নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র\"

খালিদ লামি

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র

খালিদ লামি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিভেদের দেয়ালঃ পর্ব ১

১২ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৫০

মহান আল্লাহ সূরা আল ইমরানের ১০৩ নং আয়াতে বলেন,
وَاعْتَصِمُواْ بِحَبْلِ اللّهِ جَمِيعًا وَلاَ تَفَرَّقُواْ
"আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে মজবুত ভাবে ধরে থাকো; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না..."
উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহর রজ্জু বলতে যে পবিত্র কোরানকে বোঝানো হয়েছে এব্যপারে কেউ দ্বিমত করবেনা।
এখন প্রশ্ন হলো, রাসুল (সা) বিদায় হজ্জের ভাষণে ঠিক কি বলেছিলেন? উম্মতের মাঝে তিনি কি রেখে গিয়েছিলেন?
বিদায় হজের মতো গুরুত্বপূর্ন ভাষণটি যা হাজার হাজার মানুষ একই সময়ে শুনেছিল , সেই ভাষণ থেকে ১টি-২টি নয় বরং ৩টি পরস্পরবিরোধী সহীহ হাদিস পাওয়া যায়!!!
১) আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর কিতাবকে (কুরআন) রেখে গেলাম , যদি তোমরা এটাকে আঁকড়ে থাকো, তবে কখনো বিপথগামী হবে না। [মুসলিম, ইবনে মাজাহ, আবু দাউদ]
২) আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর কিতাব (কুরআন) ও আমার সুন্নাহকে রেখে গেলাম , যদি তোমরা এ দু’টোকে আঁকড়ে থাকো, তবে কখনো বিপথগামী হবে না। [মুয়াত্তা]
৩) আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর কিতাব (কুরআন) ও আমার পরিবারকে (আহলে বাইত) রেখে গেলাম , ... [মুসলিম , আহমাদ, দারিমি]
হাজার হাজার সমবেত মুসলমান শোনার পরেও একই কথার ৩টি ভার্সন পাওয়া যায়। যেখান থেকে আহলে কুরআনরা ১ নং ভার্সন গ্রহন করেছে, সুন্নীরা নিজেদের স্বার্থে ২ নং ভার্সন গ্রহণ করেছে আর শিয়ারা ওদের স্বার্থ অনুযায়ী ৩ নং ভার্সন গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ, প্রত্যেকেই নিজদের সুবিধাজনক হাদীসটি নিজদের জন্য দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছে।
এখন কথা হলো, রাসুল (সা) কি নিজের থেকে বানিয়ে কিছু বলতেন? অথচ সুরা নাজমের ৩ ও ৪ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,
وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى إِنْ هُوَ إِلا وَحْيٌ يُوحَى
"আর তিনি মনগড়া কথা বলেন না, তার প্রতি যা প্রত্যাদেশ হয় তা তো অহী"
রাসুল (সা) যদি নিজের থেকে কিছু বলতেন অথবা করতেন তাহলে কি হত? আল্লাহ তায়ালা সুরা হাক্কাহ এর ৪৩ থেকে ৪৭ নং আয়াতে বলেন,
تَنۡزِیۡلٌ مِّنۡ رَّبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ- وَ لَوۡ تَقَوَّلَ عَلَیۡنَا بَعۡضَ الۡاَقَاوِیۡلِ-لَاَخَذۡنَا مِنۡهُ بِالۡیَمِیۡنِ- ثُمَّ لَقَطَعۡنَا مِنۡهُ الۡوَتِیۡنَ- فَمَا مِنۡکُمۡ مِّنۡ اَحَدٍ عَنۡهُ حٰجِزِیۡنَ
“এটা (কোরান) বিশ্ব জগতের প্রতিপালকের নিকট থেকে অবতীর্ণ; তিনি (নবী) যদি কোন কথা নিজে রচনা করে আমার নামে চালিয়ে দিতেন; আমি (আল্লাহ) অবশ্যই তার ডান হাত ধরে তাকে পাকড়াও করতাম; তারপর অবশ্যই আমি তার হৃদপিন্ডের শিরা কেটে ফেলতাম; আর তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে, তাকে রক্ষা করতে পারবে“
রাসুল (সাঃ) তো তাইই বলবেন, যা আল্লাহ তাকে বলতে বলেছেন। তিনি তো নিজের ইচ্ছেমত কিছু বলবেন না, আল্লাহর নির্দেশের বাইরে কিছু করবেন না।
সুতরাং, রাসুল (সা) তার জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত পবিত্র কোরানকে আঁকড়ে ধরার পরামর্শ দিয়েছেন, যা সরাসরি আল্লাহর পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে।
যারা রাসুলের আদর্শ অনুসরণ করার নামে উম্মতের মধ্যে বিভেদের দেয়াল তুলে দিয়েছেন, তারা আসলে রাসুলের কোন আদর্শ অনুসরণ করেন তা নিয়ে পরবর্তি পর্বে বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করবো ইংশা-আল্লাহ!
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সিরাতাল মুস্তাকীমের পথে চলার তাওফিক দান করুন, আমীন!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.