![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তিনি এখন লাশ। চার দিনের পরানো, পচনরত, ফুলে ভারী হয়ে যাওয়া লাশ। র্দূর্গন্ধে সহকর্মীরা কাধে নিতে চাচ্ছিল না। এলাকার লোকদের সাহায্য চাইলো। এলাকার লোক নি¤¥ আয়ের হলেও মানুষ। তারাও কাছে যেতে চায়না। একসময় আ˜েশ কাতর অনুরোধে নেমে এলো। চারপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।
অথচ চারদিন আগ তিনি ছিলেন সীমা›ত প্রহরী। এদেশের জ›েমর জন্য তার জ›েমর আগেই বাবা শহীদ হয়েছেন। তাই দেশের সীমা›ত রক্ষার চাকরীটাই তিনি বেছে নিয়েছিলেন। আদেশ ছিল সীম›েতর শেষ পিলার ছুতে হবে। পিলার ছুতেই কি যেন হয়ে গেল।
খালপাড়ে লাশের গায়ে সীমা›ত প্রহরীর পোশাক, পায়ে জুতা। সবই কাদা মাখা। একটু সময় লাগতো তৈরী হতে কিন্ত পোশাক থাকতো পরিস্কার, ই¯ত্রী করা ভাজহীন। পায়ে থাকতো পালিশ করা চকচকে জুতা। আজ সবই ময়লা।
গতবছর হজ্ব করে এসে শশুর একটা আতর দিয়েছিলেন। বাবা বেচে থাকলে হয়তো হজে¦ যেতেন, আতর আনতেন।
পোশাক আর জুতা পরা হলে অল্প করে আতর দিতেন। মনে হতো পরিবার সাথেই আছে।
কিন্তু এখন তিনি লাশ, চার দিনের পরানো, পচনরত, ফুলে ভারী হয়ে যাওয়া লাশ। দূর্গন্ধে কাছে যাওয়া যাচেছ না। লাশের গায়ে বারবার কেরোসিন ঢালা হচ্ছে।
গতসপ্তাহে টেলিফোনে কথা হয়েছে ¯ত্রীর সাথে, স›তানদের সাথে আর মার সাথে। এই প্রথমবার পাহাড়ে দায়িত্ব পরলো। মার মন খুব খারাপ ছিল। সেই একাত্তর থেকে মা যুদ্ধ করছে। তার চাকরী আর সংসার হওয়ার পর থেকে সেই যুদ্ধ কিছুটা কমেছে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে চেষ্টা করেন মাকে খুশী রাখতে।
মাস গেলে বেতন পাঠাতেন পরিবারের কাছে। আর এখন পরিবার পাবে এককালীন পাচ লাখ টাকা। কারন এখন তিনি লাশ, চার দিনের পরানো, পচনরত, ফুলে ভারী হয়ে যাওয়া লাশ। দূর্গন্ধে কাছে যাওয়া যাচেছ না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:০১
পংবাড়ী বলেছেন:
এই চোরাকারবারী বিজিবি, যারা নিজের মানুষের লাশ কাঁধে নেয়নি, যারা নিজের সাঠীর লাশ মানুষের দ্দবারা বহন করায়েছে, যারা এ লাশের ছবি তুলতে দিয়েছে, সব কুত্তাকে বরকাস্ত করা দরকার।