নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

উনি তো নেয় নাই, আমাদের কি!! (ঈদ শপিঙের ছোট্ট গল্প)

২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬

গতকাল বউ বল্লো চলো না একটু শপিং এ যাই। জিনিসি পত্রের দাম তো ধীরে ধীরে বেড়ে যাচ্ছে। বল্লাম বটে! তো চলো যাই। সে অবশ্য এর আগেই কয়েকটা ড্রেস চয়েজ করে এসেছে অর্থাৎ ছিপ ফেলে এসেছে। এখন আমাকে দিয়ে মাছটা তোলাবে আর কি! ;)

গেলাম বউয়ের সাথে এই দোকান ঐ দোকান ঘুরে ঘুরে বউয়ের শর্ট লিস্টেড ক্যান্ডিডেট মানে পছন্দ করে রাখা পোশাক গুলো দেখা হয়ে গেলো। সেগুলো বাদে ঢুকলাম আরেক দোকানে। দোকানী ভদ্র মহিলা কয়েকটি ক্যাটালগের বই বের করে দিলো। আমি একবার তাকিয়ে মনে মনে বল্লাম ঐ ক্যাটালগ দেখতে হলে তো সন্ধ্যার পরে আসা দরকার, কারণ চোখেরও তো রোজা আছে! যেমন পোজ আর মোশ্যানে মডেলগুলো ছবি তুলেছে তার দিকে তাকালে রোজা হালকা হতে হতে একসময় নাই হয়ে যাওয়ার যোগাড় হবে। ;)



তারপরেও কিছু তো করার নাই, যতদূর সম্ভব চোখের দৃষ্টিকে সেন্সর করে পোশাক পছন্দ করতে সাহায্য করলাম। একটি জামা তার মনে বেশ ধরেছে বোঝা গেলো, কিন্তু দাম বেশী লাগছে বলে ঠিক প্রকাশ করছে না। বার বার ঘুরে ফিরে ঐ পোশাকটাই সে নেড়ে চেয়ে দেখছে। আমি বেচারীর মন বুঝতে পেরে দোকানী মহিলাকে বল্লাম কত হলে আপনি এটা দিতে পারবেন। তিনি বল্লেন ৪০০০ এর নিচে পারবো না। আমার বউ ফুস করে বলে বসলো ৩০০০ এ দিবেন? দোকানী বল্লো না, কম হবে না। :(



মনটা একটু খারাপ করে বের হয়ে এলাম দোকান থেকে। পাশে দাড়িয়ে ডিসিশান নিচ্ছি কি করবো। বউ বল্লো ভালোই হয়েছে, ওতো দাম দিয়ে কেনার কি দরকার? এর চেয়ে ঐ দামে দুটো সুতির জামা হবে, চলো প্রথম দোকানেই যাই, ওখানে একটু কম দামের ঐ জামাটা নিয়ে যাই। আমি হ্যা না কিছু বল্লাম না। বল্লাম ভেবে দেখো কি করবা। |-) এমন আমতা আমতা করছি, এমন সময় ঐ দেকানী মহিলার সহকারী এসে বল্লো, আপা আসেন ড্রেসটা নিয়ে যান। :D আমি আর আমার বউ একটু চোখাচাখী করলাম। বউ তো লাফ দিয়ে লাফ দিয়ে ঐ দোকানের দিকে চল্লো। আমিও গেলাম। :)



দোকানী মহিলা বল্লো ভাই এসব ড্রেসের দাম তো বেশী, তো আর ২০০ টাকা দিয়ে নিয়ে যান। আমিও অতটা শক্ত হলাম না, যে যাক ২০০ টাকার জন্য আর কথা বাড়ানোর দরকার নাই। দাম চুকাতে যাব পকেটে দেখি টাকা নাই। আমার বউও আমার ভরসায় টাকা না নিয়েই বাসা থেকে এসেছে। :((



সমস্যা নাই, পাশের বিল্ডিঙেই ছিলো এটিএম বুথ, আমার পকেটে ছিলো ডেবিট কার্ড। বউকে দোকানে দাড় করিয়ে রেখে চলে গেলাম মেশিন থেকে টাকা তুলতে। ৫ মিনিট পর ফিরে এসে দোকানী মহিলাকে ৩৫০০ টাকা দিলাম এই ভেবে যে উনি আমাকে ৩০০ ফেরত দেবে। দেকানী টাকা গুনে নিয়ে বলে কি আয় হায় কি করছেন? আমিও ঘাবড়ে গিয়ে চোখ কপালে তুলে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে? :( উনি হাসি দিয়ে বল্লেন ৫০০ টাকা তো বেশী দিয়ে ফেলছেন!! :-* আমি চোখ কপালে তোলা রেখেই বউয়ের দিকে মুচকি হাসি দিয়ে বল্লাম ও তাই ... দেখি দেখি ...ওহ তাই তো... হ্যা হ্যা ৫০০ টাকা বেশী চলে গিয়েছে বলে হাত বাড়াতেই উনি আমাকে ৫০০ টাকা ফেরৎ দিলেন। :P :P :P

আমিও আমার বউকে নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে আসলাম। দুজনেই ফিক ফিক করে হাসছি আর পরস্পরের দিকে তাকাচ্ছি। ;) B-) :D কারণ আমরা দুজন কেন হাসছি সেটা দুজনেই জানি। পরে আমি আমার বউকে বল্লাম, দিয়ে আসবো নাকি ২০০ টাকা! বউ বল্লো ক্যান? তুমি তো দিছিলাই, উনিই তো নেয় নাই , আমাদের কি? ...... :-B :D :) :D =p~ =p~

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

:| :| :|

২| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: এরা লাভ করে ১০০- ২০০% , ৩০০০ এ তার কেনা ৭০০ থেকে ১০০০ সুতরা আপনার কাছ থেকে নিয়ে তারটা পুষিয়ে গেছে, সেজন্যই অতো খেয়াল করে নাই। আপনার কোন দুষ নাই।

২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

আহলান বলেছেন: ঠিকই বলছেন ... লাভ না করলে কি আর ছাড়তো ....

৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫

দি সুফি বলেছেন: লাভ না করলে ছাড়ত না, কিন্তু তারপরও ২০০ টাকা দিয়ে আশা উচিত। নয়ত দায়ী থেকে যাবেন!

২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১২

আহলান বলেছেন: আপনি হয়তো ঠিকই বলেছেন ....

৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৮

মামুন রশিদ বলেছেন: জামাটা কিনতে পেরে ভাবী খুব খুশি, বিক্রি করতে পেরে দোকানদারও খুশি । আর শেষে আপনার দুশো টাকা বেঁচে যাওয়ায় আপনিও খুশি । হে হে ;)

২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

আহলান বলেছেন: খুশি হয়েছি ..তবে একটু কেমন কেমন কনফিউস্ড ......;)

৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭

বটের ফল বলেছেন: দোকানি যতই লাভ করুক তা আপনার সম্মতিতেই করছে। সুতরাং টাকাটা দিয়ে আসা উচিৎ বলে আমি মনে করি। অন্ততপক্ষে তাকে বলা যেত কথাটা।

যাই হোক , ভালো থাকবেন।

২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪

আহলান বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ... ব্যপারটা আসলে উভয় পক্ষ থেকেই যেনো কেমন হয়ে গেলো .... দোকানীকে কেউ সেধে বেশী দাম দিবে না .... আবার দোকানীও ক্রেতার থেকে অতিরিক্ত মুনাফা করবে না .... বিষয়টা আসলে কেমন যেনো অনিয়মিত একটা ব্যপার হয়ে গেছে ..... আবার এখন যে সেধে দিয়ে আসব সেটাও অতি মহত্ব বলে মনে হচ্ছে .....

৬| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: সে খুশি, ও খুশি, আমিও খুশি. . . =p~ =p~ =p~
শুধু শুধু ২০০টাকাতে রাজি না হলেও পারতেন। এরা গলায় পিস্তল ঠেকায়ে টাকা না নিতে পেরে নাহায়েত লোক লজ্জার ভয়ে দোকান দিয়ে বসে। দাম যদি হয় ১০০টাকা তারা চাইবে ৪০০টাকা। আপনি অর্ধেক বললেও তাদের লাভ থাকবে। তারপরেও বলবে ৫০টা টাকা বাড়াই দিয়েন না হলে লাভ হবে না। মানে আপনি তখন ৫০টাকা দিতে রাজি হলেন। হাইজেকারদের কায়দায় বললেঃ আর কিছু নাইতো যদি পরে পাই তাইলে কইলাম খবর আছে। আরে বাপ যদি লাভ ই না থাকে তাহলে তুমি যে দাম চাইলা তার অর্ধেক দাম বললেও কেন সেই কাস্টমাররে আবার ফিরা ডাকো? কাস্টমার কি তোমার আত্নীয় লাগে নাকি? ব্যবসা করলে লাভ করতেই হবে তাই বলে হাইজেকিং টাইপ বা জুলুমকারী ব্যবসায়ীদের কপালে এমনটাইপ ধোকা থাকবেই।

২২ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫

আহলান বলেছেন: ;)

৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১০

শায়মা বলেছেন: ঠিক ই আছে ভাইয়া ......

ওরা কি রকম ঠকবাজ তাইলে বুঝো......


নিজেই ২০০ টাকা বেশী চেয়ে নিজেই ভুলে গেছে।


কারন এতটাই লাভ করেছেন যে নিজেরই মনে নাই কত ঠকাচ্ছেন।


একদম ঠিক হয়েছে।

যার কাছে যেমন পায় যার মন যেমন গলায় তেমনেই নেয়।


কিছুদিন আগে গাউসিা মার্কেটে গিয়ে আমি তো অবাক আমাদের এইদিকে যেই থ্রিপিস ৪০০০ সেটা সেখানে ২৫০০ বা ৩০০০ আমি তো খুশীতে বাকুম বাকুম। একটু পর দোকানের বাইরে দেখি সেইম জামাই ২০০০ বা ১৮০০:(

২২ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

আহলান বলেছেন: বাকুম বাকুম ... শব্দটা হাসতে বধ্য করলো ..আপুনি

৮| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: এই কেনাকাটা যে কি কাজ! একটু বলি আপনাকে হয়ত জানেন তাও অন্যদের যদি একটু কাজে আসে....
ধানমন্ডি হকার্স থেকে আমার এক বান্ধবী জামদানী শাড়ী কিনেছে কিচুদিন আগে...১৪০০০ দাম চেয়েছে বান্ধবী বলেছে ২০০০ সেই শাড়ী পরে ৪৫০০ দিয়ে এনেছে। আমি একটা জুটকাতান কিনেছি ৬৫০০ চেয়েছে ২২০০ দিয়ে নিয়ে এসেছি !! যে না জানবে সেতো এত দাম করতে পারবেন না....কি পরিমান লাভ করে ওরা !!

২২ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

আহলান বলেছেন: সেটাই ...ছুরির উল্টো পিঠ অর্থাৎ যে দিকে ধার থাকে না, সেই দিক দিয়ে জবাই করে ....

২২ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

আহলান বলেছেন: তবে আপনার মতো আমারও কিছু অভিজ্ঞতা আছে ৫০০০ টাকার শাড়ী ২ থেকে ২.৫ হাজারের মধ্যে কিনেছি গত বার ...তাহলে চিন্তা করেন সে কত পার্সেন্ট দাম বেশী চায়? ২.৫ হাজারে বিক্রির পরেও তার লাভ থাকে ....

৯| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

শায়মা বলেছেন: নীলুমনি নেক্সট টাইম আমি তোমার সাথে যাবো!!:(


আমি তো সেদিন থেকে কাঁদতে কাঁদতে শেষ!!! আহারে আরো দুইটা জামা কেনা যেত!!:(


আরও শোনো আমি গুলশান পিনক সিটি থেকে যে জামা ৩০০০ টাকায় কিনেছি গাউসিয়া গিয়ে দেখি ৬০০ টাকা!!!!


বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা করিনি সেই রক্ষা।:(

২২ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

আহলান বলেছেন: একবার কক্সবাজার যাবো বলে সিলভার রেইন থেকে ৭৫০ টাকা দিয়ে একটি হাফ হাতা হাওয়াই শার্ট কিনলাম। বার্মিজ মার্কেটে আচার আর শুঁটকি কিনতে গিয়ে দেখি ঠিক ওরকম একটি শার্ট দোকানে ঝুলছে। এখানে দাম অনেক বেশী হবে এই ভেবে কৌতুহল বশে শার্টটির কাছে গিয়ে প্রাইস ট্যাগে নজর বুলালাম।দেখি ৩৫০ টাকা লেখা .... :( :( আস্তে করে সরে এলাম ......

১০| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

শায়মা বলেছেন: হা হা তুমিও দুইটা কিনতে পারতে ভাইয়া!!!!!!!!!


হা হা হা বুঝো তাইলে ঠকাঠকিতে কোনো দোষ নাই!!!!


আমরা সবাই ঠকি আমাদেরই দোকানদারদের রাজত্বে
নইলে মোদের ঈদের মজা হবে কি করে ????:P

১১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: @ শায়মা আপু, ভাল ভাল শপিংমল থেকে শপিং করলে এরকমই হবে বুজলে? ;) ভাল মলে যাবে ঘুরতে আর শপিং করবে পঁচা পঁচা গুলো থেকে। ;) :P

আমি আমার ফ্রেন্ডের কাছ থেকে একটু একটু শিখছি, তোমাকে নিয়েও শিখবোনে :)

১২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমি কোনদিন দামাদামি করতে পারি না। দোকানে গেলেই আমার চেহারা এমন করুণ হয়ে যায়, মনে হয় কেঁদেই দিবো। আর দোকানদারতো তখন সুযোগ পেয়েই যায় ইচ্ছা মত ঠকানোর! :(
ভাল হইসে টাকা দেন নাই। উচিত শিক্ষা হইসে।

২৭ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৩

আহলান বলেছেন: ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.