![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘুমানোর জন্যই জন্ম অথচ কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এ অন্যায়ের বিচার হবেই একদিন!!!
ব্লগে কিছু নাস্তিক আর বিভ্রান্ত ব্লগার যে অনুপাতে ইসলামের পিছনে লেগেছে আর কিছু জামাতিরা যে অনুপাতে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে লেগেছে সেটা দেখে ব্লগে আসলেই মন খারাপ হয়ে যায়। ব্লগে এম্নিতেই আসার সুযোগ পাইনা, আবার আসলেও প্রথম পাতায় দেখি জামাতিদের পাকি-টাইপ পোস্ট অথবা তথাকথিত আধাশিক্ষিত নাস্তিকদের ছাগলামি-মার্কা পোস্ট। ইনশাআল্লাহ, নেক্সট কয়েকটা পোস্ট আমি কুরআন যে এখনও আমাদের কাছে যা আছে সেটাই অরিজিনাল রাসুল (সাঃ) এর ভার্সন সেটা রেফারেন্সসহ দিব। উল্লেখ্য আমার লেখার বড় একটা অংশই হবে অনুবাদ। সব শেষে কোথ্থেকে অনুবাদ করা হয়েছে সেটাও সোর্স উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ।
প্রথম পর্ব:
প্রথমেই সবাই জানে যে মুহাম্মাদ (সাঃ) এর আমলেই প্রচুর সংখ্যক সাহাবী কুরআনে হাফিজ ছিলেন। (বিশ্বে আর কোন বইয়েরই কিন্তু এরকম ওয়ার্ড-বাই-ওয়ার্ড বা verbatim মুখস্তকারী পাওয়া যাবেনা। এটা একটা আশ্চর্য্যের বিষয়ই বটে। আমি এখানে আমার খ্রীস্টান এক বন্ধুকে যখন এটা বলেছি সে আশ্চর্য্য হয়ে গেছে।) মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জামানায় কুরআনে হাফেজদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন জায়েদ ইবনে সাবিত, উবাই ইবনে কা'ব, মুআ'য ইবনে জাবাল, আবু যায়েদ প্রমুখ সাহাবা (রাঃ) (১)।
তাছাড়া হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) -এর আমলে যখন কোরআন নাজিল হত তখনই কয়েকজন সাহাবা সেটা লিখে রাখতেন নবী কারীম (সাঃ) এর ডিকটেশান থেকেই। এরকম সম্মানিত সাহাবা (রাঃ) দের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জায়েদ ইবনে সাবিত(২), উবাইয়া ইবনে কা'ব, ইবনে মাসুদ, মুআ'বিয়া ইবনে আবি সুফিয়ান, খালিদ ইবনে ওয়ালিদ, জুবায়ের ইবনে আওয়াম (রাঃ) প্রমুখ (৩)। এগুলো সাধারণত লেখা হত লেদার, পার্চমেন্ট ইত্যাদিতে(৪)।
অনেকেই নবম-দশম শ্রেণীতে ইসলাম শিক্ষায় হয়ত ইয়ামামার যুদ্ধের কথা পড়েছিলেন। সে যুদ্ধে বিপুল সংখ্যক কুরআনে হাফিজ শহীদ হন। তাতে কুরআনকে সম্পূর্ণভাবে লেখ্য আকারে সংরক্ষণ করা জরুরী হয়ে পড়ে। তখন হযরত আবু বকর সিদ্দিকী (রাঃ) এর শাসনামল ছিল। হযরত উমর (রাঃ) হযরত আবু বকর (রাঃ) কে অনুরোধ করেন যেন লিখিত ফর্মে কুরআন সংরক্ষণ করা হয়। হযরত আবু বকর (রাঃ) হযরত যায়েদ ইবনে সাবিত (রাঃ) কে প্রধান করে একটা কমিটি করেন যারা বিচ্ছিন্নভাবে ছড়ানোছিটানো সংরক্ষিত কুরআনের একটা অথরিটেটিভ কপি করবেন(৫)। এই কপিটাকে "মুশাফ"( loose sheets which bore the entire revelation on them) বলা হত। মুশাফটা যাতে কোনরকম ভুলভ্রান্তি না থাকে সেজন্য যায়েদ ইবনে সাবিত (রাঃ) এর কমিটি লেখা গ্রহণ করার জন্য দু'টা শর্ত জুড়ে দিয়েছিলেন(৬)।
i) শুধুমাত্র সেসব কপিই গ্রহণ করা হবে যা হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর উপস্থিতিতেই সংরক্ষণ করা হয়েছিল। (এবং)
ii) কমপক্ষে দুজন বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষী এই মর্মে ঘোষণা দিবেন যে তারা রাসুল (সাঃ) কে এই আয়াত আবৃত্তি করতে নিজের কানে শুনেছেন।
মুশাফটা যখন সম্পন্ন করা হয়েছে আর সাহাবা আকরাম (রাঃ) দের দ্বারা সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়েছে তখন তা হযরত আবু বকর (রাঃ) এর কাছে ছিল, তার মৃত্যুর পর হযরত উমর (রাঃ)-এর কাছে এবং তার মৃত্যুর পর উমর (রাঃ) এর কন্যা মুহাম্মাদ (সাঃ) এর বিধবা স্ত্রী হযরত হাফসা (রাঃ) এর কাছে ছিল(৭)।
কিন্তু আরবরা কোন হরকত বা যের-যবর বা স্বরবর্ণ ছাড়াই আরবী পড়ত যেহেতু এটা তাদের মাতৃভাষা ছিল। উল্লেখ্য এখনও শিক্ষিত আরবরা হরকত ছাড়া আরবী পড়তে পারে। হযরত ওমর (রাঃ)-এর আমলে ইসলাম ব্যাপক প্রসার লাভ করে। অনেক অনারবরাও ইসলামের আওতায় আসে। তাছাড়া ইংরেজীর মত উচ্চারণেও আরবের বিভিন্ন রিজিয়নের মধ্যে পার্থক্য ছিল। হযরত ওসমান (রাঃ) এর আমলে দেখা গেল দুরবর্তী এলাকার অনেকেই রাসুল (সাঃ) যেরকম উচ্চারণ শিখিয়েছিলেন সেরকম উচ্চারণ করতেছেনা। (এক্সেন্টের কথা বলা হচ্ছেনা, উচ্চারণের কথা বলা হচ্ছে) তাতে অনেক অর্থেরই বিকৃতি হয়ে যাচ্ছিল। হযরত ওসমান (রাঃ)
উচ্চারণে ইউনিফরমিটি আনার জন্য হযরত হাফসা (রাঃ)-এর নিকট সংরক্ষিত মুশাফ থেকে অনেক কপি করলেন। এই কাজে তিনি হযরত আবু বকর (রাঃ) এর আমলে মুশাফ কমিটির হেড যায়েদ ইবনে সাবিত (রাঃ) সহ আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের, সায়ীদ ইবনে আ'স, আব্দুর রহমান ইবনে হারিস প্রমুখ সাহাবা (রাঃ) কে দায়িত্ব দেন(৮)। আসল ম্যানুস্ক্রিপ্ট হাফসা (রাঃ) কে ফেরত দিয়ে তিনি বাকি কপিগুলো মেজর ইস্লামিক প্রভিন্সে পাঠান। তাছাড়া যাতে পরবর্তীতে কোন কনফিউশন তৈরী নাহয় সেজন্য তিনি অন্য সকল কপি পুড়িয়ে ফেলার আদেশ জারি করেন। উল্লেখ্য হযরত ওসমান (রাঃ) এর করা কপি এখনও উযবেকিস্তানের তাশকেন্ত মিউজিয়ামে আছে(৯)। UNESCO-র Memory of the World Program মতে "it is the definitive version, known as the Mushaf of Uthman."(১০)
চলবে......
রেফারেন্স:
১. Saheeh Al-Bukhari Vol.6, Hadith No.525
২. Jalal al-Din Suyuti, Al-Itqan fee ‘Uloom al-Quran, Beirut: Maktab al-Thiqaafiyya, 1973, Vol.1, p.41 & 99.
৩. Ibn Hajar al-’Asqalani, Al-Isabah fee Taymeez as-Sahabah, Beirut: Dar al-Fikr, 1978; Bayard Dodge, The Fihrist of al-Nadeem: A Tenth Century Survey of Muslim Culture, NY: Columbia University Press, 1970, p.53-63.
৪. Al-Harith al-Muhasabi, Kitab Fahm al-Sunan, cited in Suyuti, Al-Itqan fi ‘Uloom al-Quran, Vol.1, p.58.
৫. Saheeh Al-Bukhari Vol.6, Hadith Nos.201 & 509; Vol.9, Hadith No.301.
৬. Ibn Hajar al-’Asqalani, Fath al-Bari, Vol.9, p.10-11.
৭. Saheeh Al-Bukhari, Vol.6, Hadith No.201.
৮. Saheeh Al-Bukhari Vol.4, Hadith No.709; Vol.6, Hadith No.507
৯. Yusuf Ibrahim al-Nur, Ma’ al-Masaahif, Dubai: Dar al-Manar, 1st ed., 1993, p.117; Isma’il Makhdum, Tarikh al-Mushaf al-Uthmani fi Tashqand, Tashkent: Al-Idara al-Diniya, 1971, p.22ff.
১০. I. Mendelsohn, “The Columbia University Copy Of The Samarqand Kufic Quran”, The Moslem World, 1940, p. 357-358.
A. Jeffery & I. Mendelsohn, “The Orthography Of The Samarqand Quran Codex”, Journal Of The American Oriental Society, 1942, Volume 62, pp. 175-195.
২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:১৭
কুম্ভকর্ণ বলেছেন: কামাল পাশা কে নিয়ে একবার একটা পোস্ট লিখেছিলাম। সেই দালালটাকে নিয়ে পোস্টটা রিফাইন করে আরো সোর্স রেফারেন্সসহ আবার দিব।
৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:১৭
একরামুল হক শামীম বলেছেন: গ্রেট!! প্রিয় পোস্টের তালিকায় যোগ করলাম।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:২২
কুম্ভকর্ণ বলেছেন: শামীম মিয়া, ধইন্যাপাতা। আছ কেমন?
৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:২০
বিবর্তনবাদী বলেছেন: কোন লাভ নাই নারু ভাই। নাস্তিকগন রেফারেন্স মানতে আগ্রহী নন। তাহাদের অন্তর সিল মারা আছে। কথা হচ্ছে, সেটা কি আল্লাহর ইচ্ছায় সিল মারা হয়ে আছে? নাকি, তাদের কৃতকর্মের জন্য। আল্লাহ মালুম।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:২২
কুম্ভকর্ণ বলেছেন: ধন্যবাদ বিবর্তনবাদী। নাস্তিকদের জন্য দিচ্ছিনা। কিন্তু তাদের ক্রমাগত প্রপাগান্ডা চলতে থাকলে সাধারণ ব্লগাররাও হয়ত বিভ্রান্ত হবে। তদের মনেও সন্দেহ জাগবে হয়ত। তাদের জন্যই বেসিকালি দিচ্ছি।
৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:২১
সেকেতুরে বলেছেন: ভেরি গুড!!!! ++++++++++++++++++++++++++++
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:২৩
কুম্ভকর্ণ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:২৪
একরামুল হক শামীম বলেছেন: পুরোটাই পড়লাম। এইটা শুরু পর্ব। শুরুটা চমৎকার হয়েছে। পরের পর্বগুলোর অপেক্ষায় থাকলাম।
কোন বিষয়ে দ্বিমত থাকলে সরাসরি বলে ফেলবো।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩০
কুম্ভকর্ণ বলেছেন: ইনশাআল্লাহ পরের পর্ব তাড়াতাড়িই দিব। তোমাকে ধইন্যাপাতা।
৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:২৫
বিষাক্ত মানুষ বলেছেন: ঠিকাছে । চলুক ....
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩০
কুম্ভকর্ণ বলেছেন: বিমা, ধন্যবাদ। আছ কেমন?
৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:২৫
ব্রাইট বলেছেন: ফিলাশ!
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩১
কুম্ভকর্ণ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:২৬
ত্রিভুজ বলেছেন:
গ্রেট.... ভেবেছিলাম লিখবো...
চলুক...
১০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:২৬
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: দারুণ পোষ্ট।
হযরত ওসমান (রাঃ) এর করা কপির আরেকটা 'Topkapi Museum in Istanbul, Turkey তে আছে।
লেখাটা ভালো লাগছে।
তোমার খবর কি??
আছো কেমন ভাইটুস??
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩১
কুম্ভকর্ণ বলেছেন: হ্যাঁ, ঠিক। ওটাও পরবর্তী পোস্টে আসবে।
আমার খবর আলহামদুলিল্লাহ ভালই। তোমার কি অবস্থা? আছ কেমন?
১১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:২৮
আট আনা বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩২
কুম্ভকর্ণ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।
১২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩২
মিছে মন্ডল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাষায় সহজভাবে সত্য প্রকাশের জন্য। লিখতে থাকুন।
১৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আরো জানার জন্য পড়বো।
১৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৪৩
সেকেতুরে বলেছেন: আর্ও ভালো লিখুন এই আশায় রইলাম! +++++++++
১৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৪৭
ইউনুস খান বলেছেন: বিবর্তনবাদী বলেছেন: কোন লাভ নাই নারু ভাই। নাস্তিকগন রেফারেন্স মানতে আগ্রহী নন। তাহাদের অন্তর সিল মারা আছে। কথা হচ্ছে, সেটা কি আল্লাহর ইচ্ছায় সিল মারা হয়ে আছে? নাকি, তাদের কৃতকর্মের জন্য। আল্লাহ মালুম।
১৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৪৮
বিডি আইডল বলেছেন: ধন্যবাদ..এই ধরণের লিখার দরকার ছিল...বেশীর ভাগ সাধারণ মুসলিমদের ঈমান দুর্বল..ঘ্যানী ঘ্যানী বির্তক শুনে তাদের ঈমান আরও দুর্বল হয়ে যেতে পারে..পরবর্তী গুলো তাড়াতাড়ি চাই
১৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৪৮
উন্মাদ ছেলে বলেছেন: ভালো উদ্যোগ।
১৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৫২
শয়তান বলেছেন: ভাল পোস্ট ।
১৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:২১
আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:
যাক সংগ্রহে রাখার মতো চমৎকার একটা কাজ শুরু করেছে নারু ।
আন্তরিক অভিনন্দন । চলতে থাকুক , সঙ্গে আছি ।
২০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:২৯
মৃত হাসানের প্রেতাত্মা বলেছেন: পুরটা পড়ি নাই। আশাকরি পরে পড়ব। প্রিয়তে রাখলাম। শুধুমাত্র প্লাস দেওয়ার জন্য লগইন করেছি।
২১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৩২
শয়তান বলেছেন: সময়কালগুলা উল্লেখ করা উচিত ছিল
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১৮
কুম্ভকর্ণ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। সময়কাল উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ।
২২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৩৪
রামন বলেছেন: আধাশিক্ষিত নাস্তিক ছাগলদের জন্য মহাজ্ঞানীর পোষ্ট। .... চলুক ছাগল আর মহাজ্ঞানীর দীক্ষা-যুদ্ধ!
২৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৩৯
স্টিংরে বলেছেন: আচ্ছা, আপনার উল্লেখিত আদি কোরানের কোন সময় কি কার্বন ডেটিং করা হয়েছে বলে আপনার কাছে রেফারেন্স আছে?
থাকলে একটু আওয়াজ দিলে খুশি হবো।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:০৮
কুম্ভকর্ণ বলেছেন: ব্যাপারটা পরের পর্বতে আসত। যাক, আপনি যেহেতু অধর্য্য হয়ে পড়েছেন নিচের লিংকে ক্লিক করেন।
Click This Link
২৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৪৫
স্টিংরে বলেছেন: The oldest manuscripts of the Quran still in existence date from not earlier than about one hundred years after Muhammad's death." ("Jam' Al-Qur'an", page 153). Because two of the oldest manuscripts, the Samarqand and Topkapi codices are both written in the Kufic script. It can generally be dated from the late eight century depending on the extent of development in the character of the script in each case.
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১১
কুম্ভকর্ণ বলেছেন: ভাইজান, জন গিলক্রিস্টের বই থেকে কোট করতেছেন অথচ তার নামটাই উল্লেখ করেননি। বইটা খ্রিস্টান মিশনারীদের পাঠ্যবই আর গিলক্রিস্ট একজন স্টন্চ ইভানজেলিস্ট।
২৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৫২
সাহোশি৬ বলেছেন: @ লেখক
আপনি বলেছেন "তাছাড়া যাতে পরবর্তীতে কোন কনফিউশন তৈরী নাহয় সেজন্য তিনি অন্য সকল কপি পুড়িয়ে ফেলার আদেশ জারি করেন। "
আপনি কহুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন কিভাবে মুশাফ থেকে কোরানের কপি করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো অন্য সকল কপি আসল কোথা থেকে? ওসমানের আগেই কি কেউ কোরানের কপি তৈরি করেছিল? করলে কেন করেছিল? আর না করলে তো পোড়ানোর প্রশ্নই আসে না।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১৩
কুম্ভকর্ণ বলেছেন: আপনার সব প্রশ্নের উত্তর আসতেছে। পোস্টটাকে রিফাইন করতেছি। তবে আপনি আনসারিং-ইসলামে কোট বাদ দেন। ওটা রিলায়েবল না। ভাল রেফারেন্স বই পড়েন।
২৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৫৮
খড়িমাটি বলেছেন: ভাইসব আমার ঈমান নড়বড়ে হয়ে গেছে ???
আরজ আলী মাতুব্বর এর প্রশ্ন গুলির উত্তর কারো কাছে আছে???
২৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:০৯
বন্ধনহীন বলেছেন: ভালো পোস্ট। গুড জব।
২৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:১২
আরিফুর রহমান বলেছেন: ফিটের ব্যারাম যে মুহম্মদ ভাইয়ের ছিলো, যিনি নাকি লেখাপড়া জানতেন না, তিনি প্রায়শই বিশাল বিশাল স্টোরি নামাইতেন। ইউসুফ কে নিয়ে নাকি প্রায় ১১১ লাইনের এক বিশাল টুকরা তার মারফতে আল্লার তরফ থেকে আসিয়াছিলো।
তাহার স্মৃতিশক্তি কি এতোই তেজী ছিলো যে আল্লা তার কাছে যা ই উন্মুক্ত করতেন তিনি হুবহু মনে রাখতে পারতেন?
তার যে সকল পার্শ্বচর ছিলো, তারা মুহম্মদ ভাইয়ের বয়ানগুলি 'মুখস্ত' করতেন।
শুধুমাত্র একবার শুনে মনে রাখার মতো তাদের স্মৃতিশক্তি কি এতোই তেজ ছিলো? বলতে চাইছি, তারা কি সুপার হিউম্যান টাইপের কিছু ছিলো? (আমরা জানি ইদানীঙকালে 'হাফেজ' এক বাক্যে হওয়া যায় না, অল্পবয়সে বারম্বার পড়তে পড়তে তারপরেই মুখস্ত করা যায়)
মুহম্মদ ভাইয়ের সেক্রেটারি যাইদ ভাইয় প্রথমে 'সুহফ' তারপর কালেকশন করে 'মুসাফ' যে বানাইলেন, তারপর উসমান ভাইয়ের নির্দেশে আবারো 'এডটিঙ' করলেন, এই সমস্ত স্তরগুলিতে কি মুহম্মদ ভাইয়ের প্রত্যেকটি 'আল্লার বাণী' অন্তুর্ভূক্ত হয়েছে বলিয়া নিশ্চিত করে বলা যায়? কোন বাণী/আয়াত কি মিসিং হওয়ার সম্ভাবনা নাই? অথবা লোকমুখে প্রচলিত গল্পের মতো কেউ কি রং চড়ান নাই? (যেমন পাথর মেরে হত্যার ব্যাপারটা!)
এতোগুলি প্রশ্নবিদ্ধ স্তর, যার যেকোন একটা স্তরে যদি গোলোযোগ বাঁধে, তবে পুরো কোরানের 'অথেনটিসিটি' নিয়ে বিরাট প্রশ্নের বাক্স খুলে যাওয়ার সমুহ সম্ভাবনা আছে।
নরুর কি মতামত এই ব্যাপারে?
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:২১
কুম্ভকর্ণ বলেছেন: লেখাটা পড়েন আগে। তাছাড়া আপনার সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে রুচিতে বাঁধে। কিছুটা লেখাপড়া জানা মানুষের সাথে কথা বলতে ভাল লাগে। আপনি শুধু লাফান, কিছুই জানেননা। নাস্তিক হয়ে মনে করেন ইস্মার্ট হয়ে গেছেন। আমি নিশ্চিত আপনার ছাত্রজীবন বা পরবর্তীতে চাকরিজীবনেও কোন সফলতা নেই।
তাছাড়া সময়েরও খুব অভাব।
ওসমান "ভাইয়ের" নির্দেশে এডিটিং করা হয়নি। হাফসা (রাঃ)-এর কপিটাই রিপ্রডিউস করা হয়েছে।
আমার ব্লগের কোন একটা পোস্ট দেখে আপনার বিকৃতমনস্কের পরিচয় পেয়ে সেখানেই লিখেছিলাম আপনাকে বয়কট করব। খোঁজে দেখেন।
আমার ব্লগে আপনি আর কোন কমেন্ট করবেননা। আমি মুহাম্মদ (সাঃ) কে ভালবাসি, যে আমি যাকে সম্মান করি তাকে মিনিমাম সম্মান দেখানোর প্রয়োজন বোধ করেনা তার সাথে কথা বলতে রুচিতে বাঁধে।
২৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:৩১
স্বাধীন_০৮ বলেছেন: ভাল পোস্ট। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
চালিয়ে যান।
৩০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:৩৫
সাহোশি৬ বলেছেন: @ লেখক
১। আপনি বলেছেন "কিন্তু আরবরা কোন হরকত বা যের-যবর --- অর্থেরই বিকৃতি হয়ে যাচ্ছিল। "
আসুন দেখি এ ব্যাপারে হাদিস কি বলে?
Bukhuri: vol. 4, hadith 682, book 56
Narrated Ibn Mas'ud:
I heard a person reciting a (Quranic) Verse in a certain way, and I had heard the Prophet reciting the same Verse in a different way. So I took him to the Prophet and informed him of that but I noticed the sign of disapproval on his face, and then he said, "Both of you are correct, so don't differ, for the nations before you differed, so they were destroyed."
উপরের হাদিস থেকে এটা স্পষ্ট মোহাম্মদ ভিন্ন উচ্চারনে কোরান পড়াকে সমর্থন করেছিলেন।
২। "আপনি বলেছেন: মিশাফায় সেসব কপিই গ্রহণ করা হবে যা হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর উপস্থিতিতেই সংরক্ষণ করা হয়েছিল।"
আসুন দেখি হাদিস এ ব্যাপারে কি বলে?
Bukhari: vol. 6, hadith 509, p. 477; book 61
Narrated Zaid-bin-Thabit:
Abu Bakr As-Siddiq sent for me when the people of Yama-ma had been killed (i.e. a number of the prophets companions who fought against Musailama). (I went to him) and found Umar bin Al-Khattab sitting with him. Abu Bakr then said to me, "Umar has come to me and said: `Casualties were heavy among the Qurra of the Qur'an (ie those who knew the Qur'an by heart) on the day of the battle of Yama-ma, and I am afraid that more heavy casualties may take place among the Qurra on other battle fields, whereby a large part of the Qur'an may be lost. Therefore I suggest that you (Abu Bakr) order that the Qur'an be collected'." I said to Umar, "How can you do something Allah's Apostle did not do?" Umar said, "By Allah, that is a good project". Umar kept on urging me to accept his proposal till Allah opened my chest (persuaded me) for it and I began to realise the good idea which Umar had realised.
উপরের হাদিসে এটা স্পষ্ট মোহাম্মদের জীবদ্দশায় পুরো কোরান collection শেষ হয় নাই। তাই তো আবু বকর উমরকে বললেন "How can you do something Allah's Apostle did not do?"
৩। Bukhari: vol. 6, hadith 521, pp. 487-488; book 61
Narrated Masruq:
... I heard the Prophet saying, "Take (learn) the Qur'an from four (men): `Abdullah bin Masud, Salim, Mu'adh and Ubai bin Ka'b."
(Please take note of Ubai (Ubayy) and Masud. Their collections of the Qur'an were important to the later events in the history of the Quran.)
লক্ষ্য করুন উপরের হাদিসে মোহাম্মদ মাসুদ এবং উবাই এর কথা বলেছেন । এবার নীচের হাদিস দেখুন
Bukhari: vol. 6, hadith 468, p. 441-442; book 60
Narrated Ibrahim:
The companions of 'Abdullah (bin Mas'ud) came to Abi Darda', (and before they arrived at his home), he looked for them and found them. Then he asked them,: "Who among you can recite (Qur'an) as 'Abdullah recites it?" They replied, "All of us." He asked, "Who among you knows it by heart?" They pointed at 'Alqama. Then he asked Alqama. "How did you hear 'Abdullah bin Mas'ud reciting Surat Al-Lail (The Night)?" Alqama recited:
'By the male and the female.' Abu Ad-Darda said,
"I testify that I heard me Prophet reciting it likewise, but these people want me to recite it:--
'And by Him Who created male and female.' But by Allah, I will not follow them."
এই হাদিস দ্বারা এটা স্পষ্ট ভিন্ন অন্চলের মুসলিমরা ভিন্ন ভিন্ন উচ্চারনে কোরান পড়তেন। যারা 'Abdullah bin Mas'ud এর কাছে কোরান শিখেছিলেন তারা কোরানের 92:1-3 আয়াত পড়তেন 'By the male and the female.' , আর অন্য মুসলিমরা একই আয়াত পড়তেন 'And by Him Who created male and female.' সুতরাং এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে ইসলামের শুরুতেও মুসলিমরা একই way তে কোরান মুখস্ত করেন নি। সুতরাং প্রথম থেকেই কোরানের উচ্চারনজনিত সমস্যা ছিলই, যা মোহাম্মদের মৃত্যুর পর প্রসার লাভ করে।
৪। প্রশ্ন হলো উসমানের সংরক্ষিত কোরানে কি কোন editing বা selection হয়েছিল? উত্তর হ্যা হয়েছিল। আসুন নীচের হাদিস দেখি
Bukhari: vol. 8, hadith 817, p. 539-540; book 82
Allah sent Muhammad with the Truth and revealed the Holy Book to him, and among what Allah revealed, was the Verse of the Rajam (the stoning of married person (male and female) who commits illegal sexual intercourse), and we did recite this Verse and understood and memorized it. Allah's Apostle did carry out the punishment of stoning and so did we after him. I am afraid that after a long time has passed, somebody will say, `By Allah, we do not find the Verse of the Rajam in Allah's Book,' and thus they will go astray by leaving an obligation which Allah has revealed.
উপরের হাদিস থেকে এটা স্পষ্ট যে উমর convinced ছিলেন stoning an adulterer কোরানের অংশ ছিল এবং কোরান থেকে মুছে ফেলা হয় নি। অথচ আধুনিক কোরানে এই আয়াতগুলো নেই। এটা দিয়ে কি প্রতিয়মান হয় না যে উমরের দল দ্বারা সংরক্ষিত কোরানেও edition এবং selection হয়েছে?
আবার দেখুন,
Bukhari: vol. 6, hadith 60, p. 46; book 60
Narrated Ibn Az-Zubair:
I said to `Uthman, "This Verse which is in Surat-al-Baqara: `Those of you who die and leave wives behind............ without turning them out,' has been abrogated by an other Verse. Why then do you write it (in the Qur'an)?" `Uthman said, "Leave it (where it is), O son of my brother, for I will not shift anything of it (i.e. the Qur'an) from its original position."
উপরের হাদিস দ্বারা এটা স্পষ্ট Ibn Az-Zubair চাইছিলেন যে আয়াতটি কোরান থেকে মোছা হোক, কিন্তু উসমান চাইছিলেন যে আয়াতগুলো থাকুক, তাই আধুনিক কোরানে উপরের আয়াতগুলো বিদ্যমান।
৩১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:৩৬
স্বাধীন_০৮ বলেছেন: @আরিফুর রহমান
আপনি সব বিষয়ে এত খুত ধরেন, যে আমার জানবার মনে চায় এত আ...বাল মার্কা প্রশ্ন আপনার মস্তিকে কেমতে আসে।
আচ্ছা আপনি আপানার জন্মের ব্যপারে ঠিক যুক্তিতে আছেনতো?
নাকি,পিতার পরিচয় নিশ্চিত হতে মাতাকে এই রকম আ...বাল মার্কা প্রশ্ন করেছিলেন।
উত্তরের অপেক্ষায় আমারা থাকলাম।
(আরিফুর রহমান আমাকে ব্লক করে দিছে, তাই এইখানে দিলাম)
৩২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:৪৩
বিডি আইডল বলেছেন: স্বাধীন_০৮ বলেছেন: @আরিফুর রহমান
আপনি সব বিষয়ে এত খুত ধরেন, যে আমার জানবার মনে চায় এত আ...বাল মার্কা প্রশ্ন আপনার মস্তিকে কেমতে আসে।
আচ্ছা আপনি আপানার জন্মের ব্যপারে ঠিক যুক্তিতে আছেনতো?
নাকি,পিতার পরিচয় নিশ্চিত হতে মাতাকে এই রকম আ...বাল মার্কা প্রশ্ন করেছিলেন।
উত্তরের অপেক্ষায় আমারা থাকলাম।
(আরিফুর রহমান আমাকে ব্লক করে দিছে, তাই এইখানে দিলাম)
৩৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:৪৬
স্বাধীন_০৮ বলেছেন: সবাই কে একটা কথা বলি,
ভাই আমিও চাই সবাই যুক্তিতে আসুক।কিন্তু মুহাম্মদ (সঃ) কে নিয়া আরিফুর রহমান যেভাবে উক্তি করেন তা অশোভন।
তাই এইবার তাকে বুঝানোর জন্য আমি তাকে এই ছোট্ট প্রশ্নটি করেছি।
৩৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:৫০
সাহোশি৬ বলেছেন: @ লেখক
প্রশ্ন হলো উসমানের সময় কি কোরানে কোন পরিবর্তন হয়েছে? উত্তর হ্যা হয়েছে। কিভাবে? আসুন নীচের হাদিস দেখি
Mishkat Al-Masabih: book 8, ch. 3, last hadith [4]
Ibn Abbas said he asked Uthman[1] what had induced them to deal with al-Anfal[2] which is one of the mathani[3] and with Bara`a[4] which is one with a hundred verses, joining them without writing the line containing "In the name of God, the Compassionate, the Merciful,"[5] and putting it among the seven long ones. When he asked again what had induced them to do that, Uthman replied, "Over a period suras with numerous verses would come down to God's messenger, and when something came down to him he would call one of those who wrote and tell him to put these verses in the sura in which such and such is mentioned, and when a verse came down he would tell them to put it in the sura in which such and such is mentioned. Now al-Anfal was one of the first to come down in Medina and Bara`a was among the last of the Qur'an to come down, and the subject-matter of the one resembled that of the other, so because God's messenger was taken without having explained to us whether it belonged to it, for that reason I joined them without writing the line containing `In the name of God, the Compassionate, the Merciful,' and put it among the long suras."
এই হাদিসে স্পষ্ট মোসলমানেরা উসমানকে প্রশ্ন করেছিলেন "In the name of God, the Compassionate, the Merciful", এই আয়াতটি ৯ নম্বর সুরায় নাই কেন? মুসলমানদের মতে এই আয়াতটি ঐ সুরায় থাকা উচিৎ ছিল, অথচ উসমান চান নি বলেই ঐ আয়াতটি কোরানে সংরক্ষিত হয় নি।
After the compilation of `Uthman, all the Qurra' (readers of the Qur'an) were asked to read only according to the `Uthmanic masahif. For this reason the personal codices were collected and destroyed. Eventually, the `Uthmanic masahif dominated all the cities (amsar), but with some slight resistance, for instance, as in the case of Ibn Mas`ud and Ibn Shunbudh. (Ahmad `Ali al Imam, Variant Readings of the Qur'an, Virginia: IIIT, 1998, p. 120)
উপরের লেখা থেকে এটা স্পষ্ট যে Ibn Mas'ud কখনোই উসমানের সংরক্ষিত কোরান মেনে নেন নি। অথচ মোহাম্মদ তার এক হাদিসে মাসুদের কাছ থেকে কোরান শিখতে বলেছিলেন। মাসুদ যে উসমানের সংরক্ষিত কোরান মেনে নেন নি সে ব্যাপারে নীচের হাদিস দেখুন
Muslim: vol. 4, hadith 6022, p. 1312; book 29
`Abdullah (b. Mas'ud) reported that he (said to his companions to conceal their copies of the Qur'an) and further said: He who conceals anything he shall have to bring that which he had concealed on the Day of Judgement, and then said: After whose mode of recitation do you command me to recite? I in fact recited before Allah's Messenger (may peace be upon him) more than seventy chapters of the Qur'an and the Companions of Allah's Messenger (may peace be upon him) know it that I have better understanding of the Book of Allah (than they do), and if I were to know that someone had better understanding than I, I would have gone to him. Shaqiq said: I sat in the company of the Companions on Muhammad (may peace be upon him) but I did not hear anyone having rejected that (that is, his recitation) or finding fault with it.
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২০
কুম্ভকর্ণ বলেছেন: ব্যাপারটা পরের লেখায় আসবে।
৩৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:৫০
বিডি আইডল বলেছেন: এই ছাগল গুলা যুক্তি দিয়া কথা বোঝায়..আবার কেউ কিছু জানতে চাইলে ব্লক করে....খেক খেক...এই সব ফ্রি জোকর বাংলা ব্লগ সাইট ছাড়াও আর কই পাই
৩৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:৫৬
স্বাধীন_০৮ বলেছেন: সবাই কে একটা কথা বলি,
ভাই আমিও চাই সবাই যুক্তিতে আসুক।কিন্তু মুহাম্মদ (সঃ) কে নিয়া আরিফুর রহমান যেভাবে উক্তি করেন তা অশোভন।
তাই এইবার তাকে বুঝানোর জন্য আমি তাকে এই ছোট্ট প্রশ্নটি করেছি।
৩৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:০৪
বিবেক সত্যি বলেছেন: মাহফুজ ভাই, ঈদ মোবারক আর প্লাস.. ;-)
৩৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:০৪
স্বাধীন_০৮ বলেছেন: সবাই কে একটা কথা বলি,
ভাই আমিও চাই সবাই যুক্তিতে আসুক।কিন্তু মুহাম্মদ (সঃ) কে নিয়া আরিফুর রহমান যেভাবে উক্তি করেন তা অশোভন।
তাই এইবার তাকে বুঝানোর জন্য আমি তাকে এই ছোট্ট প্রশ্নটি করেছি।
৩৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:০৫
স্বাধীন_০৮ বলেছেন: সবাই কে একটা কথা বলি,
ভাই আমিও চাই সবাই যুক্তিতে আসুক।কিন্তু মুহাম্মদ (সঃ) কে নিয়া আরিফুর রহমান যেভাবে উক্তি করেন তা অশোভন।
তাই এইবার তাকে বুঝানোর জন্য আমি তাকে এই ছোট্ট প্রশ্নটি করেছি।
৪০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:০৬
স্বাধীন_০৮ বলেছেন: সবাই কে একটা কথা বলি,
ভাই আমিও চাই সবাই যুক্তিতে আসুক।কিন্তু মুহাম্মদ (সঃ) কে নিয়া আরিফুর রহমান যেভাবে উক্তি করেন তা অশোভন।
তাই এইবার তাকে বুঝানোর জন্য আমি তাকে এই ছোট্ট প্রশ্নটি করেছি।
৪১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:১০
স্বাধীন_০৮ বলেছেন: এক পোস্ট নেট সমস্যার কারনে অনেকবার হইয়ে গেছে,একটি রেখে বাকি গুলো মুছে দিন।
৪২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:২৮
নিবিড় অভ্র বলেছেন: ভালো লাগল।
৪৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:৩৩
সাহোশি৬ বলেছেন: @ লেখক
আপনি বলেছেন "মুশাফটা যাতে কোনরকম ভুলভ্রান্তি না থাকে সেজন্য যায়েদ ইবনে সাবিত (রাঃ) এর কমিটি লেখা গ্রহণ করার জন্য দু'টা শর্ত জুড়ে দিয়েছিলেন(৬)।
i) শুধুমাত্র সেসব কপিই গ্রহণ করা হবে যা হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর উপস্থিতিতেই সংরক্ষণ করা হয়েছিল। (এবং)"
আমি আমার আগের লেখায় Bukhari: vol. 6, hadith 509, p. 477; book 61 হাদিসটি উল্লেখ করে দেখিয়েছি যা মোহাম্মদের জীবদ্দশাতে কোরান সংগ্রহই (collection) শেষ হয় নাই, তাহলে আবুবকর কিভাবে সেসব কপিই গ্রহণ করলেন যা শুধু মোহাম্মদের উপস্থিতিটেই সংরক্ষণ করা হয়েছিল?
আমি উপরের দুইটি লেখায় বিভিন্ন হাদিস উল্লেখ করে বুঝিয়েছি যে আসলে উসমানের সময় কোরান পরিবর্তন হয়েছিল, সুতরাং বর্তমান কোরান আর মোহাম্মদের সময়ের কোরান এক নয়।
৪৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:৩৯
এস্কিমো বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা
৪৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:৪৭
"মিজানুর রহমান" বলেছেন: ভালো লাগল।
৪৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৬:০৭
রাশেদ বলেছেন: কি হে নারু! এসেই ব্যাটিং এ নেমে গেছো!
ঈদ মোবারক তোমারে। ভালো থেকো।
৪৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:২২
আওরঙ্গজেব বলেছেন: চলুক।
৪৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:৩৫
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: @সাহোশি,
"আমি আমার আগের লেখায় Bukhari: vol. 6, hadith 509, p. 477; book 61 হাদিসটি উল্লেখ করে দেখিয়েছি যা মোহাম্মদের জীবদ্দশাতে কোরান সংগ্রহই (collection) শেষ হয় নাই, তাহলে আবুবকর কিভাবে সেসব কপিই গ্রহণ করলেন যা শুধু মোহাম্মদের উপস্থিতিটেই সংরক্ষণ করা হয়েছিল?"
কোরান সংগ্রহই শেষ হয়নাই বলে কি বুঝালেন?
কোরানের আরো আয়াত আসা বাকী ছিলো? নাকি, বিক্ষিপ্তভাবে কোরানের আয়াতগুলো যে লিখিতভাবে সংরক্ষিত ছিলো সেখানে সব আয়াত সংরক্ষিত ছিলোনা?
আমি তো হাদীসটা পড়ে যেটা বুঝলাম সেটা হলো, সব আয়াতই কোথাও না কোথাও সংরক্ষিত ছিলো, কারণ তা না হলে উমর (রাঃ) প্রস্তাবটাই দিতেননা, তাইনা?
আবুবকর (রাঃ) কালেকশন বলতে যেটা বুঝিয়েছেন সেটা কি এটাই না যে "সব আয়াতকে একসাথ করে পূর্ণাঙ্গ কোরানের একটা লিখিত সংস্করণ" নবীর আমলে করা হয়নি? সেটার মানে তো এই না যে বিক্ষিপ্তভাবে থাকা প্রত্যেক আয়াতই লিখে রাখার সময় বা মুখস্থ করার সময় মোহাম্মদ (সাঃ) এর কনফারমেশন নেয়া হয়নি।
প্রশ্নটা শুধু সব একসাথ করা হয়েছে কি হয়নি, সেখানেই।
আপনি বলেছেন ইবনে মাসুদ(রাঃ) কখনই উসমানের কোরান মেনে নেননি -- এটা কি ঠিক? ইবনে মাসুদ(রাঃ) প্রথমে বিরোধিতা কর্বছিলেন, যখন বলা হয়েছিলো তাঁর কাছে যে কপিটা ছিলো সেটা পুড়িয়ে ফেলতে হবে, কারণ, কুরানের সংরক্ষক হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছিলো সবচেয়ে বেশী। পরে যখন তাঁকে বোঝানো হলো যে তাঁর সংরক্ষিত কপিতে মার্জিনের বাইরে তাঁর নিজের লেখা প্রচুর ফুটনোট ছিলো, যেকারণে সেই কপিটা সংরক্ষিত থাকলে পরবর্তিতে ইবনে মাসুদ (রাঃ)র লেখা ফুটনোটকেও মানউষ কোরানের আয়াত বলে ভুল করতে পারে, সেজন্য তাঁর কপিটি পুড়িয়ে ফেলা হবে, তখন তিনি সেটা মেনে নিয়েছিলেন। শুধু এনসারিং-ইসলাম.অরগ এ লেখা অংশটা থেকে পুরো ইতিহাস বুঝে ফেলতে গেলে কিন্তু হবেনা, আপনি সেই ইতিহাসটা পুরো পড়তে পারেন।
ইবনে মাসুদের ইতিহাস নিয়ে আশা করি পরে আপনাকে ভালো কোন বই রিফার করতে পারবো, এখন মনে আসছেনা।
আপনি প্রথম যে পয়েন্টটা বলেছিলেন, ভ্যারিয়ান্ট রিসাইটেশন অভ কোরান, সেটা খুব লোকাল লেভেলের। উমর (রাঃ) এর সময় ইসলাম ছড়িয়ে গেলে নন-এ্যারাবদের জন্য হলেও জের-যবর-পেশ এগুলোর সংযোজন প্রয়োজন হয়। মজার ব্যাপার হলো,অনেক আবুল এটাকেও কোরানের পরিবর্তন/পরিবর্ধন বলে। এখানে মনে রাখা জরুরী যে এটা শুধু আরবী একটি নির্দিষ্ট উচ্চারণ রীতিতে পুরো কোরানের স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন, ভাষার স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন ডকুমেন্ট সংরক্ষণের জন্য খুবই জরুরী। একই ডকুমেন্ট কিছু অংশ নোয়াখালীর, কিছু অংশ ঢাকাইয়া আবার কিছু অংশ প্রমিত বাংলায় নিশ্চয়ই কেউ লেখেনা, একটা স্ট্যান্ডার্ড ফলো করে।
সবচেয়ে বড় যে পয়েন্ট সেটা হলো, যে হাদীসগুলোর ভিত্তিতে কোরানের সংকলনের ইতিহাসের এই রিফিউটেশন আপনি করছেন, সেই হাদীসগুলোকে কেন নির্দ্বিধায় মেনে নেয়া হচ্ছে? সেগুলোর সত্যতা সম্পর্কে আপনি এত নিশ্চিত কিভাবে?
৪৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:১০
কানা বাবা বলেছেন:
কুরআনে তাহরিফ হৈচে ইতিহাস মুনয় হেই কতাই কয়... আলী (রাঃ)-এর মুসহাফ নিয়াও কিচুমিচু কৈয়েন্ টাইম্পাইলে... হুন্তে সাধ যায়...
তয় আগে পুরা সিরিজটা ধৈর্যো ধৈরা পৈরা লৈ... পরে সবগুলা কিস্তিতে এ্যাকলগে মাইনাচ্ দিবার ইরাদা রাখি এইনশাল্লাহ্...
মা'আস্ সালাম্।
৫০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:১৩
সাহোশি৬ বলেছেন: @ জ্বীনের বাদশা
আপনি বলেছেন: "সবচেয়ে বড় যে পয়েন্ট সেটা হলো, যে হাদীসগুলোর ভিত্তিতে কোরানের সংকলনের ইতিহাসের এই রিফিউটেশন আপনি করছেন, সেই হাদীসগুলোকে কেন নির্দ্বিধায় মেনে নেয়া হচ্ছে? সেগুলোর সত্যতা সম্পর্কে আপনি এত নিশ্চিত কিভাবে?"
এটাই আসল কথা, তাহলে দেখা যাচ্ছে হাদীসের ব্যাপারে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে পারে। সেক্ষেত্রে বলা যায় কোরান তো লিখিত ফরম্যাটে আছে এবং মুসলমানেরা মনে করে কোরান সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বই এবং এই বইয়ে কোন ভুল নাই। তাহলে আসুন কোরান নিয়ে আলোচনা করি।
কোরানে আল্লাহ স্পস্টভাবে চ্যালেন্জ করেছেন মানুষ কোরানের একটি সুরার মতো সুরাও লিখতে পারবে না।
"Oh people, if you doubt the heavenly origin of this Book which We have sent down to Our servant, the Prophet, produce one surah like it." (2:23)
আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, চ্যালেন্জ দিয়েই খালাস। যে কোন লেখাই একেক জনের কাছে একেক রকমভাবে ধরা দেয়। যেমন কোরানের কথাই ধরুন, আপনার কাছে মনে হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বই, অথচ একজন নাস্তিকের কাছে কোরান ১৪০০ বছর আগে লেখা একটা বই মাত্র। সুতরাং চ্যালেন্জের পাশাপাশি কোন লেখায় কি কি বৈশিষ্ট্য থাকলে সেই লেখাকে কোরানের একটি সুরা থেকে উন্নত বলা যাবে তা কোরানে অবশ্যই উল্লেখের প্রয়োজন ছিল।
যাই হোক দেখা যাক কোরানের একটি সুরা থেকে উন্নত একটি লেখা পাওয়া যায় কিনা, নীচে সুরা এখলাসের চেয়ে উন্নত লেখা দেয়া হলো:
সুরা এখলাস:
Qul Huwallaahu ahad;
Allahus-swamad;
Lam yalid wa lam yoolad;
Wa lam yakun lahu, kufuwan ahad.
অর্থ: Say: He is God, the one and only;
God, the Eternal, Absolute;
He begetteth not, nor is He begotten;
And there is none like unto Him.
ভাষা পান্জাবি, সময়: ৭ম শতাব্দী
Ik onkar, satnaam,
Kartaa purakh
Nirbhau, nirvair
Akaal murat
Ajuni saibhau
Guru prasad
অর্থ: God is one; God's name is Truth;
God is the immanent Creator;
Without fear, without enmity;
Immortal in form;
Unborn and self existent
(Known by) the grace of the Guru.
ভাষা: তামিল, সময়: ৮ম শতাব্দী
Aanallan, Pennallan,
allaa aliumallan!
Kaanalum aagaan,
ulanallan illai allan!
Penungal penum,
uruvaagum allanum aam!
Konai peridhudaithu
embemmanai koorudhale!
অর্থ: Neither male, nor female,
Nor neuter is He (by gender)!
Neither discernible, nor the existent,
Nor the non-existent is He!
He appears in whatever form conceived,
And remains other than such!
Indentifying the Lord as Narayana (by name),
Is the best of such.
ভাষা: সংস্কৃত, সময় ৪র্থ শতাব্দী
divyo hy amrutah purusah
sa bahyabhyantaro hy ajah
aprano hy amanah
subhro aksarat
pratah parah
অর্থ: He, the divine, the formless spirit;
He is the outward and the inward;
And He the unborn;
He is beyond life, beyond mind, luminous;
Supreme beyond the immutable!
ভাষা: সংস্কৃত, সময় ৫ম শতাব্দী
na tasya kascit asti loke,
na cesita naiva
ca tasya lingam,
na karanam
karanadhipadhipo
na cesya kasciji janita
na cadhipah.
অর্থ: He hath no master in all this world.
There is none that shall rule over Him.
Nor feature nor distinction hath He;
For He is begetting cause
And Sovran over the lords
of these natural organs;
But himself hath no begetter,
Neither any sovran.
আপনি যদি বলেন এগুলো একটাও কোরানের কোন সুরা থেকে উন্নত কিছু না, তাহলে আমার প্রশ্ন হবে কেন? কোরানকে প্রমান করতে বলুন উপরের একটি লেখাও কেন কোরানের একটা সুরা থেকে উন্নত হবে না? কোরান তো চ্যালেন্জ দিয়েছে যে কোরানের একটা সুরার থেকে উন্নত কোন লেখা মানব সমাজের কেউই প্রসব করতে পারবে না। এই চ্যালেন্জ গ্রহণ করে কেউ যদি উপরের লেখাগুলো দিয়ে বলে এগুলো প্রত্যেকটা কোরানের একটি সুরা থেকে উন্নত, তাহলে কোরান নিজেকে কি বলে defend করবে?
উপরের লেখাগুলোয় কি এমন অনুপস্থিত আছে যা কোরানের প্রত্যেকটি সুরায় উপস্থিত?
কোরানের আয়াত উল্লেখ করে বলেন যে কেন উপরেল্লেখিত চারটি কবিতা সুরে এখলাসের চেয়ে উন্নত হবে না? (বিদ্র: আপনার ব্যাখ্যা নয়, কিংবা কোরান বিশেষজ্ঞের ব্যাখ্যা নয়, কোরানের আয়াত উল্লেখ করে বলুন যে কি এমন কোরানের প্রতিটা সুরায় আছে যা উপরে চারটি কবিতায় নেই)।
৫১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:২৮
কানা বাবা বলেছেন:
সাহোশি৬, লাইনে থাকেন্ পিলিচ্...
আপ্নের লাস্ট কমেন্টোখান কিরামের্জানি শিবের গীতের লাহান্ লাগ্লো...
৫২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৩৬
সাহোশি৬ বলেছেন: @ কানাবাবা
আমি তো লাইনেই আছি, থাকব। বুখারি, সহি মুসলিম থেকে হাদিস তুলে দিলাম তারপরও জ্বীনের বাদশা বললেন "যে হাদীসগুলোর ভিত্তিতে কোরানের সংকলনের ইতিহাসের এই রিফিউটেশন আপনি করছেন, সেই হাদীসগুলোকে কেন নির্দ্বিধায় মেনে নেয়া হচ্ছে? সেগুলোর সত্যতা সম্পর্কে আপনি এত নিশ্চিত কিভাবে?"
এখন হাদীস না মানলে আসেন কোরান নিয়ে আলোচনা করি। কথা হচ্ছে কোরান কে নিয়ে। কোরানে ভুল আছে কি নাই? হাদীস উল্লেখ করে বললাম কোরান অবিকৃত নয়, কেউ কেউ হাদীসের সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন। তাহলে আসেন কোরানের আলোকেই দেখি কোরান ভুল না শুদ্ধ। কোরানকে তো আর না মানর কিছু নাই, তাই না?
৫৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৩৬
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: @সাহোশি,
আপনার কাছে যদি আপনার দেয়া লেখাগুলো উন্নত মনে হয়, আমি কি সেটাকে নাকচ করতে পারবো? পারবোনা ... সেখানে এসে কোন তর্ক হবেনা ... কোরনা শ্রেষ্ঠ না আপনার দেয়া না আপনার দেয়া ভার্স গুলো শ্রেষ্ঠ সেটা নিয়ে আমাদের তর্ক না ... সেটা নিয়ে আমি মাথাও ঘামাইনা (কারন ধর্মবিশ্বাস বিষয়ে আমার ইফেরিয়রিটি কমপ্লেক্স একেবারেই নাই, যতটুকু বুঝি, বিশ্বাস হয়, ততটুকুই মানি, সেটা নিয়ে কে কি ভাবলো তাতে কিছু যায় আসেনা আসলেই)... কিন্তু আমার পয়েন্টটা ছিলো আপনার এ্যাপ্রোচের দূর্বলতা নিয়ে, প্লাস তথ্যের ঘাটতি নিয়ে
আমার পয়েন্ট হলো, কোরানের ইতিহাসের বিরোধিতা করতে গিয়ে হাদীসের আশ্রয় নেয়ার মানে কি এইনা যে কোরান ভুলভাল যাই হোক হাদীস নির্ভুল? ... যদি তাই না হয়, তাহলে আপনি উপরে যে কমেন্টগুলো করলেন তার সাপেক্ষে কি বলা যায় আপনি আসলেই যুক্তির আশ্রয় নিয়েছেন?
তার সাপেক্ষে কি এটাই বলা যায়না যে, আপনি আসলে জানেন যে হাদীসগুলো নির্ভুল কিছু না, কিন্তু যেহেতু আপনার উদ্দেশ্য কে সার্ভ করছে তাই আপনি হাদীসের আশ্রয় নিচ্ছেন
তখন যুক্তিতর্কের প্লেগ্রাউন্ডে আপনাকে একজন আনফেয়ার-ফেলো বলেই চিহ্নিত করা যায়, একমত?
আমার বাকী পয়েন্টগুলোর জবাব কিন্তু পেলামনা
ভাই একটা জিনিসের বিরোধিতা করেন, আমার কোন আপত্তি নাই ... কিন্তু ইন্টারনেটে একটা পেইজ খুঁইজা পাইয়াই আমাদের মধ্যে বিজ্ঞ সেজে বসার যে টেন্ডেন্সী তৈরী হচ্ছে, এটা কি ভয়াবহ না? সেখানেই আঙুলটা নির্দেশ করলাম, বাদবাকী বুদ্ধিমানেরাই বুঝবেন।
৫৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৪৩
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: আমি যতটুকু বুঝছি আপনি হাদীস দিয়া কোরানে ভুল আছে এটা বলেননাই, আপনি কোরানের সংকলনের ইতিহাসে গলদ আছে সেটা বলতে চাইছেন।
কোরানে ভুল আছে না বাইবেলে ভুল আছে সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ বলেই মনে করি।
আপনি যদি মনে করেন কোরানের চেয়ে বেটার জিনিস তৈরী করা সম্ভব, তাহলে আপনার কাছে কোরানে ভুল দাবী করেছে আল্লাহ। আবার যে মনে করবে সে এর চেয়ে বেটার ভার্স পড়েনাই তার কাছে ভুল দাবী করে নাই। এটাকে তো মাপা সম্ভব না।
৫৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৪৮
দ্বিতীয়নাম বলেছেন: এই খানে আরো আছে, তাকৎ থাকলে পড়েনঃ
Click This Link
http://www.somewhereinblog.net/blog/kkk/5631
৫৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৫১
কানা বাবা বলেছেন:
কুরআন সংকলনের 'ইতিহাসের' গলদ কি কুরআনের ভুল নির্দেশ করে না? এটা থেকে কি দাবী করা যাবে না যে কুরআন নির্ভুল নয়?
তাহলে 'ইতিহাসের' গুরুত্বটা ঠিক কোথায়?
@বাদশা চাচা
৫৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৫৭
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: কানা বাবা, সেই ইতিহাস আপনি কি দিয়ে জাস্টিফাই করবেন?
ইতিহাস কি জাস্টিফাই করা যায়?
৫৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৫৯
সাহোশি৬ বলেছেন: @ জ্বীনের বাদশা
আপনি বলেছেন "কোরানের ইতিহাসের বিরোধিতা করতে গিয়ে হাদীসের আশ্রয় নেয়ার মানে কি এইনা যে কোরান ভুলভাল যাই হোক হাদীস নির্ভুল? ... যদি তাই না হয়, তাহলে আপনি উপরে যে কমেন্টগুলো করলেন তার সাপেক্ষে কি বলা যায় আপনি আসলেই যুক্তির আশ্রয় নিয়েছেন?"
আপনি নিশ্চয় পোস্টেটা পড়েছেন। এই পোস্টে কোরান সংরক্ষনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে কোরান অবিকৃত অবস্থায় সংরক্ষিত হয়েছে কি হয় নাই তা হাদীস পড়েই বোঝা যাবে। তাহলে কোরান যে অবিকৃত না এইটা প্রমানের জন্য হাদীসের দ্বারস্থ তো হতেই হবে, নাকি? যদি আপনার মনে হয় কোরান অবিকৃত অবস্থায় সংরক্ষিত হয় নাই এটা হাদীস ছাড়া আর কিছুতে প্রমান করা যাবে তাহলে বলেন কি দিয়ে প্রমান করতে চান?
এটাও আপনি ভালোভাবেই জানেন যে যখন ইসলামের ভুল ধরিয়ে দিতে কোন হাদীস উত্থাপন করা হয় তখন সব সময়ই বলা হয় যে হাদীসটা যে নির্ভুল তার প্রমান কি? আমার লেখায় আমি সহি বুখারী, সহি মুসলিমের হাদীস তুলে দিয়েছি, আপনি ওগুলোও মানতে রাজি না, তাই আমি বলে ছিলাম, হাদীস না আসুন কোরানের আলোকেই কোরানকে দেখি।
আপনি আরো বলেছেন "ভাই একটা জিনিসের বিরোধিতা করেন, আমার কোন আপত্তি নাই ... কিন্তু ইন্টারনেটে একটা পেইজ খুঁইজা পাইয়াই আমাদের মধ্যে বিজ্ঞ সেজে বসার যে টেন্ডেন্সী তৈরী হচ্ছে, এটা কি ভয়াবহ না?"
ইসলামের সীমাবদ্ধতা, গোড়ামী আর ভুলগুলো তো ইসলামিক কোন ওয়েব পেজ আমাকে বলে দিবে না। ইসলামে কি কি ভুল আছে তা জানতে হলে আমাকে ইসলাম মানে না এরকম কোন ওয়েব পেজেই যেতে হবে।
ইন্টারনেটের মাধ্মে পাওয়া তথ্যকে এতো অবহেলা করছেন কেন? আজকে যে কোন তথ্যের জন্য মানুষ ইন্টারনেটের শরনাপন্ন হচ্ছে। যে কোন বিষয়ে একটা বই পড়ে সারাদিনে যা জানা যায় না ইন্টারনেটের কল্যানে আধা ঘন্টাতেই তা জানা সম্ভব হচ্ছে। সুতরাং আমি তথ্যটি কোথা থেকে নিয়েছি সেটা বড় কথা নয়, বড় ব্যাপার হলো, তথ্য সঠিক আছে কিনা।
৫৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:০৫
কানা বাবা বলেছেন:
আপ্নে কি কৈতে চাইতাছেন যে হেই ইতিহাস কি জাস্টিফায়েবল্ না?
ইবার্কা কন্, যে বা যারা কুরআনের অবিকৃত থাকোনের্গপ্পো বিশওয়াশ করে; তারা যেই ইতিহাসের রেপা দ্যায় হেইটা তাইলে কিভাবে জাস্টিফায়েড হৈবো? তাগো রেপাও তো তাইলে পরিত্যাজ্য হওন উচিৎ... কন্, ঠিক্কিনা?
হ্যারার রেপে কুন্ বিশেষ কারোনে 'জাস্টিফায়েবল্' মুনৈলো হেইটা কি ইট্টুস্ খুলাশা কোরুন্ জায়?
@বাদশা চাচা
৬০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:১১
সাহোশি৬ বলেছেন: @ জ্বীনের বাদশা
আপনি বলেছেন "ইবনে মাসুদ(রাঃ) প্রথমে বিরোধিতা কর্বছিলেন, যখন বলা হয়েছিলো তাঁর কাছে যে কপিটা ছিলো সেটা পুড়িয়ে ফেলতে হবে, কারণ, কুরানের সংরক্ষক হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছিলো সবচেয়ে বেশী। পরে যখন তাঁকে বোঝানো হলো যে তাঁর সংরক্ষিত কপিতে মার্জিনের বাইরে তাঁর নিজের লেখা প্রচুর ফুটনোট ছিলো, যেকারণে সেই কপিটা সংরক্ষিত থাকলে পরবর্তিতে ইবনে মাসুদ (রাঃ)র লেখা ফুটনোটকেও মানউষ কোরানের আয়াত বলে ভুল করতে পারে, সেজন্য তাঁর কপিটি পুড়িয়ে ফেলা হবে, তখন তিনি সেটা মেনে নিয়েছিলেন। শুধু এনসারিং-ইসলাম.অরগ এ লেখা অংশটা থেকে পুরো ইতিহাস বুঝে ফেলতে গেলে কিন্তু হবেনা, আপনি সেই ইতিহাসটা পুরো পড়তে পারেন।"
আবারো আপনাকে Click This Link থেকে উত্তর দেব। আমি তো বলেছিই ইসলামের সীমাবদ্ধতার ব্যাপারে ইসলামিক ওয়েবসাইট তো আমাকে কোন তথ্য দেবে না। আমাকে এমন ওয়েবসাইটের শরনাপন্ণ হতে হবে যারা ইসলাম বিরোধিতা করে।
এবার শুনুন আপনার প্রশ্নের উত্তর
"The Syrians," we are told, "contended with the `Iraqis, the former following the reading of Ubayy ibn Ka`b, the latter that of `Abd Allah ibn Mas'ud, each accusing the other of unbelief" (Labib as-Said, The Recited Koran: A History of the First Recorded Version, tr. B. Weis, et al., Princeton, New Jersey: The Darwin Press, 1975, p. 23)
Some Muslims scholars like Labib as-Said [1] and Ahmad Von Denffer [2] have claimed that the different collections of the Qur'an made by Ibn Masud and Ubai (and other Companions) were only intended for "private use". However, the hadiths quoted above show that the companion Ibn Masud taught his version of the Qur'an to his students as did Ubai, and that in time these students were in conflict with each other. Muslim history and recent archaeological discoveries also support the conclusion that these collections were not for "private use" but public use [১].
১। Here are just a few references that show that the collections of the Masud and Ubai were used publicly.
Bukhari and Muslim record many hadiths about the arguments among early Muslims regarding the differences between Masud's recition of the Qur'an and the Uthman Qur'an. This shows that Masud's Qur'an was not for "private use" only.
Bukhari:
Vol. 5, hadith 85-86, pp. 62-64, hadith 105, p. 71-72; book 57.
Vol. 6, hadith 467-468, pp. 441-442; book 60.
Muslim:
Vol. 2, hadith 1797-1802, pp. 393-394, book 4.
Al-Nadim lists some of the differences between the collections of Masud and Ubai and the Uthman collection (pp. 53-62). In another section of his book entitled: The Books Composed about Discrepancies of the [Qur'anic] Manuscripts (p. 79), Al-Nadim lists seven early Qur'anic scholars who studied the differences between these different collections. (Bayard Dodge (tr.), The Fihrist of al-Nadim (2 vols) (New York, London: Columbia University Press, 1970. pp. 53-62)
In the 1980's many ancient Qur'ans were discovered in San`a'. Some of these have the surah order that was credited to Masud and others. Thus we have actual copies of these other collection and so can be sure that they did exist and were in public use. (Gerd-R Puin, Observations on the Early Qur'an Manuscripts in San`a'. In "The Qur'an as Text" ed. Stefan Wild, Leiden: Brill, 1996. pp. 110-111)
৬১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:২৮
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: @কানাবাবা,
ঠিক। যুক্তির বিচারে কারুরটাকেই নির্ভুল বইলা খালাস কইরা দেওয়া যায়না, কারণ যাচাই করার উপায় নাই।
কোরানের পক্ষে যেসব হাদীস যায় সেগুলোকে মেনে নিয়ে যুক্তি কোরান সত্য এবং কিছু হাদীস সত্য এই যুক্তি দেখানো সম্ভব,
কিন্তু কোরানের বিপক্ষে যেসব হাদীস যায় সেসব দিয়ে কোরান মিথ্যা কিন্তু কিছু কিছু হাদীস সত্য এই যুক্তি দেখানো কিন্তু একই লেভেলে পড়েনা।
৬২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:৩২
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: সাহোশি, আপনার রেফারেন্স গুলো দেখাচ্ছে যে ইবনে মাসুদের শিষ্যরা তাঁর কপিটি পড়েছেন, ঠিক আছে?
কোথাও কি এমন দাবী আছে যে ইবনে মাসুদ তাঁর কপিটিতে ফুটনোট লেখেননি?
আর সেই ফুটনোট জনিত সমস্যার কথাও আপনার দেয়া হাদীসগুলোই বলছে ...সেজন্যই সেগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে
তার আগে বলুন, স্যামুয়েল গ্রীন কেনো ইবনে মাসুদের প্রাথমিক বিরোধিতার পরে সব ব্যাখ্যা শুনে উসমানের ওয়ে অভ ডুয়িংকে মেনে নেয়ার ইতিহাসকে কেন এড়িয়ে যাচ্ছেন?
আপনি আমার আগের প্রশ্নগুলোরও জবাব দিচ্ছেননা
আর ইন্টারনেট তথ্যের ভান্ডার ঠিক আছে, তবে এটা পাওয়া যত সহজলভ্য, এতে ভুল থাকার সম্ভাবনাও ততবেশী
৬৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৪৬
সাহোশি৬ বলেছেন:
Ibn Mas'ud refused to deliver his copy to the committee whose president, although one of the readers of the word of God, had earned much less trust and authority than he. This refusal incited such a level of indignation from the Khalif that he publicly whipped the "old saint". One notes that the old companion of the prophet had two ribs broken from the violence of the strikes and that he died after three days. This cruelty, that drew upon Othman the hatred of his contemporaries, is today regarded by the "schutes" as an atrocious crime. (T. J. Newbold, Journal Asiatique, December 1843, p. 385)
2. IBN MAS'UD'S REACTION TO UTHMAN'S DECREE.
When Uthman sent out the order that all codices of the Qur'an other than the codex of Zaid ibn Thabit should be destroyed, Abdullah ibn Mas'ud refused to hand over his copy. Desai openly speaks of "Hadhrat Ibn Mas'ud's initial refusal to hand over the compilation" (The Quraan Unimpeachable, p.44), but Siddique, in his article, prefers to leave the impression that no such objection from the distinguished companion of Muhammad ever took place, saying instead, "There is no indication that he ever objected to the 'text of Hafsah' during the entire Caliphate of Umar" (Al-Balaagh, op.cit., p.1). But why should he have raised any objection to Zaid's codex at that time? His own codex had become well-established at Kufa while Zaid's had receded into relative obscurity, simply being retained by the Caliph without any attempt whatsoever to establish it as the standard text for the Muslim community.
It was only when this codex suddenly came into prominence and was decreed to be the official text during Uthman's reign that Ibn Mas'ud found his codex being threatened. He immediately refused to hand it over for destruction and we are told by Ibn al-Athir in his Kamil (III, 86-87) that when the copy of Zaid's text arrived for promulgation at Kufa as the standard text, the majority of Muslims there still adhered to Ibn Mas'ud's text. It must be quite obvious to any objective scholar that, just as Zaid had copied out a codex for Abu Bakr, so Ibn Mas'ud simultaneously compiled a similar codex and, given the latter's exceptional knowledge of the Qur'an, his text must be considered to be as accurate and reliable as that of Zaid. The two codices were of probable equal authority and reliability.
Because there are a wealth of evidences of differences between the two, however, and as it was Zaid's text that became the standardised text after Uthman's recension and the only one used to this day in the Muslim world, it is intriguing to find Muslim writers trying to play down and minimise the importance of Ibn Mas'ud's codex.
Desai claims that "his copy contained notes explanations as well. His copy was for his personal use, not for the use of the Ummah at large" (op.cit., p.45). No evidence is given for this claim. One of the great deficiencies in Desai's booklet is the almost total lack of documentation in respect of the factual allegations the author makes. Virtually nowhere do we find a reference to the traditional chapter and verse. The reader is expected to presume that the facts he alleges are well-founded. Desai leaves no room in his booklet for references by which a student can check whether the contents are factually reliable.
In fact it is well known that Ibn Mas'ud's codex, far from being for his personal use only, was widely used in the region where he was based and, just as Ubayy ibn Ka'b's codex became the standard text Syria before Uthman's recension, so Ibn Mas'ud's likewise became the standard text for the Muslim ummah in and around Kufa in Iraq (Ibn Abi Dawud, Kitab, p. 13).
Ahmad Von Denffer likewise attempts to minimise the importance of the other codices, saying of Ubayy ibn Ka'b's codex that "it was a mushaf for his own personal use, in other words, his private notebook" and goes on to say of all the other codices that these "personal notebooks became obsolete and were destroyed" (Ulum al-Qur'an, p.49). It is virtually impossible to understand how whole manuscripts of the Qur'an, carefully transcribed and widely used in the various provinces, can be reduced to the status of "personal notebooks", least of all how such codices could have become "obsolete" at any time.
Muslim writers resort to such strange reasonings solely because they are determined to maintain the declared textual perfection of the Qur'an as it stands today to the last dot and letter. As this text is only a revision and reproduction of the codex of just one man, Zaid ibn Thabit, they have to circumvent the fact that other equally authoritative codices of single companions existed and that all of them, Zaid's included, differed in many key respects. Thus the text of Zaid has become elevated to "official" status right from the time of its compilation, the other texts have been downgraded to the status of "personal notebooks", and the argument runs that they were destroyed because they differed from one another without any consideration for the fact that Zaid's own codex likewise differed from each of them in turn.
There are solid evidences to show why Abdullah ibn Mas'ud at first refused to hand over his codex for destruction. While Desai claims that it was only because he attached sentimental value to his compilation (p.45) and Siddique states that there was no difference between his text and Zaid's, we find, in fact, that it was precisely because the great companion of Muhammad considered his own text to be superior to and more authentic than Zaid's that he was angered at Uthman's decree. Before Hudhayfah had ever gone to Uthman to call upon him to standardise a single text of the Qur'an, Abdullah ibn Mas'ud had some sharp words with him and reacted to his proposal that the different readings in the various provinces should be suppressed.
Hudhaifah said "It is said by the people of Kufa, 'the reading of Abdullah (ibn Mas'ud)', and it is said by the people of Basra, 'the reading of Abu Musa'. By Allah! If I come to the Commander of the Faithful (Uthman), I will demand that they be drowned". Abdullah said to him, "Do so, and by Allah you will also be drowned, but not in water". (Ibn Abi Dawud, Kitab al-Masahif, p.13).
Hudhaifah went on to say, "0 Abdullah ibn Qais, you were sent to the people of Basra as their governor (amir) and teacher and they have submitted to your rules, your idioms and your reading". He continued, "0 Abdullah ibn Mas'ud, you were sent to the people of Kufa as their teacher who have also submitted to your rules, idioms and reading". Abdullah said to him, "In that case I have not led them astray. There is no verse in the Book of Allah that I do not know where it was revealed and why it was revealed, and if I knew anyone more learned in the Book of Allah and I could be conveyed there, I would set out to him". (Ibn Abi Dawud, Kitab al-Masahif, p.14).
Modern writers such as Siddique and others maintain that the only differences between the recitations of the text and the reading of each companion (qira'at) were in pronunciations and dialectal expressions, yet it is once again obvious that what Hudhayfah had in mind was the elimination of the actual written codices being used by Abdullah ibn Mas'ud and the others - you cannot drown a verbal recitation - and it was this proposal which so angered Ibn Mas'ud and which proves that the differences in reading were in the texts themselves. In other traditions we find clear evidences that he regarded Zaid's knowledge of the Qur'an, and therefore his written codex of the text, as inferior to his. After all, Abdullah ibn Mas'ud had become a Muslim at Mecca before Zaid was even born and he had enjoyed years of direct acquaintance with Muhammad while the early portions of the Qur'an were being delivered before Zaid ever accepted Islam.
Abdullah ibn Mas'ud said, "I recited from the messenger of Allah (saw) seventy surahs which I had perfected before Zaid ibn Thabit had embraced Islam". (Ibn Abi Dawud, Kitab al-Masahif, p.17).
"I acquired directly from the messenger of Allah (saw) seventy surahs when Zaid was still a childish youth - must I now forsake what I acquired directly from the messenger of Allah?" (Ibn Abi Dawud, Kitab al-Masahif, p.15).
In another source we find that, when Uthman's order came for the destruction of the other codices and the uniform reading of the Qur'an according to Zaid's codex alone, Ibn Mas'ud gave a khutba (sermon) in Kufa and declared:
"The people have been guilty of deceit in the reading of the Qur'an. I like it better to read according to the recitation of him (Prophet) whom I love more than that of Zayd Ibn Thabit. By Him besides Whom there is no god! I learnt more than seventy surahs from the lips of the Apostle of Allah, may Allah bless him, while Zayd Ibn Thabit was a youth, having two locks and playing with the youth". (Ibn Sa'd, Kitab al-Tabaqat al-Kabir, Vol. 2, p.444).
In the light of all these traditions, which can hardly be discounted, the evasive explanations of modern Muslim writers cannot be accepted. Abdullah ibn Mas'ud clearly resisted Uthman's order, not because of sentiment as Desai suggests, but clearly because he sincerely believed that his text of the Qur'an, gained firsthand from Muhammad himself, was more authentic than the text of Zaid. This conclusion cannot seriously be resisted by a sincere student of the history of the Qur'an text and its initial compilation.
It is also quite clear that the differences in reading were not confined to forms of dialect in pronunciation but in the actual contents of the text itself. An examination of some of these textual differences will show just how extensive those variant readings really were.
3. THE VARIANT READINGS IN IBN MAS'UD'S CODEX.
One of the anomalies recorded in respect of Ibn Mas'ud's text is that it is said to have omitted the Suratul-Fatihah, the opening surah, and the mu'awwithatayni, the two short surahs with which the Qur'an ends (Surahs 113 and 114). The form of these surahs has some significance - the first is purely in the form of a prayer to Allah and the last two are "charm" surahs, being recommended incantations of refuge with Allah which Muslims should recite as protection against sinister forces and practices. One tradition states that Ubayy ibn Ka'b was at one time challenged with the suggestion that Ibn Mas'ud had made certain negative statements about these surahs and he replied that he had asked Muhammad about them and was informed that they were a part of the revelation of the Qur'an and should be recited as such (Sahih al-Bukhari, Vol. 6, p.472).
The possibility that Ibn Mas'ud may have denied that these three surahs were a part of the Qur'an vexed early Muslim historians. The well-known Iranian philosopher and historian Fakhruddin ar-Razi, who wrote a commentary on the Qur'an titled Mafatih al-Ghayb ("The Keys of the Unseen") and who lived in the sixth century of Islam (1149-1209 AD) gave some attention to this problem and sought to prove that the allegations were unfounded.
Imam Fakhruddin said that the reports in some of the ancient books that Ibn Mas'ud denied that Suratul-Fatiha and the Mu'awwithatayni are part of the Qur'an are embarrassing in their implications... But the Qadi Abu Bakr said "It is not soundly reported from him that they are not part of the Qur'an and there is no record of such a statement from him. He omitted them from his manuscript as he did not approve of their being written. This does not mean he denied they were part of the Qur'an. In his view the Sunnah was that nothing should be inscribed in the text (mushaf) unless so commanded by the Prophet (saw) ... and he had not heard that it had been so commanded". (as-Suyuti, Al-Itqan fii Ulum al-Qur'an, p.186).
Another Muslim historian, an-Nawawi, in his commentary on the Muhaththab said that the Fatihah and the two "charm" surahs were unanimously regarded by the Muslims as part of the Qur'an and that what had been said about Ibn Mas'ud was false and unjustified (as-Suyuti, Al-Itqan, p.187). The famous dogmatic Muslim scholar Ibn Hazm likewise rejected the suggestion that Ibn Mas'ud had omitted these surahs from his codex:
Ibn Hazm said in the Muhalla, "This is a lie attributed to Ibn Mas'ud. Only the reading of Asim from Zirr is authentic and in that are both the Fatiha and Mu'awwithatayni". (as-Suyuti, Al-Itqan fii Ulum al-Qur'an, p.187).
The record goes on to say that Ibn Hajar al-Asqalani however, in his commentary on the Sahih of al-Bukhari (his famous Fath al-Baari), accepted these reports as sound, quoting authorities who stated that Ibn Mas'ud would not include the two "charm" surahs in his manuscript as Muhammad had, to his knowledge, only commanded that they be used as incantations against evil forces. He regarded the isnad (the chain of transmitters) for this record as totally sound and attempted to harmonise the conflicting records instead, suggesting that Ibn Mas'ud accepted the Fatiha and "charm" surahs as genuinely revealed but was reluctant to inscribe them in his written text.
As Uthman ordered all the codices of the Qur'an other than Zaid's to be destroyed and as Ibn Mas'ud was eventually compelled to hand his over for elimination, it cannot be determined whether the three relevant surahs were actually included in his codex or not. If they were omitted, the reason is either that he was unaware that Muhammad had expressly stated that they were part of the Qur'an text (as alleged by Ubayy) or, less probably, that Ibn Mas'ud had actually determined that they were not part of the actual kitabullah, the Book of Allah, and that the other companions had assumed they were because they had come to Muhammad in the same form as the other surahs of the Qur'an.
When we come to the rest of the Qur'an, however, we find that there were numerous differences of reading between the texts of Zaid and Ibn Mas'ud. As mentioned already the records in Ibn Abi Dawud's Kitab al-Masahif fill up no less than nineteen pages and, from all the sources available, one can trace no less than 101 variants in the Suratul-Baqarah alone. We shall mention just a few of the differences here in illustration of the nature of the variations between the texts.
1. Surah 2.275 begins with the words Allathiina yaakuluunar-ribaa laa yaquumuuna - "those who devour usury will not stand". Ibn Mas'ud's text had the same introduction but after the last word there was added the expression yawmal qiyaamati, that is, they would not be able to stand on the "Day of Resurrection". The variant is mentioned in Abu Ubaid's Kitab Fadhail al-Qur'an (cf. Nöldeke, Geschichte, 3.63; Jeffery, Materials, p.31). The variant was also recorded in the codex of Talha ibn Musarrif, a secondary codex dependent on Ibn Mas'ud's text, Taiha likewise being based at Kufa in Iraq where Ibn Mas'ud was based as governor and where his codex was widely followed (Jeffery, p.343).
2. Surah 5.91, in the standard text, contains the exhortation fasiyaamu thalaathati ayyaamin' - "fast for three days". Ibn Mas'ud's text had, after the last word, the adjective mutataabi'aatin, meaning three "successive" days. The variant derives from at-Tabari (7.19.11 - cf. Nöldeke, 3.66; Jeffery, p.40) and was also mentioned by Abu Ubaid. This variant reading was, significantly, found in Ubayy ibn Ka'b's text as well (Jeffery, p.129) and in the texts of Ibn Abbas (p.199) and Ibn Mas'ud's pupil Ar-Rabi ibn Khuthaim (p.289).
3. Surah 6.153 begins Wa anna haathaa siraatii - "Verily this is my path". Ibn Mas'ud's text read Wa haathaa siraatu rabbakum - "This is the path of Your Lord". The variant derives again from at-Tabari (8.60.16 - cf. Nöldeke 3.66; Jeffery, p.42). Ubayy ibn Ka'b had the same reading, except that for rabbakum his text read rabbika (Jeffery, p.131). The secondary codex of Al-A'mash, mentioned by Ibn Abi Dawud in his Kitab al-Masahif (p.91), also began with the variant wa haathaa as in the texts of Ibn Mds'ud and Ubayy ibn Ka'b (Jeffery, p.318). Ibn Abi Dawud also adds a further variant, suggesting that Ibn Mas'ud read the word siraat with the Arabic letter sin rather than the standard sad (Kitab al-Masahif, p.61).
4. Surah 33.6 contains the following statement about the relationship between Muhammad's wives and the believers: wa azwaajuhuu ummahaatuhuu - "and his wives are their mothers". Ibn-Mas'ud's text added the words wa huwa abuu laahum - "and he is their father". The variant was also recorded by at-Tabari (21.70.8 - cf. Nöldeke 3.71; Jeffery p.75). This variant was likewise recorded in the codices of Ubayy ibn Ka'b (Jeffery, p.156) as well as those of Ibn Abbas (p.204), Ikrima (p.273) and Mujahid ibn Jabr (p.282), except that in these three cases the statement that Muhammad is the father of the believers precedes that which makes his wives their mothers. In the codex of Ar-Rabi ibn Khuthaim, however, where the variant also occurs, it is placed in the same position in the text as in the codices of Ibn Mas'ud and Ubayy (p.298). The considerable number of references for this variant reading argue strongly for its possible authenticity over and against its omission in the codex of Zaid ibn Thabit.
These four examples are of texts where the variant consisted of the inclusion of extra words or clauses not found in Zaid's codex and, in each case, the variant is supported by inclusion in other codices, notably those included in Ubayy's text. The majority of variants, however, relate to consonantal variants in individual words or different forms of these words. In some cases whole words were omitted, such as in Surah 112.1 where Ibn Mas'ud omitted the word qul - "say" as did Ubayy ibn Ka'b (Fihrist S.26 Z.26 - cf. Nöldeke 3.77; Jeffery, pp. 113 and 180).
In other cases the variant related to the form of a word which also slightly altered its meaning, as in Surah 3.127 where Ibn Mas'ud and Ubayy both read wa saabiquu ("be ahead") for wa saari'uu ("be quick") in the standard text (cf. Nöldeke, 3.64; Jeffery, pp. 34 and 125).
In yet other cases one single word might be added not affecting the sense of the text, as in Surah 6.16 where once again both Ibn Mas'ud and Ubayy recorded the same variant, namely yusrifillaahu - "averted by Allah" - for the standard yusraf - "averted" (recorded from Maki's Kitab al-Kasf, cf. Nöldeke, 3.66; Jeffery, pp. 40 and 129).
These are but a small selection of the hundreds of variant readings between the texts of Ibn Mas'ud and Zaid giving a rough idea of the kind of differences that existed between their codices. They do serve, however, to show that these differences in their readings were not purely dialectal or confined to the pronunciation of the text as is conveniently suggested by writers like Siddique who are bound to the popular dogma "one text, no variants", but rather radically affected the contents of the text itself. The extent of the variant readings between all the codices in existence at the time of Uthman before he singled out that of Zaid to be the preferred text at the expense of the others is so great - they fill up no less than three hundred and fifty pages of Jeffery's Materials for the History of the Text of the Qur'an - that one can understand why the others were ordered to be destroyed.
Far from the Qur'an being universally accepted in a standard form there were, on the contrary, vast differences in the texts distributed in the various provinces. Uthman's action brought about the standardisation of a single text for the whole Muslim world - it was not a perpetuation of an already existing unity - and Zaid's codex, which from the evidences we have considered had no greater claim to authenticity than Ibn Mas'ud's, was simply arbitrarily chosen as the standard text because it was close at hand in Medina, had been compiled under official supervision, and had not become the accepted or rival text of any one province like some of the others before Uthman's decree. Before closing this chapter let us give some attention to the other great compiler of the Qur'an, Ubayy ibn Ka'b.
4. UBAYY IBN KA'B - MASTER OF THE QUR'AN RECITERS.
Among the authorities on the Qur'an other than Abdullah ibn Mas'ud the most well known was Ubayy ibn Ka'b. There are two very interesting hadith relating to his prominence as an expert on the Qur'an text, the first reading as follows:
Affan ibn Muslim informed us ... on the authority of Anas ibn Malik, he on the authority of the Prophet, may Allah bless him; he said: The best reader (of the Qur'an) among my people is Ubayyi ibn Ka'b. (Ibn Sa'd, Kitab al-Tabaqat al-Kabir, Vol. 2, p.441).
In consequence he became known as Sayyidul-Qurra - "the Master of the Readers". Umar himself, the second Caliph of Islam, confirmed that he was in fact the best of all the Muslims in the recitation of the Qur'an (Sahih al-Bukhari, Vol. 6, p.489). The second hadith in this respect reads as follows:
Anas b. Malik reported that Allah's Messenger (may peace be upon him) said to Ubayy b. Ka'b: I have been commanded to recite to you the Sura (al-Bayyinah), which opens with these words Lam yakunal-lathinna kafaruu. He said: Has he mentioned to you my name? He said: Yes, thereupon he shed tears of joy. (Sahih Muslim, Vol. 4, p.1313).
We are not informed as to why Muhammad considered himself especially obliged to commit parts of the Qur'an to Ubayy but these two traditions do serve to show how highly regarded he was as an authority on the Qur'an. Nonetheless his codex also contained a vast number of readings which varied from Zaid's text and, as we have already seen, these readings often agreed with Ibn Mas'ud's text instead. The addition of the word mutataabi'aatin in Surah 5.91, which we have already seen was recorded by at-Tabari as part of the codex of Ibn Mas'ud, was independently attributed to Ubayy as well (Ibn Abi Dawud, Kitab al-Masahif, p.53). His order of Surahs, in some ways similar to Zaid's, was nonetheless different at many points (as-Suyuti, Al-Itqan fii Ulum al-Qur'an, p.150).
Some examples of instances where he agreed with Ibn Mas'ud and differed in turn from Zaid (there were in fact a very large number which could be mentioned) are the following:
1. For the standard reading wa yush-hidullaaha in Surah 2.204 he read wa yastash-hidullaaha (cf. Nöldeke 3.83; Jeffery, p.120).
2. He omitted the words in khiftum from Surah 4.101 (cf. Nöldeke 3.85; Jeffery, p.127).
3. He read mutathab-thibiina for muthabthabiina in Surah 4.143 (cf. Jeffery, p.127).
There are a number of cases where whole clauses differed in his text. In Surah 5.48, where the standard text reads wa katabnaa 'alayhim fiiha - "and We inscribed therein for them (the Jews)" - the reading of Ubayy ibn Ka'b was wa anzalallaahu alaa banii Isra'iila fiiha - "and Allah sent down therein to the Children of Israel" (cf. Nöldeke 3.85; Jeffery, p.128).
From Abu Ubaid we find that, whereas Surah 17.16 in the standard text reads amarnaa mutrafiihaa fafasaquu, Ubayy read this clause ba'athnaa akaabira mujri-miihaa fdmakaruu (cf. Nöldeke 3.88; Jeffery, p.140).
One can go on and on to show how vastly Ubayy's text, like Ibn Mas'ud's and all the others, is said to have differed from Zaid's text which ultimately became standardised as the official reading of the Qur'an, but these examples serve once again to show that the variant readings were in the contents of the text itself and not just in niceties of pronunciation and recitation as many modern Muslim writers choose to assume.
There is a very interesting record of a whole verse which was found in Ubayy's text and which is not found today in Zaid's text which we shall consider in the next chapter. We cannot close on Ubayy, however, without giving some consideration to two extra surahs which we are told belonged to his codex. We are informed that, whereas Ibn Mas'ud omitted the two "charm" surahs from his codex, Ubayy included two extra surahs, al-Hafd (the Haste) and al-Khal' (the Separation) (as-Suyuti, Al-Itqan, p.152-153). The narrative continues by stating that Abu Ubaid said:
"Written in the text of Ubayy ibn Ka'b were the Fatihal-kitab (the Opening Surah) and the Mu'awwi-thatayni (the Charm Surahs) and Allahumma innaa nasta'iinka (the opening words of Suratul-Khal' meaning 'O Allah, we seek your help') and Allahumma ayyaaka na'budu (the opening words of Suratul-Hafd meaning 'O Allah, we worship you')". (as-Suyuti, Al-Itqan fii Ulum al-Qur'an, p.153).
Suyuti goes on to give the full text of these two surahs, stating that they were also found in the codex of Ibn Abbas following the reading of both Ubayy and Abu Musa who also recorded them (Al-Itqan, p.154). Both surahs are similar to the Suratul-Fatihah, containing prayers to God for forgiveness and declarations of faith, praise, service and trust in his mercy. We are told that these are the supplications which Muhammad occasionally offered at his morning prayers after recitation of other surahs, being described as "the preserved suratal-quunut (chapters of humble obedience toward God) in the surahs respectively titled al-Khal' and al-Hafd" (as-Suyuti, Al-Itqan, p.527).
It is intriguing to consider that, in their likeness to the Suratul-Fatihah (which extends to their length also - the Fatihah has seven verses while the other two have been set out in three and six verses respectively - cf. Nöldeke, Geschichte 2.35), they were regarded as of equal authority from different stand-points by Ibn Mas'ud and Ubayy respectively. The former had none of them in his codex, the latter all three! It seems that Muhammad himself used them interchangeably and that some of his companions were uncertain whether they should be recorded as part of the written kitabullah, especially as each one constitutes a prayer of supplication in the words of the believers and worshippers in contrast to the rest of the Qur'an where Allah is always made to be the speaker.
We have, in this chapter, given some consideration to the codices of the two most prominent authorities on the Qur'an to show how considerably they differed from the codex of Zaid ibn Thabit and how uncertain much of the Qur'an text was when it was first compiled after the death of Muhammad. We could also go on to consider the numerous other codices that are recorded as having been transcribed before Uthman's decree that they should be burnt, but let it suffice to say that in each of these as well there were large numbers of variant readings which have been preserved. (Uthman was able to blot out the written codices in which they were recorded, he was unable to erase them from the memories of those who had recorded them).
In fact one should not speak so much of the readings in Zaid's text as the "standard" readings and of the others as "variant" readings as though the latter were the exception. The truth is that, between all the codices that existed in the early days of Islam ibn Mas'ud's, Zaid's, Ubayy's, Abu Musa's, etc. there were a wealth of differences and Zaid's readings qualify just as readily as the others do. In his case his qira'at became standardised as the only readings allowable in the Muslim world and copies of his codex were distributed to replace the others in popular use purely to establish a uniform reading of the Qur'an text.
The Qur'an as it has come down through the centuries is not the single text without any variants that has been divinely preserved without so much as a dispute regarding even one letter as Muslim writers conveniently choose to believe. Rather it is simply but one form of it as it existed during the first two decades after Muhammad's death, the compilation of but one man, Zaid ibn Thabit, and commissioned for the Muslim world as the only text to be accepted, not by divine decree, but by the arbitrary discretion of yet another single individual, Uthman ibn Affan.
The popular sentiment of the Muslims that the Qur'an has, right from the beginning, been preserved without the slightest variation in a single text would carry weight if it could be shown that this was the only text accepted by the whole Muslim community from the time of Muhammad himself.
The records of the Qur'an's compilation in the heritage of Islam, however, show convincingly that there were a whole number of different codices in vogue during the first generation after Muhammad's demise and that these all varied considerably from one another. The adoption of a single text came only twenty years after his death and only through the unilateral choice of one of the varying codices as the standard text at the expense of the others. The universally accepted text of the Qur'an in the Muslim world is not so much the mushaf of Muhammad but rather the mushaf of Zaid ibn Thabit, and its unchallenged authority today has come about, not through divine decree or preservation, but by the imposition of one man acting on his own initiative against the many other codices of equal authority which he summarily consigned to the flames.
Click This Link
৬৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৮
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: @সহোশি৬
আপনি কোরআনকে ভুল প্রমান করার জন্য বা কোরআন সংরক্ষনে ভুল ছিল প্রমানের জন্য এত পরিশ্রম করে দুনিয়ার প্রায় সব জ্ঞান ভান্ডার আয়ত্ম করে ফেলেছেন দেখে রিতিমত মায়া হচ্ছে। আপনার এই বিশাল কর্মযজ্ঞের মুলে কি বলুন তো? আসল বিষয় হচ্ছে আপনি আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন না। আর আল্লাহর অস্তিত্ব এমন এক জিনিস যা দুনিয়ার জ্ঞান দিয়ে কখনই প্রমান করা যাবে না। কারণ এটাই মানুষের জন্য পরীক্ষা। পরিক্ষার উত্তর যদি পরীক্ষার হলেই দিয়ে দেয়া হয় - তাহলে তো আর সেটা পরীক্ষা থাকে না, তাই না?
দেখুন, আপনি যদি আল্লাহকে সত্যিকার অর্থে বিশ্বাস করতেন - তাহলে এটা অবশ্বই মানতেন যে তিনি তাঁর প্রিয় সৃস্টি মানুষের পথনির্দেশনার জন্য গাইড লাইন দেবেন। যত দিন পর্যন্ত মানুষ সেই গাইড লাইন সংরক্ষনের উপযুক্ত হয়নি ততদিন পর্যন্ত তিনি একের পর এক নবী রাসুল(আ: ) দের পাঠিয়েছেন। মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি যখন যথেস্ট পরিপক্ক হয়েছে তখন তিনি পাঠিয়েছেন কোরআন এবং একেই কেয়ামত পর্যন্ত মানুষের হেদায়াতের উপায় হিসেবে ঘোষনা করেছেন, বলেছেন এর পরে আর কোন নবী, রাসুল বা আসমানী কিতাব আসবে না। এখন যদি সেই কোরআন কেয়ামত পর্যন্ত অবিকৃত ভাবে সংরক্ষিত না হয় তাহলে আল্লাহর এই ঘোষনা অর্থহীন হয়ে যায়, প্রয়োজন দেখাদেয় নতুন রাসুল এবং নতুন আসমানী কিতাবের। কিন্তু আল্লাহর ঘোষনা অনুযায়ী তা সম্ভব নয়। তার অর্থ আমাদের কাছে যে কোরআন আছে তাই কেয়ামত পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকবে এবং এটাই আসল কোরআন। কারণ আল্লাহর ঘোষণা কখনই ভুল হতে পারে না।
আবার দেখুন - এটা আপনি মানছেন যে ওসমান(রা: ) এর সময়ে সংরক্ষিত কোরআন এখনও অবিকৃত আছে, অথচ এটা মানতে চাইছেন না যে রাসুল(স: )এর সময়ের কোরআন ওসমান(রা: ) পর্যন্ত অবিকৃত ছিল। কি আশ্চর্য কথা!! যেই কোরআন মানুষের মুখে মুখে সারা দুনিয়ার শত কোটি মানুশের মাঝে ছড়িয়ে যাবার পরও দেড় হাজার বছর ধরে অবিকৃত থাকতে পারল তা রাসুল(স: ) এর ওফাতের পর মাত্র ১০-১৫ বছর - যখন বহু হাফেজে কোরআন সাহাবী জীবিত ছিলেন - তখন পর্যন্ত অবিকৃত থাকতে পারল না? এটা কি ধরনের যুক্তি হল?
আসল কথা হচ্ছে আল্লাহর ঘোষনা অনুযায়ী হাজারো হাফেজে কোরআনের হৃদয়ে কোরআন অবিকৃত অবস্থায় সংরক্ষিত আছে এবং থাকবে কেয়ামত পর্যন্ত এটা একটা সত্য আবার এটাও সত্য যে সেই আবুলাহাব আবু জাহেল থেকে কোরআনের বিরোধিতার যে ধারা শুরু হয়েছে তাও থাকবে কেয়ামত পর্যন্ত। আর এখানেই মানুষের পরীক্ষা, সে কোনটা সমর্থন করে - আল্লাহর সুস্পস্ট ঘোষনা না ঐ ধারার নানা কুযুক্তিসম্বলিত বক্তব্য?
আর যদি আপনি আল্লাহর অস্তিত্বেই বিশ্বাস না করেন, তা হলে আপনার কাছে সব কিছুই গোলমেলে মনে হবে - তখন আপনাকে শুরু করতে হবে আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমান নিয়ে। সেখান থেকে শুরু করতে চাইলে এই লেখাটা পড়ে দেখতে পারেন : Click This Link
৬৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৪
কাক ভুষুন্ডি বলেছেন: পড়লাম। পোস্টের থেকে আলোচনা বেশী প্রানবন্ত লাগলো।
৬৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:১৫
মাহবুব সুমন বলেছেন: গুড পোস্ট।
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃ
শুকরের সাথে কুস্তি লড়তে যেতে হয় না, এতে কাপড়ে ময়লা লাগবেই লাগবে , সাথে ঘোৎ ঘোৎ শব্দ শুনে কান ঝালা পালা হবেই। চরিত্রের কথা উহ্য রাখলাম
৬৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫০
নিরক্ষর বলেছেন: ভাল পোস্ট। আপনার কাছ থেকে এই ধরনের পোস্ট পেয়ে ভাল লাগল।
মাহবুব সুমন ভাইয়ের সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃ
শুকরের সাথে কুস্তি লড়তে যেতে হয় না, এতে কাপড়ে ময়লা লাগবেই লাগবে , সাথে ঘোৎ ঘোৎ শব্দ শুনে কান ঝালা পালা হবেই। চরিত্রের কথা উহ্য রাখলাম
৬৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫১
স্বাধীন_০৮ বলেছেন: @সাহোশি৬
ভাই আপনি হাদিস দিয়া কোরান কে ভুল প্রমান করতে চান। আজব আপনার বুদ্ধি, আপনারা কোরাকে ভুল বললে,হাদিস কে কিভাবে শুদ্ধ বলেন।
মুহাম্মদ এর কথা যাকে হাদিস বলে,তা যদি সত্যি বিশ্বাস করেন
তবে জেনে রাখুন তিনি বলেছেন" কোরান আল্লাহতালা হেফাজত করবেন।"
আমি আসলে বুঝি না,আপানার মত চিন্তাশীলরা এত অদ্ভুদ যুক্তি কিভাবে পান,কোথায় পান।
আর হা নিজেকে নাস্তিক বলেন ভাল,কিন্তু এটা জাহির করতে গিয়ে আপানার যা বলেন আর লিখেন।আপনাদের প্রতি আসলে সব ধর্ম অনুসারিরা ঘৃনা প্রকাশ করবে।(@আরিফুর রহমান)
মানলে পুর সত্যিটা মানেন আর না মানলে নিজের মত করে চলেন। কিন্তু দয়া করে অন্যের ধর্মমত কে আঘাত করে নয়।
৬৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫৬
স্বাধীন_০৮ বলেছেন: ভাই আপনি হাদিস দিয়া কোরান কে ভুল প্রমান করতে চান। আজব আপনার বুদ্ধি, আপনারা কোরানকে ভুল বললে,হাদিস কে কিভাবে শুদ্ধ বলেন।কিভাবে মানেন।
মুহাম্মদ(সাঃ) এর কথা যাকে হাদিস বলে,তা যদি সত্যি বিশ্বাস করেন
তবে জেনে রাখুন তিনি বলেছেন" কোরান আল্লাহতালা হেফাজত করবেন।"
আমি আসলে বুঝি না,আপানার মত চিন্তাশীলরা এত অদ্ভুদ যুক্তি কিভাবে পান,কোথায় পান।
আর হা নিজেকে নাস্তিক বলেন ভাল,কিন্তু এটা জাহির করতে গিয়ে আপানার যা বলেন আর লিখেন।আপনাদের প্রতি আসলে সব ধর্ম অনুসারিরা ঘৃনা প্রকাশ করবে।(@আরিফুর রহমান)
মানলে পুর সত্যিটা মানেন আর না মানলে নিজের মত করে চলেন। কিন্তু দয়া করে অন্যের ধর্মমত কে আঘাত করে নয়।
৭০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:০২
ভোদাই বলেছেন: তালগাছ পাট্টিরা সব হাজির হইছে যার যার তালগাছ লইয়া
৭১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: সব পর্ব লেখা হলে একসাথে করে দিয়েন,ভাল একটা সংগ্রহ হবে।
৭২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:২৫
কুম্ভকর্ণ বলেছেন: হায় হায়, এখানে তো দেখি ব্যাপক কাজিয়া লেগেছে।
আচ্ছা নাস্তিক জ্ঞানীরা, আপনারা যদি আল্লাহ/সৃষ্টিকর্তাকেই বিশ্বাস না করেন সেখানে কুরআন অবিকৃত আছে কি নেই সেটা নিয়ে কেন মাথা ঘামাচ্ছেন? আগে তো আল্লাহ আছে কি নাই সেটা নিয়ে কথা বলতে হবে, পরে আসবেন কুরআন, বাইবেল, বেদ, গীতা নিয়ে আলোচনায়। এখন যে কুরআন, বেদ, বাইবেলে বিশ্বাস করেননা সেই বই থেকে প্রমাণ করতে চান যদি যে "আল্লাহ/সৃষ্টিকর্তা নেই" তাহলে তো সেটা রিয়েকটিভ এপ্রোচ, আর যুক্তিবিদ্যার মিনিমাম ধারণা থাকলে বুঝবেন সেটা specious or fallacious reasoning. এই যুক্তি-জ্ঞান নিয়ে কথা বলতে আসলে তো লোকে হাসবে!
যে বিষয়টা ভুল বা মানুষের তৈরী মনে করেন সেই বিষয় থেকেই কোট করতেছেন আল্লাহ নেই প্রমাণ করার জন্য!! God bless you!!
৭৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৩৭
শয়তান বলেছেন: প্রথম কমেন্টের সাথে লাস্ট কমেন্ট এর সুরটা ঠিক মিল্লো না নরাধম ব্রাদার । এমনটা আশা করি নাই এই পোস্টে ।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:২২
কুম্ভকর্ণ বলেছেন: ভাইজান, কমেন্টে দেখলে দেখবেন মুহাম্মদ (সাঃ) কে ফিট রোগ ছিল এরকম আবালমার্কা কথা বলতেছে কিছু ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মত লাফানি নাস্তিক। তাদেরকে কি বলা যায় আপনিই বলেন।
প্রথম কমেন্টে বলেছিলাম কোন ভুল থাকলে ধরায়া ডেওয়ার জন্য। সেটা তথ্যগত ভুলের কথা বলেছি। আপনি সাল দেওয়ার সাজেশান দিয়েছেন এবং আমি সেটা দিব। এখন সেরকম কোন সাজেশান বা পোস্ট নিয়ে গঠনমুলক কিছু না বলে ছাগলামি শুরু করলে কি করব বলেন? জামাতি ছাগু আর মুহাম্মদ (সাঃ)-কে ফিট রোগ ছিল বলে সেরকম নাস্তিক চাগু সবার জন্যই গদাম লাথি। আগে একবার উনার কাছ থেকে বাংলা শব্দ শিখেছিলাম "দূরদর্শী" মানে নাকি "ধূর্ত"!! সেটাও মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এরকম জামাতি আর নাস্তিক চাগল সবার জন্যই গদাম লাথি। উল্লেখ্য নাস্তিক যদি জানাশোনা নাস্তিক হয় যেমন নাস্টিকের ধর্মকথা তার জন্য আমার শ্রদ্ধা। কিন্তু কিছুই না জেনে ছাগলের ৩ নং বাচ্চার মত লাফালাফি করলে আর নিজেকে নাসতিক আর ইস্মার্ট মনে করলে গদাম লাথি ছাড়া কোন কথা নাই।
আশা করি ভুল বুঝবেননা। আপনি বংগবন্ধুকে ভালবাসলে আর ছাগুরা তাঁকে অযৌক্টিকভাবে উল্টাপাল্টা বললে আপনি কিরকম ট্রিটমেন্ট সেটা চিন্তা করুন। অনেক ধন্যবাদ ভাইজান।
৭৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:০৯
মনজুরুল হক বলেছেন: ইন্নালিল্লাহে অইন্নাইলাহি রাজেউন.................
৭৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৪৫
কানা বাবা বলেছেন:
আমি কুরআন বিশ্বাস না ক'রলেও কারুর কারুর মতে কুরআন অকাট্য-অভ্রান্তও তো হ'তে পারে... আর তর্কটা যুদি অয় এইরমের কারুর লগে যে কিনা এই বিশ্বাসটা ধারণ করে; যুক্তি-অপযুক্তি আমি যেইটাই দেইনা ক্যান্, তার বিশ্বাসের ছটিঘর কুরআন থিকা সেইটা দেওনই তো বেশি কার্যকর হউনের্কতা...
তার নিজের বোদ ওনুজায়ি 'প্রামাণ্য' না- ইরমের সোর্স থিকা রেপা দিলে হেই ব্যাডায় কি মানবো? আপ্নেই কি মানবেন্?
তর্কের উপাত্ত কুন্খান থিকা আইলো, হেইখান থিকা রেপা টানোনের যুগ্যতা নাস্তিকব্যাডাগো আচে নাকি নাই- হেইটা বিশ্লেষণ কোরুনের পাশাপাশি হেইটারে খন্ডন কোরুনের কোশেশ্ কোল্লে আপ্নের বক্তব্যের খুঁটির জুরডা বুজতে সুবিদা হৈতো... আপ্চুস্, আপ্নেরে হেইটা কোর্তে দেক্লাম্না অহন্তরি... খালি জুগ্যতাবিষয়োক্ 'ফাতওয়া' এলান্ কৈরা গ্যালেন্...
তাচারা, 'তর্কের খাতিরে ধৈরা নেওন' বৈলা এ্যাক্টা কতা আচে, জানেন নিচ্চয়... জুদিও জানিনা আপ্নের জুক্তিবিদ্যা এই বেফারে কী কয়...
@কুম্ভকর্ণ
৭৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৪
শয়তান বলেছেন: ষড়রিপুর একটিতে আপনে আক্রান্ত হয়ে আছেন । ঠান্ডা মাথায় যৌক্তিক উপায়ে আবার কাজটা শুরু করেন । একজন যেমনি আপনাকে উত্তপ্ত করে রেখেছে বললেন ঠিক তেমনি আরও অজশ্র মুখস্ত মন্তব্য এই পোস্টকে ধনাত্মক কর্লেও ফলাফল কিন্তু জিরো এই কাজটার । অনেক আশায় ছিলাম বিক্ষিপ্ত আকারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তথ্যগুলাকে পর্যাপ্ত ব্যাখ্যা বিশ্লেষন দিয়ে বিরূদ্ধমতের যক্তি খন্ডিয়ে একটা পুর্নাংগ গবেষনামুলক পোস্ট পাবো এবার।
কিন্তু নিরাশ করলেন
৭৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৫
শয়তান বলেছেন: কানাবাবা ভাল বলেছেন ।
৭৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৪১
কুম্ভকর্ণ বলেছেন: প্রিয় ব্লগাররা, আমি এই পোস্টকে আরো ডিটেলসে, আরো ভাল রেফারেন্সসহ লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, লেখাটা যেভাবে পরিকল্পনা করেছি সেভাবে লিখতে পারলে কারও কোন ধরণের সন্দেহ থাকার কথা নয় যে কোরআন সংকলনে কোন গলদ আছে। খুশির খবর হচ্ছে খুব ভাল লাগতেছে আমার কারন অথেনটিক নন-মুসলিমদের লেখা প্রচুর ক্রস-রেফারেন্সড আর্টিকল আছে এই ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য। একটু ব্যস্ত আছি। ৪টা কোর্স, টিএশিপ করতে করতে সময় একদম পাইনা। তবে ইনশাআল্লাহ, খুব শীঘ্রই দিব।
সবাইকে ধন্যবাদ।
৭৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৪৭
সাইফুর বলেছেন: প্রিয় পোষ্টে...
তুমি যে কারনে এই পোষ্ট দিলা..তার সাথে একমত..
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৪৯
কুম্ভকর্ণ বলেছেন: ধইন্যাপাতা!
৮০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২০
একজন ব্লগার বলেছেন: নারু, সত্য তো সবসময় সতই থাকে। এইসব ছাগলের ম্যাৎকারে সত্য তো আর রাতারাতি মিথ্যা হয়া যায়। এই আহাম্মক গুলা জানেও না যে ওরা কতটা আহাম্মক।
দারুন তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট। পুরোটা পড়লাম। এবং প্রিয়তে যোগ করলাম।+++
একসেন্ট আর উচ্চারনের মধ্যে পার্থক্য করছো দেইখা ভাল লাগলো। সব ভাষার উচ্চারন আর আরবির উচ্চারন এক না, এই তথ্যটাই অনেকের জানা নাই।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৩৬
কুম্ভকর্ণ বলেছেন: কতবেল, তোমাকেও ধন্যবাদ। ইনশাআল্লাহ, আরো রিফাইন করে আর্টিকলটা দেওয়ার চেষ্টা করতেছি। রেফারেন্স কালেক্ট করতেছি এখন।
৮১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২১
মুকুল বলেছেন: নরাধম, আছেন কেমন?
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৩৪
কুম্ভকর্ণ বলেছেন: মুকুল ভাই, আমি আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আপনার কি অবস্থা? ব্লগে তেমন রেগুলার না, আপনাদের খোঁজ খবর ও নিতে পারিনা।
৮২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২১
একজন ব্লগার বলেছেন: এই পোস্টেও ১০টা মাইনাস দিসে। ছাগল কি গাছে ধরে না জমিতে চাষ হয় ছামোয়ারিনে?
৮৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:২১
বিবর্তনবাদী বলেছেন:
০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ৮:৪৫
কুম্ভকর্ণ বলেছেন: বিবর্তনবাদী, অনেক ধন্যবাদ।
৮৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ৮:৪৬
কুম্ভকর্ণ বলেছেন: আচ্ছা, কারো কাছে কি Canonical Text বইটার কোন সফট কপি আছে??
৮৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ১২:৩০
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: @কুম্ভকর্ণ,
"....আধাশিক্ষিত নাস্তিকদের ছাগলামি-মার্কা পোস্ট "
আপনার এই পোস্টের শুরুর দিকে এ লাইনটি দেখে মনে হলো, আপনার এই সিরিজের পোস্টগুলো অন্তত ছাগলামি মার্কা হবে না এবং আধা শিক্ষিত আস্তিকের পোস্ট হবে না- মানে যথেস্ট পড়াশুনা-অনুসন্ধান- বলতে গেলে গবেষণা করেই এই সিরিজটি লিখিত হবে। সেই প্রত্যাশা থেকে আপনার পরবর্তী আরো ডিটেলসে, আরো ভাল রেফারেন্সসহ লেখা পোস্টে কিছু বিষয়ে আলোচনার দাবি রাখছিঃ
১। আপনি জানিয়েছেন: "মুশাফটা যাতে কোনরকম ভুলভ্রান্তি না থাকে সেজন্য যায়েদ ইবনে সাবিত (রাঃ) এর কমিটি লেখা গ্রহণ করার জন্য দু'টা শর্ত জুড়ে দিয়েছিলেন(৬)।
i) শুধুমাত্র সেসব কপিই গ্রহণ করা হবে যা হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর উপস্থিতিতেই সংরক্ষণ করা হয়েছিল। (এবং)
ii) কমপক্ষে দুজন বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষী এই মর্মে ঘোষণা দিবেন যে তারা রাসুল (সাঃ) কে এই আয়াত আবৃত্তি করতে নিজের কানে শুনেছেন।"
অথচ, ৯:১২৮ এবং ৯:১২৯ আয়াত দুটোর দুজন সাক্ষী পাওয়া যায়নি বলে হাদীসে (সহীহ বুখারী, Volume 6, Book 61, Number 509) জানা যায়। হাদীসটির অংশ বিশেষ ( Click This Link) তুলে দিচ্ছিঃ
"..... So I started looking for the Qur'an and collecting it from (what was written on) palmed stalks, thin white stones and also from the men who knew it by heart, till I found the last Verse of Surat At-Tauba (Repentance) with Abi Khuzaima Al-Ansari, and I did not find it with anybody other than him. The Verse is:
'Verily there has come unto you an Apostle (Muhammad) from amongst yourselves. It grieves him that you should receive any injury or difficulty..(till the end of Surat-Baraa' (At-Tauba) (9.128-129)....."
তারপরেও এই আয়াত দুটো এখানে আসলো কি করে? রাশাদ খলীফার কোরআনে এযুক্তিতেই এই আয়াত দুটো বাদ দেয়া হয়েছে, সেই সাথে আরো কিছু যুক্তি ছিল, যেমনঃ ৯ নং সুরাটি মাদানী কিন্তু তার শেষ দুটো আয়াত (১২৮ ও ১২৯) মাক্কী। Abi Khuzaima Al-Ansari ছিলেন মদীনায় শেষের দিকে ইসলাম গ্রহণকারী আনসারী। তিনি কি করে মাক্কী আয়াত পেলেন- যেটি অন্য কেউ পেল না?
২। Abi Khuzaima Al-Ansari এর মত আর যেসব আয়াত সংগৃহীত হয়েছিল, যেগুলোর মাত্র একজন সাক্ষীই মিলেছিল, সেগুলো যে নবীজীর কোরআনের আয়াত নয় সে ব্যাপারে কি করে নিশ্চিৎ হওয়া সম্ভব? (যেখানে অনেকে কোরআন এ হাফেজ সাহাবী মারা গিয়েছিলেন!)
৩। খোলাফায়ে রাশেদীন এর শেষ খলীফা, নবীজীর চাচাতো ভাই ও জামাতা আলী রা এর কোরআন সংকলন সম্পর্কিত আপত্তিসমূহ সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কি? Jalaluddin Al-Suyuty এর AL ITQAAN FEE 'ULUM AL QURAN এ উল্লেখ আছেঃ "`Ali was asked: "Why are you staying home?" He said, "Something has been added to the Quran, and I have pledged never to put on my street clothes, except for the prayer, until the Quran is restored." এই ঘটনাটি উসমানের সময়কার। একই ধরণের বিবরণ আরো অনেক ইসলামী স্কলার ও ইতিহাসবিদের আলোচনায় পাওয়া যায়। এবিষয়ে ব্যাখ্যা কি রকম হতে পারে?
৪। কোরআন ৭টি ভাষারীতিতে বা উচ্চারণ রীতিতে অবতীর্ণ হয়েছিলো- কিন্তু আজকে আমরা একটি রীতির কোরআনই পাই। বাকি ৬ রীতির কোরআন ধ্বংস করা হয়েছে কোন সময়ে? আবু বকরের সংকলন, যা শেষ পর্যন্ত হাফসার কাছে সংরক্ষিত ছিল- সেখানে কি বাকি ভাষারীতিও ছিল? উসমানের কপিতেই কি প্রথম একটি ভাষারীতি অনুসৃত হয়?
তা যদি হয়, তবে এটুকু বলা যেতে কি পারে যে, উসমানের কপিকৃত কোরআন আর হাফসার কাছে সংরক্ষিত কোরআন অবিকল এক নয়? হাফসা কাছে যে কোরআন ছিল সেটিও কেন ধ্বংস করা হলো (Marwan b. Hakam কর্তৃক)?
৫। উসমানের কপিকৃত কোরআন (৫ কপি মতান্তরে ৭ কপি) ৫ টি বা ৭ টি অঞ্চলে পাঠানো হয়েছিল। পরবর্তীতে আমরা যে কোরআন পাই- সেগুলো বিভিন্ন রীতিতে লেখা। যেমনঃ
১। মদীনা থেকে (Nafi, d. 169 A.H.);
২। মক্কা থেকে (ibn Kathir, d.120 A.H.);
৩। দামেস্ক থেকে (ibn ‘Amir, d. 118 A.H.);
৪। বসরা থেকে (Abu ‘Amr, d. 148 A.H.);
৫। কুফা থেকে (‘Asim, d.127 A.H.);
৬। কুফা থেকে (Hamza, d. 156 A.H.);
৭। কুফা থেকে (al-Kisai, d. 189 A.H.).
এছাড়াও পাওয়া যায়ঃ
৮। মদীনা থেকে (Abu Ja’far, d. 130 A.H.);
৯। বসরা থেকে (Ya’qub, d.205 A.H.);
১০। কুফা থেকে (Khalaf, d. 229 A.H.).
১১। বসরা থেকে (Hasan al-Basri, d. 110 A.H.);
১২। বসরা থেকে (Yahya al-Yazidi, d.202 A.H.),
১৩। মক্কা থেকে (ibn Muhaisin, d. 123 A.H.);
১৪। কুফা থেকে (al-’Amash, d. 148 A.H.).
এসব কোরআনের মধ্যেও পারষ্পরিক অমিল পাওয়া যায়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় Warsh ‘an (according to) Nafi (d. 169 A.H.) এবং Hafs ‘an ‘Asim (d. 127 A.H.) এর কথা। Warsh এবং Hafs এর কোরআনের মাঝে অসংখ্য জায়গায় অমিল পাওয়া যায়। আজকে আমরা যে কোরআন পাই তা মূলত Hafs (কুফা) এর কোরআন এর অনুরূপ।
কেন এরূপ হলো?
৬। আপনার এই পোস্টের শেষ লাইন কটি এমনঃ " উল্লেখ্য হযরত ওসমান (রাঃ) এর করা কপি এখনও উযবেকিস্তানের তাশকেন্ত মিউজিয়ামে আছে(৯)। UNESCO-র Memory of the World Program মতে "it is the definitive version, known as the Mushaf of Uthman."
আজকে আমরা দুনিয়া জুড়ে কোরআনের যে রীতি পাই- সেটির সাথে মিলিয়ে দেখলে দেখা যায় যে, তাশকেন্ত মিউজিয়ামে উসমানের কোরআনের সাথে অনেক জায়গাতেই অমিল আছে। কিছু উদাহরণ নীচে দিচ্ছি। (প্রতিক্ষেত্রেই উপরের মোটা হরফে আয়াত উসমানের কপিকৃত তাশকেন্ত মিউজিয়ামে রাখা কোরআন থেকে নেয়া এবং নীচের আয়াত বর্তমানে প্রচলিত কোরআন থেকে নেয়া। আপনারা যেকেউ মিলিয়ে দেখতে পারেন।)
ক) নুন যুক্তকরণঃ
খ) আলাইকুম শব্দটি যুক্তকরণঃ
গ) আলিফের জায়গায় ইয়াঃ
ঘ) মিম নুন অপসারণঃ
ঙ) হুয়া র জায়গায় আল্লাহঃ
এই তাশকেন্তের কোরআনের বাইরেও আরেকটি কপি পাওয়া যায় যা । সেটির সাথেও বর্তমানে প্রচলিত কোরআনের অমিল পাওয়া যায়। (সেরকম একটি কপি এই এড্রেসে পাওয়া যাবেঃ Click This Link)। এই অমিলের কারণ কি? ব্যাখ্যা কি?
৭। সাহোশি৬ উল্লেখিত বিষয়াদির ব্যাখ্যা। জ্বিনের বাদশার ব্যাখ্যাই যদি আপনার মত হয়- তবে সেক্ষেত্রে এ দুটো বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করছিঃ
ক) হাদীসের অথেনটিসিটি নিয়ে কথা বলার গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি কি? কোন হাদীসকে নন অথেনটিক বলার ক্ষেত্রে কি দেখা উচিৎ নয় যে- সেই হাদীস সম্পর্কে বিভিন্ন ইসলামী স্কলারেরা কি বক্তব্য পেশ করছেন, বা সেই হাদীসকে স্কলারেরা অথেনটিক নয় বলে ঘোষণা দিয়েছেন কিনা। কোরআন সংকলন কেন্দ্রিক সাহোশি৬ কর্তৃক উল্লেখিত হাদীস সমূহ কোন মুসলিম স্কলার অথেনটিক নয় বলেছেন সেটির উল্লেখ কি বাঞ্ছনীয় নয়? সাথে কি কারণে সেই হাদীসগুলোকে অথেনটিক নয় বলেছেন, সে আলোচনাও এখানে উপস্থাপনীয়। কিন্তু সেসব না করে হাদীসকে উড়িয়ে দেয়াটা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়, কেননা কোরআনের তাফসীর-ব্যাখ্যা- শানেনুযুল, ইসলামের আহকামের বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয় হাদীস থেকেই পাওয়া যায়। কোরআনের কোন আয়াত নিয়ে ব্যাখ্যা সংক্রান্ত মতভেদ দূর করতেও স্কলারদের হাদীসের শরনাপন্ন হতে দেখা যায়। ফলে- কোরআন সংক্রান্ত আলোচনায় হাদীসই সবচেয়ে বড় দলিল হিসাবে স্বীকৃত।
খ) ইবনে মাসুদের কোরআনের সাথে উসমানের সংকলিত কোরআনের অবশ্যই অমিল ছিল- সেটাকে ভাষারীতি বা উচ্চারণ রীতির পার্থক্য যাই বলেন না কেন। ফুটনোট থাকার কারণে সেটা পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ এসেছিল- এটা কি গ্রহণযোগ্য? ফুটনোট বাদ দিয়ে সেই ভাষারীতিতে আরেকটি কপি কি বানানো যেত না?
৮৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ১২:৫২
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: উপরের এই কমেন্ট টি স্বতন্ত্র পোস্ট হিসাবেও দিলাম........
৮৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ১:৪০
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: কুম্ভকর্ণ বলেছেন, "আচ্ছা নাস্তিক জ্ঞানীরা, আপনারা যদি আল্লাহ/সৃষ্টিকর্তাকেই বিশ্বাস না করেন সেখানে কুরআন অবিকৃত আছে কি নেই সেটা নিয়ে কেন মাথা ঘামাচ্ছেন? আগে তো আল্লাহ আছে কি নাই সেটা নিয়ে কথা বলতে হবে, পরে আসবেন কুরআন, বাইবেল, বেদ, গীতা নিয়ে আলোচনায়। এখন যে কুরআন, বেদ, বাইবেলে বিশ্বাস করেননা সেই বই থেকে প্রমাণ করতে চান যদি যে "আল্লাহ/সৃষ্টিকর্তা নেই" তাহলে তো সেটা রিয়েকটিভ এপ্রোচ, আর যুক্তিবিদ্যার মিনিমাম ধারণা থাকলে বুঝবেন সেটা specious or fallacious reasoning. এই যুক্তি-জ্ঞান নিয়ে কথা বলতে আসলে তো লোকে হাসবে!
যে বিষয়টা ভুল বা মানুষের তৈরী মনে করেন সেই বিষয় থেকেই কোট করতেছেন আল্লাহ নেই প্রমাণ করার জন্য!! God bless you!! "
=============>>>>>>>>
আপনার কাছে যুক্তিবিদ্যা শিখতে আনন্দই হচ্ছে বৈকি!!!
তবে, specious or fallacious reasoning তথা লোক হাসানো যুক্তি-জ্ঞান কোথায় পেলেন- সেটা আরেকটু বিস্তারিত বললে বা ধরে ধরে দেখিয়ে দিলে আরো ভালো শেখা যেত।
কেননা, আলোচ্য পোস্টে কাউকেই তো দেখলাম না যে, আল্লাহ নেই সে বিষয়ে আলোচনা করছেন বা সেটা প্রমাণ করছেন। বরং, এটাই দেখা যাচ্ছে যে- আপনার পোস্টের আলোচ্য বিষয় হলো কোরআন ও কোরআনের সংরক্ষণ। আজকের কোরআন কিভাবে এই অবস্থায় এলো- সেটি নিয়েই আপনি আলোচনা করছেন, ফলে অন্যরাও সে বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। আলোচনা কোরআনকে নিয়ে, ফলে কোরআন-হাদীস থেকেই সকলে তো কোট করবে, আলোচনা করবে- এটাই কি স্বাভাবিক নয়??? এখানে ফ্যালাসি কোথায় একটু জানাবেন।
একটি উদাহরণ দেইঃ
কোন পুস্তকে এক জায়গায় উল্লেখ করা হলো যে, "এই পুস্তকে কোথাও কোন বানান ভুল নেই"। এখন কেউ যদি এই বাক্যের সাথে দ্বিমত করে বা বিপরীত যুক্তি করে- তবে সে তো সেই পুস্তক ধরেই আলোচনা করে দেখিয়ে দিবে যে, সেটিতে কোথায় কোথায় বানান ভুল আছে। ঐ বই থেকে আলোচনা না করলে কি এটা দেখানো সম্ভব হবে? অথচ, সেটাকে যদি বলেন ফ্যালাসি- তবে কি দাঁড়ায়? পরবর্তী ধাপ হচ্ছে, এখন ঐ পুস্তকে যদি সত্যি বানান ভুল দেখানো যায়- তবে সেখান থেকে এই যুক্তি করা হলে কেমন হবে যে, পুস্তকটিতে যে এই দাবী করেছে তার দাবী সঠিক নয় বা সে সঠিক নয়- তবে এটাকেও কি ফ্যালাসি বলা সম্ভব?
যাহোক, আমরা আধাশিক্ষিত- আমাদের যুক্তিজ্ঞান লোকের হাসির উদ্রেক করে- আপনি দয়া করে আমাদের যুক্তি বিষয়ে জ্ঞান দান করে বাধিত করুন।
ধন্যবাদ।
৮৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ১:৪৯
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: আর আল্লাহ/সৃষ্টিকর্তাকে অবিশ্বাস করলে যে কোরআন/বাইবেল/বেদ নিয়ে মাথা ঘামানো যাবে না- এটি কোথায় পেলেন???
আপনার পোস্ট তো ঈশ্বরের অস্তিত্ব/অনস্তিত্ব বিষয়ে নয়। ফলে, সেই বিষয়ে এখানে আলোচনা করা কি প্রাসঙ্গিক হতো? আর, আপনার এখানে আলোচ্য বিষয়টি নিয়ে কথা বলা কি আপনার অনভিপ্রেত? তাহলে সেটি পোস্টে জানিয়ে দিলেই হতো!! মানে এ ধরণের লাইন যুক্ত করতেনঃ "আমার পোস্টের বিপরীত যুক্তি দেয়ার আগে আল্লাহর অনস্তিত্ব প্রমাণ করা বাধ্যতামূলক!"
একটা বিষয় মনে রাখবেন, ঈশ্বরের অস্তিত্ব/অনস্তিত্ব প্রমাণের চেয়ে অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ প্রচলিত ধর্মমতের কুসংস্কারের অলিগলিতে আঘাত করা। নাস্তিকরা এমনই মনে করে।
৮৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ১:৫৪
বেয়াকুফ বলেছেন: কুম্ভকর্ন/নরাধম, আধাশিক্ষিত হিসাবে কাউকে চিহ্নিত যেহেতু করসো (আমি তোমাকে তুমি বল্লাম, কারন আমার আগের নিক গুলাতে তোমার সাথে এ ভাবেই কথা বলে আসছি), সেহেতু আমি নিচের ব্যাপারগুলা জানতে আগ্রহী।
১) একাডেমিক শিক্ষার কোন স্তরে তুমি ঠিক এই মূহুর্তে?
২) যাদেরকে তুমি আধা শিক্ষিত বলসো (মনে কর আরিফের) তাদের একাডেমিক শিক্ষার স্তর এই মূহুর্তে কি?
৩) ১ ও ২ নম্বর এর উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি জানতে চাই, কোন মানদন্ডে তোমার মনে হল যে আরিফের (বা অন্য নাস্তিকদের যাদের তুমি আধা শিক্ষিত মনে কর) শিক্ষা তোমার (বা তোমার শিক্ষাস্তরে আছে এমন অন্যান্য আস্তিকের) সাপেক্ষে 'আধা' ?
আশা করি উত্তর পাবো। ধন্যবাদ।
৯০| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ২:০৭
মাহমুদউল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ নরাধম ভাই পোস্টের জন্য। অনেক ইনফরমেশন একসাথে পাব আশা করি, যেগুলো ইচ্ছা থাকা সত্বেও সময়াভাবে নিজে করতে পারিনা। পরের পর্বগুলোর অপেক্ষায়। ঈদ মোবারাক।
৯১| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৪:১০
রাসেল ( ........) বলেছেন: বিতর্কের পেছনের রাজনীতি আসলে কি?
একটা বিতর্ক উঠে এসেছে, কিছুটা মুসলিম স্থির বিশ্বাস থেকেই, কোরান এবং অন্যসব প্রত্যাদেশপ্রাপ্ত পুস্তিকার ভেতরে কোরান উত্তম এই দাবি থেকেই এইসব সংঘাতের সূচনা।
এতদ্বারা অন্যসব পুস্তককে নাকচ করে দেওয়া এবং ইহাই বিশ্বাসীদের পালনীয় নিয়মাবলীর জায়গা থেকেই বিতর্কের শুরু। তাওরাত ইঞ্জিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেগুলোতে আল্লাহর বানী অবিকৃত অবস্থায় নেই। একমাত্র কোরানই শুদ্ধ কারণ কোরান অবিকৃত সংরক্ষণের শপথ করেছেন আল্লাহ। ইহাই লাওহে মাহফুজ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে অবিকৃত রুপে- এই বক্তব্যই তো কোরানের বিশুদ্ধতার মূল বক্তব্য ঠিক না?
কোরানের নিজস্ব বিশুদ্ধতার সনদ নিজেই ভঙ্গ করে ফেলে কোরান, মোহাম্মদ কোরান সংশোধন করছে, নিজের বানীকে সংশোধন করে নতুন আইন উপস্থাপন করছে। লাওহে মাহফুজ থেকে অবতীর্ণ হওয়ার সময় এইযে বিচ্যুতি এটা মানবিক বিচ্যুতি, জিব্রিলের দোষ? না কি এটা মানবসৃষ্ট এটার প্রমাণ কিংবা এটা আল্লাহর খামখেয়ালীপনা?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর কোরান দেয় না, বরং নিজের বিশুদ্ধতার একটা সাইনবোর্ড ঝুলায়, এমন কি এটাও নিশ্চিত করে বলা সম্ভব না এই যে সাইনবোর্ড এটাও কি প্রাথমিক কোরানে উপস্থিত ছিলো না কি ছিলো না।
ভাষারীতি সংশোধন, সম্বোধনের সংশোধন এবং রাজনৈতিক সংস্কারে ব্রতি হয়ে সম্পূর্ন কোরানকে উচ্চবর্গীয় ইশ্বরপ্রিয় কোরাঈশ ভাষায় লিখে দেওয়াও এক ধরণের সংশোধন। সেটা মূলকে বিকৃত করেই করা হয়েছে। কোরানের অবিকৃত থাকবার দাবি কোরান নিজে হয়তো নাকচ করে না কিন্তু এটার সংকলনের ইতিহাসেই এর বিকৃতির ইতিহাস লুকানো।
এমন কি আজ থেকে ২০০ বছর আগেও এইসব নিয়ে তেমন বিতর্কের অবকাশ ছিলো না। তখনও সবাই এইসব বিচ্যুতিকে স্বাভাবিক মেনেই জীবনযাপন করেছে, ধর্মপালন করেছে।
সমস্যা ধর্মীয় আধিপত্যবাদের- আমার ধর্মই শ্রেষ্ঠ ধর্ম আমার ইশ্বরের বানীই শ্রেষ্ঠ এইসব নিয়েই গত ১০০ বছর ধরে এই বিতর্কগুলো চলছে, এখন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই রাজনীতিতে নরাধন, কুম্ভকর্ণ জড়িয়ে পড়তে পারে- সত্যাসত্যের পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি চলতে পারে। তবে নোক্তা নোক্তা অবিকৃত থাকবার দাবিটা প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।
কোরানের অবিকৃত থাকাটা যদি তোমার বিশ্বাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে তোমার ধর্মবিশ্বাস নেহায়েত ঠুনকো। এবং এই ধর্মবিশ্বাস ভেঙে গেলে তুমি গভীর কোনো দার্শণিক সংকটেও পড়বে না।
আর যদি এটা তেমন গুরুত্বপুর্ণ না হয় তবে অযথা তৃতীয় চতুর্থ চতুর মানুষের এইসব প্রমাণের চেষ্টার অনুবাদ করে সময় নষ্ট করো না।
৯২| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:০৭
মেঘাচ্ছন্ন বলেছেন: ঈদ মুবারক !!
ভালো থেকেন ভাইয়া ।
৯৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৬
নাজমুল। বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। নতুন পোস্ট এর অপেক্ষায় থাকলাম। +
৯৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৯:২০
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
কুম্ভকর্ণ বলেছেন: প্রিয় ব্লগাররা, আমি এই পোস্টকে আরো ডিটেলসে, আরো ভাল রেফারেন্সসহ লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, লেখাটা যেভাবে পরিকল্পনা করেছি সেভাবে লিখতে পারলে কারও কোন ধরণের সন্দেহ থাকার কথা নয় যে কোরআন সংকলনে কোন গলদ আছে।
পরবর্তী লেখার আশায় আছি.......
কোরআন সংকলনের প্রসঙ্গে ব্লগার অপবাক এককালে সিরিজ পোস্ট লিখেছিলেন। সে ব্যাপারেও কুম্ভকর্ণের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি- পরবর্তী ডিটেইলস পোস্টে অপবাকের সিরিজ পোস্টের যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য জবাব থাকবে আশা করছি। অপবাকের সিরিজটি এখানে কপি করছি।
কোরানের সংকলনের ইতিহাসের প্রারম্ভিকা/অপবাক
২৩ শে মার্চ, ২০০৬ বিকাল ৩:১৩ ( http://www.somewhereinblog.net/blog/kkk/5358)
বেশ ক'দিন আগে বিতর্ক কাদা ছোড়াছুড়ির এক পর্যায়ে কোরানের সংকলন এবং সংরক্ষন নিয়ে কিছু আলোচনা হলো। কিভাবে এই কাজটা সম্পন্ন হলো এ বিষয়ে খানিকটা জানানো এই সময়ে নিজের গরজে। অনেক ইসলামমনস্ক মানুষের আনাগোনা এখানে যারা এই গুরুত্বপুর্ন বিষয়ে না জেনেই শুধুমাত্র অন্ধ বিশ্বাসে দাবি করছেন কোরানের একটা নোক্তাও অদল বদল হয় নি, আদতে কি হয়েছিলো এটা বড় একটা গবেষনার বিষয়। আমি যতটুকু খুঁজে পেয়েছি তার ভিত্তিতে বলবো। আমাকে মহাইসলামবিশেষজ্ঞ ভাবার কোনো কারন নেই, আমার এই সব বিষয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। এমন কি যদি প্রমানিত হয় অবশেষে কোরান সংকলন হবার সময় কিছু নিয়মের সংযোজন হয়েছে বা কিছু আয়াতের বদলি আয়াত এসেছে আমার বিন্দু মাত্র সমস্যা হবে না এটা মেনে নিতে।
আমি কেবল পড়া শুরু করেছি এ বিষয়ে তাই ধারাবাহিক ভাবে লিখতে হবে বিষয়টা।
এটা সূচনার আগের প্রাককথন, ভুমিকার ভুমিকা বলা যায়।
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস কোরান সংকলনের:
মুহাম্মদ অন্যসব কেতাবপ্রাপ্ত নবীদের মতো তার উপর নাজেলকৃত কেতাবের বিশুদ্ধতা নষ্ট হোক এমনটা চান নি, তাই তিনি কোনো আয়াত নাজেল হলে তা সঙ্গ ীদের মুখস্ত করাতেন, সুযোগ থাকলে সেটা লিখে রাখতেন। এভাবেই তার জীবদ্দশায় কোরানের প্রাথমিক সংকলনের কাজ শুরু হয়।
632 খ্রিস্টাব্দে তার মৃতু্য হয় এটা ঐতিহাসিক সত্য, এর আগে এক সময় ফাতেমার সাথে তার কথোপকথনের সময় তার বক্তব্য ছিলো- প্রতি রোজার সময় জিব্রাইল 1 বার করে তার সাথে সম্পুর্ন কোরানটাই তেলাওয়াত করতো। একবার জিব্রাইল এবং একবার মুহাম্মদ এমনটাই রীতি ছিলো কিন্তু সেবার পর পর 2 বার সমস্ত কোরানের তেলাওয়াত করানো হয়,এটাকেই টার আশুমৃতু্যর একটা নিদর্শন ধরে নেন তিনি।
এরপর মৃতু্যপরবর্তি সময়ে ইয়ামামার যুদ্ধে প্রচুর পরিমান হাফিজ মৃতু্য বরন করলে আবুবকর যায়েদ কে দায়িত্ব দেন কোরানের আয়াতগুলোকে সংরক্ষনের ব্যাবস্থা করার জন্য। তাকে নির্দেশ দেওয়া হয় নির্ভুল কোরানের বানী যেখানেই পাওয়া যাবে সেখান থেকেই সংকলন করার জন্য। জায়েদ এই বিশাল কাজ হাতে নেন এবং খেটে খুটে একটা সংকলন তৈড়ি করেন, কিন্তু মুহাম্মদপরবর্তি সময়ে বিভিন্ন সাহাবারাও কোরানের কিছউ অংশ নিজেদের মতো সংকলন করেছিলেন, এর মধ্যে একজন হচ্ছে সেলিম।
যাই হোক যায়েদ কোরানের সংকলন করে সেটা জমা দেন আবু বকরের কাছে, আবু বকরের মৃতু্যর পর সেটা যায় উমরের দখলে এবং উমরের মৃতু্যর পর সেটা যায় হাফসার দখলে। দখলে বলাটা ভুল হবে, বলা উচিত ছিলো হেফাজতে। যাই হোক এর পর উসমান খলিফা হওয়ার সময় কোনো সিরিয়ার আশে পাশে কোনো এক যুদ্ধে 2 দল মুসলিমের মধ্যে দাঙ্গা শুরু হয়, কার কোরান অধিক বেশী পরিশুদ্ধ এ নিয়ে।
এ বিষয়ক গোলোযোগ নিরসনে তদন্ত করে দেখা যায়। বেশ কয়েকটা কোরানের সংকলন আছে, সব কটাই প্রামান্য। মানে এমন লোকদের দ্্বারা করা যারা বেশ প্রসিদ্ধ হাফেজ। প্রথম প্রশ্ন আসে এখানেই- সবগুলো প্রসিদ্ধ হাফেজের সংকলনের মধ্যে কেনো বিভেদ থাকবে? একই বই একই মানুষের দ্্বারা প্রচারিত? উসমান এর সমাধান বের করেন এভাবে
কোরাইশের আরবি জবানে কোরানের আয়াতগুলো নাজেল হয়েছিলো, যায়েদ একজন হাফেজ যার আরবি ুচ্চারন সবচেয়ে বিশুদ্ধ সুতরাং তার সংকলিত কোরানকে প্রামান্য ধরে কোরানের অনুলিপি তৈরি হবে।
সেই মতো শুরু হয় সংকলনের কাজ।
হাফসার হেফাজতে থাকা কোরানের সংকলন নিয়ে আসা হয়। এবং ওটার অনেকগুলো অনুলিপি তৈরি করে বিভিন্ন প্রদেশে পাঠানো হয়। এবং প্রদেশগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয় এটাই কোরানের কতৃপক্ষকতৃক অনুমোদিত অনুলিপি, এটাকেই প্রামান্য মান্য করিয়া বাকি সব অনুলিপি ধ্বংস করে ফেলা হোক।
গল্পের শুরু এখানে না, এর পরের গল্প হলো আমরা এখন কোরানের যেই অনুলিপির প্রতিলিপি তৈরি করছি সেটার সূচনা 800 খ্রিস্টাব্দের। উসমানের কোরান সংকলনের 100 বছর পরের । এই 100 বছরের ইতিহাসে কোনো দউষন ঘটেছে কি না এটার কোনো ঐতিহাসিক প্রমান নেই। যদি দুষন ঘটেও থাকে সেটাকে প্রমান করার মতো কোনো তথ্য নেই তেমন করে। আবার অপ্রমান করার মতোও তথ্য নেই।
সংযোজন বিয়োজন, আয়াতের শব্দবিবর্তন, আয়াতের সম্পুর্ন বদল এমন কিছু কিছউ দোষ ছিলোই সবগুলো সংকলনের। এগুলোর মধ্যে কোনটা আসল এটা নির্ধারন করা মুশকিল/
100 বছরের অন্ধকারের সাথে এই যে উচ্চারন বিভেদের বিষয়টা এসবই কোরানের আয়াতে বেশকিছু ভ্রান্তি এনেছে এমন কি কোনো কোনো ক্ষেত্রে আয়াতের সম্পুর্ন অর্থই বদলে দিয়েছে। এসব মানবিকভুল।
যদিও এই দাবি আছে এটা আল্লাহ কতৃক নাজেলকৃত কেতাব এবং আল্লাহই এর সংরক্ষন করবে, হাদিসের বরাত দিয়ে বলা যায় এমনটাও হতে পারে কোরানের কিছু কিছু আয়াত সম্পুর্ন বিলীন হয়ে গেছে, এই আশংকাই প্রথমত আবু বকর কে কোরান সংকলনের জন্য বাধ্য করে।
কথা হলো ইয়ামুমের যুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া আয়াতগুলো কি কোরানে এসেছিলো?
উত্তর আমি জানি না, এটা পড়াশেষ করে বলতে পারবো।
আসলে কি শাসকগন নিজের মতও কোরানের সংযোজন বিয়োজন করেছেন? সম্ভবনা আছে।
সবচেয়ে জটিল বিষয় হলো কোরানের একটা বিশল অংশ নাজেল হয়েছিলো মুহাম্মদের অসুস্থতার সময়। সেগুলো কি যথাযথ ভাবে সংরক্ষিত হয়েছিলো??
এটা সত্য যে কোরানের সবগুলো আয়াত মুহাম্মদের কাছে ছিলো না লিখিত আখারে, এজন্যই যায়েদকে অনেক মানুষের সাথে কথা বলতে হয়েছে, অনেকর সাথে কথা বলে পুংখানুপুঙ্খভাবে যাচাই করে যায়েদ তখন পর্যন্ত প্রাপ্ত কোরানের আয়াতগুলো লিপিবদ্ধ করেন। সর্বশেষ লিপিবদ্ধ আয়াত আসে উসমানের ঘোষনার দিনে।
এসব নিয়েই লিখা হবে ধাপে ধাপে,
দেখা যাক কোরান সংকলনের ইতিহাস কি বলে।
হাদিসের ভিত্তিতে সংগ্রহ অভিযানের ইতিহাস -1/অপবাক
২৩ শে মার্চ, ২০০৬ বিকাল ৫:০৪ ( http://www.somewhereinblog.net/blog/kkk/5365)
ইয়ামামার যুদ্ধে প্রায় 700 জন নিহত হন, এদের অনেকেই ছিলেন কোরানের হাফেজ। এদের একজন সেলিম। তার নিহত হওয়ার খবর পেয়েই উমর যান আবু বকরের কাছে, তাকে তাগাদা দেন কোরান সংকলনের জন্য।কোরানের সংকলনে আবু বকরের ভুমিকা প্রসঙ্গে আলির বক্তব্য - আবু বকর(ইশ্বর তার উপর শান্তি বর্ষিত করুন) প্রথম ব্যাক্তি যে কোরানকে একটা স্থানে সংকলন করেছেন।
মুসলমান আসলেই মজার এক জাতি, এই কথা হাদিসে থাকলেও এমন কথাও আছে যে আবু বকর বা ওমরের সময় কোরান সম্পুর্ন সংকলিত হয় নি। একটা হাদিস যা আবু বকরকে কোরান সংকলনের কৃতিত্ব দেয় সেখান থেকেই শুরু করি।
যায়েদ এর ভাষ্য পাওয়া যাবে সাহীহ বুখারিতে , কোরান সংকলন প্রসঙ্গে তার বক্তব্য নিম্নরূপ।
ইয়ামামার যুদ্ধের পর আবু বকর আমাকে ডেকে পাঠান। আমি সেখানে পৌছালে উমর বিন আল খাত্তাবকেও দেখি তার সাথে,
আবু বকর বলেন উমর তাকে বলেছেন ইয়ামাম যুদ্ধে নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই কুরানের হাফেজ,এবং তাদের মৃতু্যর সাথে সাথে কোরানের বিলুপ্তির একটা সম্ভবনা তৈরি হয়েছে, তাই আমার মতামত আপনি কোরান সংকলনের নির্দেশ দিন।
এর উত্তরে আবু বকর বলেন, নবী যে কাজ করেন নি বেঁচে থাকতে তা এখন করা কি উচিত হবে?
উমর এর উত্তরে বলেন, তা সত্ত্বেও এটা একটা গুরুত্বপুর্ন কাজ হবে।
আবু বকর যায়েদ কে বলেন, তুমি যুবক এবং বুদ্ধিমান এবং তোমার বিপক্ষে তেমন কোনো বাজে প্রচারনা নেই, এছাড়া তুমি মুহাম্মদেরর তত্ত্বাবধানে কোরানের কিছু আয়াত লিপিবদ্ধ করেছিলে, তাই এখন সম্পুর্ন কোরান সংকলনের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করো।
যায়েদ এর উত্তরে যা বলেন টা হলো, আপনি কেমন করে এমন একটা কাজের নির্দেশ দিচ্ছেন যা মহানবী নিজে কখনও করেন নি, এর উত্তরে আবু বকর তাকে আশস্ত করেন এটা অনুমোদিত।
এর পরে আমি কোরান সংগ্রহ অভিযান শুরু করি,
বৃক্ষপাতায়, প্রস্তর ফলকে এবং মানুষের স্মরণে যেখানেই পেয়েছে তা সংকলন করেছি। কোরানের সর্বশেষ আয়াত পেয়েছি , আবু খুযায়ামা আল আনসারির নিকট, যা অন্য কারো কাছে ছিলো না।
যায়েদের সংকলিত এই কোরান প্রথমে ছিলো আবু বকরের জিম্মায়, তার মৃতু্যর পর এটা যায় উমরের জিম্মায় এবং উমরকে হত্যা করার পর এটা চলে আসে তার কন্যা হাফসার জিম্মায়।
এখন আরও কিছু সহায়ক ইতিহাস জানা যাক, জায়েদ আবু বকরকে যে সংকলনটা দিয়েছিলো সেটা ছিলো চামড়া আবং খেজুর পাতার উপর লিখিত,।
যখন যায়েদ োমরকে জানান খুযায়মা আল আনসারির কাছে প্রাপ্ত 2টা আয়াতের কথা, ওমরের প্রতিক্রিয়া ছিলো যদি এটা 3টা আয়াত হতো তবে আমি ওটাকে ভিন্ন একটা সুরা হিসেবে লিপিবদ্ধ করার কথা বলতাম।
এর পরে উমরের তত্ত্ববধানে কোরানের সংগ্রহ শুরু হয়, বিষয়টা আমাকে যথেষ্ট পীড়া দিচ্ছে,ওমর একবার কোরান সংগ্রহের অনুরোধ করেন আবু বকরকে, এবং আবু বকরের উৎসাহে এবং নির্দেশে যায়েদ কোরান সংগ্রহ করেন, এর পর আবার ওমর নির্দেশ দেন জমায়েতে, তোমাদের যার যার কাছে মহানবীর মুখে শোনা কোরানের কোনো আয়াত থাকে তা আমাদের এখানে এসে জমা দাও, অবশ্য 2 জন সাক্ষী না পেলে ওমর কোনো কিছুকেই প্রামান্য মেনে নিতেন না।
এবং ওমরের মৃতু্যর পর উসমানও একই নির্দেশ দেন। এবং উসমানও 2 জন সাক্ষী না হলে কোরানের কোনো বানীকে প্রামান্য স্বীকৃতি দেন নি।
খুযাইমা বিন থাবিত Khuzaima bin thabit বলেন, কোরানের 2টা আয়াত বাদ পড়েছে, এর উত্তরে তাকে বলা হয় কোন কোন আয়াত বাদ পড়েছে, তার উত্তরে তিনি জানান, আমি স্বয়ং মুহাম্মদের কাছে এটা পেয়েছি.........। এবং তার উপদেশ অনুসারে এই 2টি আয়াতকে সুরা তওবার 128 এবং 129 আয়াত হিসেবে কোরানে লিপিবদ্ধ করা হয়।
উসমানের কোরান সংকলনের প্রেক্ষিত এর পরে বিশদ বর্নণা করা হবে। তাই সে পর্যন্ত কৌতুহল সংবরন করতে হবে আগ্রহীদের। তবে কোরান সংকলনে কোন ভাষা ব্যাবহৃত হবে এ নিয়ে বিতর্ক ছিলো। আরবের সবলোকের ভাষা এক ছিলো না, এমন কি মদিনার ভাষা এবং উচ্ছারন রীতি ছিলো মককার তুলনায় পৃথক, এমন কি মককার বিভিন্ন যাযাবরগোষ্ঠির মধ্যেও উচ্চারনের পার্থক্য ছিলো। তাই উমর নির্দেশ দেন যখন কোরান লিপিবদ্ধ করা হবে তখন মুদারের ভাষারীতি ব্যাবহৃত হবে।
সবচেয়ে মজার তথ্য হলো আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ কোরানের প্রায় 90টি সুরা মুখস্ত করেছিলেন, বাকি 14টি সুরা তিনি শিখেছেন মুয়াজ্জামি ইবন যারিয়াহর কাছে।
ক্বাতাদা একবার আনাস বিন মালিক কে প্রশ্ন করেছিলেন -
মহানবীর জিবদ্দশায় কে কে কোরান সংকলন করেছিলো?
এর উত্তরে আনাস বলেন, উবায় বিন ক্বাব, মুয়াদ বিন যাবাল, যায়েদ বিন থাবিত এবং আবু যায়েদ, সবাই আনসারি( মদিনাবাসী) ।
কোরানের সংকলনের ইতিহাস -2 / অপবাক
২৪ শে মার্চ, ২০০৬ রাত ১০:৫৯ ( http://www.somewhereinblog.net/blog/kkk/5441)
ভাষাবৈচিত্র এবং কোরানের উচ্চারনের রকমফেরঃ
আবু জাফর মুহাম্মদ বিন জারির আল তাবারি তার রচিত তাফসির-এ একটা ঘটনা বর্ননা করেছেন, ওমরের জবানিতে-
আমি হিশাম বিন হুকায়েমের তেলাওয়াত শুনছিলাম আল ফুরকান সুরার, তার উচ্চারন আমাকে নবীর শেখানো উচ্চারনের সাথে মিলছিলো না, আমি তার প্রার্থনা শেষ হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করি এবং প্রার্থনা শেষ হওয়ার পর তাকে বলি" এ উচ্চারনে কোরান পাঠ তোমাকে কে শিখিয়েছে"
এর উত্তরে সে বলে " স্বয়ং নবীর কাছে আমি শিখেছি" আমি উত্তেজিত হয়ে তাকে ধরে নিয়ে যাই নবীর কাছে, তাকে এ কথা বলার পর তিনি আমাকে বলেন হিশামকে ছেড়ে দিতে এবং তাকে আবার তেলাওয়াত করতে বলেন। তার তেলাওয়াত শেষ হওয়ার পর তিনি বলেন"ঠিক আছে" এবার তুমি তেলাওয়াত করো। ওমরের তেলাওয়াত শেষ হওয়ার পর তিনি বলেন তোমারটা ঠিক আছে, আসলে কোরান 7টা ভিন্ন ভিন্ন উচ্চারনের আরবিতে নাজেল হয়েছে। একই রকম আরেক ঘটনার প্রেক্ষিতে বলা হয়, নবী ওমরে বুকে আঘাত করে বলেন, শয়তান বেড়িয়ে যাও। তারপর উমর কে বলেন কোরানের সব ধরনের তেলাওয়াত বৈধ যতক্ষন না একটা আয়াতের অর্থ সম্পুর্ন বদল না হয়ে যায়।
উব্বের জবানিতেও এমন ঘটনা জানা যায়, কোনো এক দিন মসজিদে প্রবেশ করার পর উব্বে একজনে তেলাওয়াত শুনে দাবি করেন সে ভুল উচ্চারনে কোরান পাঠ করছে, এবং তাকে প্রশ্ন করলে সে বলে তার এই উচ্চারন রীতি মোহাম্মদের শেখানো।
উব্বে এটা যাচাই করার জন্য মোহাম্মদের কাছে যান। উভয়ের তেলাওয়াত শুনে মুহাম্মদ বলেন তাদের দুজনের উচ্চারনই সঠিক।
জায়েদ বিন আরক্বাম কতৃক বর্নিত, এক লোক নবীর কাছে গিয়ে অভিযোগ করলো আবদুল্লাহ বিন মাসাউদ আমাকে কোরানের নির্দিষ্ট একটা সুরা শিখিয়েছিলো, আমি পরে যায়েদ বিন থাবিতের কাছে একই সুরা শিখি এবং পরবর্তিতে উব্বায়ের কাছেও এই সুরার তালিম নেই। তাদের 3 জনের উচ্চারনরীতি 3 রকম, আমি কোনটা গ্রহন করবো। নবী নিশ্চুপ ছিলনে তবে তার পাশে দাড়ানো আলী বলেন, যে যেভাবে কোরান শিখেছে তাকে সেভাবেই পাঠ করতে হবে, সবগুলো পাঠই গ্রহনযোগ্য এবং সঠিক।
আবু হুরায়রা বলেছেন, মহানবীর ভাষ্যমতে কোরান 7টি ভিন্ন উচ্চারন রীতিতে অবতীর্ন হয়েছে এবং এই 7টি উচ্চারন রীতিই সঠিক যদি না তুমি আয়াতের অর্থ সম্পুর্ন বদলে ফেলো।
এ উচ্চারনবিভ্রাট অনেকজনের ক্ষেত্রেই ঘটেছে।
আরবে 7টা ভিন্ন ভিন্ন উচ্চারন রীতি প্রচলিত ছিলো। এই 7টি ভিন্ন উচ্চারন রীতি যথাক্রমে
হুডায়েল, কিনানা, কায়েস, ডাব্বা, তায়েম আল রাবাব, আসাব বিন খুযায়মা, এবং কুরাইশ।
ইবন আব্বাসের ভাষ্যমতে সেই 7টা ভিন্ন উচ্চারনরীতিতেই কোরান অবতীর্ন হয়েছে।
(***এক্ষেত্রে আমার মতামত মুহাম্মদ এই ভাষাভিত্তিক বিভাজন এবং এই সাংস্কৃতিক বিভাজন চান নি বিধায় সবকটি আঞ্চলিক উচ্চারনই কোরান পাঠের সঠিক নিয়ম বলে স্ব ীকৃতি দিয়েছেন, ****)
বিভিন্ন বর্ননায় কোরানের 7টি আদি সংকলনের কথা জানা যায়, সাত জন এটা সম্পন্ন করেন।
আবু বকর, উমর, উসমান, আলী, উব্বায়ে, আবদউল্লাহ, ইবন আব্বাস।
যায়েদ, উব্বায়, আবদুল্লাহ এবং ইবন আব্বাস হলো সেই 4 জন যাদের কোরানের উচ্চারন সঠিক বলে ঘোষনা দিয়েছিলেন নবী স্বয়ং। এই ব্যাপারে এর আগের পোষ্টে বলা হয়েছে।
উসমানের কোরান সংকলনের প্রেক্ষিত এবং অন্য সব কোরান পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশঃ
কোরানের সবগুলো আয়াতই যে কুরাইশ উচ্চারনে অবতীর্ন হয়েছে এমনটা নয়, ভিন্ন ভিন্ন উচ্চারনরীতিতেও কিছু আয়াত অবতীর্ন হয়েছিলো, ওমর একদা আবদুল্লাহকে ভর্ৎসনা করেছিলেন হুদায়েল উচ্চারনে কোরান শেখানোর জন্য, কোরান কুরাইশের ভাষায় অবতীর্ন হয়েছে তাই তাকে সে উচ্চারনরীতিতেই পাঠ করা দস্তুর। কিন্তু যখন দেখা গেলো কোরানের অনেক আয়াতই কুরাইশ উচ্চারন রীতি মেনে অবতীর্ন হয় নি তখন অন্য সব উচ্চারন রীতি মেনে নেওয়ার বাধ্যবাধকতা দেখা দেয়।
এই উচ্চারনবিভ্রাট প্রকট হয় উসমানের রাজত্বকালে, যখন ইসলামি শাসনের আওতায় বিশাল ভুখন্ড, আদেরবাইজান এবং আর্মেনিয়ার উপকণ্ঠের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে হুদায়ফা বিন আল ইয়েমানসরাসরি উসমানের কাছে আসেন, সিরিয়া এবং ইরাক এর সৈন্য সমাবেশ করার সময় তিনি লক্ষ্য করেন আঞ্চলিক উচ্চারন বিভ্রাটের কারনে তাদের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়েছে, তারা তাদের কোরানের শ্রষ্ঠত্ব নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে, তিনি উসমানকে বলেন, ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের মতো কেতাব নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিভেদ তৈরি হওয়ার আগেই আপনি বিষয়টার সুরাহা করেন।
এই পরিপ্রেক্ষিতে উসমান যে পদক্ষেপ নেন তা নিম্নরূপ।
মুসা'ব বিন সা'দের জবানিতে, উসমান জমায়েতে বলেন, নবীর প্রয়ানের মাত্র 13 বছরভয়েছে, এর মধ্যেই তোমরা কোরান নিয়ে বাদানুবাদে লিপ্ত হয়েছো। কেউ বলছো উব্বায়ের উচ্চরনে কোরান পড়ার কথা কেউ বলছো আবদুল্লাহর উচ্চারনে কোরান পড়ার কথা, কেউ কেউ আবার এতদুর গিয়েছে যে তারা দাবী করছে কোদার কসম আমার উচ্চারন সঠিক তোমার উচ্চারন ভুল। আমি সমস্ত জনগনকে নির্দেশ দিচ্ছি তোমাদের যার কাছে কোরানের যা যা সংগ্রহে আছে সব আমার এখানে নিয়ে আসার জন্য,
সবাই তাদের সংগ্রহের কোরান নিয়ে আসার পর উসমান বললেন এই কেতাবের সাথে কার পরিচিতি সবচেয়ে বেশী।
সমবেত জনতা বললো, যারা মোহাম্মদের তত্বাবধানে এটার কিছুঅংশ লিখেছিলো।
তারপর তিনি বলেন কার আরবি উচ্চারন সর্বোত্তম- জনতা বললো সা'ঈদের। তিনি ঘোষনা করলেন ঠিক আছে, যায়েদ সাঈদের তেলাওয়াত শুনে শুনে কোরান লিপিবদ্ধ করবে।
এর পর তিনি হাফসার কাছে রক্ষিত কুরানের অনুলিপি আনান এবং আবদুল্লাহ বিন আল জুবায়ের এবং আব্দুল রহমান বিন আল হারিথ বিন হিশামকেও জায়েদের সঙ্গে কোরানের অনুলিপি তৈরির নির্দেশ দেন। তিনি টাদের বলেন, যেখানে যায়েদের উচ্চারনরীতির সাথে তোমার উচ্চারনরীতি মিলবে না সেক্ষেত্রে শব্দটা কুরাইশদের জবানিতে লিপিবদ্ধ করো।
এই মোতাবেক লিপিবদ্ধ কোরানের অনুলিপি অতঃপর বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হলো এবং ুসমান ঘোষনা দিলেন এটাই কোরানের প্রামান্য সংকলন, অন্য সব সংকলন পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হলো। জায়েদ এ সংকলন প্রসঙ্গে বলেন, তার ছেলের কাছে প্রাপ্ত তথ্য মতে, সুরা আল আযহাবের একটা আয়াত ছইলো না সেখানে আমি ওটা নবীকে বলতে শুনেছি এবং ওটাকে যথাযোগ্য স্থানে স্থাপন করেছি।
হুদায়ফার ভাষ্যমতে, কুফার জনগন বলছে এটা আবদুল্লাহর সংকলন এবং বসরার লোকজন বলছে এটা আবু মুসা 'র সংকলন, খোদার কসম আমি উসমানকে এ বিভেদের কথা বলবো এবং এসব উচ্চারন রীতি যেনো নিষিদ্ধ ঘোষিত হয় এটা নিশ্চিত করবো।
হুদায়ফা, আবু মুসা এবং আবদুল্লাহ বিন কায়েস, আবু মুসা র ঘরের ছাদে বসে এ নিয়ে আলোচনা করেন
হুদায়ফা বলেন, আমি লোকেদের কথা শুনছি, তার অমুসলিমদের মতো উচ্চারন বিভেদে বিবাদ করছে,
আবদুল্লাহ বিন কায়েদ আপনাকে বসরার শাসক এবং শিক্ষক হিসেবে পাঠানো হয়েছে, এখানের জনগন আপনার রীতিনীতি অনুসরন করছে এইং কি আপনার কোরান পাঠের অনুকরন করছে, তিনি আবু মুসা র উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাকে কুফার শিক্ষক হিসেবে পাঠানো হয়েছে এইং কুফাবাসী আপনার অনুকরন করছে,
এই পরিপ্রেক্ষিতে আবু মুসা বলেন, আমি তাদের ভুল পথে পরিচালিত করছি না, কোদার এই কেতাবের প্রতইটা আয়াত কেনো এবং কি প্রসঙ্গে এবং কি উদ্দেশ্যে অবতীর্ন হয়েছে এটা যদি আমার চেয়ে অন্য কেউ ভালো জানে তাহলে আমি তার কাছে যেয়ে জেনে নিতাম।
একদিন আমরা সবাই একটা মসজিদে বসে ছিলাম এবং আবদুল্লাহ কোরান পাঠ করছিলেন। এ সময় হুদায়ফা সেখানে উপস্থিত হলেন, ইরাকের জনগনের মধ্যে কোরানের আয়াত নিয়ে গোলোযোগ হচ্ছে, একদল বলছে এটা আবদুল্লাহ'র কোরানে আছে কেউ বলছে এটা আবু মুসা র কোরানে আছে, আমি উসমানের কাছে গিয়ে এ বিষয়ে সুরাহার আবেদন করবো যেনো তিনি কোরানের একটা মাত্র ভাষ্য তৈরি করেন।
আবদুল্লাহ এ কথা শুনার পর উত্তেজিত হয়ে হুদায়ফার প্রতি কটুবাক্য বর্ষন করেন। এবং হুদায়ফা চুপ হয়ে যান।
এজিদ বিন মাওয়াইয়া একটা মসজিদে বসে ছিলেন, এমন সময় মসজিদের কতৃপক্ষ এসে ঘোষনা দিল তোমরা যারা আবু মুসা র কোরান অনুসরণ করো তারা এক কোনায় যাও এবং যারা আবদুল্লাহ র কোরান অনুসরন করো তারা অন্য কোনায় যাও, এবং তাদের বাকারার 196 নং আয়াত মিলছিলো না,
' Their reading of Q 2.196 did not agree. One group read, 'Perform the pilgrimage to God.' The others read it 'Perform the pilgrimage to the Ka`ba.'
হুদায়ফা ক্ষিপ্ত হন এহেন বিভেদে, এ সম্পর্কিত বর্ননা পাওয়া যাবে
Abu Bakr `Abdullah b. abi Da'ud, "K. al Masahif
এখানে ।
উসমানের শাসনামলে বিভিন্ন শিক্ষক বিভিন্নউচ্চারনে কোরান শেখাতেন এবং এই উচ্চরনরীতি নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ লেগেই থাকতও এবং সবাই নিজ নিজ পাঠকে সঠিক গন্য করে বিবাদে লিপ্ত হতো, এ খবর উসমানের কাছে আসলে তিনি বলেন এখানে লোকজন কোরানের উচ্চারন বিভেদ নিয়ে বিভকথত যারা সদ্য বিজয়ী দেশগুলোতে আছে তাদের উচ্চারন তাদের মধ্যে বিভেদের পারিমানও বেশী। মুহাম্মদের অনুসারিরা একতাবদ্ধ হও এবং এখজন ইমাম নির্দিষ্ট করো।
উসমানের এই প্রচেষ্টা অনেক বিতর্কের জন্ম দেয়।
কথিত আছে কোরান 7টি ভিন্ন ভিন্ন উচ্চারনরীতিতে অবতীর্ন হয়েছে, মুহাম্মদের মৃতু্যর আগে জিব্রাঈল এসে সম্পুর্ন কোরান তার সাথে তেলাওয়াত করেন, এখনে কি 7টা ভিন্ন উচ্চারন রীতি যাচাই করা হয়েছিলো নাকি যেকোনো একটা, যদি একটাই যাচাই করা হয় তবে সেটা কোনটা??
আহমদ তাবেরি এ দুজনই এ মত প্রকাশ করেন যে উসমানের প্রবর্তিত উচ্চারন রীতিই সর্বশেষ যাচাইকৃত উচ্চারন রীতি, আবার এমনটা কথিত যে জায়েদ বিন থাবিত সেই চুরান্ত যাচাই প্রক্রিয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি অবগত কোরানের কি কি সর্বশেষ সময় বর্জিত হয়েছে এইং নতুন কি কি সংযোজিত হয়েছে।
মুহাম্মদ ঘোষনা দিয়েছিলেন যদি কেউ কোরান পাঠ শিখতে চায় 4 জনের কাছে শিখতে পারে,
ইবন মাসউদ, উব্বায় বিন কা"ব, সালিম, মুয়াদ বিন জাবাল,
আবদুল্লাহ ইবন মাসউদএর ভাষ্যঃ
শেষ রমজানে 2 বার জিব্রাঈল মুহাম্মদের সাথে সম্পুর্ন কোরান যাচাই করেন এবং এর পর আমি মুহাম্মদের কাছে কি কি সংযোজিত হলো এবং কি কি বর্জিত হলো
আমাদের মধ্যে যখনই কোনো সংশয় দেখা দিতো কোরানের বিষয়ে আমরা নবীর কাছে যেতাম এবং তার কাছ থেকে সঠিক পাঠ জেনে নিতাম, তারকাছে আমার পঠিত কোরানে কোনো সংশয় ছিলো না, তারপরও আমি যদি এমন কাউকে চিনি যে আমার চেয়ে বেশী কোরান বিষ্যে অবগত আিগ টাকে খননউজে বের করবো এবং টার সংগৃহীত জ্ঞান নিজের কাছে নিতাম। আমি খোদ নবীর কাছে 70টির মতো সুরা উচ্চারন সমেত শিখেছি, এবং আমি এও অবগত আছি যে প্রতি বছর কোরানের যাচাই করা হয়, তার মৃতু্যর বছরে 2বার যাচাই করা হয়, আমি এর পরে আমার সংগৃহীত কোরান তার সামনে পাঠ করি, এবং তিনি আমার পাঠ ভুল এমন বলেন নি,
সুতরাং যে আমার পদ্ধতি অনুযায়ি কোরান পাঠ করছে তাকে এটা বাদ দেওয়ার প্রয়োজন নেই, এবং যারা কোরানের ভিন্ন পাঠ বাবহার করছে তাদেরও সেটা বর্জনের প্রয়োজন নেই। কিন্তু যেই কোরানের একটা আয়াত বর্জন করে সে সম্পুর্ন কোরানকেই বর্জন করলো। তার উচ্চারিত সবচেয়ে মজার মন্তব্য হলো।
আমি যখন নবীর কাছে এসব সুরার পাঠ শিখেছি তখন যায়েদ ইসলাম গ্রহন করে নি।
আমরা বর্তমানে কোরানের সুরার যে ক্রমিক দেখি তা উসমান সংকলিত কোরানের অনুরুপ।
উসমানের উদ্দেশ্য ছিলো একই পাঠের ভিত্তইতে সমস্ত মুসলিম উম্মাহর ঐক্য। আলি এই প্রেক্ষিতে বলেছেন, যদি আমি উসমানের জায়গায় থাকতাম তবে আমিও একই পদক্ষেপ নিতাম।
উব্বায় বিন কা'ব সরাসরি উসমানের সংকলিত কোরান বর্জন করেন, তিনি নবীর কাছে প্রাপ্ত কোরানের কোনো অংশই বর্জনের পক্ষপাতি ছিলেন না,
আবদউল্লাহ ইবন মাসউদ এর প্রতিক্রিয়াও ছিলো একই রকম, আমি কি নবীর কাছে শেখা কোরানের পাঠ বর্জন করে যায়েদ কতৃখ সম্পাদিত কোরানের পাঠ গ্রহন করবো, আমি যখন রসুলের ক াছে কোরানের শিক্ষা নিয়েছি তখনও সে ইসলাম গ্রহন করে নি।
হুদাইফা উসমানের সংকলিত কোরান নিয়ে ইবন মাসাউদের কাছে আনলে মাসাউদ তার ভিত্তিতে কোরান সংশোধনের বিরোধিতা করেন। তার বক্তব্য যেটা আমার এখানে আছে এবং উসমানের ওখানে নেই তা বর্জনের প্রশ্নই আসে না, বরং এমন কিছু যা আমার এখানে নেই অথছ উসমানেরটাতে আছএ তা গ্রহন করতে পারি।
এই পরিপ্রেক্ষিতে হুদাইফার মন্তব্য, তাহলে আমাদের এত কষ্টের উপকারিতা কি হলো?
উসমান বেশ হতাশ ছিলেন তার এই পরিশ্রমের ফলাফলে, তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন , কোরান আল্লাহর তরফ থেকে এসেছে এবং আমি আমার স্রবাত্বক চেষ্টা করেছি এটাকে উচ্চারনপ্রমাদ রেখে রক্ষার জন্য। এখ তওমাদের যার যেভাবে ইচ্ছা কোরান পাঠ করো।
এর পরবর্তিতে হাফসার কাছে থাকা কোরানের সংকলনটি ধ্বংস করে ফেলা হয়। এবং এ কাজটা করেন মারওয়ান। হাফসা জীবিত থাকাকালিন সময়ে একবার তাকে তার জিম্মায় থাকা কোরান সমর্পনের নির্দেশ( অনুরোধ?) করা হয়, এবং তার মৃতু্যর পরপরই তার ভাইয়ের কাছ থেকে এটা গ্রহন করা হয় এবং নষ্ট করে ফেলা হয়।
আলি সংকলিত কোরানের কিছু তথ্য- / অপবাক
২৮ শে মার্চ, ২০০৬ রাত ২:৫৮ ( http://www.somewhereinblog.net/blog/kkk/5631)
উসমানের সংকলিত কোরান নিয়ে বিতর্ক এবং মুহাম্মদের কাছে শোনা কোরানের বানী নিয়ে উব্বায়ে ইবন মাসউদ এবং উসমানের সংকলিত কোরানের ভিতরের আয়াতের পার্থক্য , তাদের শাব্দিক পার্থক্য এবং আয়াত সংখ্যার পার্থক্য নিয়ে উসমানের সংকলিত কোরান বর্জন করে ইরাকের অধিবাসিরা। উসমানের মৃতু্যর পর আলি কোরান সংগ্রহ অভিযান শুরু করেন।
এ আলোচনার বিষয়বস্তু ওটাকে ঘিরেই থাকবে। এর আগে একজন প্রশ্ন করেছিলো এ বিষয়ের রেফারেন্সগুলোর উৎস কি? ওটার উত্তর হচ্ছে বেশির ভাগ তথ্যের প্রাথমিক উৎস তাবেরি- এই ভদ্্রলোক ইসলামের এইং ইসলামি ব্যাক্তিদের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেন 35 খন্ডের এক বিশাল সংগ্রহে। সেখান থেকে সংকলিত কিছু অংশ থেকে এ লেখা শুরু করেছি। আমি 35 খন্ড বইটির অনুবাদ পেলে সম্পুর্ন সঠিক বলে রায় দিতে পারতাম, কিন্তু এখহানে বর্নিত বোরাখি এবং মুসলিমের হাদিসগুলো দেখেছি সঠিক সুতরাং এই ভিত্তিতে বলছি যে সংকলনটা করেছে সে সত্যের অপলাপ করে নি। আরও একজন প্রাথমিক ইসলামের ইতিহাস লেখক আছেন ইবন সা'দ, তার কিছু অংশ সত্য মেনেই ব্যাবহার করছি। এটা একটা গবেষনা নিবন্ধের সংকলন, এবং এটা যাচাই করা হয়েছে।
------------------------------------
আলি খলিফা হওয়ার পর উসমানের সংকলনের ব্যার্থতায় এবং উম্মাহর মধ্যের বিরোধ নিরসনে কোরানের আয়াত সংগ্রহ অভিযান শুরু করেন। তিনি যে কোরান সংকলন করেন তার ভিত্তি ছিলো কোরানের আয়াত যে ধারায় অবতীর্ন হয়েছে সে ধারায়। সুতরাং তার কোরানের প্রথম আয়াত হচ্ছে - ইকরা ....... হেরা গুহায় অবতীর্ন হওয়া প্রথম আয়াত।
আলি আয়াত নাজিল হওয়ার কালানুক্রম হিসেবে কোরানের আয়াত সংকলন করেছিলেন, এবং সাথে কিছু সহায়ক টিকা যোগ করেছিলেন, কেনো কি উদ্দেশ্যে এবং কোথায় এটা অবতীর্ন হয়েছিলো। তার ভাষ্য অনেকটা এ রকম, কোরানের এমন কোনো আয়াত নেই যা আমার গোচরিভূত নয়, এবং সে আয়াত গুলো কেনো অবতীর্ন হয়েছিলো এবং কার পরিপ্রেক্ষিতে অবতীর্ন হয়েছিলো এটাও আমার জানা।
এমন কি অনেক আয়াত যা পরে বাতিল ঘোষিত হয়েছে সেসব আয়াত কিছু আয়াত যা দুর্বল আয়াত হিসেবে পরিত্যাক্ত হয়েছে পরবর্তিতে এবং কিছু আয়াত যা কোরানে গ্রহন না করার নির্দেশ ছিলো মুহাম্মদের পক্ষ থেকে, এমন প্রায় 17000 হাজার আয়াত এবং বানীর সংকলন ছিলো সেটা। বর্তমানের কোরানে আয়াত সংখ্যা 6666 বাকি 11 হাজার আয়াত এবং খোদার পাঠানো বানী সম্পুর্ন হারিয়ে গেছে।
উসমানের সংকলিত কোরানে অনেকগুলো আয়াত নেই এটার কথা বলবো পরবর্তিতে।
*** আমার খটকা লাগলো যে খানে, তাবেরি এবং ইবন সা'দ 2 জনেই মেনে নিয়েছেন কোরানের অনেকগুলো আয়াত পরে বাতিল ঘোষিত হয়েছে, মুহাম্মদ নিজেও কিছু আয়াত রদ করেন। যদি কোরান আগেই লাওহে মাহফুজে রাখা থাকে, এবং সেটা যদি অপরিবর্তনীয় হয় তবে কেনো ভুল আয়াত নাজেল হবে? জিব্রাঈল কি অশিক্ষিত ফেরেশতা ছিলো? একটা সুত্র আছে , যেটার উৎস ধরে স্যাটানিক ভার্সেস নামের উৎপত্তি, সেখানে বলা আছে, মাঝে শয়তানের প্রভাবে কিছু ভুল আয়াত কোরানের বানী হিসেবে সংকলিত হয়, পরে মুহাম্মদ ভুল বুঝতে পারেন এবং সেসব আয়াত রদ করেন।
কিন্তু অনেক আয়াত যেগুলো শয়তানের প্ররোচনায় প্রাপ্ত নয় সেগুলোকে দুর্বল আয়াত ঘোষনা দিয়ে সংকলনে নিষেধ করেন। কারন খোদার মর্জি ছিলো ওগুলোর শক্তিশালি পরিবর্তিত আয়াত বা বদলি আয়াত আসবে। ******
আলি যা করেছিলেন তা তাফসির এবং সংকলনের মাঝামাঝি একটা বিষয়, কিছু আয়াতের ব্যাখ্যাও তিনি লিপিবদ্ধ করেছিলেন মুহাম্মদের জবানিতে।
এমনটা কথিত আছে মুহাম্মদ হাদিস সংকলন নিষিদ্ধ ঘোষনা করেন,
এই কোরান সংকলন করার পর আলি এটা উপস্থাপন করেন, কিন্তু তার এই সংকলন পরে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়,
আলির সংকলনটা খুঁজে পাওয়া যায় নি এর পরে।
--------------------------------------
উসমানের সংকলনে কি কি আয়াত বাদ পড়েছিলো এবং কি কি ভুল আয়াত অনুপ্রবেশ করেছিলো ওগুলো নিয়ে বলার আগে ছোটো একটা তথ্য দেই।
আরবি ব্যাকরনের জনকের মৃতু্য হয় 117 হিজরিতে। এর আগে আরবির কোনো ব্যাকরন ছিলো না। তার প্রবর্তিত যের যবর পেশ, এবং যুক্ত বর্নে আরবি অক্ষরের ধাঁচ কেমন হবে এসব নিয়ম এখনও অনুসৃত হচ্ছে, প্রথম দিকে সংকলিত কোরানের কোথাও হরকত ছিলো না, এমন কি উপর নীচে অক্ষর নির্দেশক ফোটা গুলোও ছিলো না, জনকের নাম আবু ইসহাক, তার 2 জন ছাত্র পরে এ বিষয়ে কাজ করেন, এমন কি বাক্যগুলোর মধ্যে কোনো যতিচিহ্নের ব্যাভার ছিলো না।
লিখিত ভাষা, উচ্চারনজনিত সমস্যা, কোনো রকম -কার বিহিন বাক্য কিভাবে উচ্চারন করতে হবে এসব নিয়ে কোনো নির্দেশনা ছিলো না কোথাও, এ অবস্থায় ভ্রান্তি তৈরি হওয়াই স্বাভাবিক।
আমরা যেই কোরানগুলো পাই তা লেখা হয়েছে 800খ্রিস্টাব্দের পরে, কোরান সংকলিত হওয়ার 150 বছর পরের ঘটনা, এর মধ্যে যদি কোনো কিছু বদলে যায় তাহলে আমরা কিছুতেই উদ্ধার করতে পারবো না এমন না, আমরা পর্যবেক্ষন করলে কিছু অসংগতি দেখতে পাবো। এটাই বলবে কোনো কিছু হারিয়ে গিয়েছে। এই ভাবেই বিভিন্ন সুত্র থেকে খুঁজে খুঁজে ইবন সা"দ এবং তাবেরি নিশ্চিত হন কোরানের অনেকগুলো আয়াত হারিয়ে গিয়েছে।
কোরান সংকলনের ইতিহাস- 4 /অপবাক
২৯ শে মার্চ, ২০০৬ ভোর ৪:০০ ( http://www.somewhereinblog.net/blog/kkk/5708)
সংকলিত কোরান অসম্পুর্নঃ
মুহাম্মদ ইবন জরির আল তাবেরি( 839-923) ইবন সা'দ( হিজরি 168- 230) ইসলামের ইতিহাসের প্রথম দিকের সংকলক। আল তাবেরি 35 খন্ডে ইসলামের কালানুক্রমিক ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেন, ইবন সা'দ ইতিহাস সংকলক এবং বিভিন্ন সাহাবাদের জীবনিসংকলক, তারা দুজনেই কোরান এবং কোরান সংকলনের বিষয়ে একটু সংরক্ষনশীল মনোভাব দেখিয়েছেন। মুশায়েফ(কোরানের বানীগুলোর সংকলন) এবং কোরান( যা মুহাম্মদ এর উপর অবতীর্ন হয়েছিলো, এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য আছে। মুশায়েফ আসলে সম্পুর্ন কোরান নয়, কোরানের যেটুকু অংশ বেঁচে গিয়েছে তার সংকলন।
আবদুল্লাহ বিন উমরের জবানিতে, কেউ দাবী করো না তুমি সম্পুর্ন কোরান পেয়েছো, বরং তার বলা উচিত কোরানের যেটুকু অংশ অক্ষত আমি ততটুকু পেয়েছি।
ইয়ামামার যুদ্ধে নিহত ক্বার( যারা কোরানস্মার্ত ) মৃতু্যবরন করেন, এবং আবু বকর এমন আশংকা করেন এভাবে যুদ্ধে যদি ক্বাররা শহীদ হতে থাকে তবে কোরানের কিছুই অবশিষ্ঠ থাকবে না তাই মুহাম্মদের প্রত্যক্ষ নির্দেশ না থাকার পরও তিনি কোরান সংকলনের কাজে হাত দেন, এবং ইয়ামামার যুদ্ধে এমন কিছু সাহাবা শহীদ হন যাদের কাছে কোরানের এমন কিছু অংশ ছিলো যা অন্য কারো কাছে ছিলো না।
আবদুল্লাহ বিন মাসুদ(যে মককায় অতীর্ন প্রায় সমস্ত আয়াতই মুখস্ত করেছিলো) বলেছেন, একবার মুহাম্মদ আমাকে কোরানের বিশেষ একটা আয়াত মুখস্ত করান, আমি পরে বাসায় গিয়ে সেটা আমার নিজস্ব সংগ্রহে লিখে রাখি, মাঝরাতে উঠে আমি কিছুতেই স্মরণ করতে পারলাম না , আমি আমার সংগ্রহ খুলে দেখি সেখানেও সেই আয়াত নেই, পরদিন আমি নবীর সাথে দেখা করে এ কথা জানাই, তিনি বলেন, সেই আয়াত গত রাতেই রদ হয়েছে।
কোরানের আয়াতে আছে, খোদার মর্জি তিনি যাকে যতটুকু ইচ্ছা ততটুকু কোরান তার স্মৃতিতে অক্ষুন্ন রাখেন।
কোনো এক দিন নামাজে মুহাম্মদ কোরানের একটা আয়াত বাদ দিয়েই নামাজ শেষ করেন, নামাজ শেষ হলে তিনি উবায়ে বিন ক্বা'বএর খোঁজ করেন, এবং তাকে বলেন আমি যে আয়াতটা বাদ দিয়েছি সেটা আমাকে মনে করিয়ে দিলে না কেনো? উবায়ে প্রতু্যত্তরে বলেন, আমার মনে হলো কোরানের সেই আয়াত রদ হয়ে গেছে, এর উত্তরে মুহাম্মদ বলেন নাহ আমি ভুলে গিয়েছিলাম।
এই গ্রহন বর্জনের ফলে অনেক গুলো আয়াত সংশয়ের কারনে লিপিবদ্ধ করা নাও হয়ে থাকতে পারে, উবায়ে বিন ক্বা'ব এবং ইবন মাস'উদ দুজনেই দাবি করেছেন তাদের সংকলনে আছে এমন অনেক আয়াতই উসমানের সংকলনে নেই, এবং এও মেনে নিয়েছেন উসমানের সংকলনে এমন কিছু আয়াত আছে যা তাদের সংকলনে নেই।
এখন দেখ
৯৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৯:২৭
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
(বাকি অংশ)
.............এখন দেখা যাক কোরানের আয়াত যা রদ বা বাতিল ঘোষিত হয়েছিলো তার পরিমান কতো? কেউ কেউ অনুমান করেন এই সংখ্যাটা 200 এবং কেউ কেউ অনুমান করেন সংখ্যাটা 5 থেকে 500 র মধ্যে।
আযহাব সূরার প্রকৃত দৈর্ঘ্য ছিলো আল বাকারার সমান,
এমনও ঘটেছে কোরানের কিছু কিছু আয়াত তেলাওয়াত করা হয় নি কিন্তু কারো কারো ব্যাক্তিগত সংগ্রহে ছিলো।এবং কালক্রমে সেইগুলো প্রায় বিস্মৃত হয়ে গেছে লোক।
5ঃ 89 আয়াতটা নিয়ে একটা বিতর্ক আছে, সেখানে শপথ ভঙ্গের প্রতিবিধান হিসেবে 3 দিন রোযা রাখার কথা বলা আছে, এখানে আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ এর ভাষ্য ছিলো এটা পরপর 3 দিন রাখতে হবে এবং উসমানের ওখানে শুধু 3 দিন রাখতে হবে বলা আছে,
সুরা বাকারার 106 নম্বর আয়াতে বলা আছে, আমরা যা অবতীর্ন করি তা রদকরা হয় না বা তা তোমাদের স্মৃতি থেকে মুছে ফেলানো হয় না বরং আমরা অধিক যোগ্য একটা আয়াত দিয়ে তা প্রতিস্থাপন করি।
কিন্তু অনেক ক্ষত্রেই আয়াত রদ হওয়ার পর পরিবর্তত আয়াত এসেছে এমন নিদর্শন নেই এ কারনেই অনেকগুলো কোরানের আয়াত ইয়ামামার যুদ্ধে নিহতদের সাথে কবরে রয়ে গেছে।
অবশ্য মুহাম্মদের সময়ে সমার্থক শব্দ দ্্বারা আয়াতের প্রতিস্থাপন বজায় থাকার কারনে বেহস কিছু আয়াতের অনেকগুলো ধাঁচ রয়ে যায়। আরবি ব্যাকরনের দুর্বলতা হলো যখন কোরান সংকলন করা হয় তখন সেখানে স্বরবর্ন নির্দেশক কারগুলো ছিলো না, আমরা যেভাবে আ-কার ই-কার ব্যাবহার করি, আরবিতে যের যবর পেশ তাশদীদ এসবের প্রচলন শুরু হয় হিজরি প্রথম শতকের পরে। এবং আরবিতে বর্নমালা এবং স্বরের পার্থক্য ছিলো, স্বর ছইলো মোট 31টি কিন্তু বর্নমালায় বর্ন ছিলো 28টি কিংবা 26টি, সুতরাং কয়েকটা বর্নকে একাধিক স্বর ধারন করতে হতো। এ সব কারনে কোরানের অর্থ বিকৃতি ঘটেছে। এবং এই অর্থবিকৃতি আরও প্রকট হয়েছে সমার্থক শব্দ ব্যাবহারের কারনে, সুতরাং অনেকগুলো আয়াতই কালের সাথে অর্থ পরিবর্তন করেছে।
ব্যাভিচারের শাস্তি পাথর ছুড়ে মারা- এটার বিষয়ে বিস্তর বিভেদ আছে ইসলামিচিন্তাবিদদের মধ্যে।
এই আয়াতটা কোরানের অংশ নয়, মুহাম্মদ বলেছিলেন, এটা আমার কাছ থেকে গ্রহন করো( এটা হাদিসে কূদসি সেই বিচারে) এখন মেয়েদের জন্য নতুন একটা নিয়ম চালু করেছেন ইশ্বর, যদি কেউ ব্যাভিচারি প্রমানিত হয় তবে অবিবাহিতদের জন্য 100টা চাবুকের বাড়ি এবং 1 বছরের নির্বাসন। এবং বিবাহিতদের(শব্দটা যারা কৌমার্য হারিয়েছে হবে- খটকা লাগলো আবারও প্রথম বার করার পর লোক জন কৌমার্য হারিয়ে ফেলবে এর পরের বারের জন্য পাথর ছুড়ে মারার নির্দেশ?? ) জন্য পাথর ছুড়ে মারার নির্দেশ। (সূত্র শাফঈ- রিসালাহ)
আলীর সামনে একবার এক ব্যাভিচারিনিকে নিয়ে আসা হয়, আলি তাকে প্রথমে বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেন এবং পড়ে পাথর ছুড়ে হতয়ার নির্দেশ দেন। উপস্থিত জনতা প্রশ্ন করে কেনো এক অপরাধের শাস্তি 2 বার দেওয়া হলো, আলী উত্তরে বলেন, তাকে বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোরান অনুযায়ি এবং পাথর ছুড়ে মারার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাদিস অনুসরন করে( সুন্নাহ) ।
আলীর ভাষ্য মতে পাথর ছুড়ে মারার আয়াত নাজিল হয়েছিলো কিন্তু ইয়ামামার শহীদদের সাথে সেই আয়াত বিলুপ্ত হয়ে যায়।
ইবনে আব্বাস বলেন, ওমর বলেছেন পাথর ছুড়ে মারার আইনটা সুন্নাহ এবং কোরানে রয়েছে, এটা আল্লাহর আইন, আবু বরক এই শাস্তি দিয়েছেন, মহানবী দিয়েছেন, আমিও এই আইন অনুসরণ করি। বোখারীর হাদিস অনুসারে- এই আইনটা বিবাহিত ব্যাভিচারীদের জন্য প্রযোজ্য, তবে প্রাথমিক পর্যায়ে এটা কোরানে ছিলো না মানে কোরান সংকলনে এটাকে লিপিবদ্ধ করার কোনো নির্দেশ মুহাম্মদ দেন নি, ওমর এটাকে কোরানে আত্তীকরন করেন, তার ভাষ্য ছিলো কোরানের সংকলনে এটা ঢোকানোর সময় নীচে ফুটনোট রাখা হবে- উবায়ের সূত্র অনুসারে বিবাহিত ব্যাভীচারিদের তৎক্ষনাত পাথর ছুড়ে হত্যা করো, এই আয়াতটি আল আহযাব সূরার অন্তর্গত ছিলো, এবং সবাই এ কথাই বলছে যে এই সুরাটার দৈর্ঘ্য ছইলো আল বাকারা র সমান কিন্তু যখন এটা ওমর সংগ্রহ করেন তখন এটার যতটুকু পাওয়া যায় এখনও ততটুকুই আছে,
তবে মুহাম্মদের উপর যখন এ আয়াত নাজিল হয় তখন তৎকালিন সাহাবাদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, ওমর প্রশ্ন করেন এটাকি সংকলনের অংশ হিসেবে টুকে রাখবো, মুহাম্মদ অসম্মতি জানান, এ আয়াতের পরোক্ষ প্রভাব কি হবে এটা ভেবে দেখো, যারা বর্ষিয়ান এবং অবিবাহিত তাদের চেয়ে যারা বিবাহিত এবং অল্প বয়স্ক তাদের শাস্তির পরিমান বেশী কঠোর হয়ে যাবে***** ( এটার চর্চা ছিলো, বিবাহিত মুসলিমরাও কম বয়েসের জোশে অন্য লোকের বৌএর সাথে শুয়ে পড়তো, এবং বয়স্ক অবিবাহিতরাও একই কাজ করতো**** ) আয়েশার ভাষ্য কেনো এই আয়াতটা হারিয়ে গেলো? এটা এবং এটার সাথে নাজিল হওয়া অন্য একটা আয়াত সংকলিত অবস্থায় ছিলো, কোনো এক সময় এক গৃহপালিত জীব এসে তা খেয় নেয়,
তবে এ আয়াতটি তৎকালিন সমাজে ভীষন প্রতিক্রিয়া তৈরী করে, সাহাবারা বেশ উত্তেজিত হয়ে পড়ে এই আয়াত নাজিল হওয়ার পর, তাদের সম্মিলিত প্রতিরোধে এই আয়াতটির তেলাওয়াত রদ করা হয়( সূত্র- ফাতাহ আল বারি) ।
এবং আরও একটি হারানো আয়াত-
উবায়ের বক্তব্য অনুসারে- একদিন মহানিবী আমাকে ডেকে পাঠালেন, তিনি আমাকে একটি আয়াত মুখস্ত করতে বলেন, আয়াতটা এমন-
"যারা নবীকে অস্ব ীকার করে তাদের মধ্যে পুর্ববর্তি কেতাবধারী এবং তাদের অনুসারীরা কি নেই..।এখানেই আয়াতটা শেষ হয় নি, যদি আদমের সন্তানেরা সম্পদ লাভ করে এবং পরবর্তিতে আরেকটা সম্পদের লোভ করবে, যদিতারা তাও পেয়ে যায় তবে তারা আরও সম্পদের লোভ করবে, শুধুমাত্র বালুকনাই আদমের সন্তানের থাবা ভরতে পারে, ইশ্বর অনুশোচনাকারিদের উপর সদয়।
এটা সুরা ইউসুফের অংশ ছিলো,
ওমর উবায়ের মতামত জানতে চান এটা কি সংকলনের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে, উবায়ে বলেন মহানবি আমাকে তাই করতে বলেছিলেন,
দুধপানের আয়াতঃ আয়েশার সূত্রে বর্নিতঃ কোনো বিবাহিত পুরুষ যদি 10 বার তার বিবির দুধ পান করে তবে তার বিবাহ রদ হয়ে যাবে, এর পর এই আয়াতটাই রদ হয়ে যায় এবং নতুন আয়াতে বলা হয় 5 বার দুধপান করলেই বিবাহ রদ হয়ে যাবে।
আবু হুদাইফার বউকে মুহাম্মদ সালিমকে 5 বার দুধ পান করানোর নির্দেশ দেন।
সলিমের ভাষ্য- এর পর তিনি আয়েশার সাথে দেখা করতে যান, কিন্তু আয়েশা তার সাথে দেখা করতে অস্ব ীকৃতি জানান, তার বোন উম্ম কুলসুম( কুলথুম!!) সালিমকে তিন বার দুধ পান করানোর পরই অসুস্থ হয়ে যান। আমি কখনই 5 বার দুধ পান করতে পারি নি এবং আয়েশা আমার সাথে কখনই দেখা করেন নি।
হাফসা এই আয়াতের সূত্র ধরে তার বোন ফাতেমার কাছে আসিম বিন আবদুল্লাহ বিন সা'দকে পাঠান যেনো 10 বার দুধ পান করিয়ে ফাতেমা তার দুধ মা হতে পারেন এবং আসিম তার সামনে যেতে পারে।
বেশ কিছু আয়াত যা ইসলামি শাস্তি হিসেবে নাজিল হয়েছিলো এইগুলোর ব্যাবহার নিয়ে বেশ মতপার্থক্য আছে কারন সমার্থক শব্দের ব্যাবহার এবং আরবি শব্দ উচ্চারনের পার্থক্যের কারনে অর্থ বদল করে এই জন্যও কিছু আয়াতের অনেকগুলো ভাষ্য পাওয়া যায়।
যদি কখনও সময় হয় এবং ইচ্ছা হয় সেই সব বিভিন্ন পরিবর্তিত পাঠ সহ আয়াত গুলো পেশ করবো জনতার সামনে, কিন্তু এই যে দাবী কোরান অবিকৃত অবস্থায় ছিলো এবং এখনও অবিকৃত অবস্থায় আছে এই দাবীটা সঠিক নয়, কোরান সম্পুর্ন নয়।
৯৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৬
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
কুম্ভকর্ণ ভাই, আপনি কোথায়?????
৯৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:৪৫
মোসতফা মনির সৌরভ বলেছেন: +। প্রিয় পোষ্টে রেখে লাভ নাই। দুইদিন পর হয় নিক পরিবর্তন হবে, নয়ত উধাও, আর নাইলে পোস্টই মুছা হবে।
৯৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪
আদনান ফায়সাল বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট, এরকম জ্ঞানগর্ভ ও রেফারেন্সভিত্তিক ধর্মীয় পোষ্ট আরো চাই।
৯৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:০৩
স্বপ্লচূড়া বলেছেন: কোরআন হুবুহু সংকলন হইলে কি প্রমানিত হবে?
আপনার আল্লাহর কাছে তাড়াতাড়ি যান। দুনিয়াডারে শান্তি দেন।
১০০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:১৩
মোহাম্মদ মনির হোসাইন বলেছেন:
১০১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
তা্নভীর মোরশেদ বলেছেন: পোস্টের উদ্দেশ্য কি?
১. নাস্তিকদের আস্তিক বানানো ।
২. আস্তিকদের ধর্মচর্চায় উৎসাহ ।
৩. কোরানের বিশুদ্ধতা প্রমান ।
৪. অন্য কিছু ।
কোনটা....?
১ম -টার জন্য যে প্রযোয্য নয় তা মাতবর সাহেব বলে দিয়েছেন ।
১০২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৭
মোঃ নূরুজ্জামান খান (সালেহীন) বলেছেন: পবিত্র কোরআন এর আয়াত ৬২৩৬টি। নিজেই দেখে নিন http://www.islam101.com/dawah/QuranStats.htm
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:১৬
কুম্ভকর্ণ বলেছেন: কোন ভুল থাকলে ধরায়া দেন। ঠিক করা হবে।