নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওল্ড ইজ গোল্ড বা যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ ....... মাথার উপর দিয়ে গেলে আমার দোষ নাই।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

ছোট বেলা মানে স্কুল জীবনে সবাই এক রকম ড্রেস অর্থাৎ স্কুল ইউনিফর্ম পরে ক্লাস করতাম। একবার এক বন্ধু আমাকে প্রশ্ন করলো আচ্ছা বলতো আমরা সবাই কেন একই রকম পোশাক পরে স্কুলে আসি? আমি চিন্তা করে বল্লাম সবাইকে এক রকম ড্রেসে সুন্দর লাগে তাই। সে বল্লো না। আমি বল্লাম ডিসিপ্লিনের জন্য? সে বল্লো না। আমি বল্লাম তাহলে তুই বল, কেন সবাইকে একই রকম ড্রেস পরে আসতে হয়? সে যেটা বল্লো সে সম্পর্কে আমার কোন চিন্তাই ছিলো না। সে বল্লো ধনী গরিব সবাই যেনো পরস্পরকে নিজের মতো করে জানতে ও বুঝতে পারে, এই সাম্য শিক্ষা দেয়ার জন্যই স্কুলে সবাইকে একই পোশাক বা ড্রেস পরে আসতে হয়। আমি বল্লাম ধ্যুর! এটা কোন যুক্তি হলো? সে বল্লো দেখ, তোর যদি অনেক দামী দামী জামা কাপড় থাকে আর তা তুই খেয়াল খুশি মতো স্কুলে পরে আসিস,তাহলে তুই সবার সাথে মিশতে পারবি না, আর তোর সাথেও সবাই মিশবে না। ঠিক কিনা? আমি বল্লাম তা মনে হয় ঠিক। সে বেশ বুঝেন্দার হাসি দিয়ে বল্লো, তাহলে বল, আমি যা বল্লাম তা ঠিক কিনা? আমি আর তার সাথে যুক্তি তর্কে গেলাম না।

কথা গুলো মনে পড়লো হঠাৎ করেই। আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন আমাদের বাবা মা অনেক শান্তিতে ছিলেন, তারা প্রকৃতই অনেক সুখে ছিলেন। কারণ তাদেরকে আমাদের মতো পহেলা বৈশাখে, পহেলা ফাল্গুনে, ভ্যালেন্টাইস ডে উপলক্ষ্যে বাড়তি খরচের বোঝা বহন করতে হতো না। আমরা এক ঈদে,( বড় জোর দুই ঈদে) কিছু নতুন কাপড় চোপড় পেলেই খুশিতে বাগ বাকুম হয়ে যেতাম। হাত খরচ বাবদ ৫ টাকা ১০ টাকা পেলেই নিজেকে বহুত কামিল বলে মনে হতো। কিন্তু এখন? হাত খরচই শুধু না, এসব পালি পর্বনে নতুন নতুন হাল ফ্যাশানের জামা কাপড় সহ নামি দামি মডেলের মোবাইল ফোন হাতে না থাকলে আমাদের ছেলে মেয়দেরে জাতই থাকছে না। তারা মিশতে পারছে না পাশের কোন প্রতিবেশীর সাথে। হিনমন্যতায় ভুগতে ভুগতে শুকিয়ে যায় তারা। আয় হায়! তুই পহেলা বৈশাখের নতুন জামা পরস নাই? ছি ছি, তুই এই পুরান ধুতি কোন দাদার গা থেকে খুলে আনলি? ইত্যসব মন্তব্যের গ্লানি বহন করতে অপরাগ আমাদের এই প্রজন্মের সন্তানেরা। কিন্তু এইটুকু চিন্তা করে না বা করতে পারে না যে এই বাড়তি খরচের বোঝা তার বাবা মা কোথা থেকে দেবেন?

আজকাল নাটক বা টেলিফিল্মেও নেই ম্যধবিত্তের টানাপোড়নের কথা। সেখানেও নামি দামি মোবাইল ফোন, চকচকে ফ্ল্যাট, নিউ মডেলের গাড়ি আর পার্লারে সেজে থাকা ডলদেরে জয়জয়কার অবস্থান। এসব দেখে বর্তমান প্রজন্ম নামি দামি সেট ব্যবহার, চকচকে ফ্ল্যাট আর ঝা চকচকে গাড়ি সহ ডলদের নিয়ে বিলাস বহুল জীবন যাপনের স্বপ্নে বিভোর। কোথায় বিবেক, কোথায় নৈতিকতা বা হালাল হারামের চিন্তার খোরাক?



একারণেই লোকে বলে যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ, বা ওল্ড ইজ গোল্ড .......

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫

রাইসুল সাগর বলেছেন: বিবেক আর নৈতিকতা গর্তে ঢুকে গেছে। X((

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২০

আহলান বলেছেন: ঠিক বলেছেন .....

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৬

আরিফ নাওগাঁ বলেছেন: শুরুদিকে এটা শুধু ঢাকা বেস ছিল । কিন্তু দিন দিন এটা গ্রামে ছড়িয়ে পরছে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

আহলান বলেছেন: বাতাসে মিশে যাচ্ছে , ছড়িয়ে পড়ছে পাড়ায় মহল্লায় সর্বত্র ....

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:২৯

তুহিন সরকার বলেছেন: বাস্তবতা মেনে চলতে হয়, আক্ষেপের কিছু নেই...............
শুভকামনা রইল।

৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৫২

বাঘ মামা বলেছেন: হুম ভালো বলেছেন,আমাদের দেশে এই এই অর্থনৈতিক এই বৈষম্য গুলো আমাদের অনেক বেশি পিছিয়ে দিচ্ছে।

স্কুল ড্রেস নিয়ে এক সময় আসলে এমন সমস্যা গুলো ছিলো,আমার মনে আছে আমার আপুকে এসব নিয়ে অনেক আবদার আম্মুকে পুরণ করতে হতো যা একজন সরকারি চাকুরী জীবির পক্ষে সব সময় সম্ভব হতোনা,পরে যখন স্কুল ড্রেসের প্রচলন আসলো বলা চলে পরিবার গুলো একটা বিশাল সমস্যা থেকে রেহাই ফেলো।

আমার মনে হয়না যে আমাদের দেশের মত আর কোন দেশ এতটা একে অন্যের প্রতিযোগীতায় পড়ে।সব সময় যেন চলতি পথে একে অন্যের দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছে,কে কি পড়লো,কারকি গাড়ির মডেল,কার বাড়িটি কোন রংএর কিংবা ফিটিংস গুলো কোন দেশ থেকে এনেছে,ইত্যাদি ইত্যাদি।

আর এসব নিয়ে বেশি বিপাকে পড়ে নারীরা।কিছু কিছু নারী গহনার অবস্থা দেখলেতও আমার মনে হয় আস্ত আমীন জুয়েলার্র এখন ভ্রাম্যমান শোর রুমে রুপান্তরিত হয়ে গেছে।গায়ের শাড়িটি কোথা থেকে আসলো কত দাম হাঁকলো এমন গল্প ছাড়া আজকার যেন কোন গ্লপই নেই।এর মধ্যে হাজির হলো ষ্টার প্লাস সহ আরো কিছু বিলাষি টিভি নাটক,ওদের নাটক জমিদারি অবস্থা দেখলে মনে হয় গুজরাট নামে কোন এলাকা ভারতে নেই,সেটা হেটে হেটে নেপাল চলে গেছে।আর ঐ নাটকের সংলাপের প্রতি কোন নারীর বিশেষ নজর আছে বলে আমার মনে হয়না,তারা শুধু দেখে কে কোন শাড়ি বা গহনা সহ অন্যান্য সাজুগুজুর বিষয় গুলো গুলোর আপডেট ভার্সন জানাই যেন মুখ্য উদ্দেশ্য।

সে যাইহোক নারীরা আমাদের দেশে একটু বেশি বিপদে পরছে এমন বৈষম্য বিলাসীতা নিয়ে।খুব অল্পতেই তারা অন্যের সাথে প্রতিযোগীতায় পড়ে হীনমন্যতায় ভুগেন বেশি।

আমার এক ফ্রেন্ড এর সাথে আমার গুলশানে দেখা,তার বাচ্ছা স্কলাস্টিকায় পড়ে।৪বছরের একটা বাচ্ছাকে তার ওয়াইফ এক্স করলা একটি গাড়ী করে আনা নেয়া করতেন,আজকে দেখলাম আমার বন্ধু নিজেই তা করছেন,জানতে চাইলে বললো তোর ভাবি আর আসবেনা স্কুলে তাকে নিয়ে,কারণ জানতে চাইলে বললো,আমার ছেলে নাকি তাকে লজ্জায় ফেলেছে গতকাল,ছেলে নাকি আমার এই গাড়িতে না উঠে আরেক ভাবির প্রাডো গাড়িতে উঠে বসে আছে বললো এই গাড়িটি ভালো সে এটা করে বাসায় যাবে,তা দেখে তোর ভাবি লজ্জায় পড়ে গেছে,এখন প্রাডো না হলে সে আর বাচ্ছা নিয়ে স্কুলে আসবেনা।তাই গাড়ি কেনা পর্যন্ত আমাকেই আসতে হবে।
এই হলো আমাদের প্রতিযোগীতায় পড়ার সহজ কারণ গুলোর মধ্যে একটা।

কথা গুলো অপ্রাসঙ্গীক কিনা জানিনা,তবে মাঝে মাঝে খুব মন খারাপ হয়ে যায় যখন প্রতিনিয়ত প্রতিযোগীতায় দৌড়াতে হয় আমাদের,একটু পিছিয়ে পড়েল মনে হয় যেন ধাক্কা দিয়ে রাস্তার বাইরে ফেলে দেবে,কে চায় পড়ে যেতে তাইনা,শুরু হয় ছুটাছুটি,একদিন হার্ট এটাক।এম্বুলেন্স আসার আগেই পৃথিবী ছাড়া।

সবার জন্য শুভ কামনা,

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৪

আহলান বলেছেন: প্রাডো নিয়ে ঘটনাটা বর্ণনা করলেন, তা আসলেই মারাত্মক। আমরা কোথায় নিয়ে ঠেকাচ্ছি আমাদের প্রজন্মকে ... ... পায়ে হেটেই কতজনকে চলতে হচ্ছে, সেখানে প্রাডো কোন ছার! অনেক বড় মন্তব্য করার জন্য আপানাকে স্পেশাল ধন্যবাদ ....

৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৯

মুহিব বলেছেন: এইটা একটা চিন্তার বিষয়। হয়ত অন্যের চকচকে মোবাইল দেখে যেন অন্যরা মন খারাপ না করে সেই শিক্ষা নিয়ে ভাবতে হবে।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫২

আহলান বলেছেন: হ, ঠিক বলছেন। চকচকে মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করতে হবে ...! কি বলেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.