![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১। ধরুন একটা রোবোট বানানো হলো। সেই রোবোটে এমনভাবে প্রোগ্রামিং করা হলো যে তা একটি নির্দিষ্ট কার্যপ্রণালী অনুযায়ী কোনো নির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন করতে সক্ষম। রোবোটকে মানুষের অনুরুপ আকৃতি ও চামড়ায় সজ্জিত করা হলো। এইবার রোবোটটিকে কোনো অবুঝ শিশুর সামনে নিয়ে যাওয়া হলে সেই শিশুটি রোবোটকে মানুষ ভাবতে শুরু করলো।
তদরুপ আমাদের প্রকৃতিও এই রোবোটের মতো যাকে মহান আল্লাহ এমনভাবে প্রোগ্রামিং করে দিয়েছেন যে তা একটি নির্দিষ্ট কার্যপ্রণালী অনুযায়ী কোনো নির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন করে। যেমনঃ সূর্য পূর্ব দিকে উঠে এবং পশ্চিমে অস্ত যায়, বৃক্ষ কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন নিঃসরণ করে, দিনের শেষে রাত এবং রাতের শেষে দিন ইত্যাদি।
এইসব দেখে আমরাও অবুঝ শিশুটির মতো আল্লাহকে বাদ দিয়ে প্রকৃতির উপাসনা করা শুরু করলাম। কিন্ত আমাদের তো বিচার-বুদ্ধি দিয়ে পর্যবেক্ষন করার ক্ষমতা আছে তাহলে আমরা অবুঝ শিশু হলাম কেমন করে? আসলে আমরা অবুঝ শিশু নই, বরং তার চেয়েও নিম্নস্তরে।
২। মহান আল্লাহের প্রতি আমাদের অভিযোগের অন্ত নেই। অনেক অভিযোগের মধ্যে একটি এমন যে, "আল্লাহ যদি সর্বশক্তিমান হয়ে থাকেন তাহলে দারিদ্র্য, দুঃখ-দূর্দশা, ক্ষরা, বন্যা, ভূমিকম্প, দূর্নীতি, বিশৃঙ্খলা দূর করে দেননা কেনো?"
আল্লাহ আমাদের এই এত কিছু দেওয়ার সাথে আরো দিয়েছেন বিবেক ও বুদ্ধি। এখন বুদ্ধি ও বিবেক প্রয়োগের ক্ষেত্র লাগবে নাহলে অযথা এগুলো নিয়ে আমাদের কাজ কি? যেখানে শুধু সুখ আর সুবিধা সেইখানে বিবেক,বুদ্ধি খাটাতে যায় কে? বুদ্ধি ও বিবেক প্রয়োগের প্রয়োজনই না থাকলো তাহলে আমাদের এইগুলো দেওয়া হলো কেনো? আমাদের বিবেক ও বুদ্ধি না থাকলে কিসের ভিত্তিতে আমরা নিজেদেরকে আশরাফুল মাখলুকাত অথবা সৃষ্টির সেরা জীব বলে দাবী করবো? প্রবাদে আছে, "বিবেকহীন মানুষ পশুর সমান"।
আমরা কি পশু হতে চাই? আপনাদের ইচ্ছা জানিনা তবে আমি হতে চাইনা।
৩। ঘোড়া চালনা রপ্ত করতে হলে তার ঘোড়ায় লাগাম টানা জানতে হয়। নাহলে ঘোড়া শশুর বাড়ির গেটে না থেমে অন্য কোনো বাড়ির গেটে নিয়ে যাবে। আমাদের বিচার-বুদ্ধিও এই ঘোড়া স্বরুপ, একে শরীয়তের লাগাম দিয়ে টেনে ধরা শিখতে হবে। লাগাম টানতে না জানলে ঘোড়া জান্নাত পার হয়ে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। লাগামহীন ঘোড়া সমাজে শান্তির বদলে পৌছে দিবে অশান্তির দরজায়।
©somewhere in net ltd.