![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্যান্সার হওয়ার ভয়ে নিজের দুইটি স্তনই অস্ত্রোপচার করিয়ে বাদ দিয়েছেন হলিউড সুপারস্টার অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ৷ গোটা বিশ্বকে সদর্পে জানিয়েও দিয়েছেন সেই কথা৷
এই সাহসয়ই বা কয়জন অল্পবয়সি নারী দেখাতে পারবেন ?
এখনো দেখা যায় নারীদের নিয়ে কুসংস্কারের চাষ হচ্ছে গ্রামেগঞ্জে এমনকী শহর ও মফশলেও ৷ অজ্ঞতার জন্যই নারীদেরস্তন ক্যান্সারও বাড়ছে ৷ বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যাও ৷ আগে ধারণা করা হত মেনোপজের পর এই রোগ থাবা বসায় নারীদের শরীরে ৷ অর্থাৎ স্তনে ক্যান্সার মানে বেশি বয়সে নারীদের রোগ ৷ কিন্তু এখন এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে ৷ অল্পবয়সিদের মধ্যে স্তন ক্যানসার বাড়ছে ৷ স্তন ক্যান্সারের শিকার হওয়া ৩৫ শতাংশ নারীর বয়স পঁয়ত্রিশের নিচে দেখা যাচ্ছে । বদলে যাওয়া এই ট্রেন্ড নিয়ে শুরু হয়েছে দুশ্চিন্তা ৷ অঙ্কোলজিস্ট সেলিব্রিটিরাও সচেতনতা বাড়াতে প্রচার করছেন ৷ শুধু অ্যাঞ্জোলিনা জোলিই না সিন্থিয়া নিক্সন, রবিন রবার্টস, ক্রিস্টিনা অ্যাপলিগেট, ক্যাথে বেটস, একঝাঁক সেলিব্রিটি স্তন ক্যান্সারের প্রতিরোধের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়ে উঠেছেন ৷ যদিও অ্যাঞ্জেলি জোলির দেখনো পথে ম্যাসটেকটমি করে স্তন বাদ দেওয়ার বিরোধী বিশেষজ্ঞরা ৷ তাদের মত অনুযায়ী স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রে জিনগত গঠনয়ই ১০ শতাংশ দ্বায়ী ৷ শুধু আশঙ্কার বশে ম্যাসটেকটমি ঠিক না ৷
বিশ্বজুড়ে স্তন ক্যান্সারের সচেতনতায় অক্টোবরকেই বেছে নেওয়া হয় ৷ বিশিষ্ট ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশিস মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন প্রথম এং দ্বিতীয় পর্যায়ে ধরা পড়লে স্তন ক্যান্সার সেরে যাওয়ার সম্ভাবনা ৯২থেকে ৯৫ শতাংশ ৷ তৃতীয় বা চতুর্থ পর্যায়ে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা ৫০থেকে৬০ শতাংশ৷ মাত্র ছয়মাসের চিকিৎসাতেই শাপমুক্তি সম্ভব ৷ তাছাড়া সব সময় স্তন বাদ দিতে হয় একথাও তেমন ঠিক না ৷
মার্কিন গবেষকরা জানিয়েছেন ২৩থেকে২৭ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে করে তিরিশের মধ্যে দুইটি সন্তানের মা হতে হবে এবং সন্তানদের অন্তত ছয়মাস পযন্ত স্তন্যপান করাতে হবে ৷ তবেই স্তন ক্যান্সারের আশঙ্কা ৬০ শতাংশ কমিয়ে ফেলা সম্ভব ৷ কিন্তু কয়জন মহিলা জানেন এই তথ্য ? জানলেও মানছেন বা কয়জন ? কেরিয়ারের পিছনে ছুটতে গিয়ে এখন তো পঁয়ত্রিশের আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতেই পারছেন না ওয়ার্কিং লেডিরা ৷ অনেকে আবার তিরিশের মধ্যে বিয়ে করলেও ফ্যামিলি প্লানিং শুরু করছেন বা সন্তান নিচ্ছেন দেরি করে ৷ বিশিষ্ট অঙ্কোলজিস্ট ডাঃ গৌতম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন সন্তান ধারণের সঙ্গে মহিলাদের শরীরে প্রোল্যাকটিন ও প্রোজেস্টেরন হরমোন নির্গত হয় ৷ যা ক্যান্সারের আশঙ্কা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে থাকে ৷ সন্তান ধারণের সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেক হরমোন নিঃসরণ হয় যা রাজরোগ প্রতিরোধে অনেকটাই সাহায্য করে থাকে ৷ বিশেষ করে সন্তানকে স্তন্যপান করালে মহিলাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে যায় ৷ দেশে ও বিদেশে একাধিক সমীক্ষায় এই সহজ সত্যটা প্রকাশ্যে এসেছে ৷ তবু টনক নড়েনি বর্তমান প্রজন্মের ৷ তাড়াতাড়ি সন্তান ধারণের ব্যপারে এখনও ততটা সিরিয়াস নন মহিলারা ৷ কেরিয়ারের পিছনে ছুটতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনছে তারা নিজেরাই নিজেদের ৷
তথ্য নেওয়া নয়াদিগন্ত
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪
আরিফিন ইসলাম বলেছেন: উপকারি পোস্ট