![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখন ব্লাউজ বললেই আমাদের চোখে ভাসে নারীর শাড়ির সাথে একটি ঢলঢলে উর্ধাঙ্গে পরিধেয় পোশাক কিন্তু পুর্বে এই ব্লাউজ ছিল শ্রমিক, কৃষক, শিল্পী, নারী, শিশু সবার পরিধেয়।
ইংরেজরা আসার আগে শাড়ির সাথে যে ব্লাউজ পরতে হয় সেটা এই ভারতবাসী বা বংগবাসীর জানাও ছিল না। রাণী ভিক্টোরিয়াই শাড়ির সাথে উর্ধাঙ্গে পরার জন্য ব্লাউজের প্রচলন শুরু করেন। তাই এই উপমহাদেশে বহু বছর যাবত ব্লাউজ ছিল এক আভিজাত্যের প্রতীক।
তবে শেরশাহর আমলে ব্লাউজ সদৃশ "কাচুলি" নামে পরিধেয় ছিল যা উর্ধাঙ্গে পেঁচিয়ে রাখা হতো।
-----------------------
ইংরেজ সমাজে আর বাঙালি সমাজের শাড়ির ধরনের একটা বড় ফারাক শরীর প্রদর্শনে। বঙ্গদেশের নারীদের মুখ আর চুল ঢেকে রাখার প্রতি গুরুত্ব দেয়া হত। পিঠ বা হাত প্রদর্শন খুব সাধারনভাবেই নেয়া হত কিন্তু পশ্চিনা সমাজে ব্যাপারটা ভিন্ন।
সে কারনেই সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী জনদানন্দিনী দেবীকে শাড়ির নিচে ব্লাউজ না থাকার জন্য ব্রিটিশ রাজের আমলে ক্লাবে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এই জ্ঞানদানন্দিনী দেবীই দেশি স্টাইলের শাড়ি পরার বদলে আধুনিক ধারায় শাড়ি পরা চালু করেছিলেন বাঙালি সমাজে।
ইংরেজ মেয়েরা উপরে ছেলেদের শার্টের মতো ব্লাউজ এবং নিচে লং স্কার্ট পরতো।
এরই সূত্র ধরে রবীন্দ্রনাথের ভাতিজি শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ পরার প্রচলন শুরু করেন।
ভিক্টোরিয়ানরা চাইতো নারীরা ব্লাউজ পরুক। সেই থেকেই আজকের ব্লাউজ-পেটিকোটের সূচনা।
---------------------------------------
ব্লাউজের পিছনের বোতাম বা হুক কেনো থাকে সেটা এক বিস্তর রহস্যময় বিষয়!
কারন নারী বা পুরুষের এমন কোন ড্রেস নেই যার হুক বা বাটন থাকে পেছনে। তবে এটা মনে করা হয় যে, যেহেতু ব্লাউজ অভিজাত পোশাক ছিল আর অভিজাত শ্রেণীর নারীরা তাদের দাসীদের দিয়ে পোশাক ঠিক করাতেন, তাই ব্লাউজের পেছনে বোতাম ব্যবহার হতো।
------------------------------------------------------
এককালে শাড়ি পরা মানেই ছিল দু’প্যাঁচ পদ্ধতি যদিও এখন তা বিলুপ্ত। এই দু প্যাচ জিনিসটা আমার কাছে বহুত ভেজাইল্লা লাগে!
পেটিকোটের উপর শাড়িটিকে গিট দিয়ে প্রথমে ডানে পরে বাঁয়ে লম্বা ভাঁজ দিয়ে জড়িয়ে টেনে এনে ডান হাতের নিচ দিয়ে আলগা করে বাঁ কাঁধে আঁচলের সামান্য অংশ রাখার যে ধরন, তার নাম ‘এক প্যাঁচ’। এটাইচালু ছিল দীর্ঘকাল।
এরপরে এসেছে আধুনিক ‘কুঁচি পদ্ধতি’।
ভাগ্যিস!
©somewhere in net ltd.