![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কথা বেশি একটা বলিনা চুপচাপ থাকতে পছন্দ করি। সব সময় কল্পনা করি। কল্পনায় আমি সবসময় নিজের সাথে কথা বলি। আর সব সময় অন্যমনস্ক থাকি। আমার আশেপাশে কে কি করছে না করছে তার দিকে আমার তেমন খেয়াল থাকে না। অনেক সময় কাউকে খুজতে যেয়ে নিজেই হারিয়ে যাই। আর একটা কথা হলো আমার পথ মনে থাকে না তাই আমি একা হাটতে গেলে প্রায়শই পথ ভুল করি। পথে হাটাহাটি করার সময় কত জনের সাথে ধাক্কা খেয়েছি এ পর্যন্ত, তার হিসাব নেই। আমার সমস্ত জীবনটাকে কল্পনা মনে হয় কারণ সব কিছুই যাই ঘটে আমার সাথে তাই আমার কাছে কল্পনা মনে হয়। যদি কোন অঘটন ঘটে তাহলে ভাবি কল্পনা ভেঙ্গে গেলাই সব ঠিক হয়ে যাবে। আমার এই অসম্ভব রকম কল্পনাসক্ত দিনকে দিন বেড়েই চলছে।
হিজাব কেবল বাহ্যিক নয় ভিতর থেকেও গড়ে নিতে হয়। মানুষকে দেখানো হিজাবের কি দরকার! কলেজ, ভার্সিটিতে হিজাব করে আস আর ঘুরতে যাওয়ার সময় এই হিজাব কোথায় থাকে তোমাদের। আর কিছু কিছু অতি কনজারভেটিভ হিজাবী আছে যারা নারী পুরুষের মাঝে বৈষম্যের সৃষ্টি করে থাকে। তারা ভাবে পুরুষরা তাদের শত্রু। অনেক সময় তাদের আচরণ দেখলে মনে হয় পুরুষরা ভিনগ্রহের প্রাণি। আরও অদ্ভুত লাগে তারা যখন মানুষকে জ্ঞান দেয় তখন। নিজেরাই ঠিক নেই আরেকজনকে উপদেশ দিতে আসে! তোমরা হিজাব যখন করবে তখন তা মন থেকেও করো। মানুষকে উপদেশ দেওয়ার আগে দেখ তুমি তা মানতেছ কিনা। নিজেকে খুব ভালো ভাবতে নেই, এটা এক ধরনের অহংকার। পৃথিবীতে এমন কোন কাজ নেই যা কেবল নারীরা বা পুরুষরা করছে। আর নারীরা পুরুষের সহযোগিতা ছাড়া যেমন অচল তেমনি পুরুষরা নারীর সহযোগিতা ছাড়া অচল। নারী পুরুষ হিজাবের মধ্যে থেকে কোন কাজ করলে কি কোন সমস্যা হয়? যদি মনে হিজাব থাকে তাহলে তোমার সম্মান তোমারই থাকবে কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। আল্লাহ নারী পুরুষ দুই প্রজাতির মানুষ সৃষ্টি করছে তার ইবাদতের জন্য। তাদের মাঝে আল্লাহ কখনও বৈষম্য করেনি। তবে দুই প্রজাতির শৃঙ্খলে কিছুটা পার্থক্য করা হয়েছে কেবল তাদের নিজেদের সম্মান রক্ষার জন্য। তাই বলে নিজেদের তারা দুই মেরুর বাসিন্দা ভাবাটা ঠিক বলে আমি মনে করি না।
©somewhere in net ltd.