নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ক্থার্ক্থা

আমি যততুক সময় অবসর থাকি ততটুক সময় নিজেকে মানুষের কাজে ব্যস্ত রাখতে চাই ।

ক্থার্ক্থা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন নারীকে তার গর্ভপাতের আগেই সতর্ক থাকা ধরকার

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:১৬


অনেকে গর্ভধারণ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া মনে করে থাকেন । তবে এটা যেমন স্বাভাবিক ঠিক অস্বাভাবিকও নয় যে তাও বলা যাবে না । তবে সবার আগে গর্ভধারণের জন্য চাই মায়ের শারীরিক এবং মানসিক প্রস্তুতি । তাছাড়াও স্বামী স্ত্রী দুজনের প্রস্ততিই বেস্ট । আমাদের দেশের বেশির ভাগ গর্ভধারণই হয় অপরিকল্পিত ভাবে আর এ জন্য প্রতি বছর অনেক নব মা কে তার শিশু জম্ম দেওয়ার সময় মৃত্যু বরণ করতে হচ্ছে এবং বহু ধরনের জটিলতাই পড়তে হচ্ছে । তাই চিকিৎসকদের মতে সবার আগে গর্ভধারণের জন্য মায়ের সুস্বাস্থ্য এবং প্রস্তুতি নিশ্চিত করা গেলে অনেক ক্ষেত্রেই জটিলার সংখ্যা কমানো সম্ভব হবে ।

গর্ভধারণের জন্য মায়ের বয়স উপযুক্ত কি না তা আগে ভেবে দেখতে হবে । ২০ বছরের নিচে এবং ৩৫ বছরের উপরে উভয় ক্ষেত্রেই জটিলতার আশঙ্কা অনেক বেশি । মায়ের ওজন গর্ভধারণের উপযোগী কি না তাও দেখে নিতে হবে । ওজন কম ও বেশি হলে সঠিক ওজনে আনার চেষ্টা করতে হবে । পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত কায়িক পরিশ্রমের অভ্যাস গড়ে তুলতে চেষ্টা করতে হবে । সবসময় একজন মাকে মানসিক চাপ থেকে বিরত রাখতে হবে । এগুলো একজন মাকে তার গর্ভকালীন সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য অনেক জরুরি বিষয় । ধূমপান বা অ্যালকোহল সেবনের অভ্যাস আগেই বাদ দিতে হবে ।
যদি জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে যেমনঃ বড়ি, কপার টি ও ইনজেকশন গর্ভধারণের আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে কীভাবে এগুলো ছাড়তে হবে টা জেনে নিতে হবে ।


তবে সঠিক বয়স মতাবেক নব স্বামী স্ত্রী হলে বেশি দেরি না করে দুই তিন বছরের ভিতরে সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনাই ভালো ।
হেপাটাইটিস বি বা অন্য কোনো টিকা নেওয়ার ইচ্ছা থাকলে টা আপনার আগেই নিয়ে নেওয়া ভালো । গর্ভধারণের আগে থেকেই ফলিক অ্যাসিড খেতে শুরু করলে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম অনেকটাই রোধ করা যায় ।
আপনি যদি ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড সমস্যা এবং হাঁপানি অথবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আগে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শমতো প্রস্তুত হয়ে নিন । চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন কোন ওষুধগুলো চালিয়ে যাওয়া যাবে আর কোনগুলো পরিবর্তন করতে হবে । আপনি গর্ভধারণের চেষ্টাকালে যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে জেনে নিন ওই ওষুধটি আপনি সেবন করতে পারবেন কি না বা ওটি আপনার জন্য নিরাপদ কি না এবং যেকোনো পরীক্ষা নিরীক্ষার আগে যেমনঃ এক্স রে করার আগে চিকিৎসককে জানান যে আপনি সন্তান নিতে চেষ্টা করছেন ।আগের গর্ভধারণে জটিলতা বা কোন সমস্যা হয়ে থাকলে এবং মৃত শিশু প্রসব বা পূর্বের সন্তানের কোনো জন্মগত সমস্যা থাকলে যে কারণে এমনটি হয়েছিল এর যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে নিজেকে সতর্ক রাখুন । আপনার রক্তের গ্রুপ জেনে রাখুন এবং নেগেটিভ হয়ে থাকলে কী জটিলতা হতে পারে বা কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় সে বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন । একজন স্ত্রীর গর্ভধারনকৃত সময় তার স্বামী যেন সব থেকে বেশি সময় তার পাশে থাকেন এবং স্বামী যতটা সম্ভব তার স্ত্রীকে হাসি খুশি আনন্দে রাখেন । আর এই বিষয়গুলো লক্ষ রাখলেই একজন মায়ের জন্য গর্ভধারণ এবং সুস্থ সন্তান প্রসব করা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে ।

তথ্য নারী সাস্থ বিশষজ্ঞ

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪

নকসী বাংলা বলেছেন: সচেতনতার পোস্ট পড়ে ভালো লাগল ।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩০

ক্থার্ক্থা বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.