নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খোন্দকার সিদ্দিক-ই-রব্বানী

আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলাম। ইদানীং বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এন্ড টেকনোলজী নামে নতুন একটি বিভাগের জন্মের সাথে জড়িত হয়ে গেছি।পদার্থ বিজ্ঞানের মরহুম অধ্যাপক মো: শামসুল ইসলামের ভবিষ্যৎ দৃষ্টি ও তার সাংগঠনিক নেতৃত্বে আমাদের গত ৩০ বছরের গবেষণা ও উন্নয়ন কাজের সূত্র ধরেই নতুন এ বিভাগের সৃষ্টি। আশে পাশের সব কিছু নিয়েই ভাবি, কোন কোনটির গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করি, তখন সবকিছুর মধ্যে অদ্ভুত মিল খুঁজে পাই। অনেক সমস্যার সমাধানই সহজ মনে হয়, যদিও জানি বাস্তবে তা সহজ নয়। তবে সবার সাথে ধারণাগুলো আলোচনা করতে থাকলে এক সময় সমাধানে পৌঁছুবার জন্য যে মানসিক প্রস্তুতি দরকার তা কিছুটা হলেও তো তৈরী হবে। আমার বয়স ব্লগের প্রায় সবার তুলনায় বেশী হলেও তরুণ ছাত্রদের সাথে কাজ করতে গিয়ে নিজেকে তাদের থেকে খুব ভিন্ন মনে হয় না। তাই তরুণদের সাথে আমার ধারণাগুলো আলেচনা করতে আনন্দ পাই।

খোন্দকার সিদ্দিক-ই-রব্বানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দই এ কেন বিএসটিআই লাগবে?

০৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:৪৫

পত্রিকায় দেখে থাকবেন, বিএসটিআই এর অনুমোদন না থাকা দই বিক্রী করার জন্য বেশ কটি দোকানকে মোবাইল কোর্ট দন্ড দিয়েছে। বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ গোয়ালা হাজার বছর ধরে এ উৎপাদন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত। আমি যদি বলি বিএসটিআই এ নিয়মটি তৈরী করেছে কিছু ধনী দই উৎপাদকের স্বার্থ রক্ষার জন্য, এটা কি খুব ভুল হবে? বাজার প্রতিযোগিতায় দেশের সনাতন দই উৎপাদকেরা যেন হেরে যায়, আর আধুনিক যন্ত্রে প্রস্তুত নতুন দই উৎপাদকেরা যেন সে ফাঁকা মাঠে গোল করতে পারেন সে জন্যই এ ব্যবস্থা। এটি ঠিক যেন ঔপনিবেশিক বৃটিশ ব্যবস্থারই পুনরাবৃত্তি, যার মাধ্যমে আমাদের বস্ত্র ও অন্যান্য শিল্পকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছিল। দেশের উৎপাদিত কাপড়ের উপর উচ্চ হারে কর বসিয়ে, আর বৃটেন থেকে আমদানীতে কর সম্পূর্ণ মওকুফ করে ব্যবস্থা করা হয়েছিল যেন দেশের শিল্প কখনই প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারে। আবার সেটিকে ভালভাবে তদারকির জন্য করা হয়েছিল মোবাইল কোর্ট – যা আমরা এখনও চালু রেখেছি।



বিএসটিআই কে লক্ষ লক্ষ গোয়ালার কাছে নিতে গেলে যে রাষ্ট্রযজ্ঞের প্রয়োজন হবে তা যেমন অবাস্তব, তেমনি লক্ষ লক্ষ অশিক্ষিত বা স্বল্পশিক্ষিত গোয়ালাকে গুটিকয়েক বিএসটিআইএর দপ্তর থেকে অনুমোদন নেয়াতে বাধ্য করাটাও অবাস্তব। সরকারের চাপিয়ে দেয়া এ নিয়ম তৈরী করার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের লক্ষ লক্ষ গোয়ালা সবাই হঠাৎ করে ‘অপরাধী’ হয়ে গেছে, ঠিক যেমনটি ঔপনিবেশিক বৃটিশ সরকারের সময় স্থানীয় তাঁতীরা হয়ে গিয়েছিল, আর সে সুযোগ নিয়ে যে কোন সময় একজন সরকারী কর্মচারী যে কোন গোয়ালার পুরো জীবন ধারণের ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে পারে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-১

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৪

বিবর্তনবাদী বলেছেন: চাচা একটু বাস্তব সম্মত হন। মিস্টিকে নানা রঙের করার জন্য লোকে টেক্সটাইলের রঙ দিত। এখন যদি আইন করা হয় নতুন মিস্টি বিক্রির আগে চেক করিয়ে নিতে হবে, সেটা কি দোষের হবে? নিশ্চয়ই না।

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:১৫

খোন্দকার সিদ্দিক-ই-রব্বানী বলেছেন: বাস্তবতা চিন্তা করুন। লক্ষ লক্ষ গোয়ালার দই কিভাবে বিএসটিআইকে দিয়ে রোজ পরীক্ষা করিয়ে নেবেন? আবার ধরুন পরীক্ষাএকদিন করানো গেল। পরের দিন সে যে রং মেশাবে না, কোন গ্যারান্টী আছে?
এর বিকল্প পদ্ধতি খুঁজতে হবে। বিএসটিআই ও মোবাইল কোর্ট সমাধান নয়। কেবল বিদেশে রপ্তানীর জন্য মান নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে,কিন্তু সেখানেও বিএসটিআই সফল হবে না, সমিতির মাধ্যমে করতে হবে। চিংড়ী রপ্তানীর ঘটনাগুলো অনুসরণ করে থাকলে বুঝতে পারবেন।

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:২১

সোহায়লা রিদওয়ান বলেছেন: গ্রামে গঞ্জে অসংখ্য এমন খাদ্য তৈরী হয় ,খোলা বিক্রি ও হয় ...... দই কেন শুধু , মুড়ি -চিড়া -খৈ , গুড় ...... এমন আরো অনেক ...... সেসব খাবারেও তো সম্ভব না বি এস টি আই এর অনুমোদন ! @ বিবর্তনবাদী।

আসলেই বিকল্প উপায় বের করবার বিকল্প নেই স্যার !

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৩৩

বিবর্তনবাদী বলেছেন: আসলে আমাদের দেশে কোন অর্গানাইজড সিস্টেম নাই তাই সম্ভব নয়। । এই যুগে এটা সম্ভব না হওয়ার কোন কারন নাই যদিও। বিএসটিআই একটা পুরানো ধাচের ফালতু প্রতিষ্ঠান। এখানে নাকি জনবলের অভাব। অথচ আমরা পোলাপান সাইন্সটাইন্স পড়ে নিজের লাইনের চাকরির অভাবে হয় বিদেশে যাচ্ছি বা অন্য লাইনের সুইচ করছি।

ঢাবি থেকে মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, কেমিস্ট্রি, ফিজিক্স ইত্যাদি সাবজেক্ট থেকে যারা প্রতিবছর বার হচ্ছে তাদের যদি ভাল বেতনে এবং গবেষণা করার সুযোগ সহ কাজ করতে দেওয়া হয় তবে অনেক কিছুই সম্ভব। দুঃখের ব্যাপার বিএসটআই জাতীয় প্রতিষ্ঠানে ঢাবি থেকে মাস্টার্স্ করা ছেলে মেয়েদের নেবে টেকনিশিয়ান লেভেলের কাজ করাবার জন্য। অথচ ১৬ কোটি মানুষের দেশে এইসব টেস্ট করাবার জন্য অসংখ্য ডিপ্লোমা ডিগ্রি ধারী তৈরি করা যায়। অনেকটা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারের মত।

এতে অনেক লোকের কাজের ব্যবস্থা হত, খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রন হত। আর যারা উচ্চ শিক্ষিত তারা নিজ ক্ষেত্রে ভাল মানের চাকরি ও গবেষণা করারো একটা সুযোগ পেত।

কিন্তু সরকার ও প্রশাসনের ঘিলুওয়ালা লোকের অভাবে কিছুই হয় না। যাদের মাথায় ঘিলু আছে তারা সমস্যার জপ করতেই জীবন কাটিয়ে দেই।

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৫৬

খোন্দকার সিদ্দিক-ই-রব্বানী বলেছেন: তাহলে দেশের ১৫ কোটি মানুষের বেশীরভাগকেই সরকারী খরচে এ ধরণের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণমূলক চাকুরীতে নিয়োগ দিতে হবে। এর খরচ আসবে কোত্থেকে? আর আমরা কথায় কথায় যে আমলাদের ক্ষমতার কথা বালি, এ ব্যবস্থা তাকেই পাকাপোক্ত করবে না?

তবে হ্যাঁ আমরা ১৫ কোটি মানুষই যদি নিজ উদ্যোগে নিজ খরচে এ ধরণের নিয়ন্ত্রণের কাজ করি, বা এক কথায় স্ব-পুলিশ হয়ে যাই তবেই সমাধান হবে, সরকারী আমলা দিয়ে নয়।

৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৩৬

বিবর্তনবাদী বলেছেন: স্যার, আপনার প্রোফাইল আজকেই পড়লাম। আমিও ঢাবির ছাত্র ছিলাম। আমার প্রথম দিককার মন্তব্যগুলোর ধরনে আমি লজ্জিত। অনেক অনেক ছোট এবং ছাত্র হিসেবে আশা করি ক্ষমা করে দেবেন।

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৫১

খোন্দকার সিদ্দিক-ই-রব্বানী বলেছেন: ধন্যবাদ। না আমি কিছু মনে করি নি। তোমার মন্তব্যে খারাপ কিছু ছিল না।

৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৫৭

ফারহান দাউদ বলেছেন: এক ঢিলে ২ পাখি মারা মনে হচ্ছে, একদিকে বিদেশি শক্তিমান দইয়ের বাজার সৃষ্টি, সাথে বিএসটিআইএ'র অসাধু লোকজনের বাড়তি রোজগারের ব্যবস্থা।

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:০০

খোন্দকার সিদ্দিক-ই-রব্বানী বলেছেন: ধন্যবাদ। দারিদ্র দূরীকরণের কথা বলি, কিন্তু দরিদ্র যে কাজটি করতে পারে তাতে ধনীরা কেবল ভাগ বসানোই নয়, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে তাকে বন্ধ করার চেষ্টায় থাকে। এমন চলতে থাকলে কিভাবে দারিদ্র দূর হবে?

৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:৫৫

শেহাব বলেছেন: আসলেই যদি মাণনিয়ন্ত্রনের ব্যাপার থাকে তাহলে বহনযোগ্য কোন যন্ত্র তৈরি করে দিলে হয়। গোয়ালারা সেটা নিজের কাছে রাখবে।

৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:১৭

বিবর্তনবাদী বলেছেন: তবে হ্যাঁ আমরা ১৫ কোটি মানুষই যদি নিজ উদ্যোগে নিজ খরচে এ ধরণের নিয়ন্ত্রণের কাজ করি, বা এক কথায় স্ব-পুলিশ হয়ে যাই তবেই সমাধান হবে, সরকারী আমলা দিয়ে নয়।


----------------------------------------

স্যার, কথাটা আসলে বাস্তব সম্মত নয়। সবাই ঠিক হলেই সব ঠিক হবে সেই চিন্তা নিয়ে সবাইকে ঠিক করার সিদ্ধান্ত নিলে সমস্যার সমাধান হবে না। এটা ঠিক যে অধিকাংশের ঠিক হতে হবে। রেগুলেশন না থাকলে কখনই কোন কিছু বাস্তবায়ন হবে না। কথা হচ্ছে রেগুলেশনটা কেমন এবং কিভাবে করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা জরুরি।


৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:১৭

সোহায়লা রিদওয়ান বলেছেন: নতুন চিন্তা ভাবনা অবশ্যই জরুরী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.