নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কল্পদেহী সুমন

খন্দকার মো: আকতার উজ জামান সুমন

কথা বেশি একটা বলিনা চুপচাপ থাকতে পছন্দ করি। সব সময় কল্পনা করি। কল্পনায় আমি সবসময় নিজের সাথে কথা বলি। আর সব সময় অন্যমনস্ক থাকি। আমার আশেপাশে কে কি করছে না করছে তার দিকে আমার তেমন খেয়াল থাকে না। অনেক সময় কাউকে খুজতে যেয়ে নিজেই হারিয়ে যাই। আর একটা কথা হলো আমার পথ মনে থাকে না তাই আমি একা হাটতে গেলে প্রায়শই পথ ভুল করি। পথে হাটাহাটি করার সময় কত জনের সাথে ধাক্কা খেয়েছি এ পর্যন্ত, তার হিসাব নেই। আমার সমস্ত জীবনটাকে কল্পনা মনে হয় কারণ সব কিছুই যাই ঘটে আমার সাথে তাই আমার কাছে কল্পনা মনে হয়। যদি কোন অঘটন ঘটে তাহলে ভাবি কল্পনা ভেঙ্গে গেলাই সব ঠিক হয়ে যাবে। আমার এই অসম্ভব রকম কল্পনাসক্ত দিনকে দিন বেড়েই চলছে।

খন্দকার মো: আকতার উজ জামান সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসাটা কি দেহের দামে!

২১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৪০

কয়দিন আগে কোন একটা পেজে পড়েছি যে ফিলিস্তিনের মেয়েরা হিজাব করেই ঘুমায় কারণ কখন তাদের উপর বোমা হামলা হয়ে মৃত্যু হয় তার কোন ঠিক নেই। তাই তারা চায় না মৃত্যুর পর যাতে তাদের কেউ হিজাব ছাড়া অবস্থায় দেখে। এ কথা পড়ে আমার মন থেকে ফিলিস্তিনের মেয়ের জন্য গর্ব হচ্ছিল। কিন্তু যখন আমি আমার নিজের দেশের দিকে তাকাই তখন কি দেখছি! এদেশে ভালোবাসাটা দেহের দামে বেঁচা কেনা হয়, এদেশে হিজাব দিনকে দিন মডেলে পরিনত হয়, এদেশে মেয়েরা নিজের ইজ্জতকে পানির সাথে তুলনা করে। সমাজটা এতোটাই নোংরা হয়ে যাচ্ছে যা ভাবনাকেও হার মানায়। সবচেয়ে খারাপ যে কাজটা হয় তাহলে মেয়েদের অতিরিক্ত স্বাধীনতা দেওয়া। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়ে ছেলেগুলো বেশি উচ্ছৃঙ্খল হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেয়েগুলো হোস্টেল বা মেসে থাকলে খারাপ থেকেও খারাপ হয়ে যায়। তারা ভাবে যা করছে ঠিক করছে। বয়ফ্রেন্ড পরিবর্তন তাদের নিত্যদিনের রুটিন। অসামাজিক সম্পর্কে জড়ানো তাদের সাপ্তাহিক বিনোদন। অশ্লীল কথা বলা তাদের নিত্যদিনের কাজ। বান্ধবীর চেয়ে বন্ধু বানিয়ে তাকে পটানো এবং স্বার্থ উদ্ধার তাদের মৌলিক কাজ।সবাই যে এরকম তা বলছি না। অনেক মেয়েরা আছে ভালো তারা হোস্টেলে থাকুক বা আত্বীয়স্বজনের কাছে থাকুক তারা ভালো ভালোই থাকে। কিন্তু যারা খারাপ হয়ে যায় তারা এমনই তো খারাপ। হোস্টেলে স্বাধীনতা পেয়ে আরও খারাপ হয়ে যায়। ইচ্ছেমত ঘুরে ফিরে, পার্ক, রেস্টুরেন্টে পার্টি করে। সুযোগ পেলে হোটেল ভাড়া করে বয়ফ্রেন্ডের কাছে নিজেকে বিলিয়ে দেয়। হয়তো কেউ বলতে পারে বয়ফ্রেন্ডের দোষ নাই নাকি। তবে আমি বলব যদি মেয়েগুলো দৃঢ় মনের হতো তাহলে বয়ফ্রেন্ড এরকম কিছু চাইবেই না। যদি বলি কিছু কিছু মেয়েই এসব চায় নিজেদের সাময়িক বিনোদনের জন্য তখন কি বলবেন। কোরআনে একটা কথা আছে "প্রত্যেক ব্যাভিচারী নারীর জন্য ব্যাভিচারী পুরুষ আর সৎ নারীর জন্য সৎ পুরুষ "। হয়তো ঐ সব ছেলে মেয়ে উভয়েই ব্যাভিচারী বা হতে উৎসাহি। তাদেরকে যতই বুঝাবেন না কেন তারা তাদের নষ্টামী ছাড়বেই না। তাদের কাছে অশ্লীলতা যেন শালীনতা। ইজ্জত কি তা হয়তো তারা কখনও ভেবে দেখেনি। বিশাল গামলার দুধ যেমন এক ফোঁটা লেবুর রস পড়লে জমে দই হয়ে যায়, যা থেকে পুনরায় আর দুধ ফিরে পাওয়া যায়না ঠিক তেমনি কারও ইজ্জতে একবার কালি লাগলে তা শত চেষ্টা করলেও মুছা যায় না। এসব অশ্লীল মনের ছেলেমেয়েদের বেশ্যার চেয়েও জঘন্য বলা উচিৎ। বেশ্যারা পেটের দায়ে এসব করে আর এসব ছেলেমেয়েগুলো সাময়িক বিনোদনের জন্য এ কাজ করে। আজকাল একটা কথা খুব শুনা যায় যে একটা ছেলের সাথে একটা মেয়ের সম্পর্ক হওয়া মানে তাদের মাঝে দৈহিক সম্পর্ক হয়ে গেছে। আসলে কি এটাই ভালোবাসা। ভালোবাসাটা কি শুধু দেহের বিনোদন। আমি আজ ছি! ছি! ছি! বলছি এসব চিন্তাধারার মানুষগুলোকে। ভালোবাসাটা কখনও দেহে নয় মনে থাকে। দেহ দিয়ে যে ভালোবাসা প্রচলিত তা ইসলামিক দৃষ্টিতে যিনা যা মহাপাপ। আর বর্তমান যুগের অতি উৎসাহি ছেলেমেয়েরা এই যিনাকেই ভালোবাসা ভাবে যা নিছক অশ্লীলতা বই আর কিছু নয়। আল্লাহ সমাজটাকে রক্ষা করুক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.