নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগামী কাল ১২ মার্চ সারা দেশে ১ থেকে ৫ বছরের শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল , ব্যবহার করা হবে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ ভারতীয় অলিভ হেলথ কেয়ারের উৎপাদিত ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল।
দুর্নীতির মাধ্যমে এই ক্যাপসুল আমদানীর কাজ দেয়া হয়েছে, এটা সর্বজনস্বীকৃত। এ নিয়ে হাইকোর্টে রীট হয়েছে গত ১১ জুলাই। অভিযোগ, ভারতীয় প্রতিষ্ঠান অলিভ হেলথ কেয়ার উৎপাদিত এই ভিটামিন-এ ক্যাপসুল নিম্ন মানের এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত নয়। দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক এই ক্যাপসুল ক্রয়ে আপত্তি দিলেও সরকারের কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আগ্রহে এই কেনাকাটা সম্পন্ন হয়। যেসকল কর্মকর্তার দরপত্রের দুর্নীতির বিষয়ে আপত্তি তোলে তাদেরকে প্রকৃয়া থেকে বাদ দেয়া হয়েছিলো।
দরপত্র কমিটির চাহিদার প্রেক্ষিতে অলিভ কেয়ার কোম্পানী দাবী করে তারা নাইজিরিয়ায় ২০ কোটি পিস ক্যাপসুল সরবরাহ করার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। কিন্তু তদন্তে বেরিয়ে আসে, অলিভ কোম্পানী মিথ্যা কথা বলছে। ২০০৬ সাল থেকে অদ্যাবধি নাইজেরিয়ায় কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান ব্যানার ফার্মা করপোরেশন ভিটামিন ‘এ’ সরবরাহ করে আসছে। অলিভ হেলথ কেয়ার নাইজেরিয়ায় তো নয়ই, নিজ দেশ ভারতেও কখনই ক্যাপসুল সরবরাহ করেনি। তাছাড়া অলিভ কোম্পানীর এই ক্যাপসুল উৎপাদন প্রক্রিয়া বিশ্বস্বাস্থ সংস্থার অনুমোদন লাভ করে নি।
দাতা সংস্থা বিশ্ব ব্যাংকের চাহিদার প্রেক্ষিতে অলিভ কোম্পানীর ক্যাপসুলের মান নির্ণয়ের জন্য নমুনা পাঠানো হয় ভারতের মুম্বাইয়ের এসজিএস প্রাইভেট লিমিটেডে। ২০ ডিসেম্বর ঐ পরীক্ষা প্রতিবেদন বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাখিল করা হলে তার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আবার নমুনা পাঠানো হয় সিঙ্গাপুরে। সরকার দাবী করছে, এই বার রিপোর্ট ঠিক আছে। তারপরও ‘তবে’ প্রশ্ন করেছে প্রথম আলো!
অলিভ ফার্মার এই ক্যাপসুল বাংলাদেশে চালানোর পুরো প্রক্রিয়াটি একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। ফলশ্রুতিতে আন্তর্জাতিক মানহীন ভারতীয় ক্যাপসুল খাওয়ানো প্রকৃয়া এখন চলছে জোরে সোরে।
২| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪২
মিনহাজুল হক শাওন বলেছেন: সূত্র?
৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
একজন নিশাচর বলেছেন: এটা কোন প্রোপাগান্ডা না। নিরেট সত্য।
বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩৯
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: কাল যখন বাচ্চাদের এলার্জিক রিএকশন আর ডাইরিয়া শুরু হবে তখন বোঝা যাবে কি ভুল করা হয়েছিলো। প্রার্থনা করুন এমন কিছু যেন না হয়।