![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"ও আমার উড়াল পঙ্খিরে, যা যা রে উড়াল দিয়া যা..." পাগলা কিছিমের মানুষ কোন ইষ্টিশন নাই, গাইল জানি কিন্তু গাইল পাড়ি না। দিলের দরজা ২৪/৭ খুইলা রাখি মাছি বসে মানুষ বসে না। মানুষ খালি উড়াল পারে! এক দিন আমি ও দিমু উড়াল, নিজের পায়ে নিজে মাইরা কুড়াল...
এই মজুরি দেয়ার সামর্থ্য নেই: বিজিএমইএ
টরন্টো শহরে নাকি একটা এলাকার নাম বেগমগঞ্জ। নামটি স্থানীয় বাঙালিরা দিয়েছেন। পয়সা ওয়ালাদের এলাকা নাকি সেইটা। এই এলাকায় বাংলাদেশ হতে ইমিগ্রেশন নিয়ে আসা অনেক পয়সাওয়ালা মানুষ বাড়ী ঘর কিনে বসবাস করেন। তাঁদের বেশীরভাগই দেশের প্রথিতযশা গার্মেন্টস্ ব্যাবসায়ী। কয়দিন আগে বেগমগঞ্জের এক বাঙালির বাড়ীতে চুরি হয়েছে। শত ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং ও হাজারেবিজারে ডলার খোয়া গেছে। যার চুরি গেছে তিনি বাংলাদেশের এক গার্মেন্টস মালিকের স্ত্রী। জামাই থাকেন বাংলাদেশে ব্যাবসাপাতি দেখাশোনা করেন। বৌ/বাচ্চা থাকছেন কানাডায়। শুনেছি বেগমগঞ্জের অনেক বেগম এর নাকি ব্যাক্তিগত গাড়ীর ড্রাইভার, কাজের লোক ইত্যাদি রেখে দিয়ে গেছেন তাঁদের জামাইরা। যেখানে খোদ কানাডিয়ান বড়লোকরাও নিজের গাড়ি নিজে ড্রাইভ করেন। চরম পয়সাঅলা না হলে বিরাট বিলাসিতা শোফার অথবা মেইড রাখারতো প্রশ্নই আসে না।
৫৩০০ বাংলা টাকা মানে ৭০ কানাডিয় ডলার। অন্টারিও কানাডার একটি প্রদেশ। এই প্রদেশে শ্রমিকের নূন্যতম মজুরী হচ্ছে প্রতি শ্রমঘন্টায় ১০.২৫ ডলার। তার মানে দিনে নূন্যতম ৮ ঘন্টা করে কজ করলে দৈনিক মজুরী ৮২ ডলার অর্থাৎ প্রায় ৬৫০০ বাংলা টাকা। যদিও এই দেশে কেএফসি খায় সাধারন পাবলিক বাংলাদেশে দেখে আসছি বড়লোকেরা সখ করে কেএফসি, পিৎজ্জা হাট, নান্দুজ ইত্যাদি খায়। পরিবারের ৩/৪ জন এক বেলা কেএফসি খেলে খরচ ৬০/৭০ ডলার। জানি না বেগমগঞ্জের বেগমেরা এদেশে কি খেয়ে দিন গুজরান করছেন! তবে এ দেশে যেটা ৭ ঘন্টার মজুরী, সাধারন বিত্তের একবেলার খাবার খরচ তাদিয়ে আশুলিয়া হয়ত রহিমা বেগমের নিশ্চিন্তে একটি মাস চলে যাবার কথা। বিনিময়ে সে মাসে ২৮৮ ঘন্টা কাজ করেদিতে রাজি। তবু তাঁকে মাসে ৭০টি ডলার মজুরীর ব্যাবস্থা করে দেবার সামর্থ্য আমাদের কারো নেই। হায় দরিদ্র জীবন, ব্যাংকের ভেতর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ থাকলেই কিবা আসে যায়!
২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৭
বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: ইহারা অল্পতে বাচিয়া খুশী আর অপঘাতে মরিয়াও সুখী। আহারে বস্ত্রবালিকারা।
৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৭
নীলতিমি বলেছেন: পৃথিবীর একমাত্র সমস্যা হলো : ধনী গরীবের বৈষম্য !
এছাড়া আর কোনো সমস্যাই সমস্যা নয় কারন এটিই সব কিছুর গোড়া!
ধন্যবাদ সুন্দর একটি লেখার জন্য
৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৩
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: একবার বনানী চেয়ারম্যানবাড়ি বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছি উত্তর দিকে যাওয়া বাসের অপেক্ষায়। তখনও গার্মেন্টস শ্রমিকরা ঈদের আগে বেতনের জন্য রাস্তায় নেমে এসেছিলো। একজন ক্ষুব্ধ শ্রমিক বলছিল, হালারা মাইয়া মানুষ লইয়া ফুর্তি করতে যাইতে পারে ব্যাংকক আর আমাগো বেতন টাইম মতন দিতে পাছা জ্বলে।
আসলে গার্মেন্টস মালিকদের অনেক টাকা জমা হয়ে গেছে। এ ব্যবসা না করলেও তারা অভাবে পড়বে না আর। এ দেশে তারা না থাকলেও চলবে। অন্য কোনো দেশে তাদের বাড়ি আর নাগরিত্বও আছে। কিন্তু শ্রমিকরা মারা যাবে তাদের ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেলে। ব্যাপারটা রাষ্ট্রীয় ভাবে দেখা উচিত। মালিক পক্ষের মতামত নয়- সরকারি আদেশ হওয়া বাঞ্ছনীয় মিনিমাম মজুরী বিষয়ে।
৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৩১
সরকার আলী বলেছেন: আমাদের ক্ষমা করো প্রভু, আর মালিকদের দিলে রহম করো।
৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৯
মুঘল সম্রাট বলেছেন: মজুরি নয়। মুনাফা বন্টনের আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। সরকার নির্ধারন করে দিবে শতকরা কত ভাগ মুনাফা শ্রমিক পাবে।
মুনাফার একটি অংশ শ্রমিকদের মাঝে বিতরনের মাধ্যমে সম্পদের সুসম বন্টন সম্ভব।
শ্রমিকরা বলছে মুনাফা নাই অথচ গার্মেন্টসতো বাংলাদেশে কমে নাই।
৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: দুনিয়াতে সবচাইতে হারামী ব্যাবসায়ী জাত হল আমাদের গারামে.. ব্যাবসায়ীরা। এরা এদের বাসার কুত্তারে যত টাকার ডগফুড খাওয়াবে তার অর্ধেকও তার কারখানার শ্রমিককে দিবেনা। আর এদের বড় সাপোর্টার ব্যাকআপ হচ্ছে খোদ সরকার। সরকারের একটা অথর্্ব নামকেওয়াস্তে মজুরী কমিশন আছে যার কথা মালিকরা শোনেনা!
৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫
মতামত চাই বলেছেন: কিছুই বলার নেই ...
৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩
দেওয়ান-এ-রাসুল বলেছেন: গার্মেন্টস মালিকদের ৫৩০০ টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই এটা অবিশ্বাস্য।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৫
নীলতিমি বলেছেন: