নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কারে বা জানাই বলো, বেদনা আমার...

কেএসআমীন ব্লগ

কেএসআমীন

কারে বা জানাই বলো বেদনা আমার, বুঝিল না কেহ আমারে...

কেএসআমীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদ্যুৎ গতিতে বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়ন সম্ভব

২৮ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৩১

গত এক বছরে বিদ্যুৎ খাতের কোন উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটাতে পারেনি এই সরকার। চাহিদা দিনকে দিন বাড়ছে। ফলে কোন উন্নয়ন না ঘটানোতে ঘাটতি আরও বাড়বে এই বছর। এই বছর এপ্রিল থেকে অবস্থা কী হবে তা ভাবলে হয়তো গা শিউরে উঠতে পারে।



যাক আমরা সে প্রশ্নে যেতে চাই না। এটা সরকারের দায়িত্ব। সরকারই বুঝবে। সব সরকার এসেই বলে যে বিদ্যুৎ সেক্টরের উন্নয়ন সাধন করা নাকি বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এ কথা বলে তারা কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করে না।



এদেশের মানুষ উপযুক্ত মূল্য দিয়ে বিদ্যুৎ কেনে। এখানে তো দান খয়রাতি বা ভর্তুকির কোন বিষয় নেই। তারপরও বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হয় না কেন সেটাই প্রশ্ন।



দেশে প্রাইভেট বিদ্যুতের পথিকৃত সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান একবার বলেছিলেন যে বিদ্যুৎ গতিতে বিদ্যুৎ সেক্টরের উন্নয়ন সম্ভব। সরকার চাইলেই পারে। সেটা প্রায় ৫ বছর আগের কথা। তারপরও বিদ্যুৎ সেক্টরে কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। এক্সপার্টদের মূল্যায়ন করা হয়নি।



দেশে বিদ্যুৎ বিষয়ে যারা এক্সপার্ট আছেন তাদেরকে দয়াকরে সরকার বাহাদুর ডাকুক। তারাই সহজ ও কার্যকর সমাধান দেবেন। বিদ্যুৎ সচিব আর পিডিবি'র উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা এর সমাধান করতে পারবে না। তারা সরকারী কর্মচারী মাত্র। ফাইল সই করা আর বা-হাত লাগানো ছাড়া জীবনে তারা আর কিছু করেনি।



এই সরকার যদি অন্ততঃ আরও এক বছর ক্ষমতায় থাকে আর প্রাইভেট সেক্টরকে সত্যিকার অর্থে এগিয়ে আসতে বলেন এই সেক্টরে, তবে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া সম্ভব এক বছরেই।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৫৯

হমপগ্র বলেছেন: প্রাইভেট সেক্টর এগিয়ে আসলে সমস্যা সমাধান কেমন করে হবে? তখন বিদ্যুতের দাম ৩ গুণ বৃদ্ধি পাবে। যারা চাল ডাল কিনতে পারে না তারা বিদ্যুৎ কিনবে কেমন করে?

দুনিয়ার অধিকাংশ স্থানে সরকারী ভাবে এর সুরাহা করা হয়ে থাকে। কারণ সরকার দেশের রিসোর্সের আল্টিমেট মালিক। আর বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হয়ই লাভের উদ্দেশ্য সামনে রেখে।

২৮ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:২৪

কেএসআমীন বলেছেন: ভাইজান আপনাকে ধন্যবাদ। সস্তায় বিদ্যুত কিনতে চাইবো আবার নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে চাইবো, এটা তো হতে পারে না।

তাছাড়া আমরা তো বর্তমানে কম দামে বিদ্যুত কিনছি না। কথা হলো যে, ন্যায্য মূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে হবে।

প্রাইভেট সেক্টর যখন আগাইয়া আসবে তখন এমনিতেই প্রতিযোগিতামলূক দামে বিদ্যুৎ পাওয়া যাইবে।

অনেকটা মোবাইল ফোনের মতন। ১৯৯০ সালে প্রতি মিনিট কল চার্জ ছিল ১০ টাকা। এখন সেটা ২৫ পয়সা পর্যন্ত নেমেছে। বেশী কমা আবার ভাল না ভাইজান। সিটিসেল নাকি তিন মাসে ৫৫ কোটি টেকা লুসকান দিছে...

২| ২৮ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:০২

কাঙাল মামা বলেছেন: প্রাইভেট সেক্টর এগিয়ে আসলে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পাবে কিন্তু সমস্যা সমাধান হবে।

২৮ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:১৭

কেএসআমীন বলেছেন: কাঙাল মামার কথাই ঠিক। সস্তায় আমরা বিদ্যুত পেতে চাই। আরে, এখন কি আমারা সস্তায় কিনি। কমার্শিয়ার রেট হলো ৬.৫০ টাকা প্রতি কিলোওয়াট। বিদ্যুৎ না থাকার জন্য কত টাকা লস হয়? জেনারেটর বাবদ কত ইনভেস্টমেন্ট???

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:০৬

নাজিরুল হক বলেছেন: একটু ব্যায়বহুল হলেও বিদ্যুৎ এর উন্নয়ন খুব কঠিন নয়। সরকারকে ভালভাবে এই সেক্টরে নজর দিলেই হবে।

এখানে আমি দেখেছি (সউদিতে) ছোট ছোট এলাকা ভিত্বিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করেছে। ৬০, ৮০, ৯০ কখনো বা ১১০ কিলোওয়াটের ডিজেল চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এতে করে একই কেন্দ্রে উপর চাপ পরে কম। আর চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।

আসলে ইচ্ছা থাকলে সব ই হয়।

২৮ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:১৯

কেএসআমীন বলেছেন: সত্যের খুবই কাছাকাছি বলেছেন ভাইজান। সরকারী লোকজন যেহেতু এইসব বুঝে না সেজন্য এক্সপার্টদের ডাকতে হবে। বসুন্ধরা চাইলো তাদের বারিধারা আবাসিক এলাকায় নিজস্ব বিদ্যুৎ কেন্দ্র করবে, সরকার বাধা দিল। কেন দিল? কারণ তারা মাতবরী করতে পারবে না। তাছাড়া সরকারী লোকদের ইজ্জতও থাকেনা.... হা হা হা

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:২১

সাইফুর বলেছেন: কিছুই হবে না..হয় না..যেই লাউ..সেই কদু:(
আমরা আগের মতই আছি.............কোন সমাধান নাই..হচ্ছে না:(

২৮ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:২৭

কেএসআমীন বলেছেন: কিছুই হবে না। ঠিকই কইছেন ভাইজান।

যদি এভাবেই চলি তাইলে তো কিছুই হবে না।

কিন্তু সামিট গ্রুপের আজিজ খান ঠিকই পারেন। তাঁকে কোনদিন ফখরুদ্দীন সাহেব দাওয়াত দিয়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আলাপ করেছেন??? তিনি বিদ্যুৎ সচিবকে অধিকতর উপযুক্ত মনে করবেন...

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:২৭

নাজিরুল হক বলেছেন: ৬ বছরে একবার দেখেছিলাম লোডশেডিং হ্ইতে মাত্র ৫ মিনিটের জন্য। তাও আগে ঘোষনা দিয়ে ছিল। ট্রান্সফরমারের কিছু কাজ করেছিল।

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:২৭

আহমদ বলেছেন: @ কিছুই হবে না..হয় না..যেই লাউ..সেই কদু
আমরা আগের মতই আছি.............কোন সমাধান নাই..হচ্ছে না । কারণ কথায় আেছ না েয যায় লংকায় েস হয় রাবন ্

২৯ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:৪১

কেএসআমীন বলেছেন: এই দেশটা শেষ, এর কিস্যু হইবো না। খালি খালি মতামত দিয়া কোন লাভ নাই............ আপাতত কোন সমাধান নাই...যেই লাউ সেই কদু..... সব শেষ... ইন্নালিল্লাহি..... রাজিউন

৭| ২৮ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:২৯

নেমেসিস বলেছেন: সাইফুর ঠিক

৮| ২৮ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৪৮

প্রশাসন বলেছেন: হ্যা আমিও আপনার কথার সাথে একমত। বিদ্যুতের গতিতে এই খাতের উন্নয়ন সম্ভব। কিন্তু বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হলে আপনি জেনারেটর চালান ঠিক আছে। এমনভাবে পুরো জনগোষ্ঠীর কত অংশ এই জেনারেটর চালায়? ২ নং- দাম বাড়ালে সাধারন জনগনের ক্রয়ক্ষমতাও তো থাকতে হবে? আপনি তো খরচের মধ্যে জেনারেটর তেল খরচ ধরেন কিন্তু গ্রাম অন্চলের মানুষের কি হবে? তাই বেসরকারীকরন করলেই সমাধান হবেনা। ঐ যে আপনি বললেন না- বিদ্যুৎ এক্সপার্ট দের কাজে লাগান। এটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
যে পরিমান বিদ্যুৎ চুরি হয় তা বন্ধ করা দরকার।
প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যেগ।

৯| ২৯ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:০১

নাহীন বলেছেন: আমার মতে প্রথমত বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ করা দরকার। এছাড়া এক্সপার্ট দেরও কাজে লাগাতে হবে।

২৯ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:২১

কেএসআমীন বলেছেন: চুরি বন্ধ করা দরকার। অবশ্যই। কিন্তু কিভাবে?

সরকারী লোকজন থাকলে চুরি থাকবেই। কিছুই করার নেই। এরজন্য দেশের সরকারকে ইফিশিয়েন্ট হতে হবে। হাসিনা খালেদা থাকলে চুরি থাকবেই।

সারা দেশে হরিলুট চলবে আর বিদ্যুৎ বিভাগ মোস্ট ইফিশিয়েন্টলি চলবে এমনটি আশা করা যায় না।

প্রাইভেটাইজ হলে আর কমপিটিশন থাকলে এই ইফিশিয়েন্সি বাড়বে। চুরি বন্ধ হবে এমনিতেই। চুরি করার চিন্তাও করতে পারবে না। এখনতো সারাক্ষনই চুরির চিন্তা করে তারা...

১০| ২৯ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:০১

কেএসআমীন বলেছেন: প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। কিন্তু কে উদ্যোগ নিব? সরকার? তারা তো অথর্ব....

প্রাইভেটাইজ ই একমাত্র সমাধান। ন্যায্য মূল্যে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে হইবো। সব জিনিষের দাম বাড়লে বিদ্যুতেরও বাড়বে।

২০ টাকার চাউল ৪০ টাকা হইছে। গরীব জনগন ক্যামনে কিনে? সরকার কি একটাকা ভর্তুকি দেয়?

তাহলে ৫ টাকার বিদ্যুত যদি ১০ টাকা হয় তাহলে গরীব মানুষের কী ক্ষতি হবে? বরং তারা সাশ্রয়ী হওয়ার চেষ্টা করবে, সময়মত বিল পরিশোধ করবে, শান্তিতে বসবাস করবে, বিদ্যুতের সফল ব্যবহার করবে সর্বক্ষেত্রে। আলটিমেট লুসকান কম হবে।

এখনতো বিদ্যুতের অভাবে কৃষকের নাভিশ্বাস....

এই সহজ জিনিষ বুঝতে পিএইচডি করার প্রয়োজন পড়ে না...

১১| ২৯ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:০৭

নেমেসিস বলেছেন: গরীব দেশে সবকিছু প্রাইভেটাইজ হৈলে সমস্যা আরও বাড়বে । এখনো তো সরকার ভর্তুকি দেয় বৈলা সাধারন মানুষেরা বেচে আছে । ভর্তুকি বন্ধ করলে কৈ যাইবো ? প্রাইভেট রাস্তায় খালি পায়ে হাটতে গেলেও তো ট্যাক্স দিতে হইবো । সব কিছুর ঢালাও প্রাইভেটাইজেশন চাওয়া উচিৎ না ।

২৯ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:৩৫

কেএসআমীন বলেছেন: সবকিছু তো ভাইজান প্রাইভেটাই সম্ভব না। যতটুকু সম্ভব ততটুকুই করতে হবে।

বিদ্যুৎ উৎপাদন তো প্রাইভেটাইজ করতে পারে। করছে না কেন। গড়িমসি কেন করে, কারা করে? একটু খোজ নেন, দেখবেন থলের বিড়াল বেরিয়ে আসছে।

১২| ২৯ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:২৮

নাহীন বলেছেন: বিদু্ৎ খাতে প্রাইভেটাইজেশন করতে সরকার চাইলেও পারছেনা তথাকথিত সি বি এর কারণে।

২৯ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:৩৭

কেএসআমীন বলেছেন: তবে শুধু প্রাইভেটাইজ করলেই চলবে না। এটার সুষ্ঠু মনিটরিংও প্রয়োজন। এর জন্য দরকার একটা যোগ্য সরকার।

যোগ্য সরকারের আবশ্যকতাকে কেউ উপেক্ষা করতে পারে না।

১৩| ২৯ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:৪৬

সুখী মানুষ বলেছেন: আওয়ামিলীগ সরকার তো শুরু করতে চাইছিলো বিএনপি তো বন্দ কইরা দিছিলো..যাক আবার প্রাইভেট কোম্পানীরে বিদ্যুৎ তৈরী করতে দিছে.. দেখি কি অয়..

৩০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:০৮

কেএসআমীন বলেছেন: একজন শুরু করবে আরেকজন বন্ধ করবে .... এইতো কাম

১৪| ২৯ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:১৫

কেএসআমীন বলেছেন: বিএনপি বন্ধ করছিল কারণ কমিশন নিয়া ভাগবাটোয়ার ব্যাপার ছিল।

বড়পুকুরিয়া ও আরও যেসব কয়লাখনি আছে সেগুলো থেকে প্রাইভেট সেক্টরের মাধ্যমে বিদ্যুত উৎপাদন করতে পারলেই ৫০% বিদ্যুত সমস্যার সমাধান হয়।

১৫| ২৯ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:২২

কেএসআমীন বলেছেন: অস্ট্রেলিয়া ও চীনে ৭০% বিদ্যুত কয়লা থেকে উৎপন্ন হয় কেন? আর আমরা আমাদের গ্যাসের প্রায় সবটুকু এই খানে খরচ করছি কেন?

১৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬

কেএসআমীন বলেছেন: একটা কথা কই। মোবাইল ফোনে যদি প্রাইভেট সেক্টরকে আহ্বাবান না জানানো হতো তবে কি আমরা এখন ২৫ পয়সা মিনিটে কথা বলতে পারতাম।

এখন মোবাইল ফোনে এক মিনিট কথা বলতে লাগে সর্বনিম্ন ২৫ পয়সা অথচ টিএন্ডটি থেকে টিএন্ডটিতে কথা বলতে এখনও ১.৫০ টাকা লাগে। লাইন রেন্টও আছে।

প্রাইভেট সেক্টরে দিয়ে কোলকাতার বিদ্যুত সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। আমরাই কেবল পারি না।

পারি না নাকি করি না...???

১৭| ২০ শে জুন, ২০১২ রাত ১:৪১

সোহরাব সুমন বলেছেন: আপনার এই স্লোগান অনেক পুরাতন......

কিন্তু এমন গতি ঠিক কবে পাবে বা আদৌ কোনদিন পাবে কীনা এটাই সবার প্রশ্ন।



(বিদ্র: একবার বাসেকরে ফেরার সময় পাশে বসা সাংবাদিক সেইম হেডিং লিখতেছিল......২০০৪এ, তখনও হাসি পাইছে, এবাইবার হাসতে বসলে পেটই .........তাই বহুত কষ্টে হাসি সংবরন করলাম)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.