![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার যা ধারণা আন্তর্জাতিক কোনও চাপ ছাড়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়বে না। দেশের পরিস্থিতি যত যাই হোক না কেন সরকার চাইবে পেশীশক্তির জোর দেখিয়ে যত দিন পারা যায় ক্ষমতায় থেকে যেতে। এরশাদের ক্ষেত্রে যেমন হয়েছিলো যে , সেসময় বাংলাদেশের প্রধান দুই সাহায্যকারী দেশ ব্রিটেন এবং জাপানের কঠোর অবস্থান এবং অন্যান্য দেশ গুলোর প্রবল চাপের কারনে এবং দেশে কঠিন আন্দোলনের কারনে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলো এরশাদ সরকার। এখানেই শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের অবস্থানগত পার্থক্য রয়েছে। আমাদের ওপর প্রভাব বিস্তারকারী দেশ বিশেষত ভারত এবং চীনের বিভিন্ন কৌশলগত কারনে আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের আপাত নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রাখলেও সরকারকে বলার মতো কোনও সমর্থন দিচ্ছে না আবার বিপক্ষেও কিছু বলছে না। হয়ত পরিস্থিতির সুযোগের জন্য অপেক্ষা করছে। অপরদিকে বি এন পি তার আন্তর্জাতিক সমর্থন ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে অনেকটাই । যে কারণে তাদের আন্দোলন আন্তর্জাতিক কোনও মহলের সাহায্য পাচ্ছে না খুব একটা । এমন পরিস্থিতিতে দেশের অবস্থা চূড়ান্ত বিপর্যয়কর না হওয়া পর্যন্ত এবং সরকার বিদেশী প্রভাবশালী দেশগুলোর সমর্থন না হারানো পর্যন্ত মনে হচ্ছে না যে কোনও নির্বাচন আসবে বা অবস্থার উন্নতি ঘটবে। সিরিয়ার দিকে তাকালে দেখা যায় আসাদ সরকার চীন এবং রাশিয়ার সমর্থন থাকার কারণে দীর্ঘদিন গৃহযুদ্ধ হওয়ার পরও তার পতন হচ্ছেনা। তেমন অবস্থা আমাদের ক্ষেত্রেও ঘটে যেতে পারে। কেননা, আমাদের ওপর প্রভাব বিস্তারকারী দেশগুলো বিশেষত ভারত কোনও অবস্থাতেই চাইবে না বি এন পি জামাত ক্ষমতায় আসুক। তারা চায় যেনতেন প্রকারে আওয়ামী লীগ যেন ক্ষমতায় থাকে। অপরদিকে চীনও প্রকারান্তরে সেটাই চায়। যুক্তরাষ্ট্র এক্ষেত্রে কিছুটা দ্বিধায় আছে বলে মনে হচ্ছে। বি এন পি জামাত জোটের প্রতি তার মৌন সমর্থন থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারতের সুসম্পর্ক থাকায় ভারতের ইচ্ছাকেও আমলে না নিয়ে উপায় নেই যুক্তরাষ্ট্রের। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের Conflict of interest থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। সম্ভবত যেকারনে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ওপর চাপ দিচ্ছে না ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর। এবং সম্ভবত ইউরোপীয় ইউনিয়নও সেপথে হাঁটছে। যেকারনে তাদের কেউই সরকারকে চাপ প্রয়োগ করছে না । আবার এদিকে আওয়ামী লীগ - বি এন পির মধ্যে কোনও সমঝোতার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে যা মনে হচ্ছে পরিস্থিতি চূড়ান্ত বিপর্যয়কর কিছু না হলে দেশ এই অবস্থা থেকে বেরুতে পারবে বলে মনে হয়না। আপাতত তারই অপেক্ষায় ।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৭
হ য ব র ল ৩২৭ বলেছেন: আমিও কোনও সহজ সমাধানের পথ দেখছি না।
২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: দেশ ও দেশের জনগণের অবস্থা তো ত্রাহি ত্রাহি। সমস্যার সমাধান না হলে দেশ শুধু পিছাবেই।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২২
হ য ব র ল ৩২৭ বলেছেন: দেশ আর জনগণের অবস্থা যাই হোক না কেন, রাজনীতিবিদরা সেটা চেয়েও দেখবে না। একপক্ষের লক্ষ্য যেভাবেই হোক ক্ষমতা ধরে রাখা , তেমনি আরেকপক্ষের লক্ষ্য যেভাবেই হোক সরকারকে ক্ষমতা থেকে হঠানো। তা দেশের জনগণ চুলোয় যাক, তাতে আসলেই তাদের কিছু আসে যায় না। দেশ যত খুশি পেছাক, তাতেও তাদের কিছু যায় আসে না। এরা এতোটাই নচ্ছার প্রকৃতির।
৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১২
জেকলেট বলেছেন: ভাই বাইরের দিকে না তাকিয়ে মনে হয় এদেশের জনগন ই বের হয়ে পড়বে। মানুষ আর পারছেনা।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪
হ য ব র ল ৩২৭ বলেছেন: সেটাই হলে বরং ভালো হয়। কিন্তু জনগণ বেরুবে কিকরে? খোদ জনগণই তো বিভক্ত।
৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫২
কলাবাগান১ বলেছেন: আমেরিকা মুখে যেই কথাই বলে, জামাতি দের দলকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না..... এক আই এস এস কে সামলাতেই গলদ গর্ম হচ্ছে... আবার জামাাতি রা আসলে, পাকি হাইকমিশন হবে আই এস এস এর হেড কোয়ার্টার। বর্তমানে পাকি হাইকমিশনের ষড়যন্ত্র দেখলে ই বুঝা যায় এরা ক্ষমতায় আসলে আমাদের দেশের অবস্হা কি হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৬
তোমোদাচি বলেছেন: ভাল এনালাইছিস, এবারের সঙ্কটের সহজ সমাধান দেখছি না :-&