নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিপদজনক ব্লগ

কৌশিক

নিদারুণ প্রহসনের দিনগুলি

কৌশিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার পেটের কি হবে কালিয়া?

২০ শে জুন, ২০০৭ সকাল ১০:১১

পেট মোটা হয়ে গেছে। মানে খাদক হয়ে গেছি বাড়ন্তরকমের। প‌্যন্টের কোমড় বত্রিশ ইঞ্চি এখন বত্রিশটা দাঁত বের করে ব্যাঙ্গ করে, খেয়দেয়ে বেল্ট আর লাগতেই চায় না ঠিক ছিদ্রে। প‌্যান্টের চেহারা দেখে প্রেমে পড়ে গেলাম, পেটের জন্য এ প‌্যান্ট আমি ছাড়তে পারবো না। কাজেই তোড়জোড় বেঁধে নেমে গেলাম পেট কমাতে। পরিচিত মহলের স্বাস্থ্য সচেতনরা জিমে যেতে পরামর্শ দিলো, কিন্তু সময় ও পরিশ্রমের কথা চিন্তা করে সেটা অসম্ভব মনে হলো। একজন ডায়েটিসিয়ান পেটে টোকা দিয়ে বললো, তুমি কেবল খাদ্য উদরপূর্তি কমিয়ে দাও, দেখবে প্যান্ট ফিরে পেয়েছে আগের যৌবন।



সকাল ঘুম থেকে উঠে শুরু করলাম পেট-উপবাস। একটামাত্র রুটি। ডিমের অর্ধেক। তারপরে অফিসে দুই কাপ র'টি মেরে ঘাপটি মেরে বসে থাকি। এগারোটা পেড়ুতে পেটে মোচড়। আমি আমল দেই না। ঠিক একটায় আবার একটা রুটি, হালকা শবজী আর একটা কলা। তিনটা বাজতেই পেটের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। কিন্তু আমি নাচার, পেটকে শায়েস্তা করতেই হবে। প্রিয় প‌্যান্টের জন্য এই কোরবানী আমাকে মেনে নিতেই হবে। সন্ধ্যায় এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে যাবার কথা। তার সাথে দেখা হওয়া মানেই শর্মা বা বারবিকিউ। অনেক ভেবেচিন্তে জিহবাকে শাষন করে বাসায় ফিরলাম। পেটের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন যুদ্ধ চলছে তো চলছেই।



বিকেল ছটায় ঘরে ফিরে টেবিলে দেখলাম, আলুভর্তা, ঘন ডাল আর কলিজা সাজানো। দেখেই আমার নেশা হয়ে গেল। সকাল ও দুপুর জুরে দুই রুটি, পেটের নেশাতো হবেই। রাতের খাবারের ঢের বাকী। রাতে কিছু না খেলে এখনতো এগুলো খাওয়াই যায়। পোষাক না ছেড়ে হাত ধুয়ে আমি লেগে গেলাম পেটপুজোঁতে। কি পরিমাণ খেলাম তার কোন হিসেব নেই, তবে যখন হুশ হলো তখন দেখি টেবিল ফাঁকা। একটা বিশাল ঢেকুর তুলে রিমোট নিয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে মনে হলো, শান্তি, ওম শান্তি!



রাত গড়িয়ে এগারোটা। রাতের খাবারের ডাক পড়েছে। আমি বিকেলে যে হাতির মত গাদিয়েছি সেটা আর মনে থাকে না। খাবার টেবিলে মেনু পরিবর্তন হয়ে গেছে। এখন সেখানে ইলিশখিচুরি। অবশ্য একজন গেস্টের সৌজন্যে। মেহমানকে সংগ দেয়া বড় পুন্যের কাজ। লেগে গেলাম ভোজনপর্বে। দ্বিতীয় ইনিংসও পুরো সাবাড় করে যখন তৃপ্তির ঢেকুর তুলছি তখন মনে হলো পেটটা আর চলছে না। এরপরের গল্প অতি সাধারণ। বিছানায় পড়ালাম আর ত্রিশ সেকেন্ডের মধ্যে ঘুমের রাজ্যে চলে গেলাম।



আজকে সকালে অনেক কায়ক্লেশে বেল্টটা পরিচিত ঘাটে পরতে পেরেছি। প‌্যান্টের বোতামটাও লাগাতে কষ্ট হয়েছে। কালকের মত আজকেও হলে নিশ্চিত আগামীকাল আমার সাধের প‌্যান্টগুলোর মায়া ছাড়তে হবে। সকালে তাই একটা রুটি খেয়েছি। দুপুরের জন্য আরো একটা রুটি বরাদ্দ। তবে দশটা না বাজতেই মনে হচ্ছে পেটটা খালি খালি। আমার কি হবে কালিয়া?

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০০৭ সকাল ১০:১৬

তিমুর বলেছেন: সকালে একঘন্টা হাঁটেন, কামে দিবো ।

আর ডায়েটিং এর সহি তরিকাটা হইলো সকালে ভারী, দুপুরে মাঝারী, রাইতে হালকা ।

২| ২০ শে জুন, ২০০৭ সকাল ১০:১৯

মুহম্মদ জুবায়ের বলেছেন: কৌশিক কি আমার হয়ে লিখলেন? (মৃদুহাস্য)

৩| ২০ শে জুন, ২০০৭ সকাল ১০:২৩

তিমুর বলেছেন: আর ২ লিটার পানি হররোজ...মনে থাকে যেন ।

৪| ২০ শে জুন, ২০০৭ সকাল ১০:৩২

ঝড়ো হাওয়া বলেছেন: আমার বন্ধু মোটকা মাসুম কে গত শুক্রবার দেখলাম লক্ষনীয় পরিমানে চিকনা হয়ে গেছে !! এর রহস্য, সে গত ৬ মাসের ও বেশী সময় জিব্ব কে শাসনে রেখেছিল। আর আপনার পেট তো কিছুই না ৩ মাসের কোর্স !!

৫| ২০ শে জুন, ২০০৭ সকাল ১০:৩২

সৃজন বলেছেন: হ
তোমার আকৃতি দিন দিন পয়সাওয়ালা শেঠ এর মত হচ্ছে.....

হেড ছোটা অর পেট বড়া......

তিমুরের পরামর্শ ফলো করো .....

৬| ২০ শে জুন, ২০০৭ সকাল ১০:৪০

অন্যআনন বলেছেন: আমাকে দেখে যদি আপনার কিছু হয়..!!

৭| ২০ শে জুন, ২০০৭ সকাল ১০:৫০

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আনন মিয়া তুমি!!!! কে কারে কি পরামর্শ দেয়। কৌশিক মোটা হইতাসে খাইয়া আর তুমি হইসো প্রেম কইরা। আর আমি তো হে হে হে...

৮| ২০ শে জুন, ২০০৭ সকাল ১০:৫৫

মদন বলেছেন: অতিরিক্ত খেয়ে ডায়রিয়া বাধান...
২ দিনের মামলা পেট কমানো।

৯| ২০ শে জুন, ২০০৭ সকাল ১১:০৪

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: মদন কি সিবা গেইগির ব্রান্ড অ্যাম্বেসেডর নাকি? মনে পড়ে এ্যাডটা? `বিষণ্নতা একটি রোগ'। আমার এক বড় ভাই সেইটা খাইয়া সাতদিন বাথরুমে আটকা, তারপর সে যখন বাইর হইল তখন তার বিষণ্ন থাকার তো কোন সুযোগই নাই নিজের জীবন বাঁচাতে নতুন চিকিৎসা শুরু করতে হয়েছে।

১০| ২০ শে জুন, ২০০৭ সকাল ১১:০৬

কৌশিক বলেছেন: তিমুর, গত চল্লিশ বছর যাবত হাঁটবো বলে কেবল প্লানই করি। আমার প্লান শেষ হতে হতে একদিন সকালে দেখবো লোকজনের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে কবরে যাচ্ছি। তবে সকালে কেমনে বেশী খাই বলেন, এমন হুড়ুহুড়ি লাগে মনে হয় মাঝেমাঝে প

১১| ২০ শে জুন, ২০০৭ সকাল ১১:০৯

কৌশিক বলেছেন: জুবায়ের ভাই, আপনার বয়স যদি আমার চেয়ে কম হয় তাহলে এখনও আপনার সুযোগ আছে। আমার আগের আদনান সামী হবার নেশায় পেয়েছে।

১২| ২০ শে জুন, ২০০৭ সকাল ১১:১১

সৃজন বলেছেন: বড্ড বেশী অনিয়ম করছো ইদানিং....

কথায় বলে .....
"আইজ বুঝবা না , বুঝবা কাইল
হোগা থাবরাবা , দেবা গাইল"

১৩| ২০ শে জুন, ২০০৭ সকাল ১১:১৭

কৌশিক বলেছেন: সৃজন, আজকে সন্ধ্যায় তোমারে হোগা থাবরানি দেখাবো। থাউক্কো বসুন্ধরা সন্নিকটে, আমি আইসা তোমাকে নিয়ে ডায়েট করবো আর শর্মা খাবো।

১৪| ২০ শে জুন, ২০০৭ সকাল ১১:১৭

কৌশিক বলেছেন: ঝড়ো, মোটকা মাসুম কি জীবিত আছে?

১৫| ২০ শে জুন, ২০০৭ সকাল ১১:৩১

কালপুরুষ বলেছেন: স্লিম হবার প্রধান ৩টি উপায় আমার জানা আছে। অবশ্যই সেটা মানতে হবে। তবে কম খেয়ে নয়, বেশী বেশী খেয়ে। কী বিশ্বাস হয়না? একবার পরীক্ষা করেই দেখুন। বিফলে মূল্য ফেরত। নিজের উপর পরীক্ষা করে যথেষ্ট ফল পেয়েছি। তাই এখনো মাশাল্লাহ প্রতিদিন ডাবল ডিম পোচ তাও আবার ঘি দিয়ে ভেজে, টিপু সুলতান রোডের মাংশ প্রতি সপ্তাহে দুদিন, গুর্দা আর কলিজা ভুনা মাসে দুদিন। তাছাড়া হাজী, ফখরুদ্দিন ও সুবরাতির বিরিয়ানী প্রতি মাসে লেগেই আছে। তবুও বিগত ১০ বছর ধরে ৩৪ ইঞ্চি কোমর নিয়ে বহাল তবিয়তেই আছি। আর হ্যাঁ এর মূলে যে রহস্য তা হলো নীচের তালিকায় উল্লেখিত খাবার নিয়মিত বেশী পরিমাণে খাওয়া বা পান করা। সেগুলোঃ
১। পানি
২। পানি
৩। পানি।

এবার পরীক্ষা করে দেখুন। এক মাস সময়। কাজ হয় কি না?

১৬| ২০ শে জুন, ২০০৭ সকাল ১১:৪১

কালপুরুষ বলেছেন: প্রতিদিন ৪/৫ লিটার পানি পান করি।

১৭| ২০ শে জুন, ২০০৭ সকাল ১১:৪১

কৌশিক বলেছেন: কালপুরুষ, আপনি আমাকে আশা দিলেন। কিন্তু পানি না খেয়ে আগে যা বললেন সেগুলো খেয়ে কিভাবে দীর্ঘজীবন লাভ করা যায় সেটা যদি একটু বলতেন!

১৮| ২০ শে জুন, ২০০৭ সকাল ১১:৫৫

কালপুরুষ বলেছেন: ওগুলো হজম করাতেও পানি লাগবে। আর যদি নিতান্তই জীবনটা পানিতে ফেলতে চান তবে আগের গুলোই বেশী করে খান। পানির কথা ভুলে যান। কারন মরার আগে চামুচে করে কেউ না কেউ পানি দেবার লোক পাবেন। ওয়াসার পানি না হলে তা জমজমের পানিতো হবেই।

১৯| ২০ শে জুন, ২০০৭ দুপুর ১২:০১

কৌশিক বলেছেন: বস, তাহলে আপনার বাসায় একদিন ফাইনাল খাওয়াটা সেরে পানি খাওয়া শুরু করি, কি বলেন?

২০| ২০ শে জুন, ২০০৭ দুপুর ১২:০৫

সুমেরু বলেছেন: খাবার আগে একটু মদ্যপান ভীষণ জরুরী।

২১| ২০ শে জুন, ২০০৭ দুপুর ১২:০৯

কৌশিক বলেছেন: সুফল কি সুমেরু!

২২| ২০ শে জুন, ২০০৭ দুপুর ১২:১২

সুমেরু বলেছেন: খাবার ঝটাস করে হজম হয়ে যবে, কোন ঝাঁকি লাগবে না।

২৩| ২০ শে জুন, ২০০৭ দুপুর ১২:১৭

কালপুরুষ বলেছেন: কৌশিক,
আপনার বউয়ের হাতের ঘন ডাল টমেটো ধনেপাতা দিয়ে না খাওয়া পর্যন্ত আমার বাসায় কারও জন্য চুলা জ্বলবে না। তাতে যদি কারও সাথে চুলাচুলি করতে হয় তাতেও রাজি। আর হ্যাঁ আমার ইলিশ মাছ কই? ২৬০ টাকায় দেড়খান নয়তো বড় সাইজের একখান ইলিশ মাছ পাওনের কথা। মাশা কী দিব জানিনা। মাশারেও বিচরাইতেছি। টাকার শোক পুত্র শোকের চাইতে কম নয়।

২৪| ২০ শে জুন, ২০০৭ দুপুর ১২:১৭

কৌশিক বলেছেন: কিন্তু ঘরে মদ রেখে বেচারা মওদুদ এখন মামলায় ধুকছে। সে নাকি বিক্রির জন্য মদ রেখেছিল তিনবোতল!

কিন্তু মদ খেয়ে খেতে বসলে আমার যে রুচি আরো বেড়ে যায় ভায়া, নরমালের ডাবল হয়ে যায় ভক্ষণ!

২৫| ২০ শে জুন, ২০০৭ দুপুর ১২:২০

কৌশিক বলেছেন: কালপুরুষ, আর একবারের জন্য আমাদেরকে কি নেমতন্ন করা যায় না? আপনার হাতের অমৃত কতদিন খাই না!

২৬| ২০ শে জুন, ২০০৭ দুপুর ১২:২১

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: কৌশিক: আমিও শেষবারের মত ভালো খেয়ে নিতে চাই..আর তারপর আবারো পানি খেতে চাই , পানি খেয়ে শুকিয়ে যেতে চাই।

২৭| ২০ শে জুন, ২০০৭ দুপুর ১২:২২

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ওহ হো আসল কথা তো বলাই হয়নি..পাগলা পানি হলেই কেবল মানুষ পেট কমাতে পারে।

২৮| ২০ শে জুন, ২০০৭ দুপুর ১২:২২

সুমেরু বলেছেন: আরে কৌশিক,
তয় আর আপনারে কেউ পেটুক কইব না।
দোষ তো বোতলের ঘাড়ে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.