নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন বিদ্রোহীর গর্জন

কবি ও কাব্য

একজন বিদ্রোহী বলছি ঃ যেখানে দেখিবে কোন অন্যায় অত্যাচার সেইখানে পাইবে শুনিতে আমার হুংকার সময় এসেছে সাথিরা সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আবার নতুন করে গর্জে উঠার।

কবি ও কাব্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা ব্যান্ড মিউজিক ---- দাগ থেকে যায়

২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:১৫

১৯৯৫ এ যখন ক্লাস থ্রীতে পড়ি। আমার বয়স ৮ হবে হয়ত। গ্রামের একটা স্কুল। হেটে হেটে প্রতিদিন স্কুলে যাই। আমার স্কুলের হেড স্যার ছিলেন খুবই বে-রসিক মানুষ। আমরা কোন ছোট খাটো ভুল করলেও শাস্তির হাত থেকে ক্ষমা পাবার জো নেই। স্যারের শাস্তিগুলিও খুব অদ্ভুত। হয়ত দুপুর টিফিন আওয়ারে তালপাখা দিয়ে স্যারকে বাতাস করতে হবে। এই সময়ে স্যার একটু আরামে ঘুমিয়ে নেবেন (যেহেতু গ্রামের স্কুল, তাই গ্রামে ইলেকট্রিসিটি থাকা সত্বেও খুব একটা বিদ্যুতের দেখা মিলত না।), হয়তবা পা টিপে দিতে বলবেন। ছোটখাটো অপারাধের বিপরীতে এইগুলোই উনার নিত্যনৈমিতিক শাস্তি। বড় অপরাধ হলে অবশ্য বড় বেতের বাড়ি ছাড়া অন্য কিছু পাবার সম্ভাবনা ক্ষীণ। আমার সেই বদরাগী হেড স্যারের একটা বিশেষ ঝোক ছিল 'সঙ্গীত, শিল্প ও সাহিত্যে'এর দিকে (এই ব্যাপারটা আমাকে সবচেয়ে বেশী নাড়া দেয়। স্যার বদরাগী হলেও স্যার আমার খুব প্রিয় শিক্ষক ছিলেন। স্কুল, ছাত্রছাত্রীদের ভালোর জন্য সারাটা জীবন পরিশ্রম করে গেছেন এই স্কুলেই।) প্রতি বৃহস্পতিবার ছিল হাফ-ডে (অর্ধ-দিবস শিক্ষাকার্যক্রম)। আর সেই দিন স্কুল ছুটির পর তৃতীয়, চতুর্থ ও পন্ধম শ্রেণীর সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের একসঙ্গে বসতেন 'সঙ্গীত ও সাহিত্য' চর্চা করতে। কেউ কবিতা-ছড়া বলত, কেউ কৌতুক করত, কেউ গল্প পড়ে শোনাতো। আর মূল আকর্ষণে ছিল দুটি গান। একটি স্যারের অসম্ভব প্রিয় "ভ্রমর কইয়ো গিয়া, শ্রীকৃষ্ণবীর ছেদের অনলে, অংগ যায় জ্বলিয়ারে ভ্রমর কইয়ো গিয়া" --- এই গানটি গাইতো আমার সবচেয়ে ভাল, কাছের বন্ধু "রোজী আন্টি"(সম্পর্কে আমার খালা হন- আমার সহপাঠী ছিলেন)। অন্য গানটি বাদ বাকী সবার প্রিয় "কোন সুখের ছোয়া পেতে নয়, নয় কোন নতুন জীবনের খোজে, তোমার চোখে তাকিয়ে থাকা আলোকিত হাসি নয়। আশা নয়, না বলা ভাষা নয়। আমি কষ্ট পেতে ভালবাসি, তাই তোমার কাছে ছুটে আসি"। অসম্ভব প্রিয় এই গানটি গাওয়ার সময় ক্লাসের অন্য কেউ চাইলেও গলা মিলাতে পারতো না এই ভয়ে পাছে স্যার আবার কি শাস্তি দেন। অথচ সবার চিৎকার করে গাইতে ইচ্ছে হতো।







এবি (আইয়ুব বাচ্চু) বাংলা ব্যান্ড মিউজিকের কিংবদন্তী ও সেরা লীড গিটারিস্ট। চট্রগ্রামের ছেলে এবি'র যাত্রা শুরু মূলতঃ ততকালীন সময়ের জনপ্রিয় ধারার ব্যান্ড সোলস দিয়ে, যার উত্থান চট্রগ্রাম থেকে। বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ড্রাস্টীতে যদি একক ভাবে কোন ব্যান্ডকে সন্মাননা দেওয়া হয় তবে সেটা নির্ধিদ্বায় সোলসের ঝুড়িতে গিয়ে পড়বে। লুলু, নেওয়াজ, রনি, তাজুল ও সাজেদ যুদ্ধপরবর্তী বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে গড়ে তোলেন ব্যান্ড দল সোলস। এরপর একে একে জয়েন করেন নকীব খান, পিলু খান, আইয়ুব বাচ্চু, কুমার বিশ্বজিৎ, তপন চৌধুরী, নাসিম আলী খান এবং পার্থ বড়ুয়া। নকীব খান ও পিলু খান সোলস ছেড়ে গড়ে তোলেন বিকল্পধারার ব্যান্ড দল রেঁনেসা। তপন চৌধুরী (ভোকাল), কুমার বিশ্বজিৎ(ভোকাল) সোলস ছেড়ে গড়ে তোলেন সলো ক্যারিয়ার। কুমার বিশ্বজিৎ আজও ঠায় দাড়িয়ে আছেন এই বাংলা মিউজিকে। তপন চৌধুরী ততকালীন সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সলো আর্টিস্ট অনেক অভিমান নিয়ে পড়ে আছে বিদেশে। নাসিম আলী খান ও পার্থ বড়ুয়া আজও সোলসের হাল টেনে চলছে। সোলসের জনপ্রিয় গানের অভাব নেই। লিখতে গেলে পুরো একটা পোষ্ট লিখতে হবে এই সোলসকে নিয়ে। তবুও কিছু গানের কথা উল্লেখ করার লোভ সামলাতে পারছিনা। মন শুধু মন ছুয়েছে, তোরে পুতুলের মত করে সাজিয়ে, আইছ্যা পাগল মনরে, নদী এসে পথ, এই মুখরিত জীবনের, সুখ পাখি এলো উড়িয়া, সাগর বেলায়, একটি ঝিনুক মালা, ভালবাসি এই সবুজ মেলা, সাগরের ঐ প্রান্তরে, কুহেলী জানে কি, এই এমনও পরিচয়, কেউ নেই করিডোরে, আজ দিন কাটুক গানে, নীরবে, ব্যস্ততা, কেন এই নিঃস্বঙ্গতা, এরই মাঝে, আইয়্যোনা আইয়্যোনা, ঐ দূর নীলে, যেতে যেতে পরিচয় সহ এমন আরো অনেক অনেক অনেক গান। সদ্য সোলস ছেড়ে আসা এবি নতুন উদ্দ্যম নিয়ে গড়ে তোলে ব্যান্ড দল এল.আর.বি। প্রথম ব্যান্ড অ্যালবামেই জানিয়ে দেয় "ঝরে পড়ার জন্য আসেনি। এসেছি তারুণ্যের উন্মদনা নিয়ে।" ১৯৯২ সালে এল.আর.বি প্রকাশ করে তাদের ব্যান্ডের প্রথম ডাবল অ্যালবাম "হকার" ও "ঘুম ভাঙ্গা শহরে"। এল.আর.বি-ই বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম ব্যান্ড যাদের ফার্স্ট অ্যালবাম ছিল ডাবল। এবং এল.আর.বি- ই প্রথম বাংলা ব্যান্ড যারা এ পর্যন্ত দুটি ডাবল অ্যালবাম প্রকাশ করে। দ্বিতীয় ডাবল অ্যালবামটি প্রকাশ পায় ১৯৯৮ সালে "আমাদের" ও "বিষ্ময়" শিরোনামে। "হকার" অ্যালবামের আড্ডা, হ্যাপি, হকার, স্মৃতি নিয়ে, পেনশান, রিটায়ার্ড ফাদার ও "ঘুম ভাঙ্গা শহরে" অ্যালবামে ঢাকার সন্ধ্যা, ফেরারী মন, ঘুম ভাঙ্গা শহরে, মাধবী, শেষ চিঠি সহ সর্বাধিক শ্রোতানন্দিত গান "সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে"। এক একটি গান শুধু গান নয়, শুধু বাদ্য যন্ত্রের যান্ত্রিকতা নয়, নয় চিৎকার করে চেঁচিয়া যাওয়া। একটি গান কথা, সুর ও সঙ্গীতায়োজনে ছিল অনন্য। প্রতিটি গানের কথায় আবেগ খেলা করে, প্রতিটি গানের সুর বুকের ভিতরে গিয়ে আঘাত করে, প্রতিটি ইন্সট্রুমেন্ট বিভোরতায় মুগ্ধকরে।। আর গায়কী ! ! ! সে আপনাদের বিবেচ্য।







এরপর একে একে নিয়ে আসে "সুখ(১৯৯৩)", "ঘুমন্ত শহরে(১৯৯৪)", "ফেরারী মন(১৯৯৬)", "স্ক্রু-ড্রাইভার(১৯৯৬) with Feelings","ক্যাপসুল-৫০০mg(১৯৯৬) with Feelings","স্বপ্ন(১৯৯৬)","আমাদের(Second Double-1998)","বিষ্ময়(Second Double-1998)","মন চাইলে মন পাবে(২০০১)","অচেনা জীবন(২০০৩)","মনে আছে নাকি নাই(২০০৫)","স্পর্শ(২০০৮)"। প্রতিটি অ্যালবাম এক একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে বাংলা ব্যান্ড মিউজিকে। ময়না(১৯৮৬), কষ্ট(১৯৯৫), একা(১৯৯৯), সময়(১৯৯৯), প্রেম তুমি কি?(২০০০), দুটি মন(২০০২), কাফেলা(২০০২),প্রেম প্রেমের মত(২০০৩) সহ বেশ কিছু সলো অ্যালবাম উপহার দিয়েছেন। এছাড়াও এবি'র সুর ও সঙ্গীতায়োজনে রয়েছে অজস্র ব্যান্ড মিক্সড, সলো আর্টিস্ট অ্যালবাম। এগুলোর মধ্যে সারা বাংলাদেশ কাপানো, রাজকুমারী(ব্যান্ড মিক্সড), তুমিহীনা সারাবেলা(ব্যান্ড মিক্সড), তারা ভরা তারে(ব্যান্ড মিক্সড), আয়না(ব্যান্ড মিক্সড), ময়ুরী(ব্যান্ড মিক্সড) সহ আরো অনেক শ্রোতা নন্দিত অ্যালবাম। এছাড়া বাংলা গানের আরেক উজ্জল নক্ষত্র জুয়েল এর প্রতিটি সলো অ্যালবামের সুর ও সঙ্গীতায়োজন আইয়ুব বাচ্চুর করা। করে দিয়েছেন এমন অনেক অনেক শিল্পীর প্রথম সলো অ্যালবাম।







অন্যদিকে বাংলা ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবামের সূচনা লগ্ন থেকে ২০০৪ পর্যন্ত ম্যাক্সিমাম ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবামের ফার্স্ট ট্র্যাক ছিল এবি'র করা। এমন মিক্সড অ্যালবামের সংখ্যা কম যেখানে এবি পারফর্ম করেনি। মিক্সড অ্যালবামে করা জনপ্রিয় গানগুলোর কিছু তুলে দিলামঃ "এখন অনেক রাত(অ্যালবাম-টুগেদার), তখনো জানতে বাকী(ঝড়), সারারাত তুমি(স্টার্স ২), ভাঙ্গা মন(ভাঙ্গা মন), সুখের পৃথিবী(সুখের পৃথিবী), কোথাও নেই আমি তুমিহীনা(তুমিহীনা সারাবেলা), ঈশারায় ডেকোনা(রাজকুমারী), রাজকুমারী(রাজকুমারী), সেই তারাভরা রাতে(তারা ভরা রাতে), পালাতে চাই(শক্তি),কার কাছে যাবো(ওরা ১১ জন), শেষ দেখা(শেষ দেখা), কতদিন দেখেনি দুচোখ(এখনো দু'চোখে বন্যা), বেলা শেষে(দাগ থেকে যায়), তুমি সেই মেয়ে(মিলেনিয়াম), মেয়ে(মেয়ে), ও আমার প্রেম(ও আমার প্রেম), কি করে বল্লে তুমি(বিতৃষ্ণা জীবন আমার), অভিমান নিয়ে(স্রোত), কোন অভিযোগ(আলোড়ন), ১২ মাস(১২ মাস), জানার কথা নয়(তারকা মেলা), তোমাকে ডেকে ডেকে(একটি গোলাপ), লোকজন কমে গেছে(ধুন), নীলাঞ্জনা(শুধু তোমারই কারণে), চিরদুঃখী(চিরদুঃখী), ফেরারী আমি তোমারই জন্য ফেরারী(চিরদুঃখী), হাসতে দেখ গাইতে দেখ(ক্যাপসুল ৫০০মিলিগ্রাম), নীল বেদনায়(ক্যাপসুল ৫০০মিলিগ্রাম), আহা ! জীবন(ক্যাপসুল ৫০০মিলিগ্রাম), জয়ন্ত(স্ক্রু-ড্রাইভার), নীরবে(স্ক্রু-ড্রাইভার), আমার ভালবাসা(স্ক্রু-ড্রাইভার), কিশোর কিশোরী(হারজিৎ), চোখের জলের কোন রং হয় না(মেহেদী রাঙ্গা হাত), আজ থেকে আর কখনো বলবো না ভালবাসি(দহন শুধু তোমার জন্য), বাড়ালে হাত বন্ধু সবাই হয় না(চিঠির উত্তর দিও), একা উদাসী মনে(একা উদাসী মনে), মন কেন যেতে চায় উড়ে(প্রেম), কেউ ভালবেসে কাছে টানে(টি & টি), সবুজ ঘর(টি & টি), একটায় মনে(অপরিচিতা), কিছু আশা ছিল(অপরিচিতা), অতশী(নীরবতা), যে রাতে রাত ছাড়া(ফিরে আয়), নীরবতা(নীরবতা), উদাসী মনে(নেই তুমি), দক্ষিণা বাতাস(দুঃখিনী মা), একটি নারী অবুঝ(একটি নারী অবুঝ) সহ এরকম শ-খানেক চরম শ্রোতানন্দিত গানের কথা বলা যাবে। এখানে উল্লেখ করা এক একটি গান এক একটি মাইলস্টোন। প্রতিটি গানের কথা নিয়ে আলাদা ভাবে গল্প তৈরী করা যাবে। এই গানগুলো যেমন ছিল। ঠিক তেমনই আছে। এই গানগুলোর স্থায়িত্ব কমে যায়নি। আবেদন কমে যায়নি। কমে যায়নি ভাললাগা। আমি চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারি এই গানগুলো আপনাকে সতেজ ভাললাগা দেবে। কোন কৃত্রিমতার ছোয়া নেই এই গানগুলোতে।।। প্রতিটি গানের কথা আপনাকে ভাবাবে।। প্রতিটি সুরে আপনি যত্ন ও আবেগের ছোয়া পাবেন। প্রতিটি গান আপনাকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবে।। কিছু কিছু গান আপনার বুকের ভেতরে জমিয়ে রাখা অব্যাক্ত কথা গুলো বলে যাবে গানে গানে কানে কানে। কিছু গান হয়তো আপনাকে চোখের বর্ষায় ভাসাবে। হয়তো এই বর্ষার জন্য-ই আপনি অপেক্ষায় ছিলেন।।।







লেখাটি শুরু করেছিলাম আমার স্কুল জীবন থেকে। আবারও ফিরে এলাম স্কুল জীবনেই। ১৯৯৫ এবি'র কষ্ট অ্যালবামটি শুনে ব্যান্ড মিউজিকের প্রতি আকৃষ্ট হই।।। এরপর আর পিছু হঠতে হয়নি। সামনে এগিয়ে গিয়েছি। প্রচুর ক্যাসেট কিনতাম। ক্যাসেটের দোকানে গিয়ে পুরাতন যত ব্যান্ড ও মিক্সড অ্যালবাম ছিল কিনে এনে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনতাম। তখন অবশ্য সারা বাংলাদেশে সুস্থধারার গানের শ্রোতা ছিল। এক একটি অ্যালবাম রিলিজ হত লক্ষ লক্ষ কপি বিক্রি হত। এক একটা নতুন অ্যালবাম রিলিজ হওয়ার পর পাড়াতে পাড়াতে হিরিক পড়ে যেত।। গান, কথা, সুর নিয়ে আলোচনা হত হরদম। ঈদের সময় ব্যান্ড মিউজিক পিপাসুরা উন্মূখ হয়ে থাকতো নতুন অ্যালবামের প্রতীক্ষায়। এমন হয়েছে কাটতি এত বেশী ছিল যে, অ্যালবাম বিক্রি করতে গিয়ে শর্টেজ দেখা দিত। আমি নিজেই অনেক অ্যালবাম অগ্রীম বুকিং দিয়ে রাখতাম শেষে অ্যালবাম রিলিজ হলে যদি আবার না পাওয়া যায়। প্রতিটি অ্যালবাম রিজিল হলে সারা বাংলাদেশ কাপতো। টিভি ম্যাগাজিনে ঐ অ্যালবামের সবচেয়ে ভাল গানটির পরিবেশনা থাকতো।। সারা বাংলাদেশ এক সাথে শুনতো সেই সব গান। একটি অ্যালবাম মানে লক্ষ লক্ষ শ্রোতা মনের অভিন্ন ভাললাগা, অভিন্ন অনুভূতি, অভিন্ন উন্মাদনা।। কষ্ট যখন রিলিজ হয়েছে সারা বাংলাদেশ কেপেছে। এরপর রিলিজ হল ফেরারী মন-UNPLUGED আবারও সারা বাংলাদেশ কাপলো একসাথে।। বের হল প্রিন্স মাহমুদের সর্বাধিক জনপ্রিয়তা ধারার প্রথম অ্যালবাম "শেষ দেখা"। "নীরবে অভিমানে নিভৃতে/তুমি করছো তীলে তীলে নিজেকে শেষ/কেন বল পৃথিবীতে কেউ কারো নয়/হয়ে গেছে ভালবাসা নিঃশেষ/বন্ধু ভেঙ্গে ফেলো এই কারাগার/খুলে দাও খুলে দাও সে হৃদয়ে প্রণয়ের দ্বার/হতেও পারে এই দেখা শেষ দেখা/হতেও পারে এই গানই শেষ গান" দিয়ে কাপালো জেমস। একই অ্যালবামে হাসানের গাওয়া "এত কষ্ট কেন ভালবাসায়" সমস্ত প্রেমিক/প্রেমিকা হারা কপোত-কপোতীর সমস্ত চেতনা জুড়ে।। কেউ কেউ আবার পার্থর সুরে সুরে গায় "সময় আর কাটেনা/এলোমেলো যতসব ভাবনা/হৃদয় অবকাশে/ অভিমান ছুয়ে যায়" কিংবা শাফিনের "প্রতি রাতই নির্ঘুম রাত/আসেনা কিছুতেই প্রভাত/এভাবে জীবন কেটে যায় অস্থিরতায়" সহ খালিদের "আকাশনীলা"। অন্যদিকে সদ্য মাত্র কলেজে যাওয়া তরুণ-তরুণীদের প্রিয় অবসকিউরের টিপুর "আমার প্রথম সেই কলেজ জীবন/তোমাকে ঘিড়ে শুরু হল যখন"। এছাড়াও প্রিন্স মাহমুদের ঠিক পরের অ্যালবাম "এখনো দু'চোখে বন্যা" এখনো সারা বাংলাদেশ শোনে।। আর ঐ সময়ের চেহারা ছিল আরও ভিন্ন। জেমসের "মা" তখন সবার মুখে মুখে। যেই ছেলেটির মার কথা আর মনে নেই বিশেষ তেমন, সেই ছেলেটিও রাতের আকাশেই খুজে বেরাতো তার হারানো মাকে।।। জানে না কোথায় আছে তবুও হয়ত মনে করে রাতের আকাশের ঐ রহস্যের মাঝেই হয়ত তার মা তার দিকে তাকিয়ে মিটি মিটি হাসছে। এ তো গেল শুধু জেমস ! ! ! এবি'র "কতদিন দেখিনি দু'চোখ" হাসানের "তুমি নিজে নিজে প্রশ্ন করে দেখ" ও "চলে যাও বন্ধু তুমি চলে যাও" শাফিন আহমেদের "কোন এক সাঝে দেয়া কথা/কোন আশ্বাস সাথী করে/রংধনু রঙ্গে একেছিলে/কেন হৃদয়ের ক্যানভাসে" খালিদের সর্বাধিক জনপ্রিয় গান "কোন কারণে ফেরানো গেলো না তাকে/ফেরানো গেলোনা কিছুতেই/কোন বাধনে কোন বাধনের বাধাতো গেলো না তাকে/বাধা তো গেলো না কিছুতেই/সে যে হৃদয় পথে রোদে এক রাশ মেঘ ছড়িয়ে/ হারিয়ে গেলো নিমিশেই"।। সহ টিপুর "জীবনে প্রথম প্রেমেরই স্মৃতি", পার্থর "সুস্মিতা", বিল্পবের "হৃদয়হীনা", নকীব খানের "ভালবাসা মানে"(ভালবাসার বহুরুপী সজ্ঞা পাওয়া জানা যায় এই গান শুনে) ও পিয়ারু খানের "দিঘীর জলে"। এই গানগুলো অনন্ত হাহাকার তৈরী করে।। কারো যদি ভালবাসার মানুষটি থেকেও থাকে তবুও একটা হাহাকার তৈরী করতে বাধ্য। এটা তো গেলো দুটি অ্যালবামের ঘটনা।। এরকম শত শত অ্যালবাম আছে বাংলা ব্যান্ড মিউজিকে। প্রতিটি অ্যালবাম নিয়ে লেখা যাবে এক একটি দীর্ঘ পোষ্ট। তবুও শেষ হবে না।। এই Discrete দুটি অ্যালবামের যতগুলো গান তুমুল শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়ছিল কিংবা এখনো যেকরম জনপ্রিয়, এখনকার দিনের শতকরা ৪০ টা অ্যালবাম খুজেও এর মত দু'একটি অ্যালবাম তো দূরের কথা, ৫-৭ টা দীর্ঘস্থায়ী (বাংলা ব্যান্ড মিউজিকে অনন্তকাল টিকে থাকার মত মৌলিক গান) মৌলিক গান পাওয়া দুষ্কর।।







বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে মিউজিকের বর্ষন শুরু হয়েছে। এমন হয়েছে যে সেটা দীর্ঘস্থায়ী বন্যা আকার ধারণ করে জমিতে পলি দেবার বদলের জমির ফসল নষ্ট করে দিচ্ছে। এ আমার কোন উদাসীন কল্পনা নয়। বাংলা মিউজিকে অস্থিরতা ঠুকে গেছে।। আগে যেখানে একটা অ্যালবামের ১০টা গানের ভিতরে ৯ টা গানই হত শ্রোতানন্দিত। সেখানে আজ একটা অ্যালবামের ১২ টা গানের মাঝে ১টা ভাল গান খুজে বের করা মুশকিল।। বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ধারার শিল্পীরা খাদ্য অখাদ্য মিলিয়ে সস্তা কিছু একটা বানিয়েই মার্কেটে ছেড়ে দেয়। অবশ্যই সস্তা;;;;;;--নয়তো কি ! ! ! বিশ্বাস হচ্চে না ? ? ? তাহসান দিয়ে শুরু করিঃ ব্ল্যাকের "উৎসবের পর", "আমার পৃথিবী" করে ব্ল্যাক থেকে বের হয়ে এসে সলো ক্যারিয়ার শুরু "কথোপকথন" দিয়ে এর পর একে একে "কৃত্যদাসের নির্বান", "আলো", "ইচ্ছে" ও "নেই"। সর্বশেষ অ্যালবাম তিনটির জাজমেন্টের দায়িত্ব শ্রোতাদের হাতেই তুলে দিলাম। কোন তাহসান দিয়ে শুরু করেছিলেন ? ? ? কোন তাহসান কে পাচ্ছেন ! ! ! একটু ভেবে দেখবেন।। এরপর ধরুন বালাম, হৃদয় খান, হৃদয় খানের ছোট ভাই(১৪ বছর বয়স) এই বয়সেই তিনি নাকি মিউজিক ডিরেক্টার(!!!!), মিলা, ফুয়াদ(চমৎকার সব গানকে নষ্ট করে দিতে এই ভদ্রলোকের জুড়ি নেই!!!!)। অনেক আগের একটা কথা শেয়ার করি।। কথাটা বলেছিলাম আমার কাছের বন্ধুদের যাদের সাথে গান নিয়ে মাঝে মাঝে আলোচনা হত। তখন ২০০০ সাল। ইতুন বাবুর কথা, সুর ও সঙ্গীতায়োজনে নতুন শিল্পী আসিফের সলো অ্যালবাম "ও প্রিয়া তুমি কোথায়?"। ঐ অ্যালবাম শুনে বলেছিলাম এই শিল্পীকে ৮-১০ বছর পরে খুজে পাওয়া যাবেনা।। তার কোন কোয়ালিটি ছিল না শুধু ঐ কণ্ঠ ছাড়া।। আর ঐ এক কণ্ঠ দিয়ে কত দিন চলা যায়। তেমনি বলছিঃ বালাম, মিলা, হাবিব (একটু সন্দিহান ! ! !), হৃদয় খান, কণা সহ আরো কয়েকজন যাদের নাম এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না। আজ থেকে ৫-৬ বছর পরে এদের অনেকেই হারিয়ে যাবে। তারপর ধরুন ব্যান্ড সঙ্গীতের প্রথম ব্যাক্তি যিনি মিউজিক অল্টারনেশন করতে গিয়ে মূলধারার ব্যান্ড মিউজিকে ফাটল ধরিয়ে দিয়েছে।। গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালকঃ শওকাত। নিঃসন্দেহে শওকাত কিছু ভাল অ্যালবাম দিয়েছে। তবে তারচেয়ে বেশী ক্ষতি করেছে।। মূলধারা থেকে বিচ্যুতি গঠেছে ঠিক একই সময়ে বিপ্লবের প্রমিথিউসের। প্রমিথিউসের গান এখন আর কেউ শোনে না।। ঐ গুলো আর যাই হোক (সাহিত্যে যেমন সস্তা ও *টি ধারার সাহিত্য আছে তেমনি গানেও আছে! ! !) মননশীল গান বলা যাবে না।। এর জন্য অন্য একটা ক্লাস তৈরী হয়ে গেছে।। যারা প্রমিথিউসের ভক্ত ছিলেন তাদেরকে প্রমিথিউস যে আঘাত দিয়েছে তা ভুলবার নয়।।। তাদের কাছে প্রমিথিউস এখন মরে গেছে। এখনো তার প্রমিথিউসের আগের অ্যালবাম গুলো যেমনঃ প্রজন্মের সংগ্রাম, যোদ্ধা, রাজপথ, প্রমিথিউস ২০০০, স্মৃতির কপাট এই অ্যালবামগুলোতে পুরোনো প্রমিথিউসকে খুজে ফেরে।।। অন্যদিকে মূলধারার ব্যান্ড গুলো এখনো দিব্যি টিকে আছে। মাইলস(শাফিন,মানাম,হামিন,জুয়েল), এবি-এল.আর.বি, সোলস(পার্থ,নাসিম আলী খান), রেনেসা, জেমস(ফিলিংস/নগর বাউল), চাইম(খালিদ), অবসকিউর। কিছু ব্যান্ড যেমনঃ নোভা, ফিডব্যাক, মাকসুদ ও ঢাকা, আর্ক, উইনিং তাদের আভ্যন্তরিন জটিলতার কারণে মুখ থুবরে পড়েছে। সেটা কখনোই এমন নয় যে তারা কোয়ালিটি Ensure করতে পারছে না কিংবা তাদের ক্রিয়েটিভিটি নষ্ট হয়ে গেছে। জটিলতায় জড়ানো ব্যান্ড গুলো এখনো যদি জটিলতা কাটিয়ে উঠে এবং একই সাথে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গুলো বাজেট নিয়ে এগিয়ে আসে তাহলে অবশ্যই তারা আগের সেই কোয়ালিটি ইনসিউর করবে এতে আমার কোন সন্দেহ নেই। মূলধারার হার্ডরক ও মেটাল ব্যান্ড "ওয়ারফেইজ" এখনো বাংলাদেশে সেই আগের মতই জনপ্রিয়।। মিডিয়াকে এগিয়ে আসবে হবে। এগিয়ে আসবে হবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গুলোকে।। পপগুরু আযম খানের মৃত্যুর পর অবশ্য জানা গিয়েছিল পপগুরু নিজের টাকা খরচ করে অ্যালবামের কাজ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। এত এত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থাকতে পপগুরুকে নিজের টাকায় অ্যালবাম বানাতে হয়েছিল।। উনি নাকি একটা সময় খুবই হতাশ হয়ে গিয়েছিলেন এই দেখে যে কোন প্রতিষ্ঠান পপগুরুর অ্যালবাম বাজারজাত করতে রাজি নয়। অথচ ইভা রহমানের গানের মিউজিক ভিডিও সব বিদেশে ধারণকৃত, বালাম, মিলা, হৃদয় খানের অ্যালবাম বের করার জন্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গুলো উন্মুখ হয়ে থাকে।। এর কারণ কি ? ? ? ? বালাম, মিলা, হৃদয় খান কে গুটি কুড়ি বিশেক টাকা দিলেই গান গেয়েও আসবে সাথে নাচ ফ্রি পাওয়া যাবে। কিন্তু মূলধারার জনপ্রিয় ব্যান্ড গুলোকে গুটি বিশেক-চল্লিশেক টাকা দিয়ে তো অ্যালবাম করাতে পারবে না। আর সেই সাথে সস্তা-বাণিজ্যিক ধারার (*টি) গানও তারা গাইবেনা। এর আরেকটা মূল কারণ হলঃ সিডি পাইরেসি।। বড় বাজেটের অ্যালবাম-এ পাইরেসি হলে মূলধন তুলে আনাটায় কষ্টকর হয়ে উঠে। তবে এই ব্যাপারেও আমি নিশ্চিত যেঃ যদি কোয়াটিলি মেইনটেইন করা হয় এবং সেই সাথে বাণিজ্যিক ধারার মনোভাব না রেখে সময় নিয়ে মিউজিক করা হয় সেক্ষেত্রে কোয়ালিটি অনেক ভাল হবে সেই সাথে বাংলাদেশ সরকার ও মিউজিক ইন্ড্রাস্টিজ একটাসাথে যৌথভাবে কাজ করলে পাইরেসি অনেকটা কমে যাবে বলে আমার ধারনা।







বাংলা ব্যান্ড মিউজিকের জনপ্রিয়তা দেখেছি একেবারে কাছ থেকে। অ্যালবামের কাভার হাতে নিয়ে ক্যাসেটের ফিতা সেকেন্ড বাই সেকেন্ড ঘুরে ঘুরে প্রতিটি গান শুনতাম। সাথে গানের লিরিক থাকলে মিলিয়ে নিতাম। গানের লিরিক চোখের সামনে নিয়ে গান শুনলে এমন কিছু উপলব্ধি হয় যা নরমালি হয় না।। আবেগটা অনেক অনেক বেশী আসে।। ভাবনা আসে আসলে গীতিকার কি মনে করে গানটা লিখেছিলেন, মাঝে মাঝে গায়কের উপস্থাপন রীতি থাকে অন্য রকম। শিল্পী গানের কথার পাশাপাশি সুর ও গায়কীর মাধ্যমে নতুন নতুন মেসেজ দিতেন। যার পুরোটায় উপলব্ধির বিষয়।। কখনো তুমি বলতে প্রেমিকা, কখনোবা স্বদেশ, কখনো বন্ধু, কখনোবা সমাজ কিংবা রাষ্ট্র।। আপনাদের কাছে অনুরোধ, মূলধারার গানগুলো অন্তত একবার শুনে দেখেন। ভাল লাগবে নিশ্চিত বলা যায় কিংবা যদিও বা ভালো না লাগে, খারাপ লাগার অবকাশ নেই।। ভাল, শৈল্পীক ও মননশীল চমৎকার সব পরিবেশনা আছে পুরোনো সেই গানগুলোতে।।







যারা নিয়মিত বাংলা মিউজিক শোনেন, তারা হয়তো একটা ব্যাপার লক্ষ্য করে থাকবেন কোন একটি নির্দিষ্ট গান শুনতে খুব খুব খুব ইচ্ছা করে যেই গানটি আপনি কোন একসময় শোনেছিলেন --- সেই গানটি আবার আপনার সবচেয়ে প্রিয় গানের একটি।। গানটি আপনি সিডি শপে খুজলেন কিন্তু পেলেন না।। বাংলা মিউজিক ওয়েব পোর্টালগুলোতে খুজলেন, ওয়েবেও কোথাও খুজে পেলেন না।। পরিচিত বন্ধুদের কাছেও নেই।। এবং সেই গানটি যদি হয় বাংলা ব্যান্ডের প্রথম দিকের অ্যালবাম তাহলেও আরো মুশকিল।। যে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে অ্যালবামটি প্রকাশ হয়েছিল, দেখলেন সেই অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে।। আপনার সমস্ত আশা-আকাঙ্খা মুখ থুবড়ে পড়বে। আশা ভঙ্গের বেদনায় বিভোর হয়ে থাকবেন।। কিন্তু হায় সেই গানটা শোনার জন্য যে প্রায়ই মনে হাহাকার উঠে।।







সেই সব গান প্রিয় মানুষদেরকে বলছিঃ সেইসব পুরোনো জনপ্রিয় গানগুলো গানপ্রিয় মানুষগুলোর কাছে পৌছে দিতেই নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন একজন।। সংগ্রহ করছেন বাংলা ব্যান্ডের পুরোনো হাজার হাজার গান।। বোধকরি বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড এ্যাসোসিয়েশান (বামবা)-ও বাংলাদেশের পুরোনো জনপ্রিয় হাজার হাজার গান সংগ্রহের কোন উদ্যোগ নেইনি। নেই কোন বাংলা ব্যান্ড মিউজিক আর্কাইভ।। বাংলাদেশে যেখানে অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশ পাওয়া ব্যান্ড সঙ্গীতের চমৎকার চমৎকার অ্যালবামগুলো ঐ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নিজেদের কাছেও নেই। যেই শিল্পী গান গেয়েছে তার কাছেও নেই। নেই মিউজিক পোর্টালগুলোতে যেখানে নতুন অডিও সিডি রিলিজের আগেই গান চলে আসে। সেইসব গানগুলো সংগ্রহ ও প্রচারের উদ্যোগে "রেডিও বিজি২৪" নামে একটি পেইজ, যেখানে দুর্লভ বলে কিছুই নেই।। আপনার যারা হারানো অনেক গান খুজে পাচ্ছেন না কোথাও, তারা নিঃসন্দেহে ঘুরে আসতে পারেন এই পেইজ থেকে।। আপনি হতাশ হবে না এই ব্যাপারে একেবারে নিশ্চিত।।



আর যেসব গানপ্রিয় মানুষগুলো ব্যান্ডের পুরোনো সেই গানগুলো শোনেন নি কখনো, তাদেরকে বলছিঃ অন্তত একবার শুনে দেখুন, বাংলা ব্যান্ড মিউজিকে আপনার নতুন দিগন্তের দ্বার খুলে যাবে।। আমার কথা না হয় বিশ্বাস করে সেইসব গানগুলো একটি বারের জন্য শুনে দেখুন।।(ধরেই নেবেন আপনি আশাহত হবেন। তারপরও একটা লোক এত চাপাবাজি করে যাচ্ছে, সেই লোকের চাপার জোড় কেমন সেটাও পরখ দেখবেন আশা করি।)







ব্যান্ড সঙ্গীত এমই মন্ত্রমুগ্ধতার অজস্র কোলাহলে জীবনের সাথে মিশে গেছে। যেই কোলাহল ব্যস্ত নগরী ঘুমিয়ে পড়লে চাঁদের মৌন কোলাহলে ভরিয়ে দেয় চারপাশ।। জোনাক জ্বলা প্রটিতি রাতে অপেক্ষায় থাকে দূরের কারো অপেক্ষায় হয়তবা কখনো ভোরের কুয়াশায়, দুপুরের খড়তাপে কিংবা নিঝুম রাতের আধারে এক পশলা বৃষ্টিতে।











* বাংলা ব্যান্ড মিউজিকে অবদান রেখেছেন এমন অনেক ব্যান্ড, গীতিকার, সুরকার, যন্ত্রশিল্পী, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার এর কথা হয়ত একবারের জন্যও উঠে আসেনি। ব্যান্ড মিউজিক নিয়ে হাজার হাজার পৃষ্ঠা লিখেও ঐসব ব্যাক্তিদের অবদান বলে শেষ করা যাবেনা। এই মুহুর্তে কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিদের কথা স্মরণ করছি যাদের এই অস্থির সময়ে খুব খুব বেশি মিস করি







১. লতিফুল ইসলাম শিবলী (গীতিকার)



২. কাউসার আহমে চৌধুরী (গীতিকার)



৩. সালাউদ্দিন সজল (গীতিকার)



৪. শহীদ মোঃ জঙ্গি (গীতিকার)



৫. বাপ্পী খান (গীতিকার)



৬. নিয়াজ আহমেদ অংশু (গীতিকার)



৭. দেহলভী (গীতিকার)



৮. তরুণ (গীতিকার)



৯. আসিফ ইকবাল (গীতিকার) - উনি অবশ্য এখনো মাঝে মাঝে গান লিখেন নিয়মিতঃ লাস্ট অ্যালবাম সম্ভবত মাহাদীর বন্দনা পুরো অ্যালবামটা।



১০. আনন্দ (গীতিকার)



১১. লিটন অধিকারী রিন্টু (গীতিকার)



১২. আলী আকবর রুপু (সুরকার)



১৩. মিল্টন খন্দকার (গীতিকার --- সম্ভবত সুরকারও ছিলেন)



১৪. আহমেদ ইউসুফ সাবের (গীতিকার)



১৫. প্রয়াত প্রণব ঘোষ (গীতিকার)



১৬. লাকী আখন্দ (শিল্পী + সুরকার)



১৭. জুয়েল বাবু (সুরকার)



১৮. শান্তনু (গীতিকার)



১৯. আশরাফ বাবু (গীতিকার)



২০. জুলফিকার রাসেল (গীতিকার)



২১. আলাউদ্দিন আলী (সুরকার)



২২. প্রয়াত নীলয় দাশ (গায়ক)



২৩. প্রয়াত ইমরান আহমেদ চৌধুরী মবিন (সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার)



২৪. প্রয়াত নজরুল ইসলাম বাবু (সবকটি জানালা খুলে দাও না - - - এই গানটির জন্য আমি সারাটা জীবন এই লোকটিকে মনে রাখব)



২৫. প্রয়াত শেখ ইশতিয়াক (গায়ক)







লিঙ্কঃ রেডিও বিজি২৪ (বাংলার গান দিয়ে কাঁপিয়ে দিবো সারাবিশ্ব) https://www.facebook.com/kokbd24







বিশেষ ধন্যবাদঃ আমার মামাতো ভাই তানভীন মাহিন অদ্রিকে যে আমাকে বাংলা বানান শুদ্ধি করনে সাহায্য করেছে।







এই সংকলনটি আমার আগামী একজনকে উৎসর্গীকৃতঃ



যে আমাকে চিনে নিবে তার আত্মার আত্মীয়তায় . . . . . . . . .



মোখলেছুর রহমান সজল



২৫.১০.২০১১

(এই লিখাটি "RaDiO bg24" এর বন্ধু মোখলেছুর রহমান সজল এর নিজের লিখা যা গতকাল "সচলায়তন" ব্লগে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখান থেকে লেখকের অনুমতি নিয়ে "সামু" র বন্ধুদের জন্য এই চমৎকার লিখাটা আমি হুবুহু প্রকাশ করলাম। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই বন্ধু মোখলেছুর রহমান সজল কে যার বাংলার সোনালি গানের প্রতি ভালোবাসা ও আকর্ষণ আমাকে মুগ্ধ করেছে)



মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:২৬

ডেভিড বসাক বলেছেন: চির চেনা প্রিয় এই স্টেশনে ট্রেনটা আমায় নামিয়ে দিল

২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৩২

কবি ও কাব্য বলেছেন: @ধন্যবাদ বসাক ভাই। "নাটোর ইষ্টেশন" উফফফফফফ!

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৩৫

সুহাসলেলিন বলেছেন: অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ লিখেছেন লেখক।
এই কথাগুলো অবশ্যই সবার জানা উচিৎ যারা গান ভালবাসেন।

আমি একটু যোগ করবো;
সবার কাছে সর্বকালের সেরা একটা গান আমার প্রিয় শিল্পী "আগুন" ভাইয়ের গান যা ওনার নিজের লেখা বাচ্চু ভাইয়ের সুর করা...
"আমার স্বপ্নগুলো কেন এমন স্বপ্ন হয়..."

২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৩

কবি ও কাব্য বলেছেন: @সুহাস ভাই ধন্যবাদ। আমি বাচ্চু ভাইকে নিয়ে একটা আলাদা লিখা লিখে রেখেছিলাম। কিন্তু কাল এই লিখাটা পড়ে দেখলাম যে আমি যা বলবো তার অনেক কথার মিল আছে এখানে।তাই এই লিখাটাই আমি দিয়ে দিলাম সজল ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে।

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৩৬

বেঈমান আমি বলেছেন: পাপ্পু ভাই ধন্যবাদ পোস্টের জন্যে।নতুন প্রজন্মের জানার অনেক কিছু আছে এই পোস্ট থেকে।৯৫ তে ক্লাস ৩ তে পড়তেন? =p~ =p~ =p~ আর লেখার সাথে পেজ এর লিন্কস দিলেন না যে?রেডিও বিজি২৪

২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৫

কবি ও কাব্য বলেছেন: বেইমান আমি ভাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি ৯৫ তে ক্লাস ৩ তে নয়। এটা সজল ভাইয়ের লিখা, উনি পড়তেন । আমি তখন মোটামুটি প্রেম করার মত সাবালক (প্রাপ্ত বয়স্ক) এর খাতায় নাম লিখেছি মাত্র!

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৪২

গৄহকোন বলেছেন: অসাধারণ লেখা,৯৫ তে আমিও ৩ তে পড়তাম ফলে আমার আর আপনার অভিজ্ঞতা মোটামুটি একই...লেখাটা পড়ে মনে হল যেন আবার সেই শৈশবে ফিরে গিয়েছি। ++++++

২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৬

কবি ও কাব্য বলেছেন: @গৃহকোণ কে অনেক ধন্যবাদ। আমাদের সেই শৈশব কোনদিন ভুলার নয়।

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অসাধারণ একটা লেখা। পড়তে পড়তে নস্টালজিক হয়ে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ শেয়ারের জন্যে। মোখলেসুর রহমানের আবেগ আমাকেও ছুঁয়ে গেলো। radiobg24 এর জন্যে অনেক শুভকামনা।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৭

কবি ও কাব্য বলেছেন: @হাসান ভাই অনেক ধন্যবাদ। আমিও কাল এই লিখাটা পড়তে পড়তে পুরনো দিনে হারিয়ে গিয়ে ছিলাম।

৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৫০

আকাইম্মা পোলা বলেছেন: Khubi shundor likhesen....beshi joss....amr moner protiti kotha,protibad,khob ei likhai prokash peyase...lekhok k dhonnobad.......asholei shundor hoase.... :-)

২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৯

কবি ও কাব্য বলেছেন: @আকাইম্মা পোলা ধন্যবাদ আপনাকে। সেই গানগুলো আমরা শুনানোর জন্য ব্যবস্থা করেছি। সারা বাংলাদেশ শুনবে সেই গান।

৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:০৪

ভুলো মন বলেছেন: পুরাই নষ্টালজিক করে দিলেন।
সেই ৯১/৯২ সাল থেকে ব্যান্ডের গান শুনে আসছি... ক্যাসেটের ফিতার পরতে পরতে থাকা সেইসব দারুন ভাললাগার, হারিয়ে যাবার অনুভূতিগুলো আর কোনদিনই পাবোনা এখনকার গান শুনে, জানি; তাই এখন গানও শুনিনা!! পুরাতন সেই গানগুলোর জন্য মনের মধ্যে হাহাকার করে। তাই যখনি (৩/৪ মাস আগে সম্ভবতঃ) [url=http://www.facebook.com/kokbd24]ফেসবুক পেজটার[/url] সন্ধান পেয়েছি, সদস্য হয়ে গেছি।

মোখলেছুর রহমান সজল-কে আমার হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২০

কবি ও কাব্য বলেছেন: @ভুলো মন ধন্যবাদ। আমাদেরও সেই গানগুলোর জন্য হাহাকার করে মনটা। তাইতো সেই হাহাকার ভুলে যাই রেডিও বিজি তে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২০

কবি ও কাব্য বলেছেন: @ভুলো মন ধন্যবাদ। আমাদেরও সেই গানগুলোর জন্য হাহাকার করে মনটা। তাইতো সেই হাহাকার ভুলে যাই রেডিও বিজি তে।

৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৩

এ হেলাল খান বলেছেন:
কি বলব ভাই আমার মনের কথা সহ সবাই বলে ফেলেছে। ফিরে গেলাম সেই ৯৫ ও ৯৬ সালের দিকে তখন আমার এলাকার এক বড় ভাই খুলনা চাকুরী করত উনি বাড়ী আসার সময় ডিফারেন্টাস, অবসকিউর ব্যান্ড এর ক্যাসেট নিয়ে আসত আমরা মজা করে শুনতাম। কত অসাধারন ছিল তখনকার ব্যান্ড মিউজিক।

বর্তমানে সে চাহিদা পূরন করছে রেডিও বিজি। ধন্যবাদ লেখককে।
রেডিও বিজির জন্য ভালবাসা রইল।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৪৩

কবি ও কাব্য বলেছেন: @হেলাল ভাই আপনার প্রতিও আমাদের অনেক ভালোবাসা রইলো। পাশে আছি,পাশে পাবেন সবসময়। বাংলা গানের সেই যুগ আবার আমরা ফিরিয়ে আনবো আপনাদের সাথে নিয়ে এই প্রত্যয় রইলো

৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৪

শিপু ভাই বলেছেন: এক একটি গান শুধু গান নয়, শুধু বাদ্য যন্ত্রের যান্ত্রিকতা নয়, নয় চিৎকার করে চেঁচিয়া যাওয়া। একটি গান কথা, সুর ও সঙ্গীতায়োজনে ছিল অনন্য। প্রতিটি গানের কথায় আবেগ খেলা করে, প্রতিটি গানের সুর বুকের ভিতরে গিয়ে আঘাত করে, প্রতিটি ইন্সট্রুমেন্ট বিভোরতায় মুগ্ধকরে।


পোস্ট প্রিয়তে রাখতে হল।
ভিষন নস্টালজিক হলা। বাচ্চু, জেমস, হাসানের সোনালি সময়টা আমি পুরো উপভোগ করেছি।
২০০৪ এর পর থেকে আর ওই ভাবে গান শোনা হয় না। আমার কম্পু বাচ্চু আর জেমসের গান ভরা। সেগুলোই শুনি।

এত সুন্দর একটা পোস্টের জন্য অন্তর থেকে ধন্যবাদ দিলাম।


++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++্

২৭ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৪১

কবি ও কাব্য বলেছেন: @ শিপু ভাই ধন্যবাদ

১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৬

Observer বলেছেন:
শিপু ভাই বলেছেন:
এত সুন্দর একটা পোস্টের জন্য অন্তর থেকে ধন্যবাদ দিলাম।


++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

২৭ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৪০

কবি ও কাব্য বলেছেন: @ শিপু ভাই ধন্যবাদ

১১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১২

রাজীব বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে আপনার বয়স আরো বেশী বলে মনেকরেছিলাম।

৯০ সালে আমি ক্লাস ৮-এ পড়ি।
তখন অবসকিউর ও ফিডব্যাকের মেলা দিয়ে ব্যান্ড সংগীতের সাতে পরিচয়।
৯০ থেকে ২০০০ সে সময়টুকু তখন আমার ভরা যৌবন কাল।

আপনার উল্লেখিত এক একটি গান আমার যৌবন বেলা মনে করিয়ে দেয়।

সেইগান শুনতে খুবই ইচ্ছে করে, কিন্তু একসাথে সেগুলো সংগ্রহ করার মতো সময় করে উঠতে পারি না। আবার কোন দোকানে সেই আমলের ক্যাসেট পাওয়া যায় না। এখনতো আবার সিডির যুগ, ক্যাসেট কোন দোকানে থাকেই না। আবার সেই আমলের গানের কোন সিডি তৈরীই হয়নি।


আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।


++++++++++++++
এটি প্লাস নয় কাটা তারের বেড়া!

২৭ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৯

কবি ও কাব্য বলেছেন: @রাজিব ভাই আমাদের তাঁর কাটার বেড়া দিয়ে আটকানোর জন্য ধন্যবাদ। লিখাটি আমার নয়। ৯৫ এ আমি এক সদ্য তরুণ ছিলাম। এই লিখাটি রেডিও বিজি ২৪ এর বন্ধু সজল ভাইয়ের লিখা। আপনার পাশেই আমরা আছি।

১২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৯

ঘুমন্ত আমি বলেছেন: কেউ নেই করিডরে গানটার লিংকটা কি দেওয়া যাবে ।পোষ্ট খুবই ভালো হয়েছে ।​প্লাস।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৭

কবি ও কাব্য বলেছেন: @ঘুমন্ত আমি ভাই আপনার গানটি সহ সব গান পাবেন রেডিও বিজি ২৪ এ ,যার লিংক লিখাটার মাঝেই পাবেন।

১৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৯

হাদী নয়ন বলেছেন: এবি,জেমসের পিয়ানো এ্যালবাম টার জায়গা হলো না কেনো লিস্টে,বুঝলাম না। আগে একটা সাইড ছিল মাই বাংলা মিউজিক,সেখানে অনেক পুরোন গান ছিল।এখন আছে বিজি২৪রেডিও।
আর লিখার কথা কি বলবো সবসময় প্রিয়।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৬

কবি ও কাব্য বলেছেন: @নয়ন ভাই ধন্যবাদ। আপনাদের পাশে রেডিও বিজি ২৪ থাকবে সেই সব সৃতি নিয়ে সবসময়। লিখাটি রেডিও বিজি ২৪ এর এক বন্ধুর লিখা।

১৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৪২

আহসান ঊদ্দিন খান বলেছেন: অসাধারন লেখা....লেখক এবং রেডিও বিজি ২৪ দুজনকেই অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমাদের অনেকের মনের অনেক ভালবাসার গান উল্ল্যেখ করা হয়েছে সত্যি আমারা অনেকেই সেই ছেলেবেলাতে হারিয়ে গেছি......

এখন মনে হচ্ছে একটা অডিও ক্যাসেট প্লেয়ার কিনে এনে আলমারির ড্রয়ারে যত্ন করে রাখা অডিও ক্যাসেটগুলো বের করে আবার শুনি।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৫

কবি ও কাব্য বলেছেন: @আহসান ভাই ধন্যবাদ। আমরা আছি আপনার পাশে ও আপনাদের মত আমার মত যারা সেই গানগুলোকে আজো খুঁজে ফিরেন তাঁদের জন্য রেডিও বিজি ২৪ হয়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.