নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I love my country
একদা আমি বলেছিলাম
তুমি আর কবে বড় হবে আবেদ আলী!
সম্পদের পাহাড় গড়ে তুমি বন্ধুদের সেরা হবে!
সবচেয়ে দামী গাড়ী আর সোনায় আমায় জড়িয়ে দিবে !
বন্ধুরা তোমায় সালাম দিয়ে আসন ছেড়ে দিবে!
তোমার সম্মান হবে আকাশ ছোঁয়া,
তোমার সন্তান বুক উচিয়ে বলবে 'আমি আবেদ আলীর সন্তান'।
সেদিন তুমি মুচকি হেসেছিলে! যা বুঝতে পেরেছিলাম অনেক পরে।
:
তারপর কত কথা!
তুমি মিশেছিলে রাঘব বোয়ালের সাথে,
তারা তোমায় দিয়েছিল ভরসা।
তারপর কত হাত বদলের খেলা!
কত ট্যালেন্ট সন্তানদের নিয়ে তামাশা!
তোমার সন্তানের মিটেছিল আশা! আহ্!
:
একদিন কি হতে কি হয়ে গেল!
আলাদিনের চেরাগটা তুমিই পেয়ে গেলে,
প্রশ্নপত্রের ধোঁয়া তুলে তুমি হয়ে গেলে রাজা
তুমি পেয়ে গেলে অনুগত প্রজা, টাকা আর ব্যবসা!
তোমার সম্পদ বাড়ার তরে আমারো ছিল ছোট্ট প্রত্যাশা।
:
ছেলে তোমার বেশ হয়েছে যেন সেরা রাজকুমার!
এখন আর আমার নেই কোন চিন্তা
ধান্দা করে টাকা এনে দান করে ঠিক তোমার মতন,
আর আমি সম্পদের প্রাসাদে করি নিশ্চিন্তে রাত্রি যাপন।
:
তোমার কৌশল ছিল খুবই খাসা, উপরে ইসলামের লেবাস!
আর ভিতরটায় একেবারে ফাঁকা,
এই না হলে তুমি স্বামী আমার!!
তাই গৌরবে চলছিল সংসারের চাকা।
:
একদিন কি যে হলো!
দুষ্ট লোকেরা গভীর চক্রান্ত করলো তোমার,
তোমাকে লাল দালানের ভয় দেখানো হলো
তুমিও যে কী! সব বলে দিলে!
আমার রাজ কুমার আর আমার স্টাটাস সবই হলো বিনাশ!
আমরা পড়ে গেলাম গভীর খাদে
আর তোমার হলো লাল দালানে আবাস।
:
প্রিয়তম ! আমার আর দিন কাটে না, রাতের প্রহর গড়ায় না।
আমাদের তো সেই দিনই ভালো ছিল,
যে দিন আমরা ভর্তা ভাতে আহার করতাম!
তৃপ্তির ঢেকুর তুলতাম হাসিমুখে!
শান্তির সংসারে অশান্তি কেন আনলে আবেদ আলী!
মানুষের তিরষ্কারে জীবন মোদের হয়ে গেল সমুদ্রের চোরাবালি।
:
লায়লা
১২ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৪৪
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: কবিতাটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো আপুনি।
মানুষ ছুটছে সুখের পিছনে--আর কিছু মানুষ দুর্ণীতির উপর ভিত্তি করে সুখের ইমারত গড়ে তুলছে। পরিবারের সদস্যরাও জড়িত হচ্ছে। এমনি করে অসৎ ও লোভী লোকদের দিয়ে ভরে যাচ্ছে সমাজ।
শুভকামনা রইলো নিরন্তর।
২| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সাবলীল বুনন। ভালো লেগেছে।
বয়স ও অভিজ্ঞতার এ প্রান্তে এসে আমার মনে একটা বদ্ধমূল ধারণা জন্মেছে - কোনো ব্যক্তি যখন দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েন, তিনি পরিবারের সদস্য, বিশেষ করে স্ত্রী ও সন্তানদের চাপে, কখনোবা মা-বাবা-ভাই-বোনদের চাপের পড়ে, অর্থাৎ, তাদের চাহিদা বা অতিরিক্ত চাহিদার কারণেই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা জানেন যে, ব্যক্তিটি যদি সরকারি চাকরির সর্বোচ্চ স্তরেও আসীন থাকেন, তার মাসিক বেতন সর্বসাকুল্যে ২ লাখ টাকা হতে পারে। অথচ, সন্তানরা বিরাট অংকের টাকা খরচ করে বিদেশে লেখাপড়া করেন, ঢাকা শহরের অভিজাত এলাকায় একাধিক বড়ো ফ্ল্যাট কেনেন। পরিবারের সদস্যরা নিশ্চয়ই জানেন মাসিক বেতন থেকে এত টাকা সংকুলান করা কখনোই সম্ভব না। তারা কি কখনো কর্তা ব্যক্তির কাছে এ কথা জানতে চেয়ে প্রতিবাদ করেন? বরঞ্চ এ নিয়ে তারা গর্ব ও অহংকার করে বেড়ান - কে কত বেশি ঘুষ পায়, তা নিয়ে বড়াই করেন।
এক মেয়ের সাথে আমার একবার পরিচোয় হয়। তার স্বামী সরকারি অফিসার। কথা প্রসঙ্গে তিনি জানান তার স্বামীর উপরি বেতন আছে, অর্থাৎ তিনি ঘুষ খান। এ ব্যাপারে সেই মেয়ের শতভাগ সমর্থন আছে। আমি কিছুতেই তাকে কনভিন্স করতে পারলাম না যে, ঘুষ খাওয়া একটা অপরাধ। তিনি নানান ব্যাখ্যায় উলটো আমাকে বোঝাতে লাগলেন, তার স্বামীকে ঘুষের টাকা নিতেই হবে, নইলে তাদের সংসার চলবে না। বুঝুন অবস্থাটা।
ঘুষখোর মেয়ে
ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
১৩ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:৪২
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ভাই ! আপনার এই গঠনমূলক সুন্দর মন্তব্যটিই একটি পোস্ট। এই মন্তব্যের সব বিষয়গুলো আপনি বিশ্লেষণ করে দিয়েছেন। অবশ্যই স্ত্রী এবং সন্তানেরা ঘুষ খাওয়ার বিষয়টি জানে। তারা খুবই অহংকার করে বলে বেড়ায় যে আমার বাবা বাসার এই জিনিসটি উপরি টাকা দিয়ে কিনেছেন।
আমি একটা বাসায় ভাড়া থাকতাম। পাশেই এই পুলিশ ইন্সপেক্টর থাকতো। সে প্রতিদিন হিউজ বাজার করতো। আমার মা বলতো যে তুই আন্তর্জাতিক সংস্থায় চাকুরী করে কি খুবই কম বেতন পাস ! মাকে বলতাম, মা ! ঐ লোক যে বেতন আসল পায় তার ৫-৬ গুণ বেশি বেতন আমি পাই। কিন্তু ঐ ধরণের রাশি রাশি বাজার করার ক্ষমতা আমার নেই।
পরিবারই ব্যক্তিকে অন্ধকার জগতে পা বাড়াতে সহায়তা করে। আপনার সাথে ১০০ ভাগ একমত পোষণ করছি। এই যে দুই একজন ধরা পড়ছে, কিন্তু বাকীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
৩| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:০৮
জটিল ভাই বলেছেন:
রম্য দিয়ে রম্য করিয়া
দিলে দিলা চোট,
হায়রে লায়লা এই ছিলো মনে?
তুমিও বাঁধিলা জোট!!!
লায়লারা বুঝি এমনই হয়?
প্রিন্স মামুনও বুঝে নাই,
তাইতো অকালে লইয়া ছিলো
লায়লার বুকে ঠাঁই!
আজ মামুন বা আমি আবেদ আলী
লায়লারে সুখী করি, মুখেতে চুনকালি!
১৩ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৪
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনার কবিতা খানি পড়ে আমি হাসতে হাসতে গড়াগড়ি। লেখার হাততো অসাধারণ !!!!
”ভাই ! এখানে লায়লার কিন্তু কুনু দুষ আছিল না। সব দুষ ঐ মামুনের। ব্যাটা সহজ সরল লায়লা মনে দাগা দিছে। আহারে লায়লা কি সুন্দর কইরা বুঝাইয়া বুঝাইয়া কথা কয়।”
হুমম সমাজে এই লায়লারা সততার সাথে সংসারের হাল ধরলে এবং অল্পতে তুষ্টু হলেই আবেদ আলীরা দুর্ণীতি করতে সাহস পাবে না। আর সমাজের চাকা সততার সাথে ঘুরাতেই “জটিল ভাই”দের দরকার আছে---। হুমমমম----
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
৪| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৩
শায়মা বলেছেন: হাহা রম্য কবিতা আসলে দুস্কের কবিতা তবে শিক্ষামূলক।
আর জটিলভাইয়ার কাব্য দেখে আমি হাসতে হাসতে শেষ!
১৩ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:০২
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: জী আপু ! আবেদ আলীর বৌএর বুক ফাঁটা আর্তনাদ। আহা ! এই সব আবেদ আলীর বৌদের ও সন্তানদের কারণেই আবেদ আলীরা অনেক বেশি দুর্ণীতিতে জড়িত হতে উৎসাহী হয়। আহারে ! এখন আবেদ আলীর বউ আর তার সন্তানদের সন্মান কোথায় নেমেছে !!!
জটিল ভাইয়ের কবিতা পড়ে হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গিয়েছে। পারেও বটে। তিনি সত্যি কথাটাই কবিতায় অতি সুন্দর করে তুলে ধরেছেন।
আপু ! অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো।
৫| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:১৭
করুণাধারা বলেছেন: আহারে আবেদ আলীর স্ত্রী! দামী শাড়ি, গয়না পড়ে কত ছবি তুলেছিল, দামী গাড়িতে কত পড়েছিল, আজ সব কোথায় গেল...
রম্য কবিতা ভালো হয়েছে। কিন্তু শেষ অংশের সাথে আমি একমাত্র নই। যেই দিনগুলোতে আলু ভর্তা দিয়ে ভাত খেতে হতো সেই দিনগুলো ঠিক ছিল না বলেই আবেদ আলী অন্যায় ভাবে অর্থ উপার্জন করতে গিয়েছে। মুক্তি পেলে সে সৎ পথে ফিরে আসবে না বরং দ্বিগুন উৎসাহে আরো অর্থ উপার্জনের ঝাঁপিয়ে পড়বে।
১৩ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: এখন আবেদ আলীর বউএর স্ট্যাটাস কোথায় নেমেছে দেখেন আপা। গাড়ি বাড়ি টাকা পয়সা এখন শুধু সুদুর অতীত।
অনেকে বর্তমানের বাস্তব অবস্থাকে মেনে নিতে পারে না। সেই অবস্থা হতে উত্তরণ ঘটাতে যেয়ে অনেকে বিপথগামী হয়ে পড়ে। অনেকে বুঝতেই পারে না যে একদিন না একদিন এই সব কুকর্ম ধরা পড়বেই।
আপু ! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
৬| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৮
জুন বলেছেন: লাইলী একে আপনি রম্য বলছেন কেন? এত নিদারুণ নিষ্ঠুর এক সত্য কথন। যদি চেতনা জাগ্রত হয় কারো মাঝে। তবে হবে না বলেই মনে হয়। কারণ আপাদমস্তক আমরা এখন একটা লোভী জাতিতে পরিনত হয়েছি। আমাদের লজ্জা শরম, আত্মমর্যাদা, মান সন্মান সব কিছুই লোভের কাছে পরাস্ত।
অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো।
+
১৩ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:২৫
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: মজার মধ্য দিয়ে সত্যকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আপু ! তাই রম্য বলেছি।
একজন আবেদ আলী ধীরে ধীরেই দুর্ণীতিতে জড়ায়। একটা দুর্ণীতি হাজারো পাপকে টেনে আনে। এমনি হাজারো আবেদ আলীরা সমাজে রন্দ্রে রন্দ্রে ঢুকে আছে। আমাদের এখন আর লজ্জা নেই গো আপু । এখন উপরি ইনকামকে অনেক পরিবার সাপোর্ট করে। এই সব শয়তানদের বের করে দেয়ার জন্য বলিষ্ট পদক্ষেপ দরকার। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা কে বাধবে বলুন্ !!!
আন্তরিক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা রইলো।
৭| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৩
দি এমপেরর বলেছেন: আপনার লেখা এই প্রথম পড়লাম। লেখাটা ভালো হয়েছে।
১৩ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: কবিতাটি পড়ার জন্য এবং ভালো লাগার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শুভকামনা রইলো নিরন্তর।
৮| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: একজন ড্রাইভারের স্ত্রী তাঁর স্বামীর এমন ব্যাপক আয় রোজগারে চরম মজা পেয়েছে নিশ্চিত। তাঁর কাছে সততা অসততা, ন্যায় নীতি কোন ফ্যাক্টরই ছিল না।
তবে কবিতা ভাল হয়েছে আপা।
১৩ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৩
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: একেবারে ঠিক বলেছেন ভাই। ড্রাইভারের স্ত্রী এবং সন্তানেরা বাপের পাপের টাকা অনেক ভালোভাবেই এনজয় করেছে।
কবিতাটি ভালো লাগার জন্য খুশি হলাম। আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা আপনাকে। শুভকামনা রইলো।
৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:০৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: কবিতা ভালো লেগেছে আপা। সত্যিই ভালো।
২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: কবিতাটি ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম লাবলু ভাই। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:২৮
মিরোরডডল বলেছেন:
আমাদের তো সেই দিনই ভালো ছিল,
যে দিন আমরা ভর্তা ভাতে আহার করতাম!
তৃপ্তির ঢেকুর তুলতাম হাসিমুখে!
শান্তির সংসারে অশান্তি কেন আনলে আবেদ আলী!
মানুষের তিরষ্কারে জীবন মোদের হয়ে গেল সমুদ্রের চোরাবালি।
রম্য কবিতার মধ্যে দিয়ে সত্য কথন, ভালো লাগলো লায়লাপু।