নাম জানে কিন্তু দেশের মন্ত্রী এমপির নাম জানে না তারা জন্ম থেকে রানৈতিকদের ঘৃণা করে বড় হচ্ছে, বাসায় পানি না থাকলে, কারেন্ট না থাকলে বাজারে মাছের দাম বাড়লে চাউলের দাম বাড়লে, রাস্তা খারাপ থাকলে জানজট থাকলে রাজনৈতিকদের গালাগালি করে আর সেখান থেকেই নতুন প্রজন্ম প্রচন্ড রকম ঘৃণা নিয়ে বড় হচ্ছে, তারা সকল সমস্যার জন্য রাজনীতিবিদদের দায়ী করছে।এর প্রভাব ভোটের ক্ষেত্রে পড়ছে সামনে পড়বে মানুষ ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে খুব কম যাবে, শতকরা 40-50 ভাগ ভোট সামনের দিনগুলোতে কাষ্ট করা কষ্টকর হবে। আর সকল সমস্যার জন্য কিন্তু এখন রাজনীতিবিদরা সবটাই দায়ী নয় তারা শুরু করেছিল এখন অন্যরা চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু তাদের করার কিছু নেই এখন যেকোন সরকারি চাকরি টাকা ছাড়া হচ্ছে না, কিন্তু এই টাকা কি রাজনীতিবিদরা নিচ্ছে? সবক্ষেত্রে না ,মাঝে চোখের সামনে দেখলাম পুলিশে ঘুষ নিয়ে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে ,অনেক ক্ষেত্রে মন্ত্রী-এমপির লোকরাও বাদ পড়ছে টাকার জন্য, কিন্তু সরকার কিছু বলতে পারছে না কারণ তারা পুলিশের উপর নির্ভরশীল। আর আজ যারা টাকা দিয়ে চাকরি নিচ্ছে এরা তো ঘুষ খাবেই, কারণ জমি বিক্রি করে মা-বোনের গহণা বিক্রি করে তারা চাকরি নিচ্ছে সরকার ঘুষের জন্য তো অতিরিক্ত বেতন দিবে না ,তাই ঘুষ খেয়ে ঘুষের টাকা তারা উসুল করবে । আজ তদন্ত করলে দেখা যাবে প্রশাসনে চাকরি করছে দশ বছর, তার শহরে কোন বাড়ি নেই তেমন কোন লোক এ দেশে নেই কিন্তু তারা যে টাকা বেতন পায় তা দিয়ে সংসার চালানো দায়। আমলাতন্ত্র এ দেশকে সরকারি সেকশনে মেধাশূণ্য করছে যে মেধাবী সে বেসরকারি সেকশনে ঝুকে পড়ছে আজ বাংলাদেশে 62 টি ব্যাংক এর মধ্যে 56 টির মত বেসরকারি তারা কোনটি লোকসানে নেই কারণ সেখানে মেধাবীরা চাকরি করে তাদের বেতনও বেশি ।বাংলাদেশের বেসরকারি খাত আরবীয় ঘোড়ার মত খুব তাড়াতাড়ি এগিয়ে যা্চ্ছে। আর সরকারি খাত কচ্ছোপের মত কোন রকমে বেঁচে আছে। আজ ডাক বিভাগ লোকসানে কিন্তু বেসরকারি কুরিয়ার লাভে,বিটিসিএল লোকসানে বেসরকারি মোবাইল কোম্পানি লাভে, বিআরটিসি লোকসানে বেসরকারি গাড়ী কোম্পানি লাভে এ ভাবে সব ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠান লোকসানে শুধু দুর্ণিতির কারণে। আর এর মাঝেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, শুধু রাজিনীতি পিছিয়ে যাচ্ছে। দেশে এখন এক জন ফকরউদ্দিন সরকার দরকার যে জাতীয় স্বার্থে কাউকে ছাড় দেবে না উন্নায়নের স্বার্থে কাউকে ছাড় দেবে না আমরা সব ক্ষেত্রে নকলবাজ যা দেখি তাই নকল করে বাজারে ছাড়ি আমরা কি মালয়েশিয়ার মাহতির মোহাম্দ,সিঙ্গাপুরের লি কুয়ানকে নকল করতে পারি না আমাদের বাজারের রাস্তা খুব ছোট ছিল বড়লোকরা বড় বাড়ি করে রাস্তা দখল করে রেখেছিল কোন দল কোন সরকার কোন দিন ব্যবস্থা নেয় নি কউ ভাবেনি এর কোন সমাধান আছে 2007 সালে ফকরউদ্দিন সে সব ভেঙ্গে রাস্তা বড় করেছে তাই গ্রামে একটা কথা আছে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ জিয়াউর রহমানের শাসন আর ফকরউদ্দিন এর কষণ। দেশের অবকাঠোমো উন্নায়ন রাস্তাঘাটের উন্নায়ন, ঘুষ, চাঁদাবাজি, ও কারেন্টের সমস্যা সমাধান করলে দেশ মাত্র পাঁচ বছরে যেকোন দেশকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাবে, আর এর জন্য রাজনৈতিকদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯
অন্য এক আমি বলেছেন: +++