নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিপদজনক ব্লগ

কৌশিক

নিদারুণ প্রহসনের দিনগুলি

কৌশিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলু আমার আলু সে যে আলু জীবন ভরা

৩০ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১১:৫০

জে মঈনের আলুর দোষ দেখা গেল। শায়েখ সিরাজের "ওভার এম্ফাসাইসমেন্ট অন আলু" চাষীদের এমন আলু সংক্রমন করালো যে এবার একেবারে বাম্ফার-ডাম্ফার ফলন হয়ে গেছে। সম্ভবত সিরাজ সাহেব বুঝে উঠতে পারেননি তিনি কেমন ইনফ্লুয়েন্সিয়াল হয়ে উঠেছেন গ্রাম বাংলায়। যদি আলুর প্রতিবেদন করেন তো আলুর উৎপাদন বাড়ে, পেয়ারা দেখান তো পেয়ারার বীজের চাহিদা বেড়ে যায়। কিছুদিন আগে আরবী খেজুরের একটা প্রতিবেদনের পরে তো দেশের মাটিতে আরব দেশের খেজুর উৎপাদন শুরু হয়ে গেছে মহাসমারোহে।



যাই হোক প্রসঙ্গ ছিল জে মঈনের আলুর দোষ। এটা যে এই শায়েখ সিরাজের বদৌলতেই হয়েছে এটা মোটামুটি নিশ্চিন্তে বলা যায়। আলুর শায়েখ সিরাজীয় ফলনের কারণে কোল্ডস্টোরেজ সংকট দেখা দিয়েছে। চাষীরা অমৌসুমে বেশী দামে আলু বিক্রি করে মুনাফা করবে বলে বাড়তী ফসল সেমি-শীততাপ নিয়ন্ত্রিত গোডাউনে প্রিজার্ভ করে থাকে। কিন্তু এবার তো উরাধুরা ফলন - সব কোল্ডস্টোরেজ সোনার আলুতে গিয়াছে ভরি! ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই ছোট সে তরী!



অবশ্য এ নিয়ে উৎকণ্ঠিত হবার কিছু নেই। জানালেন জে মঈন। বললেন, আমরা যদি এই অতিরিক্ত আলু খেয়ে ফেলি তবেই আর স্টোর করার দরকার হবে না! তিনি মনে করিয়ে দিলেন, দেশে এখন চাল-সংকট চলছে। আলু হতে পারে ভাতের কার্যকর বিকল্প!



মঈনের এই বক্তব্যকে ক্রিটিকরা আখ্যা দিয়েছেন "আলুর দোষ" হিশেবে। তারা পরামর্শ দিয়েছেন, মঈন এক কাজ করতে পারেন। সেনাবাহিনীর বিশাল জনসংখ্যাকে আলু খেতে উৎসাহিত করতে পারে। একটা সুশৃংখল বাহিনী হিশেবে সেনাসদস্যরা তার ডাকে যতটা সাড়া দেবে আমজনতা ততটা নাও দিতে পারে।



সো জে মঈন - ছড়িয়ে দিন আপনার আলু দোষ সব সেনাদের অন্তরে! আহা কি আনন্দ আজ আকাশে বাতাসে!



একটা ঘটনা মনে পড়লো। বছর দুই আগে যখন গরুর দোষ দেখা দিল মানে কোরবানীর সময় ইন্ডিয়া যখন গরু রপ্তানীর উপর বিধিনিষেধ আরোপ করলো তখন একটা ওয়ার্কশপে পঞ্চগড় গিয়েছিলাম। পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সেই ওয়ার্কশপে কি একটা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন, আমরা যদি আমাদের ড্রইংরুমে একটা করা গরু পালি তবেই তো আর এ সমস্যা থাকবে না! শুনে এত ভাল লেগেছিল, আহা মরি মরি, কি আইডিয়া! এই না হলে সরকারী কর্মকর্তা!



জে মঈন সমস্ত এসিওয়ালা সরকারী বাড়ীগুলোতে আলু সংরক্ষণের একটা বিকল্প প্রস্তাব দিতে পারেন। আলু আমার আলু সে যে আলু জীবন ভরা!



* সামহোয়ার বাঘে খেয়ে ফেলেছিল। স্রোতের ব্যাকআপ থেকে সামী মিয়াদাদ কর্তৃক সংগৃহিত এবং আবার পুনঃলিখিত।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৫/-১

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১১:৫২

রাজামশাই বলেছেন: আলুর দোষ শব্দ টা অন্য অর্থ ব্যবহার হয়।

৩০ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:০১

কৌশিক বলেছেন: তুমি একাই জেনে মুখ বন্ধ রাখো।

২| ৩০ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১১:৫৭

তীরন্দাজ বলেছেন: ১) সেনাবাহিনীর বিশাল জনসংখ্যাকে আলু খেতে উৎসাহিত করতে পারে। একটা সুশৃংখল বাহিনী হিশেবে সেনাসদস্যরা তার ডাকে যতটা সাড়া দেবে আমজনতা ততটা নাও দিতে পারে।

২) জে মঈন সমস্ত এসিওয়ালা সরকারী বাড়ীগুলোতে আলু সংরক্ষণের একটা বিকল্প প্রস্তাব দিতে পারেন। আলু আমার আলু সে যে আলু জীবন ভরা!

অতি উত্তম প্রস্তাব করেছেন কৌশিক।

৩০ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১২:৩১

কৌশিক বলেছেন: আপনি যদি কথাবার্তা শোনেন - একেবারে খাঁটি একটা ক্লাউন মনে হবে। নিউ ব্রান্ড অব ডেমোক্রেসীও লিখছে।

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১১:৫৯

সামী মিয়াদাদ বলেছেন:

ড্রইংরুমে গরু পালন...হাহাহাহহাহাহাহ এবার থেকে ড্রইংরুমে ধান অথবা আলু চাষ করতে হবে...মুন্সীগন্জের পুরো আলুখেত ঠিক করেছি ড্রইংরুমে নিয়ে আসবো

৩০ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৩১

কৌশিক বলেছেন: শায়েখ সিরাজ যদি এভাবে ধানের একটা বাম্পার ফলনের ব্যবস্থা করতে পারতো! একঠ্যালায় পেরধান মনতরি!

৪| ৩০ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১২:০৬

মুজিব মেহদী বলেছেন: আবার তো ডিলিট খাবেন ভায়া।

৩০ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৪৭

কৌশিক বলেছেন: এইটুকুনেই?

৫| ৩০ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১২:১৫

মুজিব মেহদী বলেছেন: সর্বশেষ টানা বর্ষণের সময় সিরাজদিখান এলাকার আলুক্ষেতের বারোটা বেজে গেছে মর্মে শাইখ সিরাজের রিপোট দেখে একখান কবিতাই লিখে ফেললাম 'আলুকৃষকের চটি' নামে। সচলায়তনে ওটা বেশ গাম্ভীর্য নিয়ে পোস্টালামও। ভাবলাম, বেশ একটা ডকুমেন্টেশন করে ফেলেছি এবার, কবিতায়। অথচ সিজনের শেষ দিকে এসে শুনি আলুর ব্যাপক ফলন, রাখার জায়গা পর্যন্ত নেই। কবিতাটা কেমন ধরা খেল দেখলেন।

আলুগন্ধী এই পোস্টের লেজে ধরা খাওয়া কবিতাটা শেয়ার করে ফেলি, কী বলেন?


আলুকৃষকের চটি

প্রান্তর শয্যায় মধ্যরাত ঢেকে গেল চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে উড়ে আসা ধুলায়
এই ধূলিমলিন ঘাসের দেশে আমি টর্চহীন খুঁজছি একটি পালকের রঙ
এবারে আলুর ফলন বৃষ্টির বেয়াড়া পতনে কিছু কমে গেল
সিরাজদিখান জুড়ে গালে হাত দিয়ে বসে আছে মাঠে মাঠে আলুকৃষকেরা
আমাদের কৃষিমন্ত্রীর দরদ কেমন উথলে ওঠে
তা হয়ত চ্যানেল আইয়ে দেখব আমরা কাল

কিন্তু বহু প্রতিক্ষিত সেই পালক কোথায়

বাতরে নিজের চটি জোড়া রেখে যে কৃষক ক্ষেতে নেমেছিল কাল
ভুলে থেকে যাওয়া সেই চটির ফিতা পালকের বদলে আমার চোখে লাগে
আমি তাই নিয়ে পুরানো পৃথিবী জুড়ে গ্রামকে গ্রাম হাঁটছি
ইতোমধ্যে চটির বেদনা ভোলা আলুকৃষকের কল্পিত একটা নাম জপে জপে


৩০ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৩২

কৌশিক বলেছেন: কবিতা নয়, আলু ধরা খেয়েছে। ধরা খেয়ে অমর হয়ে রইলো এই কবিতায়।

৬| ৩০ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১২:১৮

রাজামশাই বলেছেন: @মুজিব মেহদী : তুমার টাকে একটা চুমা পুরস্কার হিসাবে।

৭| ৩০ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১২:২৬

মুজিব মেহদী বলেছেন: টাক তো চুমার জন্যে উৎকৃষ্ট জায়গা না রাজামশাই।

৮| ৩০ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৭

মৈথুনানন্দ বলেছেন: ☯ মনোহর আলুচনা ☯

০৯ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১:০২

কৌশিক বলেছেন: থ্যাংকস।

৯| ৩০ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:০৪

নেমেসিস বলেছেন: প্রথম প্রস্তাবনাটা যথেস্ট বাস্তবসম্মত বিধায় ইহার একটি অনুলিপি সেনাসদরে পাঠানো হউক ।

৩০ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৫১

কৌশিক বলেছেন: সেনাসদরে আমাকে পাঠানোর ধান্দা!

১০| ৩০ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:২৭

নবজন্ম বলেছেন: আলু খামু তয় জে মঈন তার নিজস্ব তহবিল থাইকা যদি আলু ফ্রিতে দেন।এতে কইরা কৃষক ও তার ন্যায্য দাম পাবে আর কোল্ডস্টোরেজ-
এ আলু রাখোন লাগবো না।

৩০ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:১৬

কৌশিক বলেছেন: এ আলু ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে, সবখানে!

১১| ৩০ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৪০

মদন বলেছেন: তীরুর সাথে একমত :)

১২| ৩০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

রোজলীন বলেছেন: হক কথা লিখার জন্য হাততালি

০১ লা এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৪

কৌশিক বলেছেন: হক কথা।

১৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১:২০

যীশূ বলেছেন: চল, এট্টা আলু ফিকনিক কইরা ফেলাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.