নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সারশ আর শিয়ালের গল্প .... সংলাপ যেনো এমন না হয়!!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

অনেক বছর আগের কথা। তখন মায়ের কোলে শুযে বসে কত নানা রকম গল্প শুনতাম। গল্প বলে বলে মা দুধ ভাত খাওয়াতেন। মন্ত্র মুগ্ধের মতো মায়ের সেই গল্প শরবতের মতো গিলতাম। সেই সব গল্প হতে অনেকদিন পর আজ হঠাৎ একটি গল্প মনে পড়ে গেলো। হযতো গল্পটা অনেকেরই জানা, আবার অনেকে নাও জানতে পারেন। এই গল্পটির কাহিনীর সাথে বাস্তবে আমাদের দেশের বৃহৎ দুটি দলের আচরনের বেশ মিল খুজে পাই। তাই গল্পটি সবার সাথে শেয়ার করতে মন চাইলো।
শেয়াল আর সারশ পাখির গল্পঃ



এক বনে ছিলো একটি শেয়াল আর একটি শারস পাখি। একদিন শেয়াল শারস পাখিকে বল্লো- এই যে শারস পাখি! কত দিন আমরা এই বনে বিচরণ করছি, কিন্তু তুমি তো কোন দিনই আমাকে তোমার বাড়িতে দাওয়াত করলে না? তখন শারস বল্লো, হ্যারে শিয়াল ভাই! তুমি ঠিকই বলেছ। তা তুমি তো শিয়াল পন্ডিত। একদিন তোমার বাড়িতেই না হয় ভোজের ব্যবস্থা করতে! আমি তো আগ বাড়িয়ে তোমার মতো গন্য মান্য ব্যক্তিকে আমার গরীব ঘরে ডাকতে পারি না। তখন শেয়াল বল্লো, ঠিক আছে , ঠিক আছে!! গত কালই আমি নাদুস নুদুস একটি খরগোশ ধরেছি। তুমি আগামী কালই আমার বাসায় চলে এসো, কেমন! সারশ তো মহা খুশি। যে রাজী হয়ে গেলো। পরের দিন দুপুরে সে গেলো শিয়ালের ডেরায়। শিয়াল সারশ পাখিকে ডেকে উষ্ঞ অভ্যার্থণা জানিয়ে তার ডেরায় নিয়ে বসালো। তারপর তার সামনে দিলো একটি বড় থালা, সেই থালার উপরে দিলো ঘরগোশের স্যুপ!! আহ সেকি সুন্দর বাসনা। সারশের তো খুব লোভ হলো। কিন্তু শিয়াল মনে মনে হাসে আর বলে, এতো কষ্ট করে খরগোশ ধরলাম আমি, আর সেই খাবারে ভাগ বসাবে তুমি! তা কি করে হয়!! এখন এই প্লেটে তুমি কিভাবে স্যুপ খাও, তাই আমি দেখবো!! শারস করুণ চোখে শিয়ালের দিকে তাকিয়ে বল্লো, শিয়াল ভায়া শিয়াল ভায়া!! আমার তো অনেক লম্বা ঠোঁট, আমি তো তোমার এই থালা থেকে স্যুপ ঠুকরে খেতে পারছি না, তুমি একটি জগে করে আমাকে স্যুপটা দিতে পারতে! আমি ঠোঁট চুবিয়ে স্যুপ খেতাম। শিয়াল তখন দুঃখ পাওয়ার বান করে বল্লো, আহাহাহ! শারস !! তোমাকে আর কি বলি বলো? এই প্লেট ছাড়া আমার আর কোন পাত্রই নেই, এই দেখো না আমি কেমন জিভ দিয়ে স্যুপ চেটে খাই ...বলে শেয়াল চকাস চকাস করে দুই চাটা দিয়ে তার সব স্যুপ শেষ করে ফেল্লো। শারস আর কি করে? শেয়াল তো দাওয়াত দিয়েছে, খেতেও দিয়েছে, এখন সে যদি তার ঠোঁটের জন্য তা না খেতে পারে তাহলে এটা তো শেয়ালের দোষ নয়! সে মন খারাপ করে বাড়ি ফিরলো এবং দিন দুয়েক পর নিয়ম অনুযায়ী শেয়ালকে তার বাড়িতে নিমন্তন্ন করে এলো। শারসকে বোকা বানাতে এবং শারসের ঘরে দাওয়াত নিতে পেরে শেয়াল তো মহা খুশি।

দিন দুই পর শেয়াল গেলো শারসের বাড়ি। শারস শিয়ালকে অনেক সমাদর করে তার নীড়ে বসতে দিলো। সারশ সেদিন ইয়া বড় বড় চিংড়ি আর কাঁকড়া ধরেছিলো। এমন সুস্বাদু খাবারের লোভে শিয়ালের জিহ্বা লক লক করতে লাগলো। কিন্তু লোভ করলেই তো আর খাওয়া যায় না, কারণ শারস সেদিন শিয়ালকে একটি গলা চিকন কলসিতে করে তা খেতে দিলো। এমন কলসি, যার ভিতরে শেয়ালের মুখটা শুধু ঢোকে, কিন্তু মাথা ঢোকে না, সে খাবার চোখে দেখতে পারে, কিন্তু তা তার জিহ্বার নাগালের বাইরে!! শারস মনে মনে বলে কি পন্ডিত শেয়াল!! নিজেকে খুব চালাক মনে করে দাওয়াত দেয়া নেয়া করেছিলে না!! এখন খাও ...কেমন খেতে পার! শেয়ালের ঐ করুণ চেহারা দেখে শারশ বল্লো, আহা! শেয়াল ভায়া খাও না, এই যে দেখো আমি কেমন কলশির মধ্যে লম্বা ঠোঁটটা ঢুকিয়ে কেমন মচ মচ করে চিংড়ি আর কাঁকড়া খাই .... বলে শারস পাখি তার খাবার গুলো সব সাবাড় করে ফেল্লো ...শেয়াল ক্ষুধার্ত পেট আর ভগ্ন হৃদয় নিয়ে নিজের বাড়ি ফিরলো।

সংলাপ যেনো এমন না হয় ........... :P:P:P:P:P

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.