নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাদিস বর্ণনার ক্ষেত্রে সমসায়িক একটি লক্ষনীয় বিষয় ......

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩১

ইদানিং ফেসবুকে নতুন এক ধরণের পরিবেশনা বেশ লক্ষনীয়। সেটা হলো বেশ বড় বড় হরফে কোন হাদিস বর্ণনা করার পর নিচে বর্ননাকারী হিসাবে লেখা হয় হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) । হাদিসের সঙগা অনুযায়ী হয়তো ব্যপারটি ঠিকই আছে। কারণ হুজুরে আকরাম (সাঃ ) এর কথা, কাজ বা সম্মতিই হাদিস হিসাবে গন্য। কিন্তু এই হাদিস সমুহ আমাদের কাছে যাঁরা যাচাই বাছাই করে পৌছে দিয়েছেন যেমন ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম (রহঃ) প্রমুখ ইসলামি পন্ডিতের নাম অনুসারেই হাদিস সমুহ এতকাল বর্ণিত হয়ে এসেছে। যেমন কোন হাদিস বুখারী বা মুসলিম গ্রন্থে উল্লেখ থাকলে, সেটি বর্ণনা কালে হাদিসের নিচে সহিহ বুখারী বা সহিহ মুসলিম লিখে রেফারেন্স দেয়া হয়েছে এবং হচ্ছে। কিন্তু ইদানিং সরাসরি হুজুরে আকরাম (সাঃ) এর নাম দিয়েই অনেকে হাদিস বর্ণনা করছেন। এতে করে উক্ত হাদিসটির সত্যাসত্য নিরুপন করা সাধারণ মানুষের পক্ষে দুরুহ হয়ে পড়ছে। যেমন যখন কেউ কোন হাদিসের বর্ণনা দিয়ে বুখারী/মুসলিম/তিরমিযী/আহমদ শরীফে এর রেফারেন্স দেয়, তখন কেউই তা অস্বিকার করতে পারে না। কারণ মুসলিম সমাজে উক্ত হাদিস গ্রন্থগুলো শতভাগ সহিহ শুদ্ধ হিসাবে পালনীয়। কারণ উক্ত পন্ডিতগন প্রত্যেকটি হাদিস সহিহ ভাবে পরীক্ষা করেই তাঁদের গ্রন্থে সন্নিবেশিত করেছেন। কিন্তু যখন সরাসরি রাসুলের নাম দিয়ে হাদিস বর্ণনা করা হয়, তখন কিন্তু পাঠকেরা বুঝতে পারছেন না যে উক্ত হাদিসটি কি উক্ত পন্ডিতদের দ্বারা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা সহিহ শুদ্ধ হাদিস কি না। যদিও ওনাদের গ্রন্থের বাইরেও অনেক সহিহ হাদিস রয়ে গেছে (সেটা এখানে আলোচনার বিষয় নয়)।

হঠাৎ মুসলিম, বুখারী, তিরমিযী, ইবনে মাযাহ , আহমদ শরীফ এর রেফারেন্স না দিয়ে সরাসরি রাসুলের নামে হাদিস প্রচারের কি উদ্দেশ্য থাকতে পারে না আমার বোধগম্য নয়। যারা এমন ভাবে হাদিস উপস্থাপন করছেন, তাদের কাছে জিজ্ঞাস্য যে তারা ঐ সমস্ত হাদিস কোন গ্রন্থ থেকে জানতে পারছেন? এবং যদি তা সিহাহ সিত্তাহ ( প্রসিদ্ধ ছয়টি বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থ) হতে নেয়া হয়, তাহলে গ্রন্থের নাম উল্লেখ করতে সমস্যা কোথায়? আর যদি তা সিহাহ সিত্তা থেকে সংগৃহীত না হয়, তবে কোথা থেকে সংগৃহিত, কারা তা সংগ্রহ করেছেন, সেটা জানাতে সমস্যা কি? অবশ্যই সবাইকে জানাতে হবে। নইলে যেকোন কথা যেকেউই নবীজীর নাম দিয়ে চালিয়ে সমাজকে বিভ্রান্ত করতেই পারে। দেশে আজকাল যা শুরু হয়েছে .....!!

আর একটি বিষয় হলো যদি হাদিসের ব্যপারে সরাসরি নবীজীর নামই লাগাতে হয়, তাহলে তো কোরআনের কোন আয়াত লিখে রেফারেন্স হিসাবে সুরার নাম ও আয়াত না লিখে শুধু আল্লাহ তায়ালা বলে ছেড়ে দিলেই হয়। তাহলে কোরআনের নামেও নিজেদের মতামত সমাজে ছড়িয়ে দেয়া যাবে।

আসলেই বড় কঠিন সময়ের মধ্যে আমরা চলে এসেছি। তসবির দানা ছিড়ে পড়ার মতো একটি একটি করে বালা মুছিবত মুসলমানদের জীবনে এসে পড়ছে, যা হাদিসেই উল্লেখ আছে। ইসলামের নামেই কেউ জেএমবি, কেউ হেফাজত, কেউ জামাত, কেউ তাবলীগ, কেউ দেওয়ানবাগী/কুতববাগী/আটরশি শত দলে ভাগ হয়ে ইসলামকে ভাগ করে নিয়েছি। এটাও অবশ্য হাদিসে আছে। ৭৩টি দল হবে। তার মধ্যে মাত্র একটি দল (ফেরকা) হবে পরিশুদ্ধ। আর বাদ বাকি সবই বাতেল। এখন হয়তো সেই পরিশুদ্ধ হবারই সময় এসেছে। এই কঠিন জামানার মধ্যে দিয়ে যারা নিজেদের ঈমান আক্বিদা ঠিক রাখতে পারবে, হয়তো তারাই হবে সেই সঠিক পথের অনুসারী ........

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬

ডাঃ মারজান বলেছেন: প্রতিটি হাদিসের রেফারেন্স দেয়া উচিত। অনেকে আল-হাদিস লিখে কাজটি করেন। সেটা উচিত নয়। শুভেচ্ছা রইল।

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১

Md SaRower HosSain বলেছেন: আপনি নিজে একটা হাদিস উল্লেখ করলে তার রেফারেন্স দিলে না অব্যশই আমি জানি রেফারেন্সটা

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ধন্যবাদ।

৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৯

প্রামানিক বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.