নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন

লক্ষণ ভান্ডারী

কবিতা

লক্ষণ ভান্ডারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অজয় নদীর বাঁকে

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭




অজয় নদীর বাঁকে
- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

গাঁয়ের পাশে অজয় নদীর বাঁকে,
সাঁঝের বেলা নদীর ঘাটে নৌকা বাঁধা থাকে।
রাত কেটে ভোর হলে
আসে যাত্রী দলে দলে,
তরুর শাখে পাখিরা সব কিচির মিচির ডাকে।
বনটিয়ার দল নদীর ধারে আসে ঝাঁকে ঝাকে।

গাঁয়ের পাশে অজয় নদী চলে,
কেউবা বলে নদ তারে আবার কেউবা নদী বলে।
সকাল হলে গাঁয়ের মাঝি,
ভাসায় জলে নৌকা আজি,
যাত্রী বোঝাই নৌকাখানি অতি মন্থর বয়ে চলে।
পাল তোলা নাওখানি ভাসে অজয় নদীর জলে।

সকাল হলে লাল সূর্য ওঠে,
চিক চিক করে সরু বালি অজয় নদীর তটে।
নদীর ঘাটেতে ধবল বলাকা,
আসে উড়ে মেলে দুটি পাখা,
শালিক আসে ঝাঁকে ঝাঁকে কূলে কাশফুল ফোটে।
রাখাল ছেলে বাজায় বাঁশি গরু বাছুর চরে গোঠে।

গাঁয়ের বধূ কলসী লয়ে কাঁখে,
রাঙাপথে জল নিয়ে যায় ঘোমটায় মুখ ঢাকে।
দূরে পথিক আদুল গায়ে,
বসে বটের শীতল ছায়ে,
গরুগাড়ি ধুলো উড়ায়ে ছুটে চলে পথের বাঁকে।
নদীর কাছে শ্মশানঘাটে মৃতদেহ জ্বলতে থাকে।

নদীর ঘাটে দুপুর হলে পরে,
গাঁয়ের বধূরা রোজ নাইতে আসে রাঙা শাড়ি পরে।
সেই নদীতে গাঁয়ের জেলে
মাছ ধরে ওরা জাল ফেলে
শঙ্খচিলেরা পাখা মেলে নীল আকাশ পানে উড়ে।
বনের ধারে বাঁশির সুরে মোর পরান পাগল করে।

বিকাল হলে পড়ে আসে বেলা,
নদীর ধারে সবুজ মাঠে পাড়ার ছেলেরা করে খেলা।
পশ্চিম কোণে সূর্যটা লাল হয়ে,
ডুবে দেখি নীলপাহাড়ের গায়ে,
নদীর ঘাটে আঁধার আসে নেমে, হলো সাঁঝের বেলা।
নির্জন ঘাটে রাত্রি নামে নীল আকাশে তারার মেলা।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: বরাবরের মতই লাগল লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী ভাই।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯

লক্ষণ ভান্ডারী বলেছেন: অনেক অনেক অভিনন্দন।
আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই।

শুভকামনা রইল নিরন্তর ও সতত।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
সদা সর্বদাই।
জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: দারুণ লাগলো প্রিয় কবি, একটু ভিন্ন বিষয়ে লিখলে হয় না?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯

লক্ষণ ভান্ডারী বলেছেন: বিষয়টা বললে বোধ হয় বোঝাটা সরল হতো।
অনেক অনেক অভিনন্দন।
আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই।

শুভকামনা রইল নিরন্তর ও সতত।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
সদা সর্বদাই।
জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: অতি মনোরম।

একদিন অজয় নদীর বেশ কিছু ছবি তুলে ব্লগে দিবেন।
অজয় নদীটা কেমন দেখব।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫০

লক্ষণ ভান্ডারী বলেছেন: আগামীদিনে কিছু চিত্র ব্লগে পোস্ট দেব।
অনেক অনেক অভিনন্দন।
আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই।

শুভকামনা রইল নিরন্তর ও সতত।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
সদা সর্বদাই।
জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!
অনেক অনেক অভিনন্দন।
আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই।

শুভকামনা রইল নিরন্তর ও সতত।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
সদা সর্বদাই।
জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: অজয় নদীর দিনলিপি ভাল হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.