নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তিন জন ব্লগারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করে বক্তব্য লিখনের দ্বায়ে। আসুন জেনে নিই বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে অন্যের ধর্মিয় অনুভুতিতে আঘাত এর আইনি সমাধান। বাংলাদেশে প্রচলিত দন্ডবিধি আইনের ২৯৫, ২৯৫(ক) এবং ২৯৮ ধারায় এই ব্যপারে আলোচনা করা আছে। আসুন সবাই জেনে নিই ....
ধারা:২৯৫। কোন শ্রেণীবিশেষের ধর্মের প্রতি অবমাননা প্রদশর্নের উদ্দেশ্যে উপানালয়ের ক্ষতিসাধন করা বা অপবিত্র করা: যদি কোন ব্যক্তি জনগনের কোন শ্রেণীর ধর্মের প্রতি অবমাননা করার অভিপ্রায়ে উক্ত শ্রেণীর উপাসনালয় বা উক্ত শ্রেণীর ব্যক্তিবর্গ কতৃর্ক পবিত্র বলে বিবেচিত কোন বস্তু, ধ্বংস, ক্ষতিগ্রস্ত বা অপবিত্র করে, তবে উক্ত ব্যক্তি যে কোন বর্ণনার কারাদন্ডে যাহার মেয়াদ দুই বত্সর পর্যন্ত হইতে পারে বা অর্থদন্ডে বা উভয়দন্ডে দন্ডিত হইবে।
ধারা:২৯৫(ক)। কোন শ্রেণীবিশেষের ধর্ম বা ধমীর্য় বিশ্বাসকে অবমাননা করে তাহাদের অনুভূতিতে কঠোর আঘাত হানার উদ্দেশ্যে বিদ্বেষাত্মক কার্যসমূহ:
যদি কোন ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিকদের কোন শ্রেণীর ধমীর্য় অনুভূতিতে কঠোর আঘাত উদ্দেশ্যে স্বেচ্ছাকৃতভাবে ও বিদ্বেষাত্মক কথিত বা লিখিত শব্দাবলীর সাহায্য বা দৃশ্যমান কল্পমূর্তির সাহায্যে উক্ত শ্রেণীর ধর্ম বা ধমীর্য় বিশ্বাসকে অপমান করে বা করার উদ্যোগ করে,তবে উক্ত ব্যক্তি যে কোন বর্ণনার কারাদন্ডে যাহার মেয়াদ দুই বত্সর পর্যন্ত হইতে পারে বা অথর্দন্ডে বা উভয়দন্ডে দন্ডিত হইবে।
ধারা-২৯৮: ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানিবার জন্য শব্দসমুহ ইত্যাদি উচ্চারণঃ
যে ব্যক্তি, স্বেচ্ছাকৃতভাবে কোন ব্যক্তির ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানিবার অভিপ্রায়ে উক্ত ব্যক্তির শ্রুতিগোচর কোন শব্দ উচ্চারণ করে বা আওয়াজ দেয় বা উক্ত ব্যক্তির দৃষ্টিগোচর কোন অঙ্গভঙ্গী করে বা উক্ত ব্যক্তির দৃষ্টিগোচরে কোন বসবস্তু রাখে, সেই ব্যক্তি যে কোন বর্ণনার কারাদন্ডে-যাহার মেয়াদ এক বৎসর পর্যন্ত হতে পারে বা অর্থদন্ডে বা উভয়বিধ দন্ডে দন্ডিত হইবে।
বিশ্লেষণ: আলোচ্য ধারায় ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করিবার জন্য কাহাকেও শুনাইয়া ধর্ম সম্পর্কে কুৎসা জনক কোন উক্তি, বক্তব্য, ইঙ্গিত বা নির্দেশনা দন্ডনীয় বলিয়া গণ্য করা হইয়াছে। এই ধারার অপরাধের জন্য এক বৎসরের কারাদন্ড বা উভয়বিধ দন্ডে দন্ডিত করা যায়। কাহারো নিজস্ব ধর্মীয় চর্চার সমাবেশে অপরের ধর্মকে কটাক্ষ করিয়া বা গালী দিয়া বক্তব্য রাখা যায় না। এরুপ বক্তব্য রাখিলে তাহাতে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ব্যক্তিবিশেষের ধর্মীয় বিশ্বাস, অনুভুতিতে আঘাত করিলে তাহা ২৯৮ ধারানুযায়ী দন্ডনীয় বলিয়া গণ্য হইবে।
দন্ডবিধির ২৯৮ ধারার উপাদান হইতেছে;
(ক) কোন ব্যাক্তির ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করিবার সচেতন অভিপ্রায় করা হইয়াছিলো। তর্ক করিতে করিতে আকস্মাৎ কোন শব্দ উচ্চারণ করিয়া ফেলিলে এবং সেই শব্দ অন্যের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করিয়া থাকিলে তদ্বারা ২৯৮ ধারার অপরাধ হইবে না। দন্ডবিধির ২৯৮ ধারার আওতায় সেই সব উচ্চারণ বা প্রদর্শন আসে, যাহা কোন আকস্মিক অভিব্যক্তি নহে, যাহা তর্কের ঝাঁঝে বলা হয় নাই, বরং যাহা সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিত। অন্যের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করিবার অভিপ্রায় থাকিলেও যদি সে অভিপ্রায় সচেতন না হয়, তবে তদ্বারা কোন অপরাধ হইবে না।
কোন ব্যক্তির অভিপ্রায় কি ছিলো. তাহা জানিবার জন্য তাহার কাজের বা কথার দিকে তাকাইতে হয়। যে জায়গায় কোন ব্যক্তির কথা বলেন, যে ব্যক্তিতে উদ্দেশ্য করিয়া তিনি কথা বলেন এবং যে কথা গুলি বলেন, ইহার সমস্ত মিলাইয়া তাহার অভিপ্রায় নির্ণয় করিতে হয়।[এআইআর ১৯৬২ (উড়িষ্যা) ১৪৯]।
(খ) অবমাননা কোন ব্যক্তির উদ্দেশ্যে নিক্ষিপ্ত হইয়াছিলো। কোন ব্যক্তির ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করিলে তাহা ২৯৮ ধারায় অপরাধ বলিয়া গণ্য হয়। যে ব্যক্তির উদ্দেশ্যে অবমাননা নিক্ষিপ্ত হয়, সেই ব্যক্তি অবমাননাকারীর অপরিচিত হইতে পারেন।
(গ) এইরুপ নিক্ষিপ্ত অবমাননা দ্বারা কোন ব্যক্তির ধর্মীয় অনুভুতি আহত হইয়াছিলো।
প্রমাণিতব্য বিষয়ঃ
(১) আসামী কোন শব্দ উচ্চারণ করিয়াছিলো কিংবা কোন আওয়াজ করিয়াছিলো কিংবা কোন অঙ্গভঙ্গী করিয়াছিলো কিংবা কোন বস্তু রাখিয়াছিলো।
(২) সে ইচ্ছাকৃতভাবে উহা করিয়াছিলো।
(৩) আসামীর ইচ্ছা সচেতন ও উদ্দেশ্যপ্রবণ ছিলো।
(৪) কোন ব্যক্তির ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করিবার সচেতন ইচ্ছামুলে আসামী উহা করিয়াছিলো।
কোন জনগোষ্ঠির ধর্মীয় বিশ্বাস বা অনুভুতিকে আহত করিবার কুমতলবে জানিয়া শুনিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে কটাক্ষ করিলে এই ধারানুযায়ী দন্ডনীয় হইবে। আসামীর অভিপ্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হইলেও তাহা এই ক্ষেত্রে প্রমাণ করা কষ্টসাধ্য [এইআইআর ১৯৬৩; (উড়িষ্যা),২৩, চক্র বিহারী গং বনাম বালকৃষ্ণ মহাপাত্র]
যেখানে কোন মুসলমানের বিরুদ্ধে গরু জবেহ করিবার অপরাধে দন্ড দেওয়া হয় কিন্তু দেখা যায় যে গরু জবেহ করিবার পিছনে অন্য কাহারো ধর্মীয় অনুভুতিকে হেয় বা খর্ব করিবার অভিপ্রায় ছিলো না। সে কারণে দন্ডবিধির ২৯৮ ধারানুযায়ী প্রদত্ত দন্ড বহাল থাকিতে পারে না। [এআইআর ১৯৪২(পাটনা) ৪৭১; শেখ আমজাদ গং বনাম সম্রাট।]
এই ধারা অপরাধ আমলযোগ্য নহে। সমনযোগ্য। জামিনযোগ্য। আপোষযোগ্য নহে। যে কোন ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য।
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৩৯
অভি৯১৭৫ বলেছেন: নতুন কিছু জানতে পারলাম। পোস্টে প্লাস।
অফটপিকঃ সংবিধানের ভাষা এমন কাঠ খোট্টা কেন??
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৮
আমি বাঁধনহারা বলেছেন:
অনেক কিছু জানা হল:শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
+++++++++++++
ভালো থাকবেন
মনে রাখবেন!!!