![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কথা বেশি একটা বলিনা চুপচাপ থাকতে পছন্দ করি। সব সময় কল্পনা করি। কল্পনায় আমি সবসময় নিজের সাথে কথা বলি। আর সব সময় অন্যমনস্ক থাকি। আমার আশেপাশে কে কি করছে না করছে তার দিকে আমার তেমন খেয়াল থাকে না। অনেক সময় কাউকে খুজতে যেয়ে নিজেই হারিয়ে যাই। আর একটা কথা হলো আমার পথ মনে থাকে না তাই আমি একা হাটতে গেলে প্রায়শই পথ ভুল করি। পথে হাটাহাটি করার সময় কত জনের সাথে ধাক্কা খেয়েছি এ পর্যন্ত, তার হিসাব নেই। আমার সমস্ত জীবনটাকে কল্পনা মনে হয় কারণ সব কিছুই যাই ঘটে আমার সাথে তাই আমার কাছে কল্পনা মনে হয়। যদি কোন অঘটন ঘটে তাহলে ভাবি কল্পনা ভেঙ্গে গেলাই সব ঠিক হয়ে যাবে। আমার এই অসম্ভব রকম কল্পনাসক্ত দিনকে দিন বেড়েই চলছে।
-হ্যালো আম্মু
-কি হলো তোর? ভার্সিটি বন্ধ তাও এতক্ষন লাগছে কেন বাসায় ফিরতে?
-পরীক্ষা তাই পড়া নিয়ে আলোচনা করতেছি
-কোন মেয়ের সাথে নাইতো আবার?
-না
-মেয়েদের আওয়াজ শুনা যাচ্ছে কেন তাহলে?
-রাস্তাঘাটে অন্য মেয়ে থাকতে পারেনা
-আচ্ছা ঠিক আছে বাসায় আস তাড়াতাড়ি করে
-আচ্ছা
ফোন রেখেই অর্ণব মেঘাকে একটা ধমক দিলো।
-দেখছিস আম্মুর সাথে কথা বলতেছি। তোর এখন কথা না বললে কি হতো?
-আচ্ছা হইছে, এবার পড়া বুঝিয়ে দে
-আছিস তো শুধু এসব নিয়েই
-তুই এটা বুঝাবি তো নাকি?
অর্ণব রাগ করে বসে আছে। মেঘা যেই উঠে যেতে লাগলো তখনই হাত চেপে ধরলো।
-রাগ করলাম আমি, আর ঝাল দেখাচ্ছিস তুই!
-হো ঝাল দেখাই
-আর বেশিদিন হয়তো দেখাতে পারবিও না।
-কেন?
-কি জানি?
-আচ্ছা এখন পড়ার দিকে আয় একটু, কিছু পড়িনি, বুঝতেছিও না। আচ্ছা এ্যাসপিরিনের টাইট্রেশন বুঝিয়ে দে তো
-হুমম। ধর আমি তোকে একশত টাকা দিলাম কিছু কিনে খেতে, তুই আমাকে ষাট টাকা ফেরত দিলি। এতে আমি কি বুঝবো?
-কি বুঝবি?
-তুই চল্লিশ টাকা খাইছিস।
-তাহলে কি হলো?
-তেমনি এ্যাসপিরিন সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের সাথে বিক্রিয়া করার পর যতটুকু বাকি থাকে তা হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে। আমরা এ্যাসপিরিনের টেস্ট করতে যেয়ে এই পরিমানটাই পাই, এ্যাসপিরিনের সাথে কতটুকু সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড বিক্রিয়া করলো তা এর সম্পূর্ণ পরিমাণ থেকে যতটুকু হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করছে তা থেকে বিয়োগ করলেই পাই।
-হুমম
-অর্থাৎ তুই কত টাকা খাইছিস তা আমি জানি না, কিন্তু যত টাকা ফেরত দিলি তা থেকে বিয়োগ করেই বুঝতে পারি।
-এতকিছু না করে সরাসরি টাইট্রেশন করলেই তো হয়।
-না হয় না। এ্যাসপিরিন এসিডিক হলেও নরমাল তাপমাত্রায় সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের সাথে বিক্রিয়া করে না।
-তা বুঝলাম কিন্তু এর আগে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড আর হাইড্রোক্লোরিক এসিডের স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন করতে হয় কেন?
-এই দুইটাই সেকেন্ডারী তাই।
-হুমম, বুঝলাম
এভাবে করে অর্ণব প্রায়ই মেঘাকে পড়া বুঝিয়ে দিত। অর্ণব ভাবতো মেঘা হয়তো তাকে ভালোবাসে তাই মিছেমিছে দেখা করার জন্য এমন পড়া বুঝিয়ে দেওয়ার বায়না ধরতো। কিন্তু এক সময় পরিস্থিতি পাল্টে গেল।
ইদানিং মেঘা আগের মতো মিশতে চায়না, কেমন যেন দূরে দূরে থাকতে চায়। কিন্তু প্রয়োজনের সময় ঠিকই নিজের চাহিদা পূরন করে নিচ্ছে।
কয়দিন পর অর্ণব জানতে পারলো মেঘা অন্য একটা ছেলের সাথে কথা বলছে, সারাদিন ঐ ছেলের সাথেই থাকে।
প্রেম করছে ছেলেটার সাথে।
একদিন অর্ণব ফোন দিয়ে বসলো মেঘাকে।
-হ্যালো
-হুমম বল
-কি করছিস?
-শুয়ে আছি
-ইদানিং তেমন কথা বলছিসনা কেন? কি হইছে তোর?
-কই কিছুনা, এমনই
-হুমম। তুই নাকি কার সাথে রিলেশন করছিস?
-কই না তো। কে বললো তোকে? আমি কিছু করলে কি তুই জানতি না?
-এখন হয়তো জানানোর প্রয়োজন দেখছিসনা
-দেখ উল্টাপাল্টা কথা বললে মাথা একদম গরম হয়ে যায়
-ওকে রাখলাম।
এরপর থেকে অর্ণবের বুঝতে বাকি নেই যে মেঘার আর তার প্রয়োজন নেই। আগে থেকেই নিজের চাহিদা পূরন ছাড়া আর কোন কারনেই তার অর্ণবের প্রয়োজন হতো না। আর অর্ণবও বোকার মতো মেঘার সব প্রয়োজনে পাশে থাকতো। একবার তো নিজের জীবন বাজি রেখে মেঘার জীবন বাঁচিয়েছিল।
আজ সেই মেঘাই অকৃতজ্ঞের মতো ব্যবহার করছে। তবুও অর্ণব মেঘার প্রয়োজনে সবসময় পাশে থাকছে। ছায়ার মতো মেঘাকে সাহায্য করেই চলছে।
২১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২২
খন্দকার মো: আকতার উজ জামান সুমন বলেছেন: জ্বী ঠিক বলেছেন । পরবর্তী পর্বগুলোতে পাশে থাকবেন আশা করি ।
২| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর চালিয়ে যাও সাথে আছি
২২ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫
খন্দকার মো: আকতার উজ জামান সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ আপু
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৮
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: খন্দকার মো: আকতার উজ জামান সুমন
বন্ধুত্ব মানে কিন্তু রিলেশন নয়। মেঘা অন্য কারো সাথে রিলেশন করুক না করুক তাতোতো অর্ণবের যায়আসার কথা নয়। অর্ণব তার বন্ধুত্বের দাবি মিটিয়েছেন। আর সেই বন্ধুত্বের দায়িত্বকে প্রয়োজন অপ্রোয়জনীতার সমীকরনে জুড়ে দিলে কেমন কেমন যেন লাগে!!