নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে কোন কিছু বলার নেই। আদালত তার নিজস্ব গতিতে চলে। আইন কানুন সাক্ষী সাবুদ বিধি বিধান অনুযায়ী আদালত তার বিচারিক কার্যক্রম সম্মপন্ন করে থাকে।
আদলতের সিম্বলই হচ্ছে একজন নারী যার চোখ বাঁধা, হাতে ন্যায় বিচারের পাল্লা। সে অন্ধ বা চোখ বাধা এই কারণেই যে বিচারটি যেনো পক্ষপাত দুষ্ট না হয়। আর এই আদালতের ন্যয়বিচার প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করেন জ্ঞ্যানী বা লার্নেড আইনজীবীগন।
একটি মামলার প্রধাণত দুটি পক্ষ থাকে। বাদি (যিনি ন্যায় বিচার পাওয়ার লক্ষ্যে মামলাটি আদালতে দায়ের করেন) এবং বিবাদি (যার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়)। এই দুই পক্ষেই দুজন আইনজীবী থাকেন, যারা তাদের মক্কেল কর্তৃক নিযুক্ত হন এবং নিজ নিজ মক্কেলের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আদালত উভয় পক্ষের যুক্তি তর্ক শুনে বুঝে তার কাছে আইনানুযায়ী যেটাকে সঠিক বলে বিবেচিত হয়, সেটিকেই তিনি আইনের নির্ধারিত পদ্ধতিতে তার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। এটাকেই রায় ডিক্রি বা অর্ডার বলা হয়। (আইনে রায় ডিক্রি অর্ডারের আলাদা সংগা আছে)।
সুতরাং আইনজীবীদের কাজটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ, সূক্ষ এবং খুবই জটিল। কারণ তার উপস্থাপন করা যুক্তি প্রমানের উপরেই নির্ভর করে একজনের ন্যায় বিচার প্রাপ্তি।
দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন - এই কথাটির বাস্তব রুপ প্রদানের ক্সেত্রে আইনের সঠিক প্রয়োগ যে অপরিসিম গুরুত্ব বহন করে, তা যে কোন শিক্ষিত লোক মাত্রই স্বিকার করবেন। যে দেশের আইন যত সঠিক ভাবে প্রয়োগ হয়, সেই দেশের মানুষ তত শান্তি শৃঙ্খলার মধ্যে থাকে। সুতরাং দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বাজায়ে রাখার জন্য এবং মানুষকে ন্যায়বিচার প্রপ্তিতে সহায়তা করার জন্য আদালতে আইসজীবীর ভুমিকা অনিস্বিকার্য।
কিন্তু দেশের আইন শিক্ষা গ্রহণের যে দৃশ্য আমরা দেখি তা কিন্তু মোটেও সুখকর নয়। একজন ভালো যোগ্যতা সম্পন্ন প্রকৌশলী না হলে যেমন ভালো নির্মান হয় না, একজন ভালো যোগ্যতাসম্পন্ন ডাক্তার না হলে যেমন রোগের চিকিৎসা হয় না, ঠিক তেমনি ভালো যোগ্যতা সম্পন্ন আইনজীবী তৈরী না করতে পারলে, সেই সমাজ থেকে ন্যায়বিচারও আশা করা যায় না।
এই দেশে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে গেলে যে যোগ্যতা লাগে, আইনজীবী হতে তার কানাকড়ি যোগ্যতাও লাগে না। দেশের কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে অনার্স মাষ্টার্স করার সুযোগ রয়েছে। সেখানে আইনে পড়াশুনা করতে গেলে কিছুটা যোগ্যতার পরিচয় দিতে হয়। প্রতিযোগিতা করে টিকতে হয়। এছাড়া আইনে স্নাতক ডিগ্রী নিতে গেলে বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে অনার্স মাষ্টার্স করতে চাইলে কোন যোগ্যতারই প্রয়োজন নেই। শুধু টেনে টুনে ডিগ্রী পাশ করতে পারলেই আইনের নৈশ কলেজে ভর্তি হতে পারলেই হলো। আইনজীবী হতে আর ঠেকায় কে?
এই দেশে তাই একটি কথা প্রচলিত আছে। যার নাই কোন গতি সেই পড়ে ওকালতি। সস্তায় এতো দামী ডিগ্রী আর বোধ হয় কোথাও পাওয়া যায় না ....
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৬
আহলান বলেছেন: তাউ ঠিক ...
২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২১
খেলাঘর বলেছেন:
আসলে বাংলাদেশে ওকালতি পড়া মানে, আদালতে মিথ্যা বলার কৌশল শেখা।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬
আহলান বলেছেন: টোট্যাল ব্যবস্থাটা ঠিক সেরকম না, তবে এমন বিষয়টি বেশী উঠে আসে ....
৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২০
মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: একমত হতে পারলাম না
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৪
আহলান বলেছেন: কেন ... ণৈশ আইন কলেজের স্টুডেন্ট, তাই?
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২০
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: হুম! কিছু বললেও বিপদ! মামলা হয়ে যেতে পারে