![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিনোদনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিক্ষার উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে নির্মিত “ভাসানী নভোথিয়েটার” উদ্বোধন করা হয় ২০০৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। রাজধানীর বিজয় স্মরনীর মোড়ে অবস্থিত ভাসানী নভোথিয়েটার প্রকল্পের ব্যয় হয়েছে ১৩০ কোটি টাকা। সম্পূর্ন দেশীয় অর্থায়নে ঐটি নির্মান করেছে সরকারের বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটির স্থপতি আলী ইমাম। ৫,৪ একর জমির উপর ভাসানী নভোথিয়েটারের অবস্থান। এ প্রকল্পে রয়েছে তিন তলাবিশিষ্ট মূল নভোথিয়েটার ভবন, ভবনের কেন্দ্রভাগে দৃষ্টি নন্দন অ্যালুমিনিয়াম মেটালি ডোম, ভেতরে ২৭৫ টি বিশেষ ধরনের আসনবিশিষ্ট প্লানেটরিয়াম, ১৭০ আসন বিশিষ্ট অডিটরিয়াম, ভবনের সম্মুখভাগে ও দুই পাশে তিনটি জলাধর, পেছনের অংশে তিন তলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন, জ্যোতিবিজ্ঞানে জ্ঞান লাভের জন্য নানা রকমের প্রদর্শনী, ল্যান্ডস্কেপসহ ফুলের বাগান, ফোয়ারা গার্ডেন লাইট প্রভৃতি। ভবনটির ডোমের আয়তনের ব্যাস ৯৬ ফুট। কেন্দ্রে রয়েছে ৭০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট একটি মেটালিক ডোম। নভোথিয়েটারের কেন্দ্রে অবস্থিত ২৩ মিটার ইনার ডোমের উপর নিচ থেকে প্রায় ১৫০ টি প্রজেক্টের ব্যবহার করে মাল্টিপল ইমেজের সমন্বয়ে একটি কৃত্রিম মহাকাশ তৈরি করা হয়েছে। নভোথিয়েটারের পাঁচটি লেভেল। মাটির উপরের দুইটি লেভেল হচ্ছে +৫১০০ এবং +০০ লেভেল। এই গুলোতে রয়েছে বিভিন্ন প্রদর্শনী বস্তু, টিভি স্ক্রিন, সিসি টিভি প্রভৃতি। মাটির নিচের তিনটি লেভেল হচ্ছে ৩৭০০, ৫৮৫৮, ৯৭৫০ লেভেল। এই তিনটি লেভেল যথাক্রমে রয়েছে জনসাধারনের জন্য ১৫০টি কার পার্কিংয়ের সুবিধা, পূর্ব আছে প্রতিবন্ধীদের জন্য সিঁড়ি, পাশেই রয়েছে বিজ্ঞান মেলা বা প্রদর্শনীর জন্য বিশাল জায়গা, টিকেট কাটার জন্য আলাদা কাউন্টার। ভবনটির দুটি ভূগর্ভস্থ, ফ্লোরে দেশ বিদেশের খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ও গবেষকদের ছবি ও জীবন বৃত্তান্ত রয়েছে। এখানে ২০০০ কিলো ভোল্টা অ্যাম্পিয়ার (কেভিত্র) বৈদুৎতিক উপকেন্দ্র এবং ৫০০ কেভিত্র ইমারজেন্সি প্যানারোমা লিফট স্থাপন করা হয়েছে। রয়েছে ১২ টি ক্যামেরা সম্বলিত সি সি টিভি।
১৯৯৫ সালে বিএনপি সরকারের আমলে এ নভোথিয়েটার প্রকল্পের দলিল তৈরি হয়। পরে ১৯৯৭ সালের ৩ মার্চ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রকল্পটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার নাম করন করে দরপত্র আহবান সহ অন্যান্য কাজ শুরু হয়। ১৯৯৮ সালে দু-বার ও ১৯৯৯ সালে একবার আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করে প্রক্ষেপন যন্ত্রপাতি সর্বরাহের কাজ দেয়া হয়। জাপানের গোটো অপটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিকে। মেটালিক ডোম স্থাপনের কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠাণে মেসার্স গ্যাসমিনসহ বিগত সরকারের আমলে এই নভোথিয়েটার নির্মানে স্থবিরতা এর নির্মান ব্যয় অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নভোথিয়েটারের অর্ধ গোলআকৃতির ডোম আছে বিমোহিত করার মত প্রক্ষেপন পদ্ধতির যন্ত্রপাতি। অ্যাস্ট্রোটেকের পারফোরেটেড এলুমিনিয়াম পদা গোটোর জিএসএস হেলিয়স স্পেস সিমুলেটের বিভিন্ন ধরনের স্পেশাল প্রজেক্টর এবং অ্যাষ্ট্রোভিশন ৭০।
২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৩
htusar বলেছেন: এখনো দেখা হয় নাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৫
পাকাচুল বলেছেন: গত শনিবার দুই ভাতিজিকে নভোথিয়েটার দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলাম।তবে আমি আগেও গিয়েছিলাম।
থিয়েটারে ২টা শো-দেখায়। প্রথমটা মহাকাশ নিয়ে , ২য়টা বাংলাদেশ নিয়ে।
আসল শো দেখা শেষ হলে ২টা নিয়ে মানুষজনদের আগ্রহ এমনিতেই কম থাকে। তারপরও অনেকে অপেক্ষা করে কি দেখায়, সেটা নিয়ে।
সবই ঠিকঠাক চলছিলো, বাংলাদেশের প্রকৃতি, ইতিহাস এইসব দেখাচ্ছিলো, এর মাঝে চলে আসলো ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ। তারপর একে একে প্রায় সব মানুষ উঠে চলে যাচ্ছে।
৭ই মার্চের ভাষণ এখন মোটামোটি সবার মুখস্হ হয়ে গেছে। আমার ২ ভাতিজি বললো, এটা তো টিভিতে দেখি, এটা এখানেও দেখাবে?
হয়তোবা টাকা দিয়ে টিকেট কেটে মানুষ এই ভাষণ শুনতে আগ্রহী নয়।