নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে পথ মহামায়ার নীড়ে

শেখার শেষ মরণে আর সে সময় আসতে পারে এখুনি!!

আমার কোন প্রশ্ন নাই

আলী মিজান

আমার কোন প্রশ্ন নাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেদভুঁড়ি বনাম বুজরুকি চিকিৎসা। বাস্তবতা বনাম ভয়াবহতা। জানা থাকা ভাল।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২১

প্রতিনিয়ত বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ মেদভুঁড়ি কমানোর জন্য বেপরোয়া চেষ্টা করে চলেছে। কিন্তু ‘প্রলোভনের ফাঁদপাতা ভুবনে’, বুজরুকি ফাটকা চিকিৎসার ফাঁদ পেতেও বসে আছেন ব্যবসায়ীরা। মানুষের অসহায়ত্বকে, দুর্বলতাকে পুঁজি করে যাঁরা ব্যবসা করেন, অর্থবিত্ত করে সমাজে একদিন কেউকেটা বনেও যান, তাঁরা নানান বাহারি নামের স্বর্ণ পদক এমনকি উপাধিও অর্জন করে ফেলেন।



শরীরের ওজনহানি ও অর্জন, পুষ্টিজ্ঞান, ব্যায়াম, স্থূলতা, এসবের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান, যুক্তিবুদ্ধি এসবের ধারণা যাদের নেই, তারা এদের জালে ধরা পড়ে।



এদের নিয়ে সমস্যা হলো, এরা এসব ‘আশ্চর্য চিকিৎসা’ মেদভুঁড়ির অলৌকিক সমাধানে বড় বিশ্বাসী। কোনো চেষ্টা-প্রচেষ্টা ছাড়াই মেদ ঝরে পড়বে, ক্ষীণতনু হয়ে মনোহর শরীর পাবেন তাঁরা, এমন বিশ্বাস। অর্থ, সময়, স্বাস্থ্য সবকিছু অপচয়ে এক সচেষ্ট।



অথচ তাঁরা ভাবেন না, স্বাস্থ্যকর আহার, নিয়মিত ব্যায়াম করে জীবনভর স্লিম থাকা যায়। স্লিমিং ব্যবসা ফুলেফেঁপে ওঠে নানা ছলনার জালে।



এসব প্রোগ্রামে বলা হয়, অনাহারে থাকার জন্য কোনো না কোনোভাবে, কোনো না কোনো অজুহাতে অনশনের তাগিদ। কোনো ফুডপ্যাক, পুষ্টি সাপ্লিমেন্ট বা ম্যাজিক ওষুধ। দেওয়া হতে পারে ম্যাসাজ, স্নান, কখনো বাহারি যন্ত্রের তলে বসে থাকা। ভুঁড়ির চারপাশে বেল্ট বেঁধে, বিভিন্ন স্থানে জেলের প্রলেপ মাখানো, পেশির মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত করে একে খেলানো, নাচানো—কত বুজরুকি!

মূল জিনিস হলো, লো-ক্যালরি ডায়েট।

৮০০ ক্যালরির নিচে ডায়েট হলো খুব কম ক্যালরি ডায়েট। শ্রেষ্ঠ তদারকি করলেও এত কম ক্যালরি ডায়েট বেজায় বিপজ্জনক। অনেক টাকা নেবে এরা, কিন্তু না খাইয়ে রেখে মেদভুঁড়ি কমানোর আয়োজন এদের।



কিন্তু অনাহার অনশনে কী হয়, আপনি জানেন কি?



১. Starvation বা অনাহারে শরীর হারায় গ্লাইকোজেন। গ্লাইকোজেন হলো যকৃৎ ও পেশিতে সহিষ্ণু শর্করা। শরীর হারায় পানি ও প্রোটিন। মেদ খুব ঝরে না। শরীর কুঁচকে যায়, শুকিয়ে যায়, পানিশূন্য হয়ে যায়, দেখতে লাগে কৃশকায়।

২. অনাহারে অনশনে শরীরে দেখা দেয় অনেক রকমের পুষ্টি ঘাটতি, ক্যালরি, শর্করা, আমিষ, চর্বি, ভিটামিন, খনিজ—সব ঘাটতি। শরীর হয়ে পড়ে দুর্বল, কুঞ্চিত, ফ্যাকাশে, রক্তশূন্য আনফিট, মন-শরীর ভালো লাগে না। প্রথম প্রথম ওজনহানির ভ্রান্ত বিশ্বাস আরও অনাহার করতে প্রণোদনা দেয়—তাই পুষ্টি ঘাটতি আরও বাড়ে। কেবল রক্তশূন্যতা নয়, দেহের আমিষহানিও হয়। সে জন্য শরীর কুঁচকে যায়, চামড়া ঝুলে পড়ে—অনাহার করে স্লিম হওয়ার এসব কর্মসূচির ফলে এমনই হয়। দেহে অনুপুষ্টি উপকরণের (Micronutrients) হয় ঘাটতি। ক্যালসিয়ামহানি হয়। দাঁতে ক্যারেজ, হাড়ে শূল, ঘাড়ে ও পিঠে ব্যথা, হাড় হয় ফোঁপরা (ওস্টিওপরোসিস) কোষ্ঠবদ্ধতা, অর্শ, গেজ এসব প্রায়ই দেখা দেয়।

অম্ল হয়, পেটের অসুখ, কোলাইটিস, হজমে অসুবিধা লেগেই থাকে।

৩. শরীরে বিপাক হার কমে আসে। তাই প্রতিদিন ক্যালরি পোড়ার হারও কমে আসে। স্বাভাবিক খাদ্য গ্রহণ যখন শুরু হয়, তখন শরীরে ওজন ফিরে আসে দ্রুত। শরীর আরও স্থূল হয়: আগের চেয়েও বেশি।



এমন স্লিমিং কৌশল বিপজ্জনক বটে। প্রতিবার ওজন আবার শরীরে ফিরে এলে রক্তচাপ, সুগার, কোলেস্টেরল, চর্বি সব বেড়ে যায়। এগুলো সহজে স্বাভাবিক মানে ফিরে আসে না, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও তাই বাড়ে।

স্লিমিংয়ের বাজারে আরও কত কৌশল আছে ফাঁদ হয়ে!

লোকজ ওষুধ, টোটকা চিকিৎসা তো আছেই। অনেকে একে নিরাপদ মনে করেন। ওষুধে কি স্লিম হওয়া যায়?

আছে মেশিন, পেশিতে তড়িৎপ্রবাহ চালনা করে সঙ্গে লো-ক্যালরি ডায়েট। সব বুজরুকি।

আছে হারবাল ফুডপ্যাক। লতাগুল্ম হলে নিরাপদ, তা তো নয়। এ ধরনের ফুডপ্যাক খুব বিপজ্জনক। সব কৌশলের সঙ্গে থাকে লো-ক্যালরি ডায়েট।



কোনো কোনো জিম সরবরাহ করে ফ্যাট ডায়েট। স্লিম হওয়ার ‘বৈপ্লবিক পথ্য’। এও ফাঁকি সব। লো ক্যালরি ডায়েট নতুন, বাহারি মোড়কে মোড়া। এটকিনস ডায়েটও যথাযথ নয়। ১৯৭২ সালে ডা. এটকিন ডায়েট আবিষ্কৃত হয়। বিশেষজ্ঞরা এর বিরূপ সমালোচনা করলেন। কেউ কেউ একে বেশ অনুসরণ করলেন। ‘হাইফ্যাট, লো কার্বোহাইড্রেট’ ডায়েট। এ এটকিনস ডায়েট—চর্বি খাবেন নির্বিবাদে, মাংস, ডিম, চর্বি, মাখন, পনির যথেচ্ছ, তবে শসা, ডাল, অন্যান্য শর্করা খাদ্য নিষেধ। অনেকে একে হাইপ্রোটিন, লো কার্বোডায়েটও বলেন।

এ ডায়েট মারাত্মক বিপজ্জনক। এসব খেলে রক্তে শাঁ শাঁ উঠে যাবে চর্বি, কোলেস্টেরল এলডিএল—বাড়বে করোনারি ঝুঁকি।

অতএব সাধু সাবধাণ। সময় থাকতেই।





তা হলে করবেনটা কি?



উত্তরে দক্ষিনে পূর্বে পশ্চিমে সবদিকেই তো যেতে নিষেধ করলাম। যা করবেন-



পরিশ্রম, পরিশ্রম এবং পরিশ্রম অথ্যাৎ শারিরীক ব্যায়াম। সাথে পরিমিত আহার, সুষম নিদ্রা এবং অতি অবশ্যই নিজেকে ফিট করে তোলার প্রবল মানসিক ইচ্ছা। কারণ শরীরটা আপনার ওকে আপনিই পারেন মনের মত করে গড়ে তুলতে আর কেউ না।



বাসায় করা যায় এবং অতি অবশ্যই কোন ইকুপমেন্ট লাগে না এমন একটি ব্যায়ামের নাম সিক্স প্যাক এবস কোর ওয়ার্ক আউট। এখানে পাবেন



প্রতিদিন নিয়ম করে এটি করে দেখুন। খুবই সহজ এবং কাজের আমি নিজে করি আপনারাও ট্রাই করতে পারেন।

ধন্যবাদ।







মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩

মধু নদীর জোলা বলেছেন: স্বাস্থ্যকর আহার, নিয়মিত ব্যায়াম করে জীবনভর স্লিম থাকা যায়। B-))

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০০

আমার কোন প্রশ্ন নাই বলেছেন: জি সহমত।

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

আব্দুর রহ্‌মান বলেছেন: কিনতু করব কি তা তো বললেননা। কিছুই যদি না করি তবে মেদ কমাবো কিভাবে?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

আমার কোন প্রশ্ন নাই বলেছেন: কিভাবে কমাবেন আপডেট করে দেওয়া হয়েছে। ধন্যবাদ।

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১২

হালি্ বলেছেন: হ পুরাই বুজরুকি /:)

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৯

আমার কোন প্রশ্ন নাই বলেছেন: জি সহমত।

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩২

রিভানুলো বলেছেন: আব্দুর রহ্‌মান বলেছেন: কিনতু করব কি তা তো বললেননা।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১০

আমার কোন প্রশ্ন নাই বলেছেন: আপনাদের উভয়ের প্রশ্নের উত্তর পোষ্টে এ্যাড করা হয়েছে। ধন্যবাদ।

৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১০

এম আর ইকবাল বলেছেন: আমি একজনের কথা জানি,
যে মেদ কমানোর জন্য এ জাতীয়
চিকিৎসার শরনাপন্ন হয়েছিল,
এবং কি সব ওযুধ খেয়েছিল ।
পরিনামে দিন পনেরো বিপদজনক পায়খানা হয়েছিল ।
কিছুদিন পরে যখন তাকে দেখলাম,
দেখি শরীর একেব্বারে ভেঙ্গে পড়েছে,
যাকে বলে স্বাস্থ্যহানী ।
এরপর বিভিন্ন রোগেভূগে কয়েক বছরের মধ্যে
সে মারা যায় ।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮

আমার কোন প্রশ্ন নাই বলেছেন: এমনটি হতেই পারে। সবাইকে সাবধান হওয়ার অনুরোধ করছি। ধন্যবাদ।

৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৪৭

বেলা শেষে বলেছেন: Thenk you very much for good post.
good description, good solution, good Regulation.
Salam & Respect.
Up to next time.

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৮

আমার কোন প্রশ্ন নাই বলেছেন: Thanks

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.