নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একই ভুলে দুরকম সিদ্ধান্ত!

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৩০

কিছু দিন আগে পাড়ার মসজিদে এশার নামাজ জামাতের সাথে আদায় করতে গিয়েছি। ইমাম সাহেবের সাথে নিয়্যেত বেধে দাড়ালাম। একে একে তিন রাকাত নামাজ শেষ হলো। চার রাকাতের জন্য উঠে দাড়ালাম। দেখি অনেকেই বসে আছে, আর কেউ উঠবে না বসবে এই দোদুল্যমান অবস্থায় আছে। এরই মধ্যে কয়েকজন আল্লাহুআকবার বলে উঠলেন। অর্থাৎ নামাজের ম্যেধই মুক্তাদিগন লোকমা দিলেন। এতে ইমাম সাহেব আবারো আল্লাহুআকবার বলে উঠে দাড়িয়ে চার রাকাত সমাপ্ত করলেন। আমি চতুর্থ বৈঠকে তাশহুদ পড়ে সিজদাহে সহুহ এর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। কিন্তু ইমাম সাহেব দেখি সেজদায় সহুহ আদায় না করেই সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করে দিলেন। আমার মনে একটু খটকা লাগলো। আবারো নিজের মতো করে চার রাকাত ফরজ সহ বাকি সালাত আদায় করে ইমাম সাহেবের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম।

উনি সালাত সেরে বের হতেই সালাম দিলাম। কুশল বিনিময় করলাম। উনি আমার বাসা কোথায় জিজ্ঞাসা করলাম। দিন চারেক আগে ওনার মা মারা গেছেন বলে শো প্রকশা করলাম। তারপরে বল্লাম হুজুর একটা বিষয় জানা দরকার ছিলো। উনি বল্লেন কি? আমি বল্লাম আজকে যে লোকমা দেয়ার পরে আপনি আবার উঠে দাড়ালেন, এক্ষেত্রে কি সিজদায় সহুহ দরকার ছিলো না? উনি বল্লেন না। যেহেতু আমি লোকমা শোনার সাথে সাথেই উঠেছি, তিন তাসবিহর অধিক সময় পর্যন্ত দেরী করি নাই, তাই এখানে সহুহ সিজদার দরকার নাই। আমি সালাম দিয়ে ফিরে চলে এলাম।

গত কাল মাগরিবের নামাজ ঐ মসজিদেই আদায় করতে গেলাম। একই ইমাম সাহেব ইমামতি শুরু করলেন। আমি দুই রাকাত নামাজ পড়ে প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ পড়ে বসে আছি, এমন সময় ইমাম সাহেব আস্সালামু আলইকুম ইয়া রহমাতুল্লাহ বলে সালাম ফিরিয়ে ফেল্লেন। সাথে সাথে সামনে বসা কিছু মোক্তাদি আল্লাহুআকবার বলে উঠে দাড়ালেন। ইমাম সাহেবও সেটা অনুসরণ করে উঠে দাড়ালেন। যখারীতি তিন রাকাত শেষ করে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ছি আর ভাবছি উনি তো আর সেজদায়ে সহুহ দেবে না, সুতরাং তাশাহুদ, দরুদে ইব্রাহিম ও দোআ মাছুরা পড়তে লাগলাম। তাশাহুদ পড়া শেষ করতে পারিনাই, দেখি ইমাম সাহেব একবার সালাম ফিরিয়ে আবার আল্লাহুআকবার বলে সেজদায় চলে গেলেন, অর্থাৎ সেজদায়ে সহুহ আদায় করলেন।

এখন ভাবছি একই ভুলে উনি দুই নিয়ম পালন করলেন। কোনটি সঠিক? শত শত মুসল্লি ওনার পিছে দাড়িয়ে নিয়মিত সালাত আদায় করছে, শত শত মানুষের সালাতের দায়িত্ব যাঁর কাঁধে, তার তো এমন করা ঠিক না, তাকে তো আরো দায়িত্বশীল হওয়া দরকার।

প্রথম দিন উনি যে ভুলটা করেছিলেন, সেদিনও তার পিছেনে তাবলিগের বড় বড় দাড়ি ওয়ালা হুজুর সহ অনেক হাজি সাহেবরাও সালাত আদায় করেছিলেন, কিন্তু কেউই এ ব্যপারে প্রশ্ন তুলেন নাই, আবার পরের দিনও অনেক দাড়ি ওয়ালা মুরুব্বি জামাতে ছিলেন, সেদিনও তারা প্রশ্ন তুলেন নাই কেন একই ভুলে দুই রকম রীতি পালন করা হলো? আমাদের এই অজ্ঞতাই আমাদেরকে পরমুখাপেক্ষি করে তোলে। হুজুরে যা করে , তা-ই ঠিক। সব দায়িত্ব হুজুরের, আমাদের কোন কিছু জানার বা বোঝার দরকার নাই। আমাদের সবারই এমন মানসিকতা পরিত্যাগ করা উচিৎ। তাহলে সবাই সবার ভুলকে শুধরিয়ে সঠিক আমলটা করতে পারবে। .....

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৪১

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: "তিন তাসবিহর অধিক সময় পর্যন্ত দেরী করি নাই, তাই এখানে সহুহ সিজদার দরকার নাই।"

দুইটা তো একই ভুল না । ইমাম সাহেব তো ঠিকই করেছেন । আপনার উচিৎ এব্যাপারে ভালো কোন আলেম এর সাথে আলোচনা করা ।

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৪২

মাথাল বলেছেন: হুজুরে যা করে , তা-ই ঠিক। সব দায়িত্ব হুজুরের, আমাদের কোন কিছু জানার বা বোঝার দরকার নাই। আমাদের সবারই এমন মানসিকতা পরিত্যাগ করা উচিৎ।

:( :( :(

কি জানি!!!

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬

জাহিদ১১মে বলেছেন: ভাই, আপনাদের এই হুজুর নামাজে এত ভুল করে কেন ? নামাজের একাগ্রতা না থাকলে সমস্যা।

৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

জহির উদদীন বলেছেন: ১। তিন তাসবিহর অধিক সময় পর্যন্ত দেরী করি নাই, তাই এখানে সহুহ সিজদার দরকার নাই।
২। ইমাম সাহেব একবার সালাম ফিরিয়ে আবার আল্লাহুআকবার বলে সেজদায় চলে গেলেন, অর্থাৎ সেজদায়ে সহুহ আদায় করলেন।

ইমাম সাহেবর দুইটাই সঠিক কাজ করেছেন....?

৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: জহির উদদীন বলেছেন: ১। তিন তাসবিহর অধিক সময় পর্যন্ত দেরী করি নাই, তাই এখানে সহুহ সিজদার দরকার নাই।
২। ইমাম সাহেব একবার সালাম ফিরিয়ে আবার আল্লাহুআকবার বলে সেজদায় চলে গেলেন, অর্থাৎ সেজদায়ে সহুহ আদায় করলেন।

ইমাম সাহেবর দুইটাই সঠিক কাজ করেছেন....?

আমার তো মনে হয় ঠিক কাজই করেছেন । উপযুক্ত আলেম এর পরামর্শ প্রয়োজন ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

আহলান বলেছেন: ইসলামি ফাউন্ডেশন কর্তৃক অনুদিত সুনান আন নাসাঈ শরীফের ২য় খন্ডের ১৮৯ নং পৃষ্ঠার হাদিস নং ১২২৫ থেকে ১২৩৪ পর্যন্ত পাঠ করলে আপনারা আপনাদের উত্তর পেয়ে যাবেন আশা করি। @ সৈয়দ মোজাদ্দাদ এবং অদ্ভুত আমি

৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬

জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: মানুষ মাত্রই ভুল হতেই পারে হুজুর নিয়ম অনুযায়ী নামাজ শেষ করে দুই সেজদা দিবেন । আমার মনে হয় লক্কর যক্কর মাক্া উনার পিছনে নামাজ না পড়া উত্তম হবে

৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

অদ্ভুত_আমি বলেছেন: নামাজের কোন ওয়াজিব বাদ পরে গেলে বা ভুল হলে সহুহ সিজদা দিতে হয়-- এটা জানতাম, কিন্তু আপনাদের ইমাম সাহেবের “তিন তাসবিহর অধিক সময় পর্যন্ত দেরী করি নাই, তাই এখানে সহুহ সিজদার দরকার নাই ” এইটা আজই প্রথম শুনলাম !!!

তবে এই ভুল দুই টা কি ওয়াজিব সংক্রান্ত ভুল ? মনে হয় না ।

জানার অপেক্ষায় থাকলাম ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

আহলান বলেছেন: ইসলামি ফাউন্ডেশন কর্তৃক অনুদিত সুনান আন নাসাঈ শরীফের ২য় খন্ডের ১৮৯ নং পৃষ্ঠার হাদিস নং ১২২৫ থেকে ১২৩৪ পর্যন্ত পাঠ করলে আপনারা আপনাদের উত্তর পেয়ে যাবেন আশা করি। @ সৈয়দ মোজাদ্দাদ এবং অদ্ভুত আমি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.