নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাষ্ট্র ধর্ম হিসাবে নয়, নিজের ধর্ম হিসাবে ইসলামকে নিজের অন্তরে প্রতিষ্ঠা করুন!!!!

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৩




হেফাজত দেখলাম রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। এদেরকে যে কারা আবার মাঠে নামালো মাঠ গরম করার জন্য কে জানে! ধর্ম যার যার তার তার। যে নামাজ পড়ার সে নামাজ পড়ছে, যে পুজো করার সে পুজো করছে। ধর্ম তো এই দেশে ব্যক্তিগত ভাবে চর্চা হয়। যখন এই দেশে রাষ্ট্র ধর্ম বলতে কিছু ছিলো না, তখন এই দেশে ইসলাম প্রচার হয়েছে। দলে দলে অমুসলিমরা মুসলমান হয়েছে। আল্লাহর কামেল ওলি আওলিয়াদের কঠোর পরিশ্রমে এই দেশের মানুষ ইসলামকে আন্তরিকতার সাথে স্বেচ্ছায় গ্রহণ করেছে। তখন না ছিলো রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম, না ছিলো তুরাগের তীরে বিশ্ব ইজতেমার তাবলিগী দাওয়াত, না ছিলো জামাতে ইসলামের শিবির কর্মিদের কোন অস্তিত্ব। একমাত্র আল্লাহর খাস বান্দা আওলিয়া কেরামগনের হাত ধরে এই হিন্দু অধ্যুসিত এলাকায় ইসলামের ঝান্ডা উড়েছে। ইসলামকে প্রতিষ্ঠা বা রক্ষা করতে কোন সংবিধান রচনার প্রয়োজন পড়েনি। তবে আজ ৯০ শতাংশের মুসলমানের দেশে ইসলাম বাঁচাতে বা রক্ষার্থে কেন রাষ্ট্র ধর্ম হিসাবে ইসলামকে রাখতেই হবে, তা আমার কিছুতেই বোধগম্য নয়।

দেশে অনেক বড় বড় সমস্যা আছে, হুজুরদের প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা প্রয়োজনে সেগুলো সমাধানে সরকারকে সহযোগিতা করুন। শুধু শুধু হুজ্জতি বাধিয়ে দেশে আর বিশৃঙ্খলা করবেন না। রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম থাকা সত্ত্বেও এই দেশে প্রতিনিয়ত মানুষ খুন হচ্ছে, ধর্ষিতা হচ্ছে, চুরি ডাকাতি রাহাজানি কোনটাই থেমে নেই, নারী দের অশালীন চলাফেরা বা স্বল্প বসনে ফ্যাশন শো থেকে শুরু করে নাইট ক্লাবের কোন পার্টি কিন্তু বন্ধ নেই। রেড লাইট এরিয়োতে খদ্দেরের সংখ্যা কিন্তু বাড়ছে ছাড়া কমছে না।

তাই বলি রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম রাখার চেয়ে প্রকৃত অর্থে মুসলমান হিসাবে কিভাবে নিজেকে তৈরী করা যায়, সেই ব্যপারে আন্দোলোন করুন। নিজেকে সাচ্চা মুসলমানরুপে দাড়া করাতে পারলে আর রাষ্ট্র ধর্ম হিসাবে ইসলাম কায়েম করার প্রয়োজন নাই। রাষ্ট্রে নয়, অন্তরে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার আন্দোলোন করুন। জেহাদ করুন নফসের বিরুদ্ধে। কুরিপুর বিরুদ্ধে.... হাদিস অনুযায়ী সেটাই বড় জেহাদ!! নিজের কুরিপুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাই সবচেয়ে কঠিন জেহাদ। সেটাই করতে জনগনকে উদ্বুদ্ধ করুন। তাহলে দেশে ধর্ষণ, খুন খারাবি, বেলেল্লাপনা, মদ জুয়া, রাত ভর উন্মাদনা সব পালাবে .... তখন দেশেও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০০

কালীদাস বলেছেন: লেখাটা থট প্রোভোকিং।
দেখি কমেন্ট কিটাইপের আসে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩১

আহলান বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০১

মু. মিজানুর রহমান মিজান (এম. আর. এম.) বলেছেন: এতো আমার কথা প্রায় কপি করা হয়েছে। বিশ্বাস না হলে আমার প্রোফাইলে যান।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩২

আহলান বলেছেন: এমন কথা অনেকের মনেই আছে ব্রাদার!

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩০

কবি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

আহলান বলেছেন: ধন্যবাদ কবি ..!

৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: এমন কথা 'আমারো ছিল মনে
কেমনে বেটা পেরেছে সেটা জানতে।’

(রবীন্দ্রনাথের জুতা আবিস্কার থেকে কোট করলাম )

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

আহলান বলেছেন: হুমমম ! সব দেখি হবু আর গবু চন্দ্রের আড্ডাখানা .. ;)

৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলাম ধর্ম চায় যে, আপনি অপরকে ধর্মীয় ব্যাপারে প্রভাবিত করবেন।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:২৫

আহলান বলেছেন: ইসলাম সব সময় এটি চায় নি। মক্কা বিজয়ের আগে ও পরের ইতিহাস ঘাটলে লক্ষ্য করবেন ইসলাম যক্কা বিজয়ের পর তৎকালীন কাফিরদেরকে সসম্মানে যেখানে খুশি সেখানে চলে যেতে সুযোগ দিয়েছে। অমুসলিমদের থেকে জিজিয়া কর আদায় করে তাদেরকে রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব নিয়েছে। এটাকে প্রভাবিত করা বল্লে অবশ্য ভিন্ন কথা .... আর জোর খাটানো আর প্রভাব বিস্তার এক জিনিষ নয়। হুদায়বিয়ার সন্ধির প্রভাবে শত শত কাফির অতি সহজেই মুসলমান হয়ে গেছিলেন, শুধু ইসলামের সৌন্দর্য্য দেখে .... ধন্যবাদ ..

৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । লিখাটা পরলাম । দুই একটি মন্তব্যও দেখলাম বাতাশ যে কোনদিকে বুঝার উপায় নেই যেমন বুঝা যায়না স্বয়ং হেফাজতিদেরও , তারা যে কখন কার স্বার্থ রক্ষা করছেন তা বুঝা দু:সাধ্য । তবে এটা বুজি ধর্মের মুল কাজ মানুষের জন্য ইহকাল ও পরকালের সুখ শান্তির ব্যবস্থা করা । কারো কোন কার্যকলাপ ইহলোকেই যদি শান্তি দিতে না পারে তাহলে পরলোকে শান্তি দিবে তার নিশ্চয়তা কি । শান্তির মুল লক্ষ হলো সকলের জন্যই শান্তি । সকলকে যদি শান্তি দেয়া না যায় তবে এমন কাজ না করা যাতে করে অন্ততপক্ষে একটি লোকও যেন অশান্তিতে না ভোগে । আল্লাহ এ জগতের প্রতিটি মানুষকে নীজ হাতে অতি মহব্বতের সহিত সৃষ্টি করেছেন , তাকে খানা পিনা দানা দিয়ে বাচিয়ে রাখছেন , তার খানা পিনা , চলা ফেরা , রোগ শোক সব বিষয়ের দেখবালের দায়ীত্ব যখন মানব জম্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আল্লাহ হেফাজত করে আসছেন এবং করে যাবেন সেখানে তার ধর্মের বিষয়টির হেফাজত কি আল্লার এখতিয়ার বহিরভুত! এই খোদায়ী দায়ীত্বটি কেন একজন ব্যাক্তি বা একটি বিশেষ দলকে পালন করতে হবে তা বোধগম্য নয়। অবশ্য এটা বুজার জন্য এলেম এখন পর্যন্ত হাটহাজারী পর্যন্ত পৌঁছায় নাই । তবে এটা জানি যে আল্লাহ আমাদের মহানবী (সা:) এর মাধ্যমে বিদায় হজের ভাষণে ঘোষনা করে দিয়েছেন আজ থেকে দ্বিন কে পরিপুর্ণ করে দেয়া হলো । এই পরিপুর্ণ শব্ধটির ভিতর দ্বিনের সকল বিষয় অন্তরর্ভুক্ত। এটাও স্বিকৃত যে মহানবীর পর আর কোন নবী আসবেননা । তার মানে মহানবীর মাধ্যমে আল্লা তায়ালা ঘোষিত পরিপুর্ণ দ্বীন আল্লাহ প্রদত্ত রুপরেখা অনুযায়ী পুর্ণমাত্রায় বলবত থাকবে রোজ কেয়ামত পর্যন্ত । আল্লাহ তার দ্বিন হেফাজত করার জন্য কারো মূখাপেক্ষী নন । আল্লা দ্বিনকে পরিপুর্ণ করার পর বলেছেন তা কোরান সুন্নার আলোকে প্রতিপালন ও অনুসরণ করার জন্য । হেফাজত করতে বলেননি । এটা সম্পুর্ণই আল্লার এখতিয়ারাধীন। এখন নীজে দ্বিনকে অনুসরণপুর্বক অন্যকেও বলতে পারা যায় আসুন আমরা ধর্মীয় বিধানকে অনুসরন করি । তবে হা ইসলামের বস্তগত বিষয় যেমন ছাপার অক্ষরে কোরান শরীফকে রক্ষা করা একটি দায়িত্বের মধ্যে পরে , বরং এখানে উল্টাটাই দেখা গেছে । ঘটনা যেভাবে যার দ্বারাই ঘটুক কোরান শরীফ তো পুরেছে । সারা দুনিয়া জুরে বিধর্মীরা বিভিন্ন ভাবে কোরানকে বিক্ষিপ্তভাবে ফেব্রিকেটেট করছে । একটু ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করলে বিষয়টার ভয়াবহতা দেখা যাবে । দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এখন ইনটার নেটে অনলাইনে কোরান শরীফ পাঠ করে । আমি নীজেও http://www.quran.gov.bd অনুসরন করে digital কোরান পরি । এর মধ্যে আরবির পাশাপাশি বাংলা ইংরেজী দুই ভাষাতেই তরজমা আছে । কিন্ত গত একবছর থেকে দেখছি ইন্টার নেটে ডিজিটাল কোরান পড়তে গেলে মাঝে মধ্যেই অনেক আয়াত আসেনা আর আসলেও আয়াত নম্বন উল্টাপাল্টা আসে । বিষয়টা ধর্ম মন্ত্রী ও ধর্ম মন্ত্রনালয়ের সচিব কে ফোনে ও ইমেইলে জানানো হযেছে । কিন্তু বিষয়টির পুরাপুরী সমাধান এখনও হয়নি । কিন্ত হেফাজতী ইসলাম এর হেফাজতের জন্য একটি উচ্চবাচ্যোতো এবিষয়ে এখনো করতে শুনিনি । তবে এমনতো হতে পারে কোরান রক্ষা করা হেফাজতের আওতাভুক্ত নয় । যাহোক ইসলামকে উনারা কিভাবে হেফাজত করবেন এটা উনাদের ব্যাপার । আমাদের প্রতি আল্লা প্রদত্ত পরিপুর্ণ দ্বিন ইসলামের রক্ষক মহান রাব্বুল আলামীন আল্লাহ স্বয়ং , তার উপরই আমাদের পরিপুর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা আছে তিনিই তা রক্ষা ও হেফাজত করবেন । আমরা শুধু অনুসরন করবো ও অন্যদেরকে তা অনুসরনের জন্য অনুপ্রানীত করবো নীজেদেরকে পরিপুর্ণভাবে আল্লা নির্দেশিত কোরান ও সুন্নার আলোকে , বিশেষ কোন ব্যক্তি বা দলের আহবানে নয় । আমাদের হাতের নাগালের মধ্যেই রয়েছে পবিত্র কোরান শরীফ ও হাদিছ গ্রন্থ যেখানে পরিস্কার ভাষায় উল্লেখ করা আছে কি করতে হবে না হবে । আর আল্লাহ তো বলেছেন কোরানকে নাযীল করা হয়েছে অত্যন্ত সহজ ও বোধগম্য ভাষায় যেন তা সকলেই বুঝতে পারে আর অনুসরন করতে পারে সুন্নাকে দেখে । তবে দোয়া করি হেফাজতি হুজুরগন ইসলামকে হেফাজত করুন তারা যে ভাবে চান । তবে যেন কারো কোন অশান্তি না হয় , যেন না পুড়ে কোন কোরান না মরে কোন মাদ্রাসার প্রান প্রিয় ভা্‌ই বোন ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪

আহলান বলেছেন: অনেক সময় নিয়ে মন্তব্য করেছেন, ... ধন্যবাদ ।

৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সময়তো একটু লাগছেই । আমার জন্য তো আর কেও ময়দান রেডি করে রাখেনি যে আসব যাব অার আঙ্গুলখান উচিয়ে ধরলেই পট পট করে সব হযে যাবে । যাহোক ব্যায়ীত সময়টাকে মুল্যায়ন করার জন্য ধন্যবাদ ।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৮

আহলান বলেছেন: :)

৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫১

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৫৫

আহলান বলেছেন: :)

৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার দীর্ঘ প্রবন্দের সাথে একমত।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২

আহলান বলেছেন: ধন্যবাদ ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.