নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেধা পাচার রোধে চাই সামাজিক প্রতিরোধ, মূল্যবোধ ......!!

১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৫

-তুমি যেনো কোথায় থাক?
-স্টেটস!
শুনেই চোখটা বড় বড় হয়ে গেলো। স্টেটস বলতে পেরে ছেলেটির মুখেও প্রশান্তির হাসি। বেশ ভাব নিতে পেরেছে বলে মনে হয়।
-কি করো ওখানে?
এবার ছেলেটি একটু ভ্রু কুচকালো। ভাবটা এমন যেনো এটা আবার কোন প্রশ্ন হলো? স্টেটস এ থাকি, এটাই তো সবচেয়ে বড় পরিচয়। কি করি, সেটা জানতে চাওয়া কেন? তারপরেও না বলে তো আর চুপ করে থাকা যায় না। একটু বিরক্ত বিরক্ত ভাব নিয়ে বল্লো- একটি পাম্পে কাজ করি।
- ও পাম্প ... মানে তেল বা গ্যাস পাম্পে? গাড়ি এসে দাড়ায় আর ছেলেরা গাড়ির সামনের ডালা খুলে বা পেছনের তেলের মুখ খুলে যে গ্যাস বা তৈল ভরে দেয়, সেই কাজ। কাজ তো কাজই, তার আবার ছোট বড় কি? মনে মনে ভাবলো প্রশ্নকারী। কিন্তু একটি জিনিষ কিছুতেই তার মাথায় ঢুকে না, এই কাজ করার জন্য সে স্টেটসে কেন যাবে? এই কাজ তো আমাদের দেশের অশিক্ষিত, অর্ধ শিক্ষিত ছেলেরা করে। যাদের লেখাপড়ার বা বিদ্যা বুদ্ধির জোর নেই, তারা করে, ওর মতো লেখা পড়া জানা, ভালো ফলাফল ধারী ছেলে, কেন এই কাজ করতে ওখানে পড়ে থাকে? নিজ দেশের এমন পেশার কোন ছেলের সাথে নিজের ভাস্তির বিয়ে তো সে কখনো কল্পনাও করতে পারে না।
শুধু স্টেটসে থাকার কারণেই বিয়ের বাজারে তার এতো ডিম্যান্ড?

এই ডিম্যান্ডের মূলে আছে ডলার। এক ডলার মানে কম বেশী ৮০ টাকা। ১০০ ডলার কামাই করা মানেই ৮০০০ টাকা!! সুতরাং টাকা আয় করার গরম তো সে চোখে মুখে দেখাত্ই পারে।

এই অর্থনৈতিক মান বৈষম্য দূর করা কি আমাদের জন্য খুব কঠিন? যত কঠিনই হোক, দেশের মেধা পাচার রোধ করতে চাইলে অবশ্যই এটা করতে হবে। আমাদের দেশের বুয়েট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ সবাই আজ এই মেধা পাচারের রাস্তার পথিক। তাদের কাছে দেশ বা দেশের জনগনকে সেবা করার কোন নৈতিক চিন্তা ভাবনা নেই, শুধু একটাই চিন্তা, ডলার বা পাউন্ডে আয় করতে হবে, সামাজিক ভাবে নিশ্চিন্ত নিরাপদ পরিবেশে বাঁচতে হবে। এমন পরিবেশে থাকতে হবে, যেখানে ফুলের টোকাটাও গায়ে লাগবে না। আর এদের ফেলে যাওয়া জায়গা পূর্ণ করছে, দেশের অমেধাবী, স্বার্থন্বেষী মানসিক ভাবে অশিক্ষিত, রাজনৈতিক মদদ পুষ্ট ছেলে মেয়েরা। তাদের কাছে দেশ ও দশের সেবা নয়, নিজেদের পকেট সেবাটাই মূখ্য। ফলে দেশ ও দেশের জনগনের মান সম্মত সেবা পাওয়ার সুযোগ দিন দিন কমে যাচ্ছে।

প্রায়ই শুনি অমুক বুয়েট থেকে পাশ করে এখন নরওয়ে তে থাকে, ঢামেক এর তুখোড় ছাত্রী অমুক আজ বরের সাথে কানাডার স্থায়ী নাগরিক। কালে ভদ্রে তারা এই দেশে পদধুলি দিতে আসেন। শুধু এইটুকুর জন্যই কি তাদেরকে শিক্ষা দীক্ষা দিলো দেশ? ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে এই দেশ রঞ্জিত হয়েছে কি কানাডা অষ্ট্রেলিয়ায় মাইগ্রেট হয়ে নিশ্চিত জীবন যাপনের জন্য? সেখানে শোলা দিয়ে শহীদ মিনার বা স্মৃতি সৌধ বানিয়ে দুটো ফুল আর কিছু গান বাজনা করলেই কি দেশের ঋণ শোধ হয়ে যায়?

৩০ লক্ষ শহীদ তাঁদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে এই দেশকে ভালোবাসতে গিয়ে। আর আমাদের ভালোবাসা শুধুই ফেসবুকে বন্দি। ষ্টেডিয়ামে পতাকা হাতে চিৎকার পর্যন্তই!! মাথায় কপালে পতাকা বেধে মিছিল করা পর্যন্তই সিমা বদ্ধ ! বসে বসে ব্লগে জ্ঞ্যান কপচানোই আমাদের দেশ প্রেম সিমাবদ্ধ .............

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২২

বিজন রয় বলেছেন: সিমাবদ্ধ............ সীমাবদ্ধ হবে।

মেধার চর্চার দরকার বেশি।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪

আহলান বলেছেন: চর্চা হচ্ছে, তবে দেশের বাইরে, বিভিন্ন সমাজিক ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় মেধা চর্চার দ্বার এই দেশে ক্ষয়িষ্ণু ... ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ....

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

বটপাকুড় বলেছেন: প্রায়ই শুনি অমুক বুয়েট থেকে পাশ করে এখন নরওয়ে তে থাকে, ঢামেক এর তুখোড় ছাত্রী অমুক আজ বরের সাথে কানাডার স্থায়ী নাগরিক। কালে ভদ্রে তারা এই দেশে পদধুলি দিতে আসেন। শুধু এইটুকুর জন্যই কি তাদেরকে শিক্ষা দীক্ষা দিলো দেশ? ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে এই দেশ রঞ্জিত হয়েছে কি কানাডা অষ্ট্রেলিয়ায় মাইগ্রেট হয়ে নিশ্চিত জীবন যাপনের জন্য?

আপনাকে বলি কেউ নিজের দেশ ছেড়ে ভিন দেশে আবাস করতে চায় না, কিন্তু আপনি কি জানেন দেশে এই মেধাবী লোক জনদের সাথে কি রকম আচরণ করা হয়? উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ এমবিবিএস ডাক্তারকে কথায় কথায় ধমক দেয় এইট পাস চেয়ারম্যান। বলেন তো এই ধমক শোনার জন্য এই দেশে কি পড়ালেখা করেছিলাম আমরা।
আমি দেশে বাইরে থাকি, টপ ১০০ এর একটি গবেষণা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। দেশের কারোর সাথে যখন যুক্ত হয়ে কাজ করতে চাই, দেখা যাই কোন গরজ নেই। আমাদের দেশে যারা আছেন, তাদের আসলেই নিজেদের দেশের উন্নতি চান না।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১

আহলান বলেছেন: ইয়েস! আমি তো এই কথা গুলো বের করে আনার জন্যই পোষ্ট দিয়েছি ব্রাদার ....! সম্যা নিয়ে আলোচনা না হলে সমাধান আসবে কোত্থেকে ....বাস্তবতা তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ....!!

৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

বিপরীত বাক বলেছেন: যেটা নেই সেটা নিয়ে চিল্লাফাল্লা না করে যেটা আছে সেটার কথাই বলুন না দাদা।
যেসব মেধাবী রা দেশে আছে সেগুলোর কি হাল আপনার ধারণা আছে কোন?
আমার কানাডা নিবাসী খালা ছোট থাকতে একবার দেশে এসেছিল। আমি তখন স্কুলে। আম্মার সাথে আলোচনার এক পর্যায়ে বলেছিল যে কানাডার একটা মুচি ছেলে পাইলেও মেয়ের বিয়ে দেয়া উচিৎ।
তখন প্রতিবাদ করেছিলাম
আজকে পরিণত বয়সে বুঝি ওনার কথার মর্ম।

আসলে মেধাবী গুলোরে পায়ের নিচে দলাই মলাই করার স্কোপ পাচ্ছেন না তো তাই এসব দেশাত্ববোধের সস্তা পসরা সাজিয়ে বসেছেন।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

আহলান বলেছেন: দেশাত্ববোধকে সস্তা পসরা না ভাবি ভাই। আমরা যদি না জাগি মা, কেমনে সকাল হবে, তোমার ছেলে উঠলে মাগো রাত পোহাবে তবে .... কানাডার মুচির কাছে গেলে আর রাত কিভাবে পোহাবে ... এই মানসিকতাই তো আমাদেরকে আরো গরীব করে দিয়েছে .... ধন্যবাদ

৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০২

আমিই মিসির আলী বলেছেন: সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরেছেন।
টাকা ছাড়া আসলে কোন দাম নাই!
টাকার জন্যই সবাই ছুটে যায়।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯

আহলান বলেছেন: টাকা, পরিবেশ, নিরাপত্তা, নিশ্চয়তা ... সবই আছে রে ভাই .... ধন্যবাদ!

৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

তারিকুল ঐক্য বলেছেন: "ও পাম্প ... মানে তেল বা গ্যাস পাম্পে? গাড়ি এসে দাড়ায় আর ছেলেরা গাড়ির সামনের ডালা খুলে বা পেছনের তেলের মুখ খুলে যে গ্যাস বা তৈল ভরে দেয়, সেই কাজ।"

না জেনে কথা না বলাই ভালো। ইউ.এস.এ. তে গ্যাস স্টেশনে গ্যাস ভরার জন্য কোন অ্যাটেন্ডেনট থাকে না - যারা কাজ করে গ্যাস স্টেশনে তারা সাধারনত: ক্যাশে বসে।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০০

আহলান বলেছেন: ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ ... তবে মাঝে মধ্যে হলিউডের সিনেমা গুলোতে দেখি তো , তাই ধারণা নিয়ে লিখেছি, বাস্তব অভিজ্ঞতা নাই ... পোষ্টের মূর উপজিব্যও ওটা নয় ...ধন্যবাদ

৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০

Rahat Islam বলেছেন: মেধা পাচার নিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বললেন, আমি আপনার সাথে সহমত। কিন্তু একটা জিনিষ ভেবে দেখেছেন? ৪ বছর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া ছেলেটা যখন চাকুরিতে ঢুকে মাত্র ১২০০০/- টাকা (তাও খুব কম ক্ষেত্রে) পায় তখন তার মাথায় আসেনা সে কি জন্য দেশে থাকবে। বলতে পারেন ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত, দেশ মাতা এসব, কিন্তু পেটে ভাত না থাকলে এসব sentiment মাথায় আসেনা । আচ্ছা অর্থনৈতিক দিকটা বাদই দিলাম যদিও সেটাই সবচেয়ে important, আমাদের দেশের মানুষ মেধাবীদের ন্যূনতম সম্মান ও দিতে জানে না। তাই এখন বলেন কেন মেধা পাচার হবে না?

১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯

আহলান বলেছেন: ভাই, ঠিক এই কারণেই তো পোষ্টটা দেয়া। পরিবেশটা পরিবর্তনে সবাইকে আহ্বান জানাতেই এই পোষ্ট। আপনি কি মনে করেন, প্রতিদিন অফিস সেরে বাসায় গিয়ে আমিও ভাবি না যে এই দেশে থাকার কোন মানেই হয় না? জমির দালাল এইট পাশ, সে চালায় প্রাডো ... আর আমি অনার্স মাষ্টার্স করা করা লোক, গাড়ির জন্য টিটিপক্ষীর মতো রাস্তার পানে চেয়ে থাকি ... পরিবেশটা বদলাতে পারলে, আপনার আমার সবার জন্যই মঙ্গল ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.