![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কারে বা জানাই বলো বেদনা আমার, বুঝিল না কেহ আমারে...
আমাদের জনসংখ্যা যেভাবে বাড়ছে ও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে তাতে জাতিসংঘ যেকোন সময় আমাদের দেশকে 'মনুষ্য বসবাস অনুপযোগী' হিসেবে আখ্যায়িত করতে পারে। ১০ কোটি মানুষের বেশী ধারণ ক্ষমতা এদেশের নেই। ১৫ কোটি মানুষ এখন এদেশে। এটা যেন ৩০ কোটিতে গিয়ে না পৌছায়। এখনও সময় আছে, আমাদের সমস্যা আমাদেরই সমাধান করতে হবে।
শিক্ষিত ও সামর্থবানদের বেশী সন্তান হলেও তেমন সমস্যা ছিল না। তারা তাদের সন্তানদের প্রয়োজনীয় দেখভাল করার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু এই শ্রেণীর মাঝে এখন অধিক সন্তান গ্রহণ প্রবণতা নেই বললেই চলে। অশিক্ষিত, গরীব ও বস্তিবাসীরাই এদেশে বেশী সন্তান নিচ্ছে, অথচ তাদের সন্তানদের ভরনপোষন বা লেখাপড়া করানোর সামর্থ নেই। এটাই মূল সমস্যা এবং তা ভয়াবহ অবস্থা ধারণ করেছে।
এজন্য সরকারকে একটু কঠোর হতে হবে। শুধু আহবান জানিয়ে লাভ হবে না। স্বাধীনতার পর থেকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নামে কয়েক লক্ষ কোটি টাকা দেশে খরচ হয়েছে। কাজের কাজ তেমন কিছুই হয়নি। লাগামহীনভাবে বেড়ে চলেছে আমাদের জনসংখ্যা।
এজন্য সবচেয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা হচ্ছে - লাইসেন্সিং।
সন্তান গ্রহন করতে হলে প্রথমে লাইসেন্স গ্রহন ও ফী পরিশোধ করতে হবে।
প্রথম সন্তান গ্রহনের জন্য ৫০০ টাকা লাইসেন্স ফী ধার্য হতে পারে। দ্বিতীয় সন্তানের জন্য ৫,০০০ টাকা। এভাবে ৩য় সন্তানের জন্য ৫০,০০০ টাকা, ৪র্থ সন্তানের জন্য ২০০,০০০ পর্যন্ত হতে পারে। সরকারের আয়ও বাড়বে এতে। জন্ম, মৃত্যু, জাতীয় আইডি, ভোটার আইডি - এই বিষয়গুলো দেখার জন্য জন্য "জাতীয় পরিচয় অধিদপ্তর" বা এরকম একটি বিভাগ থাকতে হবে দেশে, যেখান থেকে সন্তান জন্মধারণ সম্পর্কিত লাইসেন্সও গ্রহন করা যেতে পারে।
আইন অমান্যকারীদের তিনগুণ পর্যন্ত জরিমানা ও অনাদায়ে জেল হতে পারে।
আমাদের আলেম সমাজ এতে সাহায্যের হাত বাড়াবেন বলে আশা করি। আমাদের ভাগ্যতো আমাদেরই নির্ধারণ করতে হবে। বিদেশী পরামর্শরা এসে ঠিক করে দিয়ে যাবেন না।
ধর্মের সাথে এই আইন কনফ্লিক্ট করবে না কোনমতেই। কারণ ইসলাম ধর্মে পরিষ্কারভাবে বিয়ে ও সন্তানগ্রহণ সম্পর্কে সতর্কতামূলক কথা বলা হয়েছে।
লাইসেন্স বিহীন সন্তান জন্ম হলে আইনের চোখে অবৈধ সন্তান বলে বিবেচিত হবে। সন্তান ডেলিভারীর সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স চাইবে। স্কুলে ভর্তির সময় লাইসেন্স চাইবে... জেল জরিমানার ভয় সবারই আছে।
চীন দেশে এর চেয়েও কঠোর আইন রয়েছে। তারা সফল হয়েছে। জনসংখ্যার ঘনত্ব আমাদের চেয়ে তাদের অনেক কম। তারা ইতিমধ্যেই নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে। আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনাকারীদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে কবে?
২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১১:২৯
বান্দর মিঞা বলেছেন: ফাগল ১ নম্বর। বরলোকেরাই বাছছা নিব, আর গরিবগু কিসুই নাইক্কা? গরিব বইলা কি সাদ আল্লাদ নাই!
৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৭ ভোর ৬:৩৭
বীর বলেছেন: সহমত।
৫
৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৭ ভোর ৬:৩৮
বিহঙ্গ বলেছেন: ভালো প্রস্হাব।
৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৭ ভোর ৬:৪৯
কেএসআমীন বলেছেন: ধন্যবাদ সোনার বাংলা, বান্দর মিয়া। সোনার বাংলার প্রস্তাব যুক্তিযুক্ত। কিন্তু আমাদের সরকার আমরারে কিছু দিব না শুধু নিব। যেমন ট্যাক্স যারা দিতাছে শুধু দিতাছেই। একপয়সা ফেরত দিব না।
বান্দর মিয়া যা বৈলেছেন তার ব্যাপারে বলতে গেলে, আমাদের ধর্মেও আছে যে, সামর্থ না থাকলে বিবাহ করা যায়েজ হয় না। এবার বলুন আমি তো বিয়ের কথা বলছি না, বাচ্চা নেয়ার কথা বলছি। সাদ আহলাদদের সমস্যা হইব না ইনশাল্লাহ।
৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৭ ভোর ৬:৫০
ইরতেজা বলেছেন: সহমত। পাচাইলাম
৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৭ ভোর ৬:৫৭
কেএসআমীন বলেছেন: ইরতেজা ভাই। অনলাইনে আছেন, শরীর ভাল?
৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৭ ভোর ৬:৫৯
এস্কিমো বলেছেন: নো কমেন্ট...কানাডায় যত বেশী বাচ্চা তত বেশী টাকা। দেখা গেছে যাদের ৭/৮ টা বাচ্চা তাদের সরকারী অনুদানের পর আর কোন কাজ করতে হয় না।
৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:০৭
পুতুল বলেছেন: দুভাগ্যক্রমে, একমত নই। জনসংখ্য কমাতে হবে সেব্যাপারে একমত। তবে জনগনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে। সেটা বয়স্কশিক্ষা এবং বাধ্যতামূলক প্রাথমিক (ধনি গরীব সব শিশুদের জন্য) নিশ্চিত কের। এতে স্বল্প মেয়াদী খরচ বাড়বে কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদী ভাবে দেশের কল্যানই হবে।
১০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:০৯
রাশেদ বলেছেন: একমত পুতুল আপু। ধর্মীয় ভীতিটাও দূর করতে হবে এই ব্যাপারে।
১১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:১৬
পুতুল বলেছেন: ঠিক কথা রাশেদ। ধর্মিয় গোড়ামীও শিক্ষার মাধ্যমে দূর করা সম্ভব।
১২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:১৭
কেএসআমীন বলেছেন: ধন্যবাদ পুতুল আপু। এটা কানাডা নয়, সিংগাপুর নয়, জার্মানী নয়। গত ৩০ বছর ধরে দেখছি সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা। আগামী ৬০ বছরেও কিছু হবে না। আর কিছু না হলে কী হবে জানেন তো... রাশেদ সাহেবতো লন্ডন ছেড়ে আসতে চাইবেন না...
১৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:১৯
রাশেদ বলেছেন: ভুল বললেন, দেশ আমার কাছে সব কিছুর উপরে।
১৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:২১
রাশেদ বলেছেন: জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কি আগের থেকে কমছে না? এইতা কিভাবে হইলো যদি মানুষ (হয়ত অল্প পরিমান) সচেতন না হয়?
১৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:২৩
রাশেদ বলেছেন: দেশের মায়া আছে দেখেই বাংলা ব্লগে বসে থাকি দিন রাত। ভালো লাগে বাংলায় পড়তে ও লেখতে।
১৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:২৫
পুতুল বলেছেন: উন্নতদেশ গুলিতে জনসংখ্যা আশংকা জনক ভাবে হ্রাস পাচ্ছে। তাই অনেক রকম সুবিধা দিয়ে মানূষকে বাচ্চা নিতে উতসাহিত করা হচ্ছে। বিগত সরকারগুলির কোন আন্তরিকতা না থাকায় আমাদের দেশে অধগতি হয়েছে মানে মানুষ বেড়েছে। আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে আইনকরে এব্যাপারে সফল হওয়া সম্ভব নয়। ভারতে ইন্দিরা গান্ধী চেষ্টা করে সফল হননি। মোট কথা বাঙ্গালীরে হাইকোর্ট দেখিয়ে লাভ নাই।
১৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:২৫
জোনাকি বলেছেন: আমার মনে হয় দেশে একেবারে বাচ্চা-কাচ্চা না নেয়ার আইন করা ভালো। আগামি ২০ বোচোরের মধ্যে যে বাচ্চা নিবে তাকে ২০ বছরের শাস্তি প্রদান করা হবে এরকম একটা নিয়ম চালু করা উচিত
১৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:৩১
পুতুল বলেছেন: জোনাকি, সম্ভব হলে ক্ষতি ছিলনা। সেটা সম্ভব নয় বলেই বিকল্প চিন্তা দরকার। আইনটা মানবে কে? দেশের জনগন তো। দেশের বেশীরভাগ জনগনের মতামতের পক্ষে না হলে আইন চলে না। আমাদের দেশে সব রকমের চুরী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সবাই একমতে তার পক্ষে। তবু চোরদের শাস্তি হচ্ছেনা।
১৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:৩৭
জোনাকি বলেছেন: হুমম! সেই টাই তো কথা!
আমি মনে করি সরকারের দোষ দিয়া আমরা নিজেদের দোষ ঢিকি। আমরা নিজেরাই আসলে সচেতন না। আমাদের নিজেদের মধ্যেই ইবলিসের বসবাস।ভদ্রতার মুখসে আমরা চুরি করে চলেছি,আর কিছু হইলেই আঙ্গুল তুলে বলি সব সরকারের দোষ!!
২০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:৪৮
নতুন বলেছেন: নতুন ডায়ালগ দরকার
"ছেলে হোক মেয়ে হোক এক শয়তান ই যথেস্হ..."
২১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:৫৪
পুতুল বলেছেন: জোনাকি, আমরা যতটুকু ভাল সরকারও ততটুকুই ভাল। তবে একজন গান্ধী (মহাত্মা) প্রায় বিনা যুদ্ধে ইংরেজ তাড়িয়েছে। এমন মানুষও দরকার। বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলির ভেতর। সরকারের দোষ দেখিয়ে যারা সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েই শান্ত হবে না। তবে জনগনের সচেতনতার বিকল্প নেই। আর তা অর্জিত হতে পারে কেবল শিক্ষার মাধ্যমে।
২২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৮:৪৮
কেএসআমীন বলেছেন: ঘন্টা খানেক বাইরে ছিলাম। এরমধ্যে অনেক আলোচনা হইছে দেখছি। ধন্যবাদ সবাইকে গঠনমূলক আলোচনার জন্য। চুরিদারি সম্পর্কে একটি কথা এসেছে - আমরা যদি শাস্তি দিতে পারতাম তবে চুরিদারি বন্ধ হতো। আমাদের সরকারের ব্যর্থতা তারা পারেনি। কারন তারা নিজেরাই চোর। সচতেনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে চুরি বন্ধ সম্ভব নয়। যারা এমন ভাবেন তারা এখনও মাতৃগর্ভেই রয়েছেন। পৃথিবীতে এমন নজীর নেই।
২৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১০:৪৪
কেএসআমীন বলেছেন: দেশের মানুষ চায় সৎ ও যোগ্য সরকার, অথর্ব সরকার চায় না কখনোই
২৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:৪৫
প্রশাসন বলেছেন: ফি নির্ধারন কইরা সরকারের চুড়ি করার নতুন উপায় বের করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আগে দরকার- সৎ ও যোগ্য সরকার, অথর্ব সরকার নয় । এইটা হইলে ই সকল সমস্যার সমাধান। ধন্যবাদ ভাল পোষ্ট এর জন্য।
২৪ শে মে, ২০০৮ দুপুর ১২:২২
কেএসআমীন বলেছেন: মতামতের জন্য ধন্যবাদ। এই পোস্টটা আমার প্রিয় পোস্ট। দেশের এক নম্বর সমস্যা নিয়ে কেউ এখন মাথা ঘামায় না...
২৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:০৮
কেএসআমীন বলেছেন: আমরা ভ্যাট দেই কেন? কর্পোরেট ট্যাক্স তো এখন ৪০%।
চুরি করার কথা বললে তো হবে না...
চুরি যেন না করতে পারে তার জন্য জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে...
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১০:৩৭
সোনার বাংলা বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত।৫
তবে আরেকটা জিনিষ করতে পারে সরকার তা
হচ্ছে যারা বিয়ে করবে না বা সন্তান নিবে না তাদের
জন্য বিশেষ সরাকারি সুযোগ সুবিধা দেয়া ।