নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"তোমার সাথে মিলব আমি ঠিক বেঠিকের বাহিরে\"

লাবিব ফয়সাল

ভালোমানুষ হওয়ার কোন ঝঞ্ঝাট নেই, তাই আমি নিতান্ত ভালোমানুষ...

লাবিব ফয়সাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন ক্যামেরা কেনার ক্ষেত্রে সতর্কতা

০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:১১

Sony a7iv ক্যামেরা নেয়ার মাত্র তিন মাসের মাথায় হঠাৎ কিছু লাল দাগ চোখে পরল। অনেক পরিচিত নামকরা শপ থেকে নেয়া হয়েছিল ক্যামেরাটা। তাদেরকে বিষয়টা জানানোর পর তারা বললেন এটায় লেজার পড়েছে, সম্ভবত CCD sensor নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাই তাদের শপে নিয়ে আসার জন্য বললেন। যদিও আমার আশপাশে কোন লেজারের অস্তিত্বই ছিল না।





আমি একটা ডকুমেন্টারির কাজে কক্সবাজারে ছিলাম সে সময়। ওইদিনের শুট গুলর রিটেক আর পরবর্তী সিডুইল ফুলফিল করতে সাথে সাথেই একটা ক্যামেরা ভাড়ায় নিয়ে ওইদিকে কনসেন্ট্রেশন দেই।

ঢাকায় ফিরে সেই সপে গিয়ে জানতে পারলাম এইটা সারাতে মোটামুটি লাখের কাছাকাছি যাবে। আর তারা এইটার কোন ওয়ারেন্টি কভার করতে পারবে না। তাদেরকে বললাম, ভাই আপনারা এইটা কেয়ার সময় তো এক বছরের যেকোনো পার্টসের ওয়ারেন্টির কথা বলছিলেন। তাদের এক কথা যে এইটায় আমি নাকি লেজার ফালাইছি। বার বার বলার পরেও বোঝাতে পারলামনা যে কখনই আমি রাতে এই ক্যামেরা চালাই নাই।

তিন মাস আগে নেয়া মাত্র ২৭০০ শাটারের এই মার্ক 4 নিয়ে অনেক ঝামেলায় পড়ে গেলাম। তারা প্রায় ১ মাস সময় নিয়ে কয়েক যায়গায় খোজ নিয়ে জানাল সনি সার্ভিস সেন্টারে ঠিক করালে ১ লাখ ১০ আর বাহিরে দিলে ৬৫-৭০ হাজারের মত খরচ পরবে। আর মানবিক দিক বিবেচনায় সেই সপ থেকে মাত্র ১০ হাজার টাকা বেয়ার করবে। আর এটা সারাতে ১ মাসের বেশি সময় দিতে হবে। সর্বশেষ তাদেরকে অনুরোধ করে জানতে চাইলাম এইটা তাদেরকে দিয়ে নতুন আরেকটা ক্যামেরা নিতে কত দিতে হবে। বললেন ১ লাখ দিলে আরেকটা ব্রান্ড নিউ পাওয়া যাবে।

সব মিলায়ে টাকাটা জোগাড় করে নিয়ে দিলাম, তারা এইবার দিল ৯০০ শাটারের ক্যামেরা। বললাম ভাই এইটা তো নতুন না। সেখানকার নাজমুল ভাই বললেন এইটা নাকি লাগেজে নিয়ে আসতে তাদের ব্যবহার করে আনতে হয়। প্রমাণ হিসেবে আরো তাদের কিছু খোলা বক্সের ক্যামেরাও দেখালেন। আমি কথা বাড়ালাম না। যা দিয়েছে ওইটা নিয়েই তাদের কাছ থেকে দোয়া নিয়ে আসলাম।



আপনারা যারা এমন বড় পারচেস করবেন অবশ্যই চেষ্টা করবেন অফিসিয়াল যায়গা থেকে নিতে। কারণ আমার প্রথম ক্যামেরা নেয়ার সময় তাদের যে এক বছরের পার্টস ওয়ারেন্টি লেখা ছিল ওইটা সেদিন দেখলাম আবার পরিবর্তন করে নতুন একটা লাইনে CCD sensor প্রযোজ্য নয় লিখে দিছে। এই রকম শপ গুলতে সেলিব্রেটিদের দেখানো হয় আমাদের ট্রাস্ট তৈরি করতে। যেই জিনিসের দাম অফিসিয়ালি ১০ টাকা ওইটা যারা ৭ টাকায় ব্যাচে নিশ্চই ওইখানে ঘাপলা থাকবেই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.