![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুসলিম বিবাহ অনুষ্ঠানে অনেক আবশ্যকীয় উপাদানের মধ্যে রয়েছে ফটোগ্রাফার। বিয়ের অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফিকে “Wedding Photography” বলা হয়। এই অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তরুণী ও মহিলা উপস্থিত থাকেন। অন্যান্য উপকরনের সাথে এই নারীগণ ফটোগ্রাফারের সাবজেক্টে পরিণত হন।
আল-সহীহাইন বর্ণনায় আছে, মহানবী (সঃ) একজন মহিলাকে তার স্বামীর কাছে অপর মহিলার বর্ণনা এমনভাবে করতে নিষেধ করেছেন যাতে স্বামী তাকে নিজের চোখের সামনে দেখতে পায়। কিন্তু ছবিতে নারীকে চোখের সামনেই দেখা যায়। তাকে কল্পনা করার প্রয়োজন হয়না।
যদিও সেখানে নারী-পুরুষ মিক্সিং থাকে তবুও এটি পাপ হিসেবে গণ্য হয়। এইধরনের অনুষ্ঠানে নারীরা সাধারণত মেকআপ,হেয়ার স্টাইল, সহজেই দৃষ্টিগোচর হয় এমন পোশাক পরিধানের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হন।এরুপ ছবি তোলা এবং শেয়ার করা অনৈতিকতা এবং পাপাচারকে ছড়িয়ে দেয়। এগুলো পাপাচারকে উৎসাহিত করে এবং একসময়ে এমন পর্যায়ে উপনীত হয় যখন ‘পাপ’ কে আর পাপ মনে হয়না।
কুরআনে আল্লাহ তায়ালাবলেন,
কল্যাণের জন্য যে কেহ মধ্যস্থতা করলে, সে তার অংশীদার হবে। এবং যে কেহ মন্দ কাজের জন্য সুপারিশ বা সাহায্য করলে সে তার [শাস্তির] ভারের অংশীদার হবে। আল্লাহ্ সকল বিষয়ের উপরে ক্ষমতাবান। [সূরা নিসাঃ আয়াত-৮৫]
যারা ওয়েডিং ফটোগ্রাফির সাথে জড়িত তারা এই আয়াত নিয়ে একটু ভাবুন।
কেউ কি ভেবে দেখেছেন যে যদি কোনও নারী নিজের ছবি তোলা অপছন্দ করেন কিন্তু তারপরও তার ছবি তোলা হয় তাহলে সেই নারীর কি করনীয় থাকতে পারে? কেউ কি ভেবে দেখেছেন যে পথভ্রষ্ট অবস্থায় কোনও নারীর ছবি তুলে তা শেয়ার করার পর সেই নারীকে আল্লাহ সঠিক পথে পরিচালিত করলে তার কি করা উচিত? তার ছবি তো ইতিমধ্যে অনলাইনে সয়লাব হয়ে গেছে।
শরি’য়াহর হালাল ও হারাম সম্বন্ধে জ্ঞান থাকা একজন মুসলিম কখনোই চাইবেননা যে তার স্ত্রী, কন্যার ছবি তোলা হউক এবং তারা অপর পুরুষের ‘প্রভোকেশন’ এর কারণ হন। ফটোগ্রাফারদের দেখা যায় তারা নববধূ ও অন্যান্য নারীদের সিংগেল আউট করে ছবি তোলেন যা একেবারেই হারাম। শরি’য়াহর বিধি আগ্রাহ্য করে এরুপ কর্মকাণ্ড কুফরির পর্যায়ে পড়ে যায়।
নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞাতা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সৎপথে চলার তৌফিক দান করুন। আমীন।
সুত্রঃ www.islamqa.info
©somewhere in net ltd.