নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাইয়্যা আলা সাল্যা ......
এসো নামাজের দিকে.....
হাইয়্যা আলাল ফালাহ ...
এসো কণ্যাণের দিকে ....
আস্সালাতু খাইরুম মিনান্নাউম ....
নিশ্চই ঘুম অপেক্ষা নামাজ উত্তম !
আজানের এই বাক্যগুলোই বলে দেয় আমাদের জন্য নামাজের গুরুত্ব কত, আজানের গুরুত্ব কত!! হাদিস শরীফে বলা হয়েছে হাশরের ময়দানে মুয়াজ্জিনের কাঁধ সবার উপরে থাকবে। আবার হাদিস শরীফে আজানের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য এবং ইমামতির ভার যে কত কঠিন তা অনুধাবন করানোর জন্য ইমামতি থেকে দূরে সরে থাকতে এবং মুয়াজ্জিন হবার জন্য সর্বচ্চো প্রচেষ্টা করতে বলা হয়েছে।
এখন কথা হলো আজান দিলেই কি মুয়াজ্জিন হওয়া যায়? চার পাশে দশটা মাইক লাগিয়ে ফু ফা দিয়ে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে হুঙ্কার দিয়ে আজান দিলেই কি হাদিস শরীফের বক্তব্য অনুযায়ী মুয়াজ্জিনের সম্মান নসীব হবে?
হযরত বেলাল (রাঃ) ইসলাম গ্রহণের কারণে চরম অত্যাচারিত হয়েছিলেন। অত্যাচারের কারণে উনি কিছু শব্দ সঠিকরুপে উচ্চারণ করতে অপারগ ছিলেন। কিন্তু তারপরেও উনিই ছিলেন রাসুলে পাক (সাঃ ) এঁর মনোনিত মুয়াজ্জিন। একবার মদিনা শরীফের সবাই প্রস্তাব দিলেন এমন একজনকে মুয়াজ্জিন করা হোক যার উচ্চারণ বিশুদ্ধ এবং সুমধুর কন্ঠে যিনি আজান দিতে পারেন। সবার সম্মতিতে তখন হযরত রাসুলে করিম (সাঃ ) অপর একজন সাহাবিকে আজানের দায়িত্ব দেন। উনি নির্দেশ অনুযায়ী আজান দেন এবং সালাত আদায় করা হয়। এর পর আল্লাহর নবী রাসুলে পাক (সাঃ ) এঁর কাছে আল্লাহ তায়ালা জিজ্ঞেস করেন হে নবী! আজ আপনার মদিনায় কি আজান হয়নি? নবীজী উত্তরে বলেন, হ্যা হয়েছে তো! আল্লাহ বলেন অন্যান্য দিনের মতো আজকের আজান তো আমার আরশ পর্যন্ত পৌছায় নাই!! রাসুলে পাক (সাঃ ) বিষয়টি অনুধাবন করে সাথে সাথে আবার হযরত বেলাল (রাঃ )কে আজানের দায়িত্ব প্রদান করেন।
মোদ্দা কথা হলো আল্লাহ সর্বশ্রোতা সর্ব দ্রষ্টা । অবশ্যই তিনি সব কিছু দেখেন শোনেন জানেন। বান্দার অন্তরের হিসাব একমাত্র তিনিই জানেন। সুতরাং যারা আজানের শব্দে বিরক্ত হন, তাদেরও বুঝতে হবে আজানের কি গুরুত্ব, আর যারা আজান প্রদান করেন, তাদেরও জানা থাকতে হবে জোরে শোরে আজান দিলেই হযরত বেলাল (রাঃ ) হওয়া যায় না। তার জন্য দরকার বিশুদ্ধ অন্তর ... তাহলেই সার্থকতা ....
২| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২২
শূণ্য পুরাণ বলেছেন: হ্যাইয়া আলাস্ সালা
৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৭
মাসুদ মাহামুদ বলেছেন: সুন্দর লিখছেন।
৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬
প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল পোষ্ট। ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮
বিজন রয় বলেছেন: ভোরে আজানের ধ্বনি বড়ই সুমধুর লাগে।