![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পোশাকের জন্য আসলেই কি ধর্ষণ বাড়ছে? তাহলে অন্তত মাদ্রাসা, মন্দির,গীর্জার পাদ্রী, অশীতিপর বৃদ্ধ বা ৮-১০ বছরের মেয়ে বা প্রতিবন্ধী -এই নামগুলো লিস্টের বাইরেই থাকতো! ধর্ষনের রিপোর্ট সংখ্যা মফস্বল-গ্রামে হতো নামমাত্র আর অভিজাত এলাকায় থাকতো আকাশছোয়া! অথচ বাস্তবতা উলটো!
অনেকে অবশ্য পর্ন দেখাকে ধর্ষণের জন্য পুরোপুরি দায়ী করেন। এমন যদি হতো তবে যে দেশগুলো পর্ন বানায় তাদের দেশে ধর্ষণের হার টপে থাকতো! আর প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাখলাখ ধর্ষনের ঘটনা ঘটতো।
পর্ন মানুষের ফ্যান্টাসি বাড়ায়। ফ্যন্টাসির কারনে কিছু মানুষ উদবুদ্ধ হয় বটে কিন্তু তাতে সমস্যাটাকে অনেক সরলীকরন করা হয়ে যায়।
।
আসলে মানুষ যা শেখে, ভাবে, সেটাই সে বিশ্বাস করে।খুব ছোট বেলা থেকে সামাজিকভাবে মাথায় পুশ করা হয়-
– মেয়েদের না মানে হ্যাঁ !
– মেয়েদের সাথে মেশা যাবে না।মিশলেই খারাপ হয়ে যাবে।
– মেয়ে হল খাবার আর পোলা হল মাছি। খাবারে মুখ দেয়াই তো মাছির কাজ।
– মেয়ে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, লেখক, শিল্পী যাই হোক না কেন, যে মেয়ের কাপড় যত লম্বা সে মেয়ে তত ভদ্র।
প্রতিটা ধর্ষনের উদ্দেশ্য কিন্তু এক না-যেমনটা আমরা মনে করি!
ধর্ষণে যৌনসুখের উদ্দেশ্যে ততটা থাকে না, যতটা থাকে অপরপক্ষকে দমিয়ে রাখতে ক্ষমতার প্রদর্শন হিসাবে।কিছু তরুনদের কাছে যা ‘জাতে ওঠার’ পন্থা!
‘জাতে উঠতে চাওয়ার’ এ আকাঙ্খাই রূপ নেয় টক্সিক ম্যাসকুলিনিটিতে।
সমাজতাত্ত্বিক, মনোবিদরা ধর্ষণকে যৌনতা থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে একে নিছক ক্ষমতার প্রকাশ হিসাবে দেখেন-সেটা এমনি এমনি না!
।
ধর্ষক মূলত হয় ৬ টাইপের-সুযোগসন্ধানী, স্যাডিস্টিক,প্রতিহিংসাকামী, কল্পনাপ্রবণ, ক্ষমতালোভী, ক্ষুব্ধ ধর্ষক। বেশির ভাগ ধর্ষকের মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দেখা যায়৷যেমন নার্সিসিজম বা আত্মমুগ্ধতা, নারীবিদ্বেষ ও সার্বিক সহানুভূতির অভাব৷
এর সাথে যোগ হয় সমাজব্যবস্থা যেখানে ছেলে কে শেখানো হয় না যে, মেয়ে মানেই তোমার মত মানুষ, তার স্তন্য কোন বিশেষ অঙ্গ না, সেটা হাত পায়ের মত স্বাভাবিক অঙ্গ।
মূল সমস্যাটা শিক্ষায়, দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে, মানসিকতায়, দৃষ্টান্ত স্থাপনে।
©somewhere in net ltd.