![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিনশেষে সবকিছু কণাতে শেষ হবে-এই ধরনের অবসেসন ক্ল্যাসিক্যাল ফিজিক্স লাভারদের মধ্যে অনেক বেশি বদ্ধমূল।
রবীন্দ্রনাথ বলে গেছেন, "সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম।" আর সেই কঠিন তত্ত্ব হলো Quantum Field এবং String theroy। যার সোজাসাপ্টা কথা, আপনি ফিজিক্যাল বডি নন। কথাটা শুনাতে হিন্দুধর্ম বা বৌদ্ধ ধর্মের মত শুনাতে পারে কারন এই দর্শন হাজার বছর ধরে চিল্লাচ্ছে যে শরীর মূলত মায়া, বিভ্রম। সত্য হলো ভেতরকার আত্মা।
------------
ধর্মদর্শন আত্মার স্বরুপ নিয়ে ধোয়াশায় থাকলেও কোয়ান্টাম আর স্ট্রিং সাধুবাবাদের মতে, প্রতিটা শরীর একেকটা এনার্জি ওয়েভস। তাই প্রতিটি জীব, গাছপালা একে অপরের সাথে ভাইব্রেশনের মাধ্যমে কথা বলে বা কানেক্টেড বা ইন্ট্যারেক্ট করে। আমার মত আশাবাদীরা আগ বাড়িয়ে এ ইন্টারেকশনকেই হয়ত বলবে শিহরণ বা গাট ফিলিংস। শরীর মানে এটম।এটম মানে Quark। কোয়ার্ক কে ম্যাগনিফাই করলে ওয়েভস।আর ট্রিলিয়নস ওয়েভস মিলেই হচ্ছে এই দেহ যা আদতে একটা ওয়েভফিল্ড।
শরীর মানে ওয়েভফিল্ড বা শরীরের মেকানিক্স ওয়েভ ফাংশন দিয়ে হয়ত ব্যাখ্যা করে গেলো কিন্তু মন? চেতনা? যদি শরীর ওয়েভস হয় আর ওয়েভ যদি ম্যাথমেটীক্যাল ফাংশন দ্বারা ডিফাইন করা যায় তবে মন বা চিন্তা বা আচরণ কেনো নয়?
দিনশেষে যেখানে সবকিছু হরমোন আর ইলেক্ট্রিক পালস। আর এখান থেকে শুরু হয় নতুন হাইপোথিসিস Quantum Mind.
---------------------------------
তবে তার জন্য আমাদের মস্তিষ্কে দরকার কোন একক কোয়ান্টাম সংবেদনশীল কোষ। তবেই পাকাপাকিভাবে ফিজিক্স আর নিউরোসাইন্স এর গাঁটছড়া সম্পাদিত হবে। নিছক হাইপোথিসিস মনে হলেও 2013 সালে মাইক্রোটিউবুলের উপর করা এক পরীক্ষায় Orch-OR তত্ত্ব প্রস্তাবে বলা হয় যে চেতনা মস্তিষ্কের নিউরনের কোয়ান্টাম প্রক্রিয়া থেকে উদ্ভূত হয়। তত্ত্বটি বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় দ্বারা ব্যাপকভাবে গৃহীত না হলেও ২০২২ সালে মাইক্রোটিউবিউলের উপর অন্য পরীক্ষা থেকেও সাজেস্ট করা হয় যে আমাদের মস্তিষ্কের মাইক্রোটিউবিউল সম্ভবত কোয়ান্টাম প্রসেস ব্যবহার করে কিছু জটিল অপারেশন বা চেতনা তৈরিতে।
সোজা কথা এইসব মাইক্রোটিউবিউলের আচরণে সাবএটমিক লেভেলের প্রক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় যেমন Quantum Entanglement।
।
ফিলোসফি বলছে ব্রক্ষ্মান্ডের প্রতিটি জিনিসের সাথে যুক্ত থাকার কথা। প্লেসিভো এফেক্ট এবং নোসিরো এফেক্টের কথা। পজিটিভ, নেগেটিভ এনার্জির কথা। অর্থাৎ আপনার থটস। এই থটসকে কি ফ্রিকোয়েন্সি লেভেল পর্যন্ত ভাবা যায়? ট্রান্সমিট করা যায়? অবাস্তব মনে হতে পারে কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না যে আমাদের শরীর কিন্তু কন্টীনিউয়াস Biophoton এর মত ইলেক্ট্রোম্যাগনেট ওয়েভ রেডিয়েট করে চলেছে আর এইসব সাব এটোমিক লেভেলে আমাদের জ্ঞান শুন্যের কোঠায়।
©somewhere in net ltd.