নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাঁধ ভাংগার আওয়াজ পাবেন অবশ্যই তবে সেটি আমার।\nআমার উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ,\nআনন্দানুভুতি আর \nঅবসাদের বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ।

কৌশিক পুনশিক

কৌশিক পুনশিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিন্তো-সনাতন-দেবতা-কামি

১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:২০

পৃথিবীতে যতগুলো মূল ধর্ম আছে তার মধ্যে সবথেকে অদ্ভুত আর গতানুগতিক থেকে ভিন্ন জাপানের শিন্তো ধর্ম। এটি মূলত আচারনির্ভর ধর্ম। বিভিন্ন ধর্মীয় প্রথা এবং আচারের মাধ্যমে এই ধর্ম পালিত হয় যা বর্তমান এবং অতীতের মাঝে যোগসূত্র স্থাপন করে। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার এই ধর্মটা পছন্দ অন্য কারনে।
শিন্তো এমন একটি ধর্ম, যার কোনো ঈশ্বর নেই, প্রচারক নেই, ধর্মগ্রন্থ নেই, পরকাল নেই, বিধিবদ্ধ রীতিনীতি নেই।। শিন্তো ধর্মের মূল কথা হলো, সৃষ্টিকর্তা বলতে কেউ নেই, তবে কিছু স্বাধীন আত্মা বা স্বর্গীয় স্বত্ত্বা আছেন, যাদের নাম ‘কামি’। এই কামিরা পৃথিবীর মানুষের কল্যাণকামী। তাই মানুষের উচিৎ তাদের পূজা করা, আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খুশি রাখা।
এই কামি কনসেপ্ট টা বেশ ইন্টারেস্টিং আর পরোক্ষভাবে হিন্দু ধর্মের কিছু কনসেপ্টের সাথে মিলেও যায়। কামি কিন্তু কোন দেবতা নয়। তারা গাছের বৃদ্ধি,বৃষ্টি,প্রকৃতির অন্যান্য দিকগুলি বা ঘটনার সাথে সংযুক্ত থাকে ।
বিশ্বাস করা হয়, কামি এই প্রাকৃতিক জিনিসগুলিতে বাস করে। অর্থাৎ প্রকৃতির শক্তির বাহক।

----------------------------------------------------
এই কনসেপ্ট থেকেই আসলে সনাতন বা হিন্দু ধর্মের বিকাশ। হাজার বছর আগে যখন ঋষিরা বেদ দর্শন করছিলেন তখন থেকেই দেবতা কনসেপ্ট এর শুরু কিন্তু এই দেবতা মানে এখন আমরা দেব দেবি বলতে যা বুঝি তা নয়। বেদে ৩৩ প্রকার দেবতা নির্দিষ্ট।
কিন্তু এই দেবতার সবই আসলে প্রকৃতির ই অংশ। উদাহরন হিসেবে বললে সনাতন ধর্ম মতে অগ্নি, বায়ু, সূর্য, নক্ষত্র, প্রাণ, জীবাত্মা, বছরের ১২ মাস, বিদ্যুৎ ইত্যাদি সব একেক্টি দেবতা। বেদে দেবতা মানেই হলো সবার হিতার্থে যে দান করে। যেহেতু প্রকৃতি থেকেই আমাদের উতপত্তি আর বিনাশ-তাই প্রাকৃতিক উপাদানে দেবত্ব আরোপ অর্থাৎ ঠিক যেন শিন্তোদের কামি মতবাদ।
কারন শিন্তো অনুসারীরাও কিন্তু বেদের দেবতাদের মতই কল্যাণ করে কিন্তু একি সাথে বেদের দেবতার মতই প্রাকৃতিক উপাদান। যদিও একটা মৌলিক ফারাক রয়েই যায় সেটা হলো শিন্তো ধর্মের কনসেপ্ট কামি পর্যন্তই। কোন সর্ব শক্তিমান কেউ বসে নেই কিন্তু সনাতন ধর্মে সকল শক্তি বা ৩৩ প্রকার দেবতার মূল সোর্স/শক্তি আসলে অন্য কেউ।
সনাতনে যার নাম পরমব্রহ্ম।
-----------------------------------------------------------
সংখ্যাগত ভুল বুঝাবুঝির ক্ষেত্রেও সনাতনের দেব আর আর শিন্তো এর কামি যেন এক সুত্রে গাঁথা। এটা বলা হয় যে হিন্দু ধর্মে ৩৩ কোটি দেবতা।
মূলত কোটি শব্দের মূল অর্থ ছিল প্রকার! তাই কালে কালে ৩৩ প্রকার হয়ে যায় ৩৩ কোটি। অপরদিকে শিন্তো ধর্মে বলা আছে কামির সংখ্যা ৮০ লক্ষ।

আসলে সংখ্যা হিসেবে না বরং ৮০ লক্ষ অসীম সংখ্যা বুঝাতেই ব্যবহার হয়।
প্রকৃতির কল্যাণকারী শক্তিই কামি আর সর্বশক্তিমানের কল্যাণকারী বহিপ্রকাশ ই দেবতা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.