![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
World is totally meaningless. Though sometime you will find here happiness. But length of happiness is highly limited. Original color of the world is black.
হাত বাড়ালেই জার ভর্তি বিশুদ্ধ পানি চলে আসছে ঘরে। রাজধানী বাসীর শত উদ্বেগের অন্যতম একটি হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি। অনেক সময় ওয়াসার পানি ফুটিয়ে পান দূরের কথা, গোসল-বাসন ধোয়ার কাজেও লাগানো যায়না। ফলে সবাই যেন বিশুদ্ধ পানির সন্ধানে মরিয়া। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে অসাধু চক্র। জনগণকে বিশুদ্ধ পানির লোভনীয় অফারের ফাঁদে ফেলে কাড়ি কাড়ি টাকা কামিয়ে নিচ্ছে অসাধু চক্র। অথচ জার ভর্তি এই বিশুদ্ধ পানিই যে জীবন রক্ষার জন্য কাল তা কেউ অনুধাবন করতে পারছিনা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তথাকথিত বিশুদ্ধ পানি পান করে ডায়রিয়া, কলেরা, পেটের পীড়া, জন্ডিসসহ জটিল ব্যধিতে আক্রান্ত হচ্ছে রাজধানী বাসী।
যত্রতত্র পানি উৎপাদন কারখানাঃ
যেন নিয়ম-নীতির কোন বালাই নেই। নীয়ম-নীতি উপেক্ষা করে রাজধানীতে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। যার সংখ্যা কয়েকশ ছাড়িয়ে গেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশেরই নেই বিএসটিআই’র সিএম লাইসেন্স। এছাড়া অবৈধভাবে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদন ও বিক্রি করছে মিনারেল ও ড্রিকিং ওয়াটার। ফলে বিশুদ্ধ পানির নামে নিম্নমানের পানি পান করে প্রতারিত হচ্ছে মানুষ। অনুসন্ধানে জানা গেছে প্রতিবছরই বাড়ছে এধরনের পানি উৎপাদনের প্রতিষ্ঠান। শ্যামপুর, কদমতলী, যাত্রাবাড়ি, ডেমরা, সূত্রাপুরসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ও উত্তরা এলাকায় গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। এমনকি ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন জেলা শহরে অবৈধ পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এসব কারখানায় গভীর নলকূপ বা গভীর নলকুপের নামে সরাসরি ওয়াসার পানি বোতলজাত করে নিম্নমানের পানি পান করানো হচ্ছে মানুষকে। সূত্রমতে রাজধানীতে বিভিন্নভাবে সাড়ে ৩ শতাধিক পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যার সিংহভাগই অবৈধ। অথচ বিএসটিআই’র হিসেব অনুযায়ী রাজধানীতে মাত্র ৪০ টির মতো বৈধ পানি উৎপাদন কারখানা রয়েছে।
নগরীর বিভিন্ন পানি উৎপাদিত প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায় পানি বিশুদ্ধকরণ প্রতিষ্ঠানে ল্যাবরেটরি থাকা বাধ্যতামূলক হলেও কিছু কারখানা ছাড়া বাকিগুলোতে ল্যাব ব্যবহার করা হচ্ছেনা। এধরনের কারখানায় ছোট আকারের ল্যাব থাকলেও কেমিষ্টের পরীক্ষা ছাড়াই পানি বোতলজাত করা হচ্ছে। দেখা গেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের ল্যাব ধুলা-বালুতে একাকার হয়ে আছে। অভিযোগ রয়েছে ওয়াসার সরবরাহ পানিই কোন রকম ফিল্টারিং করে সরাসরি বড় (২০ লিটার) জারে ভরা হচ্ছে। এরপর বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া অনেক পানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাসা থেকে সরাসরি জারে পানি ভরে বাজারজাত করছে। বিভিন্ন কারখানা ঘুরে দেখা গেছে পানির জার ধোয়া হচ্ছে অপরিচ্ছন্ন-নোংরা পরিবেশে। নিয়ম থাকা সত্ত্বেও এসব কারখানার কর্মচারিরা ইউনিফর্ম, মাস্ক, গ্লাভস ছাড়াই অবাধে জারে পানি ভরছে।
পানি উৎপাদন প্রতিষ্ঠান দিতে যা যা প্রয়োজনঃ
পানি উৎপাদন কারখানা বা প্রতিষ্ঠান গড়তে উদ্যত্তাকে অন্তত ১৮টি নিয়ম পালন করা বাধ্যতামূলক। ওয়াসাসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে দরখাস্তের সাথে ট্রেড লাইসেন্স, ট্যাক্স নম্বর, ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন, ট্রেড মার্ক রেজিষ্ট্রেশন সনদ, প্রিমিসেস লাইসেন্স ও কর্মচারিদের ডাক্তারি সনদ, ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট, ল্যাবরেটরি ইকুইবমেন্ট, ওয়াসার অনুমোদন, ক্যামিষ্টের বায়োডাটাসহ ক্যামিষ্ট নিয়োগ লেটার, লেবেল, ফ্যাক্টরি লে আউট প্লান ও ১৫ দিনের ল্যাব রিপোর্ট। একইভাবে কারখানায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান, ওয়াশিং রুম, কেমিক্যাল ও বায়োলজিক্যাল ল্যাব রুম, প্রশিক্ষিত কেমিষ্ট, ল্যাবরেটরিতে প্রয়োজনীয় টেষ্ট ইনস্টুমেন্ট, জেনারেটর রুম ও ফ্যাক্টরিতে এয়ারকন্ডিশনের ব্যবস্থা থাকা বাধ্যতামূলক। অথচ দেখা গেছে হাতে গোনা কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যতিত অন্যকোন প্রতিষ্ঠানে এসব নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করা হচ্ছেনা। এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠানের মালিক বা সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য টাকাই সবকিছু করে দেয়। তাদের বক্তব্য বিএসটিআই, মোবাইলকোর্ট, ওয়াসা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়মিত বখরা দিয়ে কারখানা সচল রাখা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা যা বলছেনঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনষ্টিটিউটের অধ্যাপক ড. খুরশীদ জাহান বলেন, ভেজাল পানি ও পানীয় শরীরের নানা রোগের ঝুকি বাড়াচ্ছে। তিনি বলেন, যেহেতু পানি ঠিকমতো ফিল্টার এবং জীবাণুমুক্ত করা হয় না, তাই ডায়রিয়া, কলেরা, জন্ডিস ইত্যাদি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা প্রকট থাকে। এছাড়া দীর্ঘদিন এধরনের পানি পানে শরীরের অনেক অর্গান ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া পানি আর্সেনিকমুক্ত কিনা তাও দেখা উচিত।
প্রতিরোধে মোবাইলকোর্টঃ
বিশুদ্ধ পানির নামে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে চলছে মোবাইলকোর্ট পরিচালনা। অপরাধীদের জরিমানা আবারা কখনো কারাদন্ডও দেয়া হচ্ছে। তবুও বন্ধ হচ্ছেনা এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ রয়েছে, অসাধু কর্মকর্তাদের মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। তবে বিএসটিআই’র এক কর্মকর্তা বলেন, নিয়মিত মোবাইলকোর্ট পরিচালিত হচ্ছে, কিন্তু পরবর্তীতে এগুলোর মনিটরিং না হওয়ায় অসাধু ব্যক্তিরা আবার তাদের অবৈধ কারখানা চালু করছে। জনবলের অভাবে বিএসটিআই নিয়মিত এগুলোর মনিটরিং করতে পারছেনা বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১০:২০
ডি-টু-কে বলেছেন: পিরামিড স্কিম করে ধরা খাবেননা। দয়া করে সকলের সাথে বিষয়টা শেয়ার করুন। প্রকৃত ধান্দাবাজদের চিনে নিন