নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাঁধ ভাংগার আওয়াজ পাবেন অবশ্যই তবে সেটি আমার।\nআমার উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ,\nআনন্দানুভুতি আর \nঅবসাদের বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ।

কৌশিক পুনশিক

কৌশিক পুনশিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী হরমোন নাকি পুরুষ হরমোন

১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৩৭

মহিলাদের ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন অনেক বেশি, তাই নারী সাধারনত ঘনিষ্ঠ, বন্ধনযুক্ত সম্পর্ক স্থাপন করতে বেশি আগ্রহী। পুরুষদের আবার বেশি টেস্টোস্টেরন থাকে, যা তাদেরকে আরও শক্তিশালী যৌন উদ্দীপনা যোগায়। বিয়ের প্রতি নারীর তুলনায় পুরুষের বেশি অনীহা কিংবা পুরুষের কোন সম্পর্কে কমিটমেন্ট ঘাটতির এটাই বায়োলজিক্যাল কারন।
___________________________
-------------------------
মস্তিষ্কের মধ্যে অবস্থিত "মিডিয়াল প্রিঅপটিক নিউক্লিয়াস'- যেটা আসলে কয়েক মিলিমিটার চওড়া পরিচালন কেন্দ্র। মজার ব্যাপার যে সব স্তন্যপায়ী প্রাণীর পুরুষের মস্তিষ্কে এই অংশটি অপেক্ষাকৃত বড়৷ মানুষের ক্ষেত্রে তা দ্বিগুণ। এই স্নায়বিক কেন্দ্র কর্তৃত্ব, আগ্রাসী মনোভাব ও যৌন আকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণ করে৷ পুরুষদের ক্ষেত্রে এগুলি পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত, নারীদের ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন৷
এই কারনেই দেখা যায় পুরুষের মধ্যে দমননীতি, যুদ্ধবাজ প্রবণতা, ধ্বংসের নেশা, কামুকপ্রবনতা, যৌনক্ষুধা প্রচন্ড বেশি। নারীরা সুযোগ পেলে পুরুষকে পশুর মত বা পাশবিক বা তাঁর কামুকতা কুকুরের মত-এ কথাগুলো বলতে ছাড়েন না। কথাগুলোর আসলেও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে।
মহিলাদের সেরোটোনিন রিসেপ্টর বেশি থাকে। যা মেজাজ, আবেগ এবং হতাশার সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।তাই পুরুষের তুলনায় নারী মানসিকভাবে ডিপেন্ড করতে বেশি প্রেফার করে।
___________________________
-------------------------
এটা একটা পরিচিত তথ্য যে পুরুষের ব্রেনের ওজন নারী থেকে মোটামুটি সোয়া কেজি বেশি। অনেকে তাই নারী বুদ্ধিবৃত্তিতে যে ইনফেরিওর-এটা বলার চেষ্টা করে। মূলত ব্রেনে দু ধরনের পদার্থ আছে। হোয়াইট ম্যাটার আর গ্রে ম্যাটার। দেখা গেছে পুরুষের গ্রে ম্যাটার নারী থেকে ৬ গুন বেশি আবার নারীর হোয়াইট ম্যাটার পুরুষ থেকে ১০ গুন বেশি। গ্রে ম্যাটার প্রসেসিং এর কাজগুলো করে আর হোয়াইট ম্যাটার লজিকের আঊটপুট গুলোকে স্থানান্তর করে।
ঠিক এই কারনেই পুরুষের দিকনির্নয়ের ক্ষমতা, গোলকধাধায় থেকে বের হওয়া বা গনিতের কোন একটা সমাধান বের করতে বেশ সুবিধা। গাণিতিক সংখ্যাতত্ত্ব, স্থাপত্যবিদ্যা, ক্রীড়াবিদ্যা এবং মাপজোকের বিষয়ে পুরুষের লজিক নিখুত হয়।
//
আবার নারীর ভাষাজ্ঞান, কনিউনিকেশন, মানবিক অনুভূতি বা মাল্টিটাস্কিং এর ক্ষমতা ঢের বেশি। ঝগড়ার ক্ষেত্রে নারীকে হারানো অনেকক্ষেত্রেই কঠিন। নারী দ্রুত তাঁর মস্তিষ্কের ডান আর বাম পাশের মধ্যে দ্রুত তথ্যের আদানপ্রদান করতে পারে। এই কারনেই তাঁরা অতীত স্মৃতি রোমন্থনে বেশ পটু। কারন সিংগুলেট জাইরাস নামের অংশটা বড় হয়। যেটা পুরুষ পারে না।
তাই পুরুষকে আপনি একক কোন কাজ দিন-সে যতটা দক্ষতার পরিচয় দেবে, ঠিক তেমনি নারী বহুরুপি বহুমুখী কাজ একসাথে করতে ততটা দক্ষতা দেখাবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.