নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ক্রান্তী সৌরভ

আপোষহীন জীবন, ভালবাসি সম্সান করি সকল মানুষ ও ধর্ম কে

ক্রান্তী সৌরভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্ধধর্মানুভুতি

০১ লা জুন, ২০১৫ দুপুর ২:২৩

-পৃথিবীর সব থেকে শান্তির আর আদর্শ ধর্ম হচ্ছে আমারটা।

-কিভাবে বুঝলেন?

-আমাদের ধর্মগ্রন্থে লেখা আছে।

-তাতেই কি বুঝা যায়?

-কেন যাবে না। আমরাই একমাত্র ধর্ম, যা শুধু শান্তি আর শান্তি। বাকি সব.... থাক বললাম না।

-কেন বলবেন না। বাকি সব ধর্ম কি অশান্তি চায়?

-চায়।

-আপনি বাকি ধর্ম সম্পর্কে কতটুকু জানেন?

-নাউজুবিল্লা, কাফেরদের ধর্ম জানতে যাব কোন দুঃখে। তাতে গুনা হবে।

-কখনও অন্য ধর্ম মানে যাদের কাফের বলেন, তাদের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছেন?

-না না না। কোন দরকার নাই জানার।

-তাহলে বললেন কিভাবে যে আপনার ধর্মই একমাত্র শান্তির, বাকি সব অশান্তির কথা বলে।
নব্য হুজুর লোকটি এবার চুপ। এবার তিনি কিছুটা বিরক্ত। শুরু থেকে লাফালাফির পরিমানটা কমে গেল। মনে হল তার মন মত কথা বা জীজ্ঞাসা হচ্ছে না।

এমন লোক অহরহ পাবেন আপনার চারপাশে। হুটহাট বলে দিবে। ধরুন আপনি আপনার ভাই সম্পর্কে কোন মন্তব্য করবেন,সেটা যে মন্তব্যই হোক না কেন। তা করার পূর্বে অবশ্যই ভাল করে জানতে হবে, আপনার ভাই সম্পর্কে। কারও সম্পর্কে কিছু না জেনে যদি কোন মন্তব্য করি,সেটা কি সমীচীন। একদম নয়।

ঠিক এমনি এই হুজুর, এটা সাব্দিক অর্থে। কেউ অন্যদিকে ব্যাখ্যা দিবেন না। সে নিজে জানে না ভাল করে অন্য ধর্ম সম্পর্কে, তদুপি বাজে মন্তব্য করতে একটুও পিছ পা হচ্ছে না। তহলে সে কিভাবে এই বালু সমান জ্ঞান নিয়ে মন্তব্য করেন?

=> পৃথিবীর যতগুলি ধর্ম আছে, যদি তাদের প্রধান ধর্ম গ্রন্থ পড়েন, এটা স্পষ্ট যে সব ধর্ম গ্রন্থ শান্তি, সুখ, পূন্যকাজ ইত্যাদির পক্ষে বলেছেন। তাহলে কেন এই একপেশে কথা,তা প্রচার করা হয়। কোন ধর্মগ্রন্থ পড়া পাপের কিছুই না। আমার মতে জ্ঞান অর্জন করা মোক্ষ কাজ। তাহলে অজ্ঞানী জাতিতে নিজেদের তৈরি করার কোনই মানে আছে কি?
আমার জানার জ্ঞানের পরিসীমার বাইরে কেন যেতে চাচ্ছি না। না জেনে মন্তব্য করা, ভুল ফতোয়া দিয়ে নিরীহ শান্তিকামি মানুষদের হত্যা করা। কবে বন্ধ হবে? মানুষ এখন আর বোকা নয়। সবাই জানে, জাতি বলতে পৃথিবীতে দুটি- পুরুষ ও মহিলা।
ধর্ম হলো চলার পথ দেখানোর বাহক বা পথদ্রষ্টা।ভুল ব্যাখ্যা দেয়া থেকে বিরত হউন। নিজে জানুন। অন্যকে জানার সুযোগ দিন। সকল ধর্মের মত কামনা করি শান্তিময় হউক পৃথিবী।

©ভাবুন জ্ঞানী জন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯

মুরব্বী বলেছেন: ঠিক আপনাকেও ঐ হুজুর থেকে বেশি জানলেওয়ালা/জ্ঞানী বলে মনে হচ্ছে না, যার নাকি বালু সমান জ্ঞান। কারন সমস্ত ধর্মগ্রন্থ যে শান্তির কথা বলা হয়েছে সেটা বলেছে ঐ ধর্মগ্রন্থের লেখক (মানব রচিত) । আর ঐ হুজুর যে শান্তির কথা বলেছে সেটা কোন ধর্মগ্রন্থের লেখকের কথা না শয়ং সৃষ্টিকর্তার কথা ।

০১ লা জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

ক্রান্তী সৌরভ বলেছেন: আপনি জানলেন কিভাবে যে ওটে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার লেখা?
আপনি কা সাথে ছিলেন লেখার সময়, নাকি প্রমান আছে কোন।
আপনিও দেখি ওই হুজুরের মত, মন গড়া কথা বলছেন। প্রমান ও বাস্তবতা নিয়ে কথা বলুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.